The Mysterious Man- Mafia Boss- Season-3 (Part-2) Part- 80
★★★★
উৎসব মুখর পরিবেশ চারিদিকে আলোর খেলা পুরো পরিবেশকে মুখরিত করছে।মেহমানরা আসছে।সবার ঠোঁটে হাসি লেগে আছে।রোয়েন রুহী গেস্টদের সাদরে গ্রহন করছে।আর্ভিন আরাবী ও চলে এসেছে।ঘরে ঢুকতেই আর্ভিন রোয়েন রুহীকে সালাম দিলো।রোয়েন রুহী মেয়ে আর মেয়ের জামাইকে ঘরে ঢুকালো।আরাবীর ছয় মাস চলছে প্রেগন্যান্সির।পেট টা বেশ বড় হয়েছে।রুপন্তী রেহান একদম প্রথমেই চলে এসেছে।রুপন্তী আর রুহী আরাবীর সাথে কথা বলছে।কেক ও চলে এসেছে।ফেন্সি লাল রং এর গাউন পরে এসেছে।ও জানে আজ সে আসবে।তার জন্যই এতো আজ তাকে মানিয়েই ছাড়বে।ওয়েটার সবার কাছে ড্রিংকস পৌছে দিচ্ছে।আর্ভিন আপেল জুস নিয়ে আরাবীকে দিলো।মেয়েটা এমনিতে আপেল খায়না।অন্তত জুসটা যদি খায়।রোয়েনের জন্য ছিলো সুগার ফ্রি ব্লু বেরির জুস।জুসে সিপ দেয়ার মাঝেই সবার চোখ চলে যায় সিড়ির ওপর পড়া সাদা স্পট লাইটটার ওপর।ইয়ারাবী আরাভ আর আয়রানা সিড়ি বেয়ে নামছে।ওদের সাথে সাথে স্পট লাইটটা ও নিচে নামছে।তিনজনেই সাদা পোশাকে জড়িয়ে আছে।ইয়ারাবী সাদা নেটের শাড়ী আরাভ সাদা কমপ্লিট সুট ভিতরে কালো শার্ট।আর আয়রানা সাদা ফুলানো ফ্রক।আরাভের কোলে আয়রানা।মেয়েটা ফুঁপাচ্ছে এখনো।ওরা নিচে আসতেই রুপন্তী আয়রানা কোলে নিলো।তারপর ইয়ারাবী আর আরাভের দিকে মিষ্টি হেসে বলল,
.
.
-হ্যাপি এনিভার্সারি আরাভ ইয়ারাবী।
-থ্যাংকস খালামনি।জানায় আরাভ।
-পাপা আসেনি মাম্মা?
-ঐতো জিজুর সাথে কথা বলছে।রোয়েনের সাথে কথা বলায় মগ্ন রেহানের দিকে ইশারা করে রুপন্তী।
-পাপার সাথে দেখা করে আসি আমি।
.
.
আরাভ ইয়ারাবী দুজনেই রেহানের কাছে চলে যায়।রুপন্তী আর রুহী নাতনী কে নিয়ে মেতে উঠেছে।দুজনেই আয়রানাকে ইচ্ছে মতো চুমু খাচ্ছে।কিছুসময় পর রোয়েন এসে রুপন্তীর পাশে দাঁড়াতেই আয়রানা হাত পা ছুড়তে শুরু করে।রুপন্তী নাতনীকে সামলাতে চাইছে কিন্তু দুষ্টুটা কোনরকমেই থামছেনা।দাদাকে দেখা মাত্রই কোলে উঠার জন্য হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছে।রোয়েন নাতনীকে দেখে হেসে দিয়ে একটু সরে গেলো রুহীর পিছনে।তখনই বাবু কেঁদে দিলো জোরে।
.
.
-দাদা আয়রানাকে কোলে নিবোনা।বলে উঠে রোয়েন।
.
.
বাবু আরো জোরে কাঁদতে শুরু করেছে।রুহী রেগে রোয়েনের দিকে তাকায়।
.
.
-ওকে কোলে না নিলে এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন?
-আমার আয়রানা থেকে ওর দাদী আরো বেশি অবুঝ।
রুপন্তী আমার কোলে দাও তো ওকে।
-নিন জিজু।আয়রানাকে রোয়েনের কোলে দিলো রুপন্তী।
.
.
সবাই ইয়ারাবী আরাভকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে গিফট দিচ্ছে।ওরা হাসি সবার সাথে কথা বলছে।কিছুসময়ের মাঝে অর্পন আর ওর বাবা মাকে আসতে দেখা গেলো।বাসার সবাই ওদের বরন করে নিলো।অর্পন আয়রানাকে বলল,
.
.
-কেমন আছে আম্মুটা।আয়রানার দিকে দুহাত বাড়িয়ে বলল অর্পন।
.
.
আয়রানা অর্পনের কোলে আসেনা।আরো রোয়েনের বুকের মাঝে ঢুকে যাচ্ছে ও।অর্পন হেসে রোয়েনকে বলল,
.
.
-চাচ্চুর কোলে আসবেনা ও।
-ওর কাছে থাকলেই আসবে।তোমরা তো আসোইনা।মাঝে মধ্যে এসো তোমার সাথে ও সম্পর্ক ভালো হবে।
-অবশ্যই আসবো আঙ্কেল। জানেনই তো কতো কাজ থাকে অফিসে।
-সেটা জানি বাবা।
.
.
অর্পন আরাভ আর ইয়ারাবীর সাথে কথা বলতে থাকে।আরাভের কল আসলে অন্যদিকে চলে যায় আরাভ।অর্পন আকরাম আজহারের কাছে যেতে নিলে ওর পথ আটকে দাঁড়ায় ফেন্সি।অর্পনের চেহারায় তীব্র ক্রোধ ফুঁটে উঠেছে।
.
.
-অর্পন তুমি?এতো কল দিয়েছিলাম ফোন ধরোনি কেন?
-তোর মতো কাল নাগিনীর সাথে কথা বলার কোন শখ নেই।তুই এখানে কেন?আমার লাইফ নষ্ট করে ওদের ধ্বংস করতে আসছিস?অসভ্য মেয়ে।তোর মতো নষ্টা মেয়ে আমেরিকায় ভালো ছিলি।এখানে এসে হেল বানিয়ে দিচ্ছিস সবার লাইফ।তোর মতো নোংরা মেয়েকে দেখতে ইচ্ছে হয়না আমার।
-অর্পন প্লিজ কথা শুনো আমার।অর্পনের হাত চেঁপে ধরে ফেন্সি।
-লিভ মি।হাত সরিয়ে নেয় অর্পন।
.
.
অর্পন আরো কিছু বলতে নিয়ে ইয়ারাবী এসে থামায়।
.
.
-ভাইয়া এমন করছেন কেন?
-এই মেয়ে এখানে আসলো কেন?
-এখানে তো ফেন্সি আপু থাকে।
-হোয়াট?ভাবি আপনি জানেননা আপনাদের সাথে যা হয়েছিলো সব ও করিয়েছে।
-আপু আর আগের মতো নেই।প্লিজ ভাইয়া এমন করবেননা।
-এসব মেয়ে কখনো চেঞ্জ হয়না।আমি গেলাম।এই মেয়ে থাকলে আমি এখানে থাকতে পারবোনা।
-ভাইয়া প্লিজ থাকেন।অন্তত আয়রানার জন্য থাকেন প্লিজ।
-ওকে।তবে এই মেয়ে আমার কিংবা আমার পরিবারের সামনে যেন না আসে।
.
.
অর্পন সরে গেলো ফেন্সির সামনে থেকে।ফেন্সি কাঁদতে শুরু করে।ইয়ারাবী ফেন্সিকে জড়িয়ে বলল,
.
.
-প্লিজ কাঁদবেননা আপু।সব ঠিক হয়ে যাবে।
.
.
ফেন্সিকে কোনমতো সামলিয়ে সরে আসে ইয়ারাবী।আরাবী এসে ওকে কেকের কাছে নিয়ে এলো।আরাভ দাঁড়িয়প আছে সেখানে।ইয়ারাবীকে আরাভের পাশে দাঁড় করানো হলো।
দুজনে মিলে কেক কেঁটে সবাই খাওয়ায়।তারপর সবাই ওদের জোর করতে লাগে কাপল ড্যান্সের জন্য।ওরা রাজি হলো এক পর্যায়ে।সবার মাঝে আরাভ আর ইয়ারাবী।ওদের ওপর সাদা একটা স্পটলাইট পরেছে।আরাভ ইয়ারাবীর মসৃন কোমড়ে হাত রাখলো।ইয়ারাবী কেঁপে উঠে আরাভের কোট খাঁমচে ধরে।আরাভ অপর হাত দিয়ে ইয়ারাবী আরেকটি হাতের আঙ্গুল গুলো নিজের আঙ্গুলের ভাজে নিয়ে নিলো।গান ছাড়া হলো।
Tere bina zindagi se koi shikwa to nahin
Shikwa nahin, shikwa nahin, shikwa nahin
Tere bina zindagi bhi lekin zindagi to nahin
Zindagi nahin, zindagi nahin, zindagi nahin
Tere bina zindagi se shikwa to nahin
(Ji mein aata hai tere daaman mein
Sar chhupaake hum rote rahe, rote rahe)
Teri bhi aankhon mein aansuon ki nami to nahin
Tere bina zindagi se koi shikwa to nahin
Shikwa nahin, shikwa nahin, shikwa nahin
Tere bina zindagi bhi lekin zindagi to nahin
Zindagi nahin, zindagi nahin, zindagi nahin
(Tum jo keh do to aaj ki raat
Chaand doobega nahin, raat ko rok lo
Raat ki baat hai, aur zindagi baaqi to nahin
,
,
,
,
আরাভ ইয়ারাবী একে অপরের চোখে ডুবেছিলো পুরোটা সময়।আরাভ ওর মুখ খানি একটু এগোতেই ইয়ারাবী মাথা ঘুরিয়ে আরাভ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলো।সেই সময়ে ইয়ারাবীর চোখ ভিজে গিয়েছিলো।আরাভ কিছু বুঝতে পারেনি।খাবার শেষে ইয়ারাবী রোয়েন রুহী কে জানায় ও তাদের সাথে বাসায় যাবে।রোয়েন বলল,
.
.
-যাও আম্মু জলদি ফিরে এসো।
-থ্যাংকস বাবা।
.
.
রোয়েন ইয়ারাবীর কপালে চুমু দিলো।ইয়ারাবী উপরে এসে লাগেজ গুছাতে লাগে।আরাভ দৌড়ে এসে থামায়।
.
.
-কি করো তুমি এসব?কই যাও?
-বাবার বাসায়।
-কেন হঠাৎ করে?
-হঠাৎ এর কি হলো আরাভ?আমি যাবো গা।আপনার সাথে থাকবোনা।আর আজ এমনিই আমাদের তালাক হওয়ার কথা ছিলো।
-ইয়ারাবী তুমি জানো সেটা বাড়ির কাগজ ছিলো।আমি সেদিন তোমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য এমন বলেছিলাম।
-কষ্টটা লিমিট ক্রস করেছিলো আরাভ।আপনি আমাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছিলেন।আমার মনকে অনেক আঘাত করেছিলেন।আপনার কারনে আমার বাবা মা থেকে আলাদা ছিলাম।ওনারা সরি বলার পর ও তাদের সাথে কথা বলিনি।ওনাদের শাস্তি দিতে পারলে আপনাকে দিতে পারবোনা কেন?
-ইয়ারাবীকে জড়িয়ে ধরে আরাভ।প্লিজ ইয়ারাবী এমন টা বলোনা।প্লিজ যেওনা।থাকতে পারবোনা তোমাদের ছাড়া।
.
.
আরাভ কে ধাক্কা দিয়ে সরায় ইয়ারাবী।
.
.
-ধরবেননা আমাকে।চিৎকার দিয়ে বলে ইয়ারাবী।
.
.
ইয়ারাবী নিচে নেমে আসে।মেয়েকে কোলে নিয়ে বাবা মায়ের সাথে চলে যেতে থাকে ও।আরাভ ইয়ারাবীর হাত চেঁপে ধরে।
.
.
-ইয়ারাবী প্লিজ।
.
.
ইয়ারাবী নিজের হাত ছাড়িয়ে বেরিয়ে গেলো।যাওয়ার সময় বাবুর দিকে তাকিয়ে ছিলো আরাভ।সবাই চলে।গেলো।আরাভ ইয়ারাবীকে অনেকবার কল দিতে থাকে।কিন্তু ফোন ধরেনা ইয়ারাবী।
এদিকে পরদিন সকালে আরাবী আর আর্ভিন নাস্তা করছিলো।
আরাবী দুধ খেয়ে আপেল মুখে তুলতেই কলিংবেল শুনতে পায়।সার্ভেন্ট গিয়ে দরজা খুলতেই আর্ভিন নিজের বাবাকে দেখতে পায়।দুজন ভীষন অবাক হয়ে যায়।
চলবে