Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 101

তা বড় নাতি থাইকা যাও।সামনেই তো রুপন্তী রেহানের বিয়ে।বিয়েডা শেষ কইরাই যাও।আর অখন তো ঘরে বহুত কাম থাকবো।রুহী তো হেল্প করতে পারবো।তোমরা থাকলে কিছু তো সাহায্য হইবো।তুমি না করো রুহী তো করতেই পারবো।একনাগাড়ে বলে উঠেন আজহান রায়হান চৌধুরী।না দাদু এখন আসলে ওকে দিয়ে ভারি কাজ গুলো করাতে চাচ্ছিনা।সার্ভেন্টসরা তো আছেই।লাগলে আরো ঠিক করা যাবে।বলে আরাভ কে বুকের সাথে জড়িয়ে কোলে নিয়ে বলল রোয়েন।ছেলেটা কে এভাবে বুকের সাথে লাগিয়ে কোলে নিলে ভীষন পছন্দ করে।হুম সব বুঝি।গেরামে তোমার দাদীরা বাইচ্চা নিছেনা?হেরা কতো কাম করতো।বাইচ্চা হওয়ার পর দিনই কামে লাইগ্গা যাইতো।আর অখন ২,৩ মাসে ও তোমাগোর বৌরা কাম করতে পারবেনা।বৌ আমাগোর ছিলোনা।কিছুটা অভিমানী গলায় বলেন আজহান রায়হান চৌধুরী।
রোয়েনের খুব রাগ লাগছে।আরাভ কে বেবি কারে শুইয়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে বলল দাদু রুহীর সিজার হয়েছে।অপারেশন হয়েছে ওর।আর তুমি এভাবে কেন বলছো কথা গুলো?রুহী ও তোমাদের নাতনী।আমাদের বংশের মেয়ে ও।রোয়েন আর কিছু বলতে চাইছে না।এ মুহূর্তে মাথাটা গরম হয়ে গেছে ওর।
রুহী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আরাবী আর আরাভের বেবি কারের হ্যান্ডেল ধরে আছে।দাদু কি কথা গুলো এভাবে না বললে পারতোনা?ভেবেই মনটা ভীষন খারাপ হয়ে যায় রুহীর।গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে থাকে রুহীর।
রোয়েন সামনে তাকিয়ে সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল আসি তাহলে।আর সঙ্গীত এর অনুষ্ঠান নেক্সট উইক হচ্ছে। কোন দরকার হলে দিয়েন।বলে পিছনে ফিরে রুহীর হাত থেকে একটা বেবি কারের হ্যান্ডেল হাতে নিলো রোয়েন।অপর হাতে বাবুদের ব্যাগ।এই ব্যাগে ওদের ন্যাপি,কাপড় চোপড় খাবার রাখা আছে।
গাড়ির পিছনে রুহীকে নিয়ে উঠে বসলো রোয়েন।ওদের কোলে বাবুরা।রেহান ড্রাইভিং সিটে এসে বসলো।
রেহান ড্রাইভ করতে শুরু করে।রুহীর দিকে একবার তাকায় রোয়েন।রুহীর অশ্রু দৃষ্টি এড়ালোনা রোয়েনের।বড় একটা নিশ্বাস নিয়ে রুহীর হাতে হাত রাখে রোয়েন।
ভাবি মন খারাপ করবেননা।ওনি বুড়ো মানুষ।অনেক আগের কালের।ওনাদের সময় তো সিজার ছিলোনা।
তাই এমন বলছিলেন।বলে উঠে রেহান।
না ভাইয়া আমি বুঝতে পারছি।খারাপ লাগছে এইজন্য যে আমি কি তাদের পর?নাকি ফেমেলিতে বিয়ে করে কারোর ক্ষতি করেছি?কাঁদতে কাঁদতে বলে রুহী।
রুহী প্লিজ জাস্ট ফরগেইট ইট।ওনার কথায় মন খারাপ করোনা প্লিজ।আমরা সবাই তোমার সাথে আছি।রুহীর দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে রোয়েন।
রুহী হেসে মাথা নিচু করে ঝাঁকায়।রেহান ও হাসতে থাকে।রোয়েন রুহীকে ঘরে পৌছে দিয়ে বেরিয়ে পড়ে রেহান।বাবুদের দোলনায় শুইয়ে রুহী দু মগ কফি বানিয়ে রুমে চলে আসে।রোয়েন দোলনার সামনে দাঁড়িয়ে ওর বাচ্চাদের দেখছে।ওর মুখে মনহরোন করা হাসি।রুহী টিটেবিলের ওপর মগ দুটি রাখতেই রোয়েন সোজা হয়ে দাঁড়ায়।তারপর পিছনে ফিরে রুহীকে দেখে।রুহীর কাছে এসে মগ দুটি নিয়ে বারান্দায় চলে যায়।স্বামীর পিছু পিছু বারান্দায় আসে রুহী।পাশাপাশি দুটি চেয়ারের একটিতে বসে আছে রোয়েন।রুহী পাশে বসে একটি মগ হাতে নিয়ে এক চুমুক চোখ বন্ধ করে।সারাদিনের কাজ শেষে বাবুদের ঘুম পাড়িয়ে ওরা এভাবেই কফি খায় বারান্দায় এসে।কফি শেষ করে রুহীর দিকে এগিয়ে আসে রোয়েন।রাতের আকাশে তারা গুলো জ্বলজ্বল করছে।রুহীর গালে কানের লতিতে ইচ্ছেমতো ঠোঁট ছুঁইয়ে দিচ্ছে রোয়েন।রুহীর চুল গুলো উড়ছে।রুহীর গলায় চুমু দিয়ে ওর ঠোঁটে আলতো করে চুমু দিয়ে রুহীকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যায় রোয়েন।রুহীকে শুইয়ে গায়ের ফতুয়া একটানে খুলে রুহীর ওপর নিজের ভর ছেড়ে দেয় রোয়েন।রুহীর ঠোঁট জোড়ায় ডুবে যায় রোয়েন।রুহীর ঠোঁট থেকে সরে এসে ওর গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয় রোয়েন।দুজনেই হারিয়ে যায় ভালোবাসার জগতে।
এদিকে রেহান রুপন্তীর বিয়ের প্রস্তুতি ধুমধামের সাথে চলছে।রোয়েন সময় পেলেই সেখানকার খবর নেয়।বেশি যেতে পারছেনা ওখানে কারন আরাভ আরাবী দুজনেই খুব ছোট।রুহী কি করে ওদের একা সামলাবে?
আজহান দাদু ও রোয়েনের ওপর কিছুটা রেগে গেছেন।বৌ বেশি হয়ে গেলো বুড়ো দাদুদের থেকে।ছেলেটাও শেষমেষ বৌয়ের গোলাম হলো। এদিকে রেহান আর রুপন্তীর সংগীতের দিনটি ও এগিয়ে এলো।কয়েকজন মেয়েকে ঠিক করা হয়েছে নাচের জন্য।অবশ্য রোয়েন আর রুহীর কাপল ড্যান্স তো থাকছেই।
মেয়েদের জন্য রয়াল ব্লু লেহেঙ্গা আর ছেলেদের জন্য সাদা পাঞ্জাবী।খুব সকাল সকাল রোয়েন রুহী আর বাবুদের নিয়ে আজিজ রায়হানের ঘরে এসে পড়েছে।সবাই ভীষন ব্যাস্ত ঘরের কাজ নিয়ে।রায়না রাহমান বাবুদের পাশে শুয়ে আছেন।রুহী সবার সাথে হাত লাগাচ্ছে।রুপন্তী বৌ হয়ে ও বেচারী ফ্রী নেই।সকাল থেকে ও নিজেও কাজ করছেন।অবশ্য পাশের বাসার নিতু আপু আর ফাহিমা আন্টি না আসলে ওদের কি অবস্থা হতো কে জানে?রান্না বান্নার জন্য বাবুর্চিরা এসেছে।সারা বাড়ি খাবারের মিষ্টি ঘ্রানে মৌ মৌ করছে।রোয়েন আর রেহানের কোন দেখা সাক্ষাৎ নেই।দুই ভাই বাহিরে গেছে ফুল আনতে।ঘরে অনেক অকেজো দামী ফুলদানি পড়ে আছে সেগুলোয় ফুল লাগালে ভালোই লাগবে।
বিকেলে পার্লারের মেয়েরা চলে এলো রুপন্তীকে সাজাতে।গাঢ়ো নীল লেহেঙ্গার সাথে মিলিয়ে গলায় সাদা পাথরের ভারি নেকলেস পরেছে রুপন্তী।দুহাত ভর্তি নীল কাঁচের চুড়ির মাঝে সাদা পাথরের মোটা চুড়ি পরানো হয়েছে রুপন্তীকে।আজ রুপন্তীকে দেখলে চাঁদটা ও লজ্জা পাবে।আজ তো অপ্সরীর থেকে কম লাগছেনা।বরং পরীরা জ্বলবে ওকে দেখে।লম্বা স্ট্রেই চুল গুলো একটু ফুলিয়ে সাইড করে খোপা করে সেখানে গাজরা ফুলের মালা গেঁথে দেয়া হয়েছে।তবে ফেসের সাজ খুব হালকা করা হয়েছে।কারন রুপন্তী নিজেই অতো ভারি সাজ পছন্দ করেনা।অপরদিকে রুহী কাজ সেড়ে গোসল করতে রুমে এলো।রায়না রাহমান নাতি নাতনীক বুকের কাছে নিয়ে ঘুমিয়ে আছেন।
রুহীর মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুঁটে উঠলো।কাপড় চোপড় নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে রুহী।গায়ের উড়না খুলে রেখে ঝড়না ছাড়তেই বাথরুমের দরজায় নক পড়ে।
♦♦♦♦
কে মা আপনি?জিজ্ঞেস করে রুহী।হঠাৎ রোয়েন বলে উঠে শ্যাম্পুটা দাও।রুহী বলে আগে করে নিই আমি।না রুহী দেখো অনেক কাজ।শ্যাম্পুটা দাও শুধু।
রুহী দরজা একটু ফাঁকা করতেই রোয়েনকে দেখতে পায়।ভ্রু কুঁচকায় রুহী,কি হলো শ্যম্পু নিবে যে গোসল করছি তো।আমি ও করবো বলে আর অপেক্ষা না করে রুহীকে ঠেঁলে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ে রোয়েন।রুহী চিৎকার দেয়ার আগেই ঝড়না ছেড়ে দেয় রোয়েন।
সন্ধ্যার মধ্যে সবাই রেডি হয়ে নেয়।রুহী নীল লেহেঙ্গার সাথে ম্যাচিং করে কিছু গয়না পড়লো তবে অতো ভারিনা।কারন লেহেঙ্গা এমনিতেই গরম।তারওপর আবার নাচলে আরো গরম লাগবে।চুল গুলো কে স্ট্রেইট করে একটু টুইস্ট করে সাইড করে ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে গাঁজরা ফুলের মালা গেঁথে দেয় সেখানে।রোয়েন রুমের দরজা খুলে কোন একটা কাজে।কিন্তু রুহীকে দেখে নিশ্বাস যেন মুহূর্তের জন্য আটকে গেলো ওর।অদ্ভুত এক ঘোর লাগা কাজ করছে রোয়েনের।
ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয় রোয়েন।রোয়েন কে এভাবে ভিতরে ঢুকতে দেখে পিছনে ঘুরে রুহী।তুমি?কি কিছু দরকার ছিলো?জিজ্ঞেস করে উঠে রুহী।
রোয়েন রুহীর দিকে।এগিয়ে আসছে।রুহী ঘন ঘন নিশ্বাস ছাড়ছে।রোয়েন রুহীর কাছে এগিয়ে এসে ওকে পিছনে ঘুরিয়ে দিলো।পিঠে ঠোঁট ছুঁয়াতেই কেঁপে উঠে সরে যায় রুহী।
ইউ নো আই ডোন্ট লাইক ডিস্টার্বেন্স ইন রোম্যান্স।শক্ত গলায় বলে রোয়েন।রুহী ধড়ফড়ে বুক নিয়ে বলল তোমার তো কোন সময় কময় নেই কোন কমনসেন্স নেই।যখন তখন রোম্যান্স নামের বান্দরামী গুলো শুরু হয়ে যায়।দুষ্ট হাসে রুহী।রোয়েন পিছন থেকে শক্ত করে রুহীর পেট জড়িয়ে ধরলো।রুহী হা হয়ে যায়।এ লোকের উদ্দেশ্য কি কে জানে।আমার রোম্যান্স নামের বান্দরামী গুলো কতো মিষ্টি হয় আজ ভালো মতো বুঝাবো।বলে উঠে রোয়েন।রুহীর মুখ কালো হয়ে যায়।
আচ্ছা সন্ধ্যায় বাবুদের একবার ও দেখলাম না।কোথায় আছে বলতে পারো?জিজ্ঞেস করে রুহী।
বাবুরা মাম্মার কাছে।নিতু ও আছে মাম্মার সাথে।তুমি এখন তোমার তৃষ্ণার্ত বরটাকে সময় দাও।পানি দিচ্ছি ছাড়ো।বলে রোয়েন থেকে নিজেকে ছাড়াতে থাকে রুহী।
রোয়েন আরো জোরে জড়িয়ে নিলো বৌকে।বৌটাকি এতো টুকু ও বুঝেনা বরটা তার সিক্ত ঠোঁটজোড়ার স্বাদ পেতে চায়।রুহীর বুকের ভেতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেলো।
দুপুরেই তো নিলে এখন আবার?লজ্জায় লাল হয়ে বলে রুহী।
রোয়েন রুহীর কানে কামড় দিয়ে বলে বৌটা আমার ওই সিক্ত ঠোঁট জোড়া ও আমার।সেটার স্বাদ যখন ইচ্ছা তখন নিবো ডিয়ার।কারন সেগুলো যে পাগল করে আমাকে।নেশাজড়ানো কন্ঠে বলল রোয়েন।রুহীর শরীর কাঁপছে।রোয়েন রুহীকে সামনে ফিরিয়ে ওর ঠোঁটজোড়া নিজের দখলে নেয়।গার্ডেনে স্টেজ সাজানো হয়েছে বড় করে।সামনে বসার জন্য বেশ অনেক গুলো চেয়ার পাতা আছে।রায়না রাহমান আরাবীকে আর সাজিদ রায়হান আরাভ কে কোলে নিয়ে সাইফ রাহমানের সাথে গল্প করছেন।সামনে ফুল দিয়ে সাজানো সোফায় রুপন্তী আর রেহান বসেছে।মেয়ে গুলো নাচলো খুব ভালো।এবার আসলো রুহী আর রোয়েনের পালা।রুহী আর রোয়েন স্টেজে এলো।ঐ মেয়ে গুলো নাচবে ওদের সাথে।গান ছাড়া হলো।
গান চলছে,Udan Choo, Choo Hai Chidiya Firangi
Balam Tu, Tu Tu Desi Mausami
Udan Chhoo, Chhoo Hai Chidiya Firangi
Balam Tu, Tu, Tu, Tu, Tu Desi Mausami
Bole To.
Dil Ki Aadatein Badtar Chaap Hai
Khaali Peeli Chhat Pe Chadhein
Chadh Ke Utar Jaayein
Har Dam Mood Mein Lallan Top Hai
Ginti Mein Ginta Hai
Ek Do Teen Chaar Paanch
Chal Dhating Naach.
Dhating Dhating Dhating Dhating
Dhating Dhating Dhating Naach
Dhating Dhating Dhating Dhating
রুহী আর রোয়েন দুজনেই চমৎকার নাচছে।রুহী তো সেই উরাধুরা নাচছে।সেই সাথে রোয়েন ও।
Loha Badan Tera Loha Badan
Tera Chumbak Sa Jiya Re
Chumbak Sa Jiyaa Re
Jiya Jiya Jiya
Mera Chumbak Sa Jiya.
Cancel Kiye Maine Aashiq Sabhi
Piya Piya…সবাই হাত তালি দিতে লাগলো নাচ শেষে।এরপর পালা করে রায়না রাহমান সাইফ রাহমান রুপন্তী রেহান ও নাচলো।রাত একটায় সবাই ভীষন টায়ার্ড হয়ে যে যার রুমে চলে গেলো।
চলবে