Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 100

আমার ছেলেটা কই রোয়েন?অসুস্থ গলায় বলে উঠে রুহী।রোয়েন রুহীর মাথায় হাত রেখে বলে ও আছে।তুমি রেস্ট করো।রুহী বলে উঠে আরাবী এখানে আছে কিন্তু আরাভ কোথায়?কেঁদে উঠে রুহী।রুহী প্লিজ কেঁদোনা ও আছে।ওর শ্বাস নিতে পারছিলো না তাই আলাদা একটা কেবিনে শিফট করা হয়েছে ।রুহী একটু শান্ত হয়। কিন্তু তারপর ও ছটফট করতে থাকে এখন কেমন আছে আমার ছেলে?জিজ্ঞেস করে রুহী।
ভালো আছে ও।একটু পরেই ওকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিবে।বলে উঠে রোয়েন।রায়না রাহমান আরাবীকে রুহীর সামনে ধরে বললেন দেখ তোর মেয়ে।রুহীর মুখে হাসি ফু্ঁটে উঠে।বাবুর মুখে চুমু দিয়ে কেঁদে ফেলে রুহী।এরই মধ্যে বাবু ও কাঁদতে শুরু করেছে।রায়না রাহমান নাতনী কে কোলে নিয়ে একটু ঝাঁকাতে শুরু করলেন কান্না থামাতে।
কিছুক্ষন পর নার্স আরাভ কে কোলে করে নিয়ে রুহীর কেবিনের দরজার সামনে এলো।৩৮ নং ছেলে বাবুটা কি আপনাদের?জিজ্ঞেস করে নার্স।রুহী নিজের হাতের নম্বর দুটো চেক করে। রোয়েন নার্স থেকে আরাভ কে কোলে নিয়ে বলল জি ও আমার ছেলে।
ডাক্তার সাজ্জাদ আপনাকে দেখা করতে বলেছেন।বলে উঠে নার্স।রুহীকে আড় চোখে দেখে রোয়েন বলল আমি ফ্রী হয়ে যাবো।
ওকে স্যার,নার্সটি চলে গেলো।রোয়েন আরাভ কে নিয়ে রুহীর বুকে রাখলো।রুহীর মুখের হাসি চলে গেলো বাবুর নাকে পাইপ দেখে।চোখ জোড়া জলে ভরে এলো।
এতো কষ্ট পাচ্ছে কেন আমার বাবাটা?রোয়েন ও ভালো আছে তো?কেঁদে দেয় রুহী।
রুহী আমাদের ছেলে ভালো আছে।তোমাকে তো বললামই ও ভালো হয়ে যাবে।চিন্তা করোনা।তোমার সুস্থতা সবচেয়ে বেশি ইম্পরট্যান্ট। বলে উঠে রোয়েন।রুহী ক্যানোলা লাগানো হাত দিয়ে বাবুকে স্পর্শ করলো।ছোট্ট আঙ্গুল গুলো একটু একটু নাড়ছে আরাভ।রোয়েন ছেলেকে নিয়ে আরাবীর পাশে দোলনায় শুইয়ে দিলো।রেহান আর রুপন্তী ওদের এ্যান্ড্রোয়েড ফোন নিয়ে হাজির।বেবীদের ছবি তুলবে ওরা।
এই যে বাবা তাকাও চাচ্চুর দিকে,মামনি তাকাও ছবি তুলবে আমার বাচ্চারা।চাচ্চুর দিকে তাকাও।দেখো কতো সুন্দর ছবি উঠবে।রেহানের এতো কথায় আরাভ আরাবী কেঁদে দিলো একসাথে।রুহী ছলছল চোখে হাসছে।রেহানকে ধাক্কা দিয়ে সরায় রুপন্তী।ইডিয়ট কোথাকার!!!ছবি তুললে নাকি ভয় দেখালে ওদের?দেখো খালামনি এখন আমার পুন্টু গুলোর ছবি তুলবো।কথা গুলো বলে রুপন্তী মায়াবী হেসে বাবু দের কান্না থামানোর চেষ্টা করতে লাগলো।
ওদের কান্না থামছেইনা।রায়না রাহমান এসে আরাভ কে কোলে নিয়ে বলল দেখ কান্না কেমনে থামায়।ওনি নিজের মতো বাবুদের কান্না থামানোর চেষ্টা করতে থাকলেন।কান্না থেমে ও গেলো।রুপন্তী বাবুদের ছবি তুলে নিলো।
এবার কথা উঠলো রুহীর সাথে থাকছে কে?রায়না রাহমান বললেন আমি থাকি।বাবুরা কান্না করলে ওদের ধরবো।রুপন্তী তোর এখন লাস্ট ইয়ার।তুই পড়াশুনা কর।
সাইফ রাহমান বললেন তুমি একা পারবানা রায়না।রুহীকে ওয়াশরুমে নিয়ে যেতে হলে কি করবা?রোয়েন বলে উঠলো আমি থাকবো মাম্মার সাথে।কিছুক্ষন সময় কাঁটিয়ে রোয়েন আর রায়না রাহমান ছাড়া বাকি সবাই চলে গেলো।
ওয়ার্ড বয় রাতে রুহীর খাবার পাঠিয়ে ছিলো।রোয়েন ওকে খাইয়ে দিলো।রায়না রাহমান বাবুদের নিয়ে ব্যাস্ত আছেন।রোয়েন সুযোগ পেয়ে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট চেঁপে ধরলো।রুহীর চোখ জোড়া বড় হয়ে গেলো।মা দেখে ফেললে?ছিঃ ছিঃ কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।এই লোকের কি কোন কমনসেন্স নাই নাকি ভুলে গেছেন মা ও এখানে আছেন।ভাবতে থাকে রুহী।ওর ঠোঁটে রোয়েনের ঠোঁট মেতে আছে।রোয়েন চোখ বুজে মায়াবতীর মিষ্টি ঠোঁটের স্বাদ নিচ্ছে।রুহীর ভীষন আরাম হচ্ছে।চোখজোড়ায় ঘুম পরী নেমে আসতে চাইছে।হঠাৎ রায়না রাহমান কি বলার জন্য পিছনে ঘুরতেই রোয়েন সরে প্লেট টাকে টেবিলে রাখার জন্য ব্যাস্ত হয়ে গেলো।রুহী ঠোঁট জোড়া মুখের ভিতর পুড়ে নিয়ে অপরপাশে তাকিয়ে মুখের চারপাশে লেগে থাকা পানি মুছে নিলো।
রোয়েন বাবা বলছিলাম ওদের খাওয়াতে হবে।তুই একটু কষ্ট করে বাহিরে অপেক্ষা কর।বলে উঠেন রায়না রাহমান।জি মাম্মা আমি আসছি।বলে বেরিয়ে যায় রোয়েন।
রায়না রাহমানের সাহায্যে বাবুদের খাওয়ানো হলো।বাবুদের খাইয়ে রুহীর মাঘায় হাত বুলিয়ে রায়না রাহমান বললেন,সবসময় খুশি থাকিস ভালো থাকিস।আমার ছেলেটা খুব ভালোবাসে তোকে।জি মা দোয়া করবেন।বলে উঠে রুহী।
রোয়েন রুমে আসলে রায়না রাহমান আর ও বাসার থেকে পাঠানো খাবার খেয়ে নিলো।রায়না রাহমান ঘুমে ঝুড়ছেন।বাবুরা ও ঘুমে তলিয়ে গেছে।
মাম্মা ঘুমাও কতক্ষন।আমি আছি।ওরা কান্না করলে দেখবো আমি।বলে উঠে রোয়েন।
না বাবা তুই ঘুমাসনি একটু ও।তুই ঘুমা।বলে উঠেন রায়না রাহমান।না মাম্মা আমি আছি।তুমি ঘুমাও।তোমার চোখ লাল হয়ে এসেছে।বলে উঠে রোয়েন।ওকে বাবা,খেয়াল রাখিস বলে পাশের বেডে শুয়ে পড়েন রায়না রাহমান।
রুহী হেসে বলল তুমি ও ঘুমাও।বাবুরা উঠলে তো শুনবাই।রোয়েন রুহীর কাছে বসে বলল আমি ঘুমালে তোমাকে আদর করবে কে?রুহীর মুখ লজ্জায় লাল।রোয়েন রুহীর নাকে চোখে গালে ঠোঁট ছুঁয়াতে লাগলো।রুহী বড় বড় নিশ্বাস নিয়ে রোয়েনের কলার চেঁপে ধরলো।
সবশেষে রুহীর ঠোঁটে আলতো চুমু দিয়ে ওর গলায় মুখ ডুবায় রুহী।ঘন ঘন চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগলো রুহীর গলা।রুহীর গলায় মুখ গোঁজা অবস্থায় রোয়েন বলল ভালোবাসি বৌ।অনেকটা ভালোবাসি।থ্যাংকস উপহার গুলোর জন্য।রুহী খুব কষ্টে রোয়েনের পিঠ জড়িয়ে ধরলো।
তারপর অসুস্থ গলায় রুহী বলল আমি ও ভালোবাসি জান।খুব বেশি ভালোবাসি।রুহীর চোখের কোনা ভরে যেতে থাকে।রোয়েন আলতো করে রুহীকে জড়িয়ে ওর কাঁধে চুমু খেয়ে সেখানে মাথা রাখলো।
কয়েকদিন চলে যেতে থাকে।
এরই মাঝে রুপন্তী রেহান সাজিদ রায়হান সাইফ রাহমান এসে দেখে গেছেন রুহীকে।রুপন্তী ও থেকে গেছে দুই তিনদিন।বাবুরা ওর সঙ্গ খুব পছন্দ করে।আরাভ টা যে দিন দিন রোয়েনের কার্বন কপি হচ্ছে সেটা সবাই বলতো।
আরাবী ও বাবার চেহারা পেয়েছে কিছুটা।ওদের ঘুম খুব কম।একটু শব্দ ও করা যেতোনা ওদের ঘুমের সময়।হাসপাতালে ৬ দিনের মতো কেঁটে গেলো ওদের।রুহী বসতে পারে একটু একটু।ওর সেলাই ও কাঁটা হবে কয়েকদিন পরই।৭ দিনের দিন সাজ্জাদ এসে রুহীর খবরা খবর জেনে নিলো।রুহী জানালো একটু ভালো আছে।সাজ্জাদ হেসে আরাভের ছোট পা টা একটু একটু টেনে দেখতে লাগলো।রুহী ভ্রু কুঁচকে সাজ্জাদ কে দেখে আবার রোয়েনের দিকে তাকায়।ওর পায়ে কি হয়েছে?আতঙ্কিত গলায় প্রশ্ন করে রুহী।
সাজ্জাদ অবাক হয়ে রোয়েনকে বলে ভাবি জানেনা?রোয়েন সাজ্জাদ কে বের করে বলল জানাবো তুই যা।রুমে এসে রোয়েন দেখলো রুহী আরাভের পা দেখে কাঁদছে।রোয়েন ধরে রুহীকে।রুহী রোয়েনকে সরাতে গিয়ে ও পারেনা।ভীষন দুর্বলতার কারনে।
♦♦♦♦
রুহীকে আবার ও ধরতে গেলে রুহী হাত দিয়ে রোয়েনকে থামায়।কেন লুকালে রোয়েন?আমি তো ওদের মা হই।আমার বাচ্চাটা কতো কষ্টে আছে আর এতো বড় সমস্যা এখনো বলোনি কেন?বলো প্লিজ!!!কেন বলোনি?আমার কি কোন অধিকার নাই ওদের ওপর?কিছুটা চিৎকার করে বলে কাঁদতে থাকে রুহী।রোয়েন এগিয়ে এসে রুহীকে ধরে।রুহী শুনো আমার কথা।না কথা বলবা না কাঁদতে কাঁদতে রোয়েনকে সরাতে চায় রুহী।কিন্তু রুহীকে বাহুডোরে বেঁধে নেয় রোয়েন।
রুহী!!তোমাকে বলতাম বাট আমার মতো করে।তুমি তো অনেক অসুস্থ ছিলে।তখন কি করে বলতাম বলো?আমার ও কষ্ট হচ্ছে রুহী।আমাদের ছেলেটার জন্য।আর তুৃমি তো ওর মা।ওদের ওপর তোমার অধিকার সবচেয়ে বেশি তোমার মর্যাদা সবচেয়ে বেশি।
আমি শুধু তোমার সুস্থতার অপেক্ষায় ছিলাম।তোমাকে আমি বলেই দিতাম।
রুহী কাঁদতে শুরু করেছে।আমাদের ছেলেটার সাথে কেন এমন হলো?মাসুম বাচ্চাটার কি দোষ?কাঁদতে থাকে রুহী।
রুহী এটা ওর রোগ না ওর অক্ষমতা না দেখা যাবে এটাই ওর শক্তি।ওর কোন সমস্যা হবেনা।
আমাদের ছেলে বড় হবে আর আট দশটা বাচ্চার মতো।
আরাভ একটু একটু চোখ মেলে তাকাচ্ছে আবার চোখ বুজে নিচ্ছে।
আরাবী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।রোয়েন কোনমতে রুহীকে সামলালো।
কিছুক্ষন পর রেহান এসে হাজির হয়।তারপর ওরা একসাথে আজিজ রায়হানের বাসায় চলে আসে বাবুদের কে নিয়ে।
আরাবী আর আরাভ কে রুহীর বিছানায় শুইয়ে দেয়া হয়েছে।যতোদিন পর্যন্ত ভারি কোন কাজ করতে পারবেনা কিংবা স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারবেনা ততোদিন রুহী এখানেই থাকবে সবার মাঝে।
এদিকে আরাবী আর আরাভের কথা শুনে রুহীর বান্ধুবীরা এসে উপস্থিত।সবাই কিছু না কিছু দিয়েছেই ওদেরকে।
আবার গ্রাম থেকে রুহী আর রোয়েনের ছোট দাদা অর্থ্যাৎ ওর দাদা কামরান রায়হান চৌধুরীর ছোট ভাই আজহান রায়হান চৌধুরী তার নাতির সঙ্গে এসেছে।
সেদিন সাজিদ রায়হান চৌধুরী আরাবী আর আরাভ কে দেখতে এসে চাচাকে দেখে ঠিকই চিনতে পারলো।
অবশ্য আজিজ রায়হান চৌধুরীই আজহান রায়হানকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তার গত ভাইয়ের বড় ছেলের সাথে।
আবেগআপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন তারা।রোয়েন আর রেহান কে চিনতে পেরে ভীষন খুশি ওনি।রোয়েন কে দেখে বললেন আমার বংশের বড় নাতি আমাদের বংশের প্রদীপ।
কিন্তু পরিবারেই বিয়ে অর্থ্যাৎ কাজিনদের মধ্যে বিয়ে হওয়ায় কিছুটা মনোহুত হন ওনি।
তবে আরাবী আর আরাভের হাত দুহাজার করে চারহাজার টাকা ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
আরাবী আর আরাভের দুমাস হয়ে গেলো।এদিকে রুপন্তীর ফাইনাল ইয়ার ও কমপ্লিট।
আজিজ রায়হান আর সাইফ রাহমান সাজিদ রায়হান রোয়েন আর আজহান রায়হান চৌধুরীকে নিয়ে বসে পড়লো ড্রয়িং রুমে।
রোয়েনের কোলে আরাবী হাত পা নাড়ছে।মেয়েকে এখন কোলে রাখাটা যুক্তিযুক্ত মনে হলো না রোয়েনের।
তাই অনিচ্ছাস্বত্তেও ডাকতে লাগলো,
রুহী!!!রুহী!!আরাবীকে নাও। রোয়েনের ডাকে আরাভের গায়ে কাঁথা চেঁপে দুই সাইডে কোলবালিশ আর ওপরে একটা বালিশ দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো রুহী।
রোয়েনের কোল থেকে আরাবী কে নিয়ে রুমে ফেরত এলো ও।
মেয়েটা মায়ের গালে হাত রেখে পা দুলাচ্ছে।রুহী হেসে মেয়ের গালে চুমু খেলো।
আম্মুনি টা আমার।আমার আম্মুনি টা একটু খাবে এখন?
আরাবী কি বুঝলো কে জানে।রুহী জানে মেয়েটার খিদে পেয়েছে।অনেকক্ষন ধরেই না খেয়ে আছে ও।
রুহী মেয়েকে খাওয়াতে বসে গেলো।রেহান আর রুপন্তীর বিয়ের তারিখ নিয়ে কথা বার্তা চলছে।রুপন্তী চা বানাচ্ছে আর কান পেতে আছে।নিজের বিয়ের খবর শোনার মজাই আলাদা তাও যদি আবার প্রিয় মানুষটার সাথে বিয়ে হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।
রুপন্তী গরম গরম চা আর পাকোড়া নিয়ে সবার সামনে রেখে আসতে নিবে তখনই ওর হাত টেনে নিজের রুমে আনে রেহান। কি করছো কি এসব?ছাড়ো!!বাসায় সবাই আছে।কি মনে করবে সবাই?আতঙ্কিত গলায় বলে রুপন্তী।যে যা বলার বলুক তাতে আমার কি?বৌটা আমার। আমি কি পাশের বাসার ভাবির সাথে রোম্যান্স করছি?
রুপন্তী হাসে।রেহান রুপন্তীর কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়।রুপন্তীর পুরো শরীর কাঁপতে শুরু করেছে।রেহান রুপন্তীর কাঁপুনিতে মাতাল প্রায়।রুপন্তীর কানে আলতো করে কামড়ে ফিসফিস করে বলে আজই যদি আপন করে নেই তাতে কি আপত্তি আছে ম্যাডামের?
রুপন্তী ধাক্কিয়ে সরায় রেহানকে।ছিঃ কি অশ্লীল চিন্তা।সরো!!!!রুম থেকে বেরিয়ে আসে রুপন্তী।রেহান হেসে দেয়।বিয়ে ঠিক হয়েছে সামনের মাসের ২২তারিখে।রোয়েন রুমে এসে দেখে রুহী বাবুদের পাশে আধশোয়া হয়ে আছে।রোয়েন এসে রুহীর ঠোঁটে শব্দ করে চুমু খায়।রুহী কেঁপে উঠে চোখ খুলে রোয়েনকে দেখতে পায়।কখন এলে?জিজ্ঞেস করে রুহী।এখনই।বলে উঠে রোয়েন।
চলবে