Mafia Boss- Season- 3

Married To The Dark King-  Mafia Boss- Season 3 !! Part- 60

রাগ না কমা পর্যন্ত রুহীকে ছাড়লো না রোয়েন।রুহীর হাত জোড়ার কবজি রোয়েনের হাতের মুঠে বন্দী।রুহীর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়।রোয়েনের বাহুডোরে থাকা অবস্থায় কেঁদে দিলো রুহী।রুহীর কান্নায় সম্বিত ফিরে পেলো রোয়েন।আচমকা রুহীকে ছেড়ে সরে দাঁড়ালো।রুহী দুহাত দিয়ে চোখ ডলে ডলে কাঁদছে একদম বাচ্চাদের মতো।নাকটা লাল হয়ে গেছে ওর।রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে পুরো ঘরে একবার চোখ বুলিয়ে নিলো রোয়েন।তারপর নাক ফুলিয়ে বেরিয়ে গেলো।রোয়েন চলে যেতেই খাটে ধপ করে বসে পড়লো রুহী।সারারুমে চোখ বুলিয়ে নিলো।তারপর কেঁদে উঠলো হাউমাউ করে।হঠাৎ কাজের লোকের ডাকে মাথা তুলল রুহী।
ম্যাম কি খাবেন?স্যার খাইতে বলছে আপনারে।
আমি কিছু খাবোনা।কান্নার স্বরে বলল রুহী।
লোকটা ঘর পরিষ্কার করে বেরিয়ে গেলো।কিছুক্ষন পর ট্রেতে খাবার নিয়ে রুমে এলো রোয়েন।
রুহীর সামনে ট্রেটা রেখে খাটে বসতেই রুহী আরো দুহাত পিছিয়ে গেলো।রোয়েন দঁতে দাঁত চেপে নাক ফুলিয়ে রুহীর হাতের কবজি জোরে ধরে কাছে টেনে নিলো।
চুপ চাপ বসে থাকো।আর কোন চিল্লাচিল্লি চাইনা আমি বুঝলে?জাস্ট চুপ করে খাবার টা সেড়ে নাও।নাহলে আমার চেয়ে খারাপ লোক আর কোথা ও দেখবানা তুমি। একটু রেগেই বলল রোয়েন।
রুহী চুপচাপ রোয়েনের হাতে লাঞ্চ সেড়ে নিলো।
এদিকে আজিজ রায়হানের বাসার সবাই জেনে গেলো রোয়েন গায়েব।রোয়েনের নম্বর ও বন্ধ।
সাইফ রহমান আর রেহান খুব বেশি চিন্তিত।রোয়েন হঠাৎ কই চলে গেলো।?
,
,
,
,
,
আরো দুদিন পার হয়ে গেলো।রোয়েন বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছে।আজই রুহীকে নিজের করে নিবে।একজন ব্রিটিশ কাজীর ও ব্যাবস্থা হলো।তার নাম জায়েদ খান।
রোয়েন সাদা একটা পাঞ্জাবী পরেছে।চুলগুলো কে সেট করে নিলো।হাতে দামী কালো চামড়ার একটি ঘড়ি পরে নিয়েছে ও।
রুহী খাটে চুপচাপ বসে আছে।ও কোনমতেই রেডি হবেনা।রোয়েন রুহীর রুমে এসে কিছু মেকাপ প্রোডাক্টস আর একটা প্যাকেট দিয়ে বলল জলদি রেডি হয়ে নাও।কাজী কিছুক্ষন পরই চলে আসবে।বলে উঠলো রোয়েন।
না আমি বিয়ে করতে পারবোনা।কেন বুঝতে পারছেননা আমি বিয়ে করবোনা।
আপনাকে বিয়ে করবোনা আমি।একদমই না।রেগে গিয়ে বলল রুহী।কেন কি সমস্যা তোমার?গত কয়েকদিন যাবৎ একই কথা বলেই যাচ্ছো।বিয়ে তো তোমাকে করতেই হবে।আমাকেই করতে হবে।রাগী গলায় বলল রোয়েন।
না বললাম তো বিয়ে করবো না আপনাকে।কখনো করবোনা।
সাথে সাথে রোয়েন ওর গালে চড় বসিয়ে দিলো।রুহীর দুকাধ চেপে ধরলো কেন করবানা বিয়ে?কেন এমন রাগাচ্ছো আমায় হ্যা?চিৎকার করে বলতে লাগলো রোয়েন।চড় খেয়ে কাঁদতে লাগলো রুহী।রুহী আল্লাহর দোহায় লাগে প্লিজ বলো কি চলছে তোমার মনে?বলো রুহী প্লিজ!!!আমাকে মৃত দেখতে না চাও?গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে উঠলো রোয়েন।
রোয়েনের কথায় কিছুটা কেঁপে উঠলো রুহী।
,
,
,
,
,
মৃত্যুর কথায় আঁৎকে উঠলো ও।রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আর কিছু না ভেবেই রোয়েনকে জড়িয়ে কেঁদে দিলো রুহী।প্লিজ এভাবে বলবেনা।আমাকে বিয়ে করে নিজের জীবন কেন নষ্ট করছেন আপনি?তুমি তো ভালো আছো রোয়েন।আমি তো নষ্ট হয়ে গেছি অপবিত্র হয়ে গেছি।রুহীকে টেনে সামনে আনলো রোয়েন।
নষ্ট হয়ে গেছো অপবিত্র হয়ে গেছো কি বলতে চাও তুমি রুহী।প্লিজ বলো কি হয়েছে তোমার সাথে বলো প্লিজ।
রুহী কাঁদতে কাঁদতে সেদিনের পার্টির সকল ঘটনাই বলতে লাগলো একে একে।কিভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলো?কিভাবে নিজেকে অন্য পুরুষের সাথে খাটে পেলো?বলল রুহী।
রোয়েন থমকে গেছে।রুহী ওর সামনে কেঁদেই যাচ্ছে। রোয়েন ভাবছে সেদিন সব ঠিক থাকলে রোয়েন ওর সাথে থাকলে রুহীর সাথে এমন হতো না।আর আনিলা বেগম রুহীর সাথে এসব করে নিজের কাল ডেকে এনেছে।রুহীর হাত চেপে ধরলো রোয়েন।রুহীকে দাঁড় করিয়ে স্বর্নের মোটা দুটি বালা আর চিকন কিছু চুড়ি পরিয়ে দিতে লাগলো রোয়েন।রুহী অবাক হয়ে মাথা তুলে তাকালো রোয়েনের দিকে।রোয়েনের চোখ জোড়া ভিজা। এ এ কি করছো তুমি?বিয়ে করতে পারোনা আমায়,আমি নষ্ট রোয়েন।কাঁদতে কাঁদতে নিজের হাত টানতে চাইলো রুহী।রোয়েন জোরে রুহীর হাত চেপে ধরে চুড়ি পরাচ্ছে দুই হাতে।তুমি একদম নষ্ট হওনি।তুমি আমার আগের রুহী।কি ভেবেছো রোয়েন তোমার এ কথা শুনলে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে?কখনো না।রুহীর দুহাত ভরে চুড়ি পরিয়ে দিতে দিতে বলল রোয়েন।রুহীর গলায় হার কানে ঝুমকা পরিয়ে দিতে লাগলো রোয়েন একে একে।রুহী জ্বলজ্বল চোখে রোয়েনকে দেখছে।স্যার কাজী সাহেব চলে এসেছে।বলে উঠলো কাজের লোক।রোয়েন রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো শাড়ীটা পরে নিচে নেমে এসো।
,
,
,
,
,
বলে বেরিয়ে গেলো রোয়েন।রুহী সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে রোয়েনের যাওয়ার দিকে চেয়ে রইলো।তারপর তাকালো খাটের ওপর থাকা প্যাকেটটির দিকে।প্যাকেটটি থেকে লাল একটি বেনারসী শাড়ী বের করলো।
রোয়েন সোফায় বসে কাজীর সাথে কথা বলছে আর ল্যাপটপে রেহানকে ভিডিও কল দেয়ার চেষ্টা করছে।কিছুক্ষন পর সিড়ির দিকে চোখ পড়তেই রোয়েন আর চোখ সরাতে পারলোনা।লাল বেনাারসীতে আচ্ছাদিতো রুহী উফ যেন পরীর রাজ্যের রানী।হঠাৎ কারোর ডাকে ঘোর কাঁটলো রোয়েনের।
রেহান কথা বলে উঠলো।ভাইয়া কই আপনি?হঠাৎ গায়েব হলেন কোথায়?আর এটা কেমন নম্বর থেকে কল দিলেন?রেহান সবাইকে জড়ো কর।আমি আর রুহী বিয়ে করবো আজ।বলে উঠলো রোয়েন।রেহানের মুখখানা উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।আচ্ছা ভাইয়া আমি এক্ষুনি ডেকে আনছি।বলে দৌড়ে চলে গেলো রেহান।রুহী কাঁপা পায়ে রোয়েনের পাশে এসে বসলো।মাথা নিচু করে আছে ও।রোয়েন রুহীর হাতের ওপর হাত রাখলো।রুহী পাশ ফিরে রোয়েনের দিকে তাকায়।কাজী সাহেব ওদের নাম জেনে নিলো।কিছুক।ষন পর রেহান সবাইকে নিয়ে এলো।সবার মুখে খুশির হাসি।
আনিলা বেগমের মুখেই শুধু হাসি নেই।
রুহী হাসি মুখে সবাই কে দেখছে।সবাই হায় হ্যালো বলছে।খুব সুন্দর লাগছে দুজনকে।সাইফ রহমান সবাইকে সরিয়ে ওনি কথা বলার চেষ্টা করছে।একটু পর কাজী সাহেব বিয়ে পড়াতে আরম্ভ করলেন।
দুজনের কবুল বলা শেষে বিয়ে সম্পন্ন হলো।ভিডিও কলে সবাই কংগ্রাচুলেশনস জানাচ্ছে।
রুহী মুচকি হেসে রোয়েনের দিকে তাকায়।রোয়েন রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে কাজীকে বিদায় দিতে চলে গেলো।
,
,
,
,
,
(আমার কাল রাত শরীর ভালো ছিলো না।আজ ও নেই তবে আপনাদের জন্য দিলাম।রাগ করবেননা আশা করি)
চলবে