Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 34
ফোনের মেসেজ টোনে পাশের টিটেবিল হাতিয়ে ফোন নিলো রোয়েন।দুচোখ ডলে মভালো মতো দেখার চেষ্টা করলো মেসেজটি।
Princess sent a message
Meet me at Glorea jean’s coffees at 9.00am.
রুহী এসময়ে মিট করতে বলছে?কি হলো ওর?দুহাতে মাথা চেঁপে বসে পড়লো রোয়েন।কাল রাত চারটা পর্যন্ত পড়া শুনা করেছে ও।মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে।একটা নম্বরে কল করতেই রিসিভ হলো।কফি পাঠাও বলেই উঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো রোয়েন।ফ্রেশ হয়ে এসে কফির মগে সিপ করে রেডি হয়ে নিলো ঝটপট রেডি হয়ে নিলো।
কফি শপে পৌছুতেই ব্ল্যাক লং স্লিভ টপস আর ব্লু জিনসে মোহিত রুহীকে দেখতে পেলো রোয়েন।ওয়েস্টার্নে অসাধারন লাগে রুহীকে।কার্লি চুল গুলো কে সাইড করে ববি পিনস লাগানো আর হাতে সিল্ভার কালারের Reymond এর লেডিস ওয়াচ, চোখে হালকা কাজল আর ঠোঁটে গাঢ়ো লাল লিপস্টিক।ঠোঁটজোড়া কামড়ে বসে চোখ বারবার মুছে নিচ্ছে রুহী।রোয়েন এসে ওর সামনে বসলো।রুহীর কোন খবর নেই একমনে বসে হাতের ঘড়িটাকে ঘুরাচ্ছে আর নীরবে চোখের পানি ফেলছে।
রুহীকে দেখছে রোয়েন।কিছুসময় পর মুখ খুলল রুহী।কেমন আছো?
ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
হুম।দেখতেই পাচ্ছো কেমন আছি।মন খারাপ করে বলল রুহী।
কি খাবে?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।
খেতে আসিনি।মাথা নিচু করে বলল রুহী।রোয়েন দুকাপ capucchino কফি অর্ডার করলো।
বলো কি বলবে?জিজ্ঞেস করে উঠলো রোয়েন।
দেখতে মন চাচ্ছিলো তোমায়।খুব অসহায় লাগে নিজেকে যখন ভিডিও কলে একা আমি কথা বলে যাই আর তুমি চুপ থাকো,ঘরে ফিরে মামীর সাথে কথা বলো কিন্তু আমাকে ভালোবেসে একটু কথা ও বলোনা।কেন এমন হয়ে গেলে রোয়েন?কি হচ্ছে তোমার লাইফে?আমার কি জানার কোন অধিকার নেই?
কথা গুলো বলে কাঁদতে লাগলো রুহী।
রোয়েনের চোখজোড়া ভরে এসেছে।রুহী তেমন কিছুনা।আমি কিছু বিষয় নিয়ে খুব ডিপ্রেসড খুব আউলিয়ে গেছি।জানি তোমাকে টাইম দিতে পারছিনা।প্লিজ জান একটু অপেক্ষা করো। এভরিথিং উইল বি অলরাইট।
ওয়েটার কফি এনে রাখলো ওদের সামনে।রুহী চোখ মুছে দুটো আঙ্গুল ভাজ করে ঠোঁটের ওপর রাখলো।
ওয়েটার চলে যেতেই রোয়েন বলল তোমার হাতটা দাও।রুহী নিজের বাম হাত এগিয়ে দিলো।রোয়েন বাম হাতে একটা হোয়াইট গোল্ডের মাঝে ব্ল্যাক ডায়মন্ড বসানো ব্রেসলেট পরিয়ে দিলো।
রুহী ছলছল চোখে বাম হাতটা স্পর্শ করে রোয়েনের দিকে তাকালো।রোয়েন কফি মগ রুহীর দিকে এগিয়ে দিলো।সেখানে লাভ দিয়ে রুহীর নাম লিখা।রুহীর ঠোঁটের মাঝে হাসি ফুঁটে উঠলো।কখন করলে?আস্তে করে প্রশ্ন করলো রুহী।যখন আমার চিন্তায় বিভোর ছিলে তুমি।বলে উঠলো রোয়েন।
রুহী মুচকি হেসে কফিতে চুমুক দিলো।
কলেজ নেই?(রোয়েন)
উহুম।বলে উঠলো রুহী।
কিছুক্ষন পর রুহীর বাসার সামনে রোয়েনের গাড়ি থামলো।
থ্যাংক ইউ।বলে উঠলো রুহী।
কেন?ভ্রু কুঁচকালো রোয়েন।
এটার জন্য।হাতের ব্রেসলেটটি দেখিয়ে বলল রুহী।
ওয়েলকাম।বলে রুহীর ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন।
১০ মিনিট পর রুহী বেরিয়ে পড়লো গাড়ি থেকে।আসি তাহলে(রুহী)
হাত নাচিয়ে বায় বলল রোয়েন।রুহী পিছু ফিরে ঘরে ঢুকে গেলো।
রুহীর হাতের ব্রেসলেটটি হাতে দিয়ে দেখছে রুপন্তী।আপি এত জোস ব্রেসলেট।অনেক এক্সপেনসিভ।আমার হাতে কেমন লাগছে আপি?হাতের ব্রেসলেটটি নাচিয়ে বলল রুপন্তী।খুব সুন্দর লাগছে।বলে উঠলো রুহী।
রাতে ভিডিও কলে কথা হচ্ছে রোয়েন আর রুহীর।রাত দুটো পর্যন্ত অনবরত কথা চলল ওদের।রুহী এখন তোমার ঘুমানো উচিৎ। বলে উঠলো।
হুম ঠিক বলেছো।ঘুম পাচ্ছে হাই তুললো রুহী।রোয়েন ফোন কাঁটতেই রুহী ঘুমিয়ে পড়লো।এভাবে বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলো।রোয়েন এখন আবার কেমন জানি হয়ে গেছে।কেমন মনমরা থাকে।বাসায় এসে মামীর সাথে কথা বলে চলে যায়।রাতে রুহীকে ভিডিও কল ও দেয়না।অডিও কলে পাঁচ মিনিট কথা বলে ফোন কেঁটে দেয়।রুহী আর নিতে পারছেনা রোয়েনের অবহেলা গুলো।হঠাৎ রোয়েন এভাবে পাল্টে যাবে ভাবতে পারেনি রুহী।খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করতে পারেনা। কেমন জানি শুকিয়ে গেছে ও।চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে।একদিন সকালে নাস্তা সেড়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো রুহী।ক্লাশ শেষে রোয়েনের বাসায় এসে পৌছালো।কাজের লোক গুলো ওকে দেখে খুব খুশি হলো।ম্যাডাম ভালো আছেন?
জিজ্ঞেস করলো তারা।
জি।স্যার কই আপনাদের?জিজ্ঞেস করলো রুহী।
স্যার বাসায় নাই।কাইন্দা কাইটা বাহিরে গেছে গা।
কান্না করে বাহিরে গেলো মানে কি?ভয় পেয়ে যায় রুহী।
জি ম্যাম।ঐ লক করা রুমটায় স্যার সারাদিন বইসা থাহে।সেখানে থেইকা বাইর হইলেই কান্দে।বলে উঠলো লোকটা।
রুমের চাবি কই?জিজ্ঞেস করলো রুহী।ম্যাম স্যার রাগবো।যাইয়েননা।বলে উঠলো লোকটা।
আগে আমাকে চাবি দিন।আপনাদের স্যারকে ভয় পাইনা আমি।খুব মুড নিয়ে বলল রুহী।
লোকটা হেসে রুহীর হাতে একটা কার্ড দিলো।রুহী কার্ড নিয়ে দর্জার দিকে এগোলো।কার্ড ঢুকাতেই পাসওয়ার্ড চাচ্ছে।পাসওয়ার্ড!!!! খুব দামী কিছু নাকি ভিতরে?পাসওয়ার্ড দেয়ার কিহলো।
রুহী অনেক কিছু দিলো কিন্তু দরজা খুলছেনা।নিজের নাম ও দিলো তাও খুলছেনা।কোব্রা লিখলো খুলছেনা।
আর একবার ট্রাই করা যাবে।বড় নিশ্বাস নিয়ে Mayaboti লিখতেই দরজা গড়গড় করে খুলে গেলো।রুহী পড়ে যেতে নিতেই সামলে নিলো নিজেকে।পুরো রুম জুড়ে ছবি।রুহী ভিতরে ঢুকে দেখতে লাগলো ছবি গুলো।সব ছবিতেই মামী মানে রায়না রহমানের সাথে রোয়েনের ছবি।মা আর ছেলের ছবি যেমন থাকে।রোয়েনকে কোলে নিয়ে ছবি তুলেছে কখনো চুমো খাচ্ছে রোয়েনের গালে আবার কোন ছবিতে রোয়েন মামীর গলা জড়িয়ে আছে।চোখ ভরে এলো রুহীর।
তুমি!!!!!পিছন থেকে বলে উঠলো রোয়েন।
পিছনে তাকালো রুহী।
রোয়েন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।
আ’ম সরি।তোমার পারমিশন ছাড়া চলে এলাম।বাট মামীর ছবি এখানে কেন।
রোয়েন রুহীর কাছে এসে দাঁড়ালো।ওনি আমার মা।রোয়েন সব খুলে বলল রুহীকে।কিভাবে মার থেকে আলাদা হলো সব কিছু।আগে বলোনি কেন?জিজ্ঞেস করে উঠলো রুহী।নিজেই সিওর ছিলাম না।বলা হয়েছিলো মা মারা গেছে।কিন্তু যেদিন তোমাদের বাসায় গেলাম সেদিন ওনাকে দেখে বিশ্বাস হচ্ছিলোনা যে এভাবে মাকে ফিরে পাবো।জ্বলজ্বলে চোখে বলল রোয়েন।
মামী তো তোমায় চিনেনা।বলে উঠলে রুহী।
মায়ের কোন কিছু মনে নেই।তিনি অতীতের সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন।অস্ট্রিয়া গিয়েছিলাম বিশেষ করে মায়ের জন্য।সেখানকার ডাক্তার বলল চেষ্টা করতে।যদি সব একেবারে করতে যাই তাহলে মাকে বাঁচানো যাবেনা। বলে উঠলো রোয়েন।
তোমার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি আমি।মন খারাপ করোনা।আমি হেল্প করবো।রোয়েন সামনে ফিরে রুহীকে জড়িয়ে ধরলো।এতোদিন পর রোয়েনের ছোঁয়া পেয়ে কেঁদে দিলো রুহী।কতো মিস করছিলাম।তোমার ফোমের আশায় বসে থাকতাম।কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো রুহী।
সরি আর হবেনা এমন।মাকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছিলো।বলে উঠলো রোয়েন।
আমাকে একবার বললে কি হতো?কাঁদছে রুহী।
রুহীর থেকে সরে এসে ওর কপালে চুমু খেলো রোয়েন।রুহী কে নিয়ে বেরিয়ে আসতে যাবে তখনই,,.,,,,,,,,
চলবে