Married To The Dark King- Mafia Boss- Season 3 !! Part- 22
রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো রুপন্তী।কি হচ্ছিলো তখন?রেহান ভাই এমন করছে কেন?রেহানের গমন আচরন ভালো লাগছেনা রুপন্তীর।বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলো রুপন্তী।এ কেমন স্পর্শ ছিলো?এর মানে কি?বুঝতে পারছেনা রুপন্তী।যতক্ষন সে স্পর্শটা পাচ্ছিলো কেমন যেন এক অদ্ভুত প্রশান্তি বয়ে গিয়েছিলো রুপন্তীর সারা শরীর মন জুড়ে।তবে পরক্ষনেই নিজ দুনিয়ায় ফিরে এলো।নাহ এটা অন্যায়।রেহান ভাই কাজটা ঠিক করেনি।কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই রুপন্তীর চোখে ঘুমপরী ভর করলো।
সকালে নাস্তা সেড়ে টেবিল থেকে উঠতে যাবে তখনই ফোন বেজে উঠলো আজিজ রায়হানের।ফোন হাতে নিয়ে দেরি না করে ফোন রিসিভ করে কানে রাখলেন আজিজ রায়হান।কথা বলতে বলতে নিজ রুমে চলে গেলেন।নাস্তা সেড়ে উঠে রুমের দিকে যাচ্ছিলো রুপন্তী ঠিক তখনি রেহান ওর পথ আগলে দাঁড়ায়।রুহী অন্যদিকে ফিরে যেতে নিলে পিছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরলো রেহান।কালকের জন্য সরি মুটকি।
ভীষন রাগ হলো রুপন্তীর।রেহান কে সরিয়ে সামনে ফিরলো রুপন্তী। শুনেন ফার্স্ট অফ অল আমি মোটা না যে বারবার মুটকি ডাকবেন আমাকে,আর সেকেন্ডলি আমাকে টাচ করবেননা,আমার ভালো লাগেনা রাগী গলায় কথা গুলো বলে রেহানের পাশ কেঁটে চলে গেলো রুপন্তী।রেহান পিছনে ফিরে রুপন্তীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।যাই বলো তোমাকে কিভাবে নিজের করে নিতে হবে সেটা ভালো করে জানা আছে।গেট রেডি ফর বিং মাইন জান।মনে মনে কথা গুলো ভেবে দুষ্টু হাসি দিলো রেহান।
আনিলা শুনো!!পাকঘরের সামনে এসে দাঁড়ালেন আজিজ রায়হান।জি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললেন আনিলা বেগম।
আজ রান্না করোনা।রোয়েন দাওয়াত দিয়েছে সবাইকে।বলে উঠলেন আজিজ রায়হান।
,
,
,
,
ওহ আচ্ছা ঠিক আছে।সবাইকে জানিয়ে দাও।আমি ফ্রেশ হয়ে নিচ্ছি।বলে আজিজ রায়হান পার করে পাকঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন আনিলা বেগম।আজিজ রায়হান সবাইকে জানিয়ে দিলেন।সবাই একে একে যে যার মতো ফ্রেশ হতে চলে গেলো।রায়না বলছিলাম কি রোয়েনকে যখন আমাদের ছেলে বানিয়ে দিলে তাহলে কিছু স্পেশাল গিফট তো করাই যায়।কি বলো?রায়না রহমানের চুল মুছতে মুছতে বলছিলেন সাইফ রহমান।আরে এ কথাটা তো আমার মাথায় আসে নাই।গিফট করা উচিৎ।কি দেয়া যায় বলো তো?বলে উঠলেন রায়না রহমান।চলো মার্কেটে যাই তারপর দেখা যাবে কি গিফট করা যায়।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।দুজনে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লো শপিংমলের উদ্দেশ্যে।রুহী আজ কালো গাউন টি পরেছে যেটি রোয়েন কিনে দিয়েছিলো।তখনকার সময় এখনকার থেকে সম্পূর্ন আলাদা।লোকটাকে কতোটা অবহেলা করেছিলো ও তখন।সময় গুলোর কথা মনে পড়লেই মন টাভীষন খারাপ হয়ে যায় রুহীর।লোকটার ভালোবাসা সে বুঝলোনা।কতো কষ্ট দিয়েছিলো তাকে।কিন্তু ওর মিঃ কিলার প্রিন্স চার্মিং এতো কিছুর পর ও আগলে রেখে ছিলো ওকে।ভাবতেই ভীষন ভালো লাগা কাজ করছে রুহীর।কালো গাউনের সাথে মানানসই মালকা মেকাপ আর হালকা গয়নায় নিজেকে ফুঁটিয়ে তুলেছে রুহী।চুলগুলোকে স্ট্রেইট করে পিঠের মাঝে ছড়িয়ে দিলো।আজ ওকে একদমই ডার্ক কুইন লাগছে ওর প্রিন্স চার্মিং এর।রুপন্তী ও খুব সুন্দর করে হালকা সাজ দিয়েছে।বেবি পিংক কালারের গাউনের সাথে হালকা মেকাপ।পুরোই অপ্সরী লাগছে রুপন্তীকে।সেজে রুম থেকে বের হতেই রেহানের সামনে এসে পড়লো রুপন্তী।রেহান কে দেখে ও না দেখার ভান করে রুহীর রুমে চলে গেলো রুপন্তী।সাইফ রহমান ও রায়না রহমানের বাসায় ফিরার পর সবাই বেরিয়ে পড়লো রোয়েনের বাসার উদ্দেশ্যে।রোয়েনের বাসার সামনে গাড়ি থামতেই সবাই খেয়াল করলেন রোয়েন সেই হৃদয়ে মোহ ছড়ানো হিরো টাইপ স্টাইল কালো লম্বা কোট সান গ্লাস আর মুখে স্বাভাবিক হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।বোঝাই গেলো ও নিজেই সবাই কে স্বাগতম জানাচ্ছে।ওয়েলকাম ইউ অল।বলে উঠলো রোয়েন।সাইফ রহমান রোয়েনের কাছে আসতেই তার সাথে কোলাকুলি করলো রোয়েন।ভালো আছেন বাবা?জিজ্ঞেস করলো রোয়েন।ইয়েস!!খুব ভালো লাগছে তোমাকে দেখে।রোয়েনের কাঁধে হাত রেখে বললেন সাইফ।রায়ানা রহমান এগিয়ে গিয়ে রোয়েনকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।ভালো আছো বাবা?বলে উঠলেন রায়না রহমান।জি মা ভালো আছি।ধরে আসা গলায় বলল রোয়েন।
,
,
,
,
রায়না রহমান থেকে সরে এলো রোয়েন।সবার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা রুহীর দিকে চোখ পড়লো ওর।দুষ্টু হাসি দিয়ে রুহী তাকিয়ে আছে রোয়েনের দিকে।রুহীর তাকানো উপেক্ষা করে রেহানের সাথে কোলা কুলি করলো রোয়েন।ভিতরে আসেন সবাই বলে সামনে হাঁটতে লাগলো রোয়েন।সবাই ঘরের ভিতরে ঢুকে যেতেই হাতে টান পড়লো রোয়েনের।পাশে তাকাতেই রুহী ওর গলা জড়িয়ে ধরলো।রুহী সবাই দেখলে কি ভাববে? ছাড়ো।বলল রোয়েন।উফ সারাদিন ছাড়ো ছাড়ো বলেন কেন?বলেন ধরো ধরো!!এখন তো আর আপনার কাছে থাকতে ও পারিনা।কতোটা দূরত্ব এসে গেছে আমাদের ভালবাসায়।এখন আর আগের মতো ভালোবাসেননা আমায়।দূরে দূরে থাকেন।কিছুটা অভিমানী কন্ঠে কথা গুলো বলছিলো রুহী।দেখো এমন কিছুই হচ্ছেনা।না আমাদের ভালোবাসা কমেছে না দূরত্ব এসেছে।কথাটা হলো বাসায় লোকজন আছে।সবার সামনে ভালবাসবো কি করে?রুহীর কানের সামনে মুখ আনলো রোয়েন। Just wait for my crazy love my dear dark princess.নেশাধরানো কন্ঠে বলল রোয়েন।রুহীর মুখখানা লজ্জায় লাল।রোয়েনের গালে চুমো খেয়ে দৌড়ে ভিতরে চলে গেলো রুহী।রুহীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ভিতরে চলে এলো রোয়েন।আজ ওর বাসাটা পরিপূর্ন।ভীষন ভালো লাগছে আজ।সোফায় বসে সবার সাথে গল্পে লেগে গেলো রোয়েন।রুহী রুপন্তীকে ওর রুমে নিয়ে এলো।যে রুমে ওকে রেখেছে রোয়েন।ওর প্রতিটা গিফট করা পুতুল দেখালো রুপন্তীকে রুহী।আপি তোকে ভাইয়া খুব ভালোবাসে তাই না রে?বড় টেডিবিয়ারটাকে হাতে উঠিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতে বলছিলো রুপন্তী।
,
,
,
,
হুম।মুখে বিশ্বজয় করা হাসি ফুটিয়ে নিজের গলার লকেট টাকে খুলে নিজের প্রিন্সচার্মিংকে দেখছিলো রুহী।ঠিক সেই রুপন্তীর বলা কথাটায় বুকে ঝড় উঠে রুহীর।ওর সামনে রোয়েনকে নিয়ে কিছু বললেই এমন একটা অনুভূতি হয় রুহীর।বান্ধুবীরা বলে ওদের বয়ফ্রেন্ডদের সাথে একবছরের সম্পর্কেই নাকি সব কিছু নিরামিশ হয়ে যায়।সব পুরোনো হয়ে যায়।কিন্তু ওর বেলায় রোয়েনকে ঘিরে সব কিছুই অন্যরকম লাগে,খুব ভালো লাগে,আশেপাশের সবলিছু নতুন লাগে কথা গুলো ভাবতে ভাবতে লকেটোর মাঝে থাকা রোয়েনের ছবিতে চুমু খায় রুহী।রুহী!!!রুপন্তী!!!!!নিচে খেতে আসো।পাশের কারোর ডাকে লকেট বন্ধ করে পাশ ফিরে তাকায় রুহী।রোয়েন দাঁড়িয়ে আছে।রুপন্তী রোয়েনকে পার করে চলে গেলো।রুহী বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো।আ আম আম,,,রুহীকে অবাক করে দিয়ে রোয়েন নিকের গলার কালো লকেটটা খুলে সেখানে রুহীর ছবিতে চুমু খেয়ে রুহীর দিকে ছবিটি ফিরালো।রুহী ছবির দিকে দেখে রোয়েনের দিকে তাকালো।রোয়েন হাসছে রুহীর দিকে তাকিয়ে।রুহী মাথা নিচু লজ্জা মাখা হাসি দিলো।রুহী নিচে চলো!!বলে উঠলো রোয়েন।মাথা ঝাঁকিয়ে রোয়েনের সাথে নিচে নেমে এলো রুহী।সবাই খেতে বসেছে।রুহী রোয়েনের সরাসরি একটা চেয়ারে রুপন্তীর পাশে বসেছে।রুহী খাওয়ার মাঝেই একটা পা এগিয়ে দিয়ে রোয়েনের পায়ের ওপর রাখলো।রুহীর পা রোয়েনের পায়ে স্লাইড করছে।রোয়েন একটু কেঁপে উঠে রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকালো।রুহী না জানার ভান করে মুচকি হেসে খাচ্ছে।রোয়েন এবার রুহীর পায়ের ওপর পা রাখলো।রোয়েন পা দিয়ে রুহীর পায়ে স্লাইড করতে কালো গাউন টাকে কিছুটা উপরে উঠিয়ে দিয়েছে।রুহী অসহায় ভাবে রোয়েনকে দেখছে।রোয়েন রুহীর পা কে পা দিয়ে চেপে ধরে আছে যেন আর দুষ্টুমি না করতে পারে।খাওয়া শেষে সবাই সোফায় বসে পড়লো।রোয়েনের জন্য অপেক্ষা করে আছে ওরা।সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো রোয়েন। সাইফ রহমান পাশ ফিরে তাকাতেই রোয়েনকে এগিয়ে আসতে দেখলো।আবার সামনে তাকিয়ে আজিজ রায়হানের সাথে গল্পে লেগে গেলেন সাইফ রহমান।কথা বলতে বলতে পাশে তাকাতেই রোয়েনকে আর পেলেননা সাইফ রহমান।সেকেন্ড খানিকের মাঝে কই উধাও হয়ে গেলো ছেলেটা।রুহী!!!হোয়াট ইজ দিস?এভাবে টেনে আনলে কেন?,দাঁতে দাঁত চেপে প্রশ্ন করলো রোয়েন।রোয়েনের গলা দুহাতে জড়িয়ে নিলো রুহী।ছাড়ো!!!ছাড়ো রুহী!!!ওরা কি মনে করবে?রাগী গলায় বলল রোয়েন।রুহী ততক্ষনের রোয়েনের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট জোড়াকে চেপে ধরেছে।রোয়েন ও চোখ বুজে চুমু খেতে শুরু করেছে রুহীকে।
কি হলো রোয়েন কই চলে গেলে হঠাৎ?প্রশ্ন করলেন সাইফ রহমান।আসলে বাবা পানি খেতে গেছিলাম সাইফ রহমানের পাশে বসতে বসতে বলল রোয়েন।
ওকে।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।রায়না ব্যাগ গুলো কই?জিজ্ঞেস করে উঠলেন সাইফ রহমান।এইযে ব্যাগ গুলো।সাইফ রহমানের হাতে কিছু শপিং ব্যাগ তুলে দিলেন রায়না রহমান।রোয়েন দেখো পছন্দ হয় কিনা।তোমার মা আর আমি কিনে আনলাম।বলে উঠলেন সাইফ রহমান।বাবা এগুলোর কি দরকার ছিলো?বলে উঠলো রোয়েন।সেটা বুঝবেনা তুমি।দেখো পছন্দ হয় কিনা?বললেন সাইফ রহমান।রোয়েন ব্যাগ থেকে একে একে কাপড় চোপড় বের করে দেখতে লাগলো।শার্ট প্যান্ট আর কিছু গেঞ্জী।সব গুলো কালো না হলে ও ধূসর চকলেট কালারের মিলানো।থ্যাংকস!খুব পছন্দ হয়েছে আমার।বলে উঠলো রোয়েন।
চলবে