My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 25
,,,,আনামের চুল হাতিয়ে দিচ্ছে রুহী।কি হয়েছে ভাইয়ের?কখনো তো এমন করেনি।আনামের গায়ে কাঁথা জড়িয়ে রুহী খাট ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো।আনাম থেকে চোখ সরিয়ে দরজার দিকে পা বাড়ালো রুহী।
গালে খুব জোরে চড় পড়ে আনিলা বেগমের।হাত থেকে ফোনটা পড়ে যায়।আনিলা বেগম নিজে ও ছিটকে পড়েন।খাটের কোনায় লেগে কপাল কেঁটে যায় আনিলা বেগমের।রাগে ফুঁসছে আজমল খান।দলিলের কাগজ টা দেখিয়ে চিৎকার করতে লাগলো আজমল খান।রুহীর নাম সরাতে বলেছিলাম না?কেন ওকে তোর সম্পদ দিবি বল?বুকের পশম বেড়েছে তোর?খুব সাহস হয়েছে তোর?প্যান্টে হাত রাখলেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,হ্যালো হ্যালো।মা শুনছেন?চেঁচাতে থাকে রোয়েন।হঠাৎ আজমল খানে চিৎকারের শব্দে চুপ হয়ে যায় রোয়েন।থাপড়ের শব্দে রোয়েনের ভিতরটা কেঁপে উঠলো।কি হলো?রুহীর কথায় রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকায় রোয়েন।রোয়েনের তাকানোয় মাথা নিচু করে আলমারির দিকে পা বাঁড়ালো রুহী।রোয়েন কানে ফোন ধরে আছে।আজমল খান প্যান্টের বেল্ট খুলে আনিলা বেগমের দিকে আগাতে লাগলেন।আনিলা বেগম ফ্লোরে হাতের ভর দিয়ে পিছাচ্ছে।আমি আমার মেয়েকে অবশ্যই দিবো আমার সম্পদ।ভুলে যেওনা আজমল সম্পদ গুলো আমার।এগুলো কাকে দিবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার।বলতে লাগলো আনিলা বেগম।আগে আমার ওপর কথা বলতিনা এখন তর্ক ও শুরু করেছিস আমার সাথে?চিৎকার করে বলতে লাগলো আজমল খান।রোয়েন কানে ফোন দিয়েই রুম থেকে দ্রুত বেরিয়ে এলো।আনিলা বেগম কিছুই বলতে পারলেন না।আজমল খান বেল্ট দিয়ে বেধড়ম পিটাতে লাগলেন আনিলা বেগমকে। চিৎকার করার সুযোগ ও পেলেননা আনিলা বেগম।প্রত্যেকটা আঘাত টা যেন তার রুহু কে টেনে ছিড়ে নেয়ার মতো বেদনাদায়ক। জায়গায় জায়গায় চামড়া ফেঁটে রক্ত বেরুতে লাগলো।কাজের লোকেরা এসে ধরার চেষ্টা করলে ও আজমল খানের চিৎকার তাদের কাছে ঘেষতে দেয়নি।আনিলা বেগমের নিথর দেহ পড়ে আছে,তবু ও মায়া হলো না আজমল খানের।অনবরত পিটাতে লাগলেন আনিলা বেগমকে।
,,,,,,,,,,,,,হঠাৎ একটা হাত ধরে ফেলল বেল্ট টাকে।বাঁধা পাওয়ায় আজমল খান পাশে তাকালেন।রোয়েন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো আজমল খানকে।আনিলা বেগমের পাশে বসে পড়ল রোয়েন।মা!! উঠেন মা!!আনিলা বেগম কে ঝাঁকাতে লাগলো রোয়েন।আজমল খান রোয়েনের শার্টের কলার টেনে উঠালেন।আমার ঘরে এসে আমার রুমে ঢুকে আমার পারসোনাল মেটারে ইন্টারফেয়ার করার সাহস কে দিয়েছে তোমায়?দাঁতে দাঁত চেপে বললেন আজমল খান।রাগে গা জ্বলছে রোয়েনের।শার্টের কলারে হাত দেয়ার সাহস কি করে হয় এই বুড়োর?ভাবছে রোয়েন।আজমল খানের হাত জোড়া কে জোরে নিজের থেকে সরালো রোয়েন।দুরত্ব বজায় রাখুন মিঃ আজমল খান।দাঁতে দাঁত চেপে বলল রোয়েন।রোয়েন আবার আনিলা বেগমের পাশে বসে ওনাকে কোলে তুলে নিলো।আমার ওয়াইফ কে নিয়ে কই যাচ্ছো তুমি?চিৎকার করে উঠলেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,,আজ আমি আজমল খানের ওয়াইফ না আমার মাকে নিয়ে যাচ্ছি।বাঁধা দেয়ার সাহস করবেননা আজমল খান।কথা গুলো বলে আর অপেক্ষা করলো না রোয়েন আনিলা বেগম কে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।আনিলা বেগমকে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে নিজে ও বসে পড়লো ড্রাইভিংসিটে।রাগে পুরো শরীর কাঁপছে রোয়েনের।বুড়োটাকে মেরে ফেলতে মন চায়।আজ ও ইচ্ছে হচ্ছিলো কিন্তু ওর কাছে সবচেয়ে ইমপর্ট্যান্ট মনে হচ্ছিলো।মায়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো রোয়েন।রোয়েন চলে যেতেই আজমল খান ফোন বের করে কল দিলেন রাহিনকে।
,,,,,,,,,,হ্যালো মিঃ আজমল খান।কি মনে করে এতো দিন এ বন্ধুকে মনে করলেন?বাঁকা হেসে বলল রাহিন।
,,,,,,,,,,প্রথম থেকে সব খুলে বললেন আজমল খান রাহিনকে।আনিলা রুহীর নামে প্রপার্টি লিখে দেয়া সহ সব।
,,,,,,,,,,,বাসার সামনে গাড়ি থামালো রোয়েন। আনিলা বেগমকে সাবধানে কোলে তুলে নিলো রোয়েন।ঘরের ভিতর ঢুকে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো রোয়েন।খাটে বসে আছে রুহী। কিছুদিন ধরে খুব খারাপ লাগে ওর।শরীরটাকে আর নিজের মনে হয়না ওর।ভেঙ্গে আসতে চায় হাত পা।শরীর চলতে চায়না।মাথা ঘুরাচ্ছে।তাই কপালের ওপর হাত রেখে শুয়ে আছে রুহী।হঠাৎ পায়ের শব্দে হাত সরিয়ে উঠে বসে রুহী।রোয়েন আনিলা বেগমকে এনে পাশে শুইয়ে দিলো।রুহী অবাক চোখে রোয়েনের দিকে তাকাচ্ছে আবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছে।মায়ের শরীরে রক্ত দেখে গা শিউরে উঠলো রুহীর।চোখ জোড়া ভরে এলো।ম ম মায়ের ক কি হয়েছে?প্রশ্ন করে উঠে রুহী।ওর কথার পাত্তা না দিয়ে ফোনে ব্যাস্ত হয়ে যায় রোয়েন।ডাক্তার কে কল দেয় রোয়েন।কথা শেষ করে আনিলা বেগমের কাছে এসে দাঁড়ালো রোয়েন।কিছু বলছেননা কেন?মায়ের কি হয়েছে?কেঁদে উঠলো রুহী।
,,,,,,,,,,,,,,আপনা কে যা বলা হয়েছে সেভাবে কাজ করুন।বাকি দায়িত্ব আমার।রোয়েনের পদচারনা লক্ষ করুন।রাহিন বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,ওকে।ফোন কেঁটে গেলো।কান থেকে ফোন সরালেন আজমল খান।
,,,,,,,,,,,,,রুমুকে খুব জ্বালিয়েছে আনাম।ইচ্ছে মতো ধমকে দিয়েছিলো আনামকে।সুইসাইডের ভয় দেখি পিছু ছাড়িয়েছে আনামের।তবে আজ একবার ও কল আসলোনা দেখে ভিতরটা কেঁপে উঠলো রুমুর।তারপর ও নিজের ইগো বাঁধা দিলো আনামের নম্বরে কল দিতে গিয়ে ও কল দিলো না রুমু।
,,,,,,,,,,,,ডাক্তার আনিলা বেগম কে ব্যাথার ঔষধ আর মলম দিয়ে চলে গেলো।রুহী রোয়েন বসে আছে আনিলা বেগমের পাশে।আনিলা বেগম থেকে চোখ সরিয়ে রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।কি হয়েছে মায়ের?কি করে হলো এসব?ছলছল চোখে প্রশ্ন করলো রুহী।প্রপার্টির কথা সহ সব কিছু খুলে বলল রোয়েন।রুহী মায়ের হাতের ওপর হাত রেখে নীরবে কাঁদছিলো।রোয়েন ফোন বের করে কাজের লোকদের কল দিলো রুহীর জন্য সুপ পাঠাতে।রুহীর সামনে সুপের বাটি নিয়ে বসলো রোয়েন আর সাথে একগ্লাস দুধ নিয়ে।সুপটা কোন মতে খাইয়ে দিলো রোয়েন। রুহীর মুখের সামনে দুধ নিতেই গা গুলিয়ে এলো রুহীর।ভড়ভড় করে বমি করে নিজের সারা শরীর ভরিয়ে দিলো রুহী।
চলবে