My Mafia Boss- Season- 2 !! Part- 23
,খুব ভালো কথা রুহী।যা ঘুরে আয় জামাইকে নিয়ে।ভালো লাগবে।আর তোরা তো বিয়ের পর কোথাও যাস নাই।রোয়েন বাবা আসলেই অনেক ভালো।তোকে অনেক ভালবাসে আর মানুষ হিসেবে ও অসাধারন।শোন মা কখনো তোর বাপের কথায় ওকে অবিশ্বাস করিস না।যাকে পেয়েছিস কখনো তার অমর্যাদা করিসনা।তা বের হচ্ছিস কখন?একনাগাড়ে বলতে থাকলো আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,,,,,জানিনা মা কখন বের হবে।প্যাকিং তো শেষ।রুহী বলে উঠলো।
,,,,,,,,,,,,,,হুম শোন জামাইর কথা শুনবি।একা একা কোথা ও বের হবিনা।বলে উঠলেন আনিলা বেগম।
,,,,,,,,,,, আচ্ছা মা।রাখছি।ওনাকে ভাত দিতে হবে।
,,,,,,,,,,,,আচ্ছা রুহী।পরে কথা হবে।নিজের খেয়াল রাখিস।ফোন কেঁটে গেলো।রুহী ফোনটাকে টিটেবিলের ওপর রেখে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো।ডাইনিংটেবিলে বসে আছে রোয়েন।রুহী রোয়েনের পাশে এসে বসলো।কখন বের হচ্ছি আমরা।আস্তে করে বলে উঠলো রুহী।আজ রাতেই বের হচ্ছি। গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।দুজনে খাবার শেষ করে টেবিল ছেড়ে উঠে পড়লো।রুহীকে কোলে তুলে নিয়ে রুমের দিকে এগুলো রোয়েন।রোয়েনকে পলকহীন ভাবে দেখছে রুহী আর মায়ের কথা গুলো ভাবছিলো।রুহীকে খাটে বসিয়ে দিয়ে পাশে বসে ল্যাপটপে ঘাটাঘাটি করছে রোয়েন।রুহী আড় চোখে রোয়েন কে দেখছে আবার ল্যাপটপ দেখছে।লুকিয়ে লুকিয়ে কোন কিছু দেখা ভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে না।সামনে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।রোয়েন থেকে চোখ সরিয়ে নিলো রুহী।রোয়েনের কালো শার্টের হাতা বেশ খানিকটা ফোল্ড করা ছিলো।আচমকাই রোয়েনের হাতটাকে নিয়ে জোরে কামড় বসালো রুহী।রুহীর দিকে ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে রোয়েন।পিচ্চি কি পাগল হয়ে গেলো নাকি?
,,,,,,,,,,সন্ধ্যা থেকেই একাধারে কল করেই যাচ্ছে আনাম।রুমু পারছেনা আর সহ্য করতে আনামের জ্বালাতন।একসময় ফোন ধরে বসলো রুমু।কি চান আপনি?কেন এমন করছেন?চিৎকার করে উঠে রুমু।
রুমু প্লিজ মাফটাকি করা যায়না?এমন করোনা আমার সাথে।খুব কষ্ট হয় আমার তোমার অবহেলা গুলো।রুমুর চোখের কোনা ভরে উঠেছে।তবু ও কিছুটা সামলো নিলো নিজেকে।যদি আরেকবার কল দিয়েছেন খবর আছে আপনার।বলেই কল কেঁটে দিলো রুমু।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,ফোনের দিকে চেয়ে আছে আনাম।কি আছে রুমুর মাঝে?রুমু কে কেন এতো চাচ্ছে ও?কোন মেয়ের জন্য কখনোই এমন অনুভূতি হয়নি আনামের।রুমু ওর কল্পনাপরী।ওর সবটা জুড়ে তো শুধুই রুমু।কেন মেয়েটা ওকে বুঝেনা?ফোনের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে আনাম।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,রুহী কলাপাতা রংয়ের একটা শাড়ী পরেছে।সাথে ছোট্ট একজোড়া কানের দুল পরেছে।চোখের নিচে একছটাক কাজল আর ঠোঁটে হালকা কমলা রংয়ের লিপস্টিক। চুলগুলোকে পিঠোর ওপর ছড়িয়ে দিয়েছে রুহী।আজ পুরোই মায়াবতী লাগছে রোয়েনের ডার্ক কুইন কে।রোয়েনের ডাক শুনে চুল গুলোয় শেষ বারের মতো চিরুনি বুলিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে পড়লো রুহী।ফোনে কথা বলতে বলতে রুহীর দিকে চোখ পড়ে রোয়েনের।উফ নানান রুপ নানান রংয়ে সাজিয়ে মেয়েটা তো পাগল করে দিবে রোয়েনকে।শাড়ীটার ওপর হিংসা লাগছে রোয়েনের। এভাবে যদি রুহীকে নিজের মাঝে জড়িয়ে নিতে পারতো রোয়েন।ভাবতেই খুবই ভালো লাগা কাজ করছে রোয়েনের।পিচ্চিটাকে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছে ও।রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো রুহী।কালো একটা শার্ট পরেছে রোয়েন।শার্টের হাতা গুলো কে সুন্দর করে কবজি পর্যন্ত ফোল্ড করা।ব্লাক ডেনিম প্যান্ট।পুরোই কিলার লুক!!!!মারডালা!!!!!এতো সুন্দর কেন বরটা?ভাবতেই খুশি আর লজ্জায় পরে গেলো রুহী।রুহীর হাত টেনে ধরলো রোয়েন।চলো, দেরি হচ্ছে আমাদের।রুহীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠে রোয়েন।রুহী রোয়েনের সাথে বেরিয়ে গেলো।গাড়িতে বসে আছে ওরা।ড্রাইভার এনেছে রোয়েন।কিছুক্ষনের মাঝেই এয়ারপোর্টে পৌছে গেলো ওরা।প্লেনের জন্য ওয়েট করছে সকল প্যাসেঞ্জারেরা। রুহী আর রোয়েন পাশাপাশি একটা সিটে বসে পড়লো।
,,,,,,,,,,,,,,,,সিলেটে,,,,,,,,,,,,,
শ্রীমঙ্গলে এসে পৌছেছে রোয়েন আর রুহী।রোয়েনের ঠিক করা একটি গাড়ি ওদের নিতে চলে এসেছে।ড্রাইভার টার সাথে রোয়েনের ভালো পরিচিতি আছে।ড্রাইভার বের হয়ে রোয়েন আর রুহীর সামনে এসে দাঁড়ালো। সালাম সাহাব, ক্যাসে হ্যা আপ লোগ?
ভালো।রুহী ও আমাদের ড্রাইভার শ্রীচন্দ্র।শ্রীচন্দ্র ও তোমার ভাবি রুহী।রোয়েন বলে উঠলো।
সালাম ভাবি জি আইয়ে, আপসে মিলকে বহোত আচ্ছা লাগা।
রুহী মুচকি হাসলো।ড্রাইভার শ্রীচন্দ্র ওদের লাগেজটাকে গাড়িতে ঢুকিয়ে দিলো।রোয়েন আর রুহী প্যাসেঞ্জার সিটে বসে পড়েছে।সকাল হবে হবে এমন অবস্থা।গাড়ি চলছে অজানার পথে।দূরের পাহাড় গুলোকে আবছা আলোয় বড়োই মনোমুগ্ধকর লাগছে।ছোট বড় পাহাড় দুপাশে।রুহী জানালা দিয়ে মাথা বের করে শীতল বাতাস উপভোগ করছে রুহী।ঠান্ডা বাতাস গুলো নাকে মুখে দিয়ে যেন ঢুকছে।রুহীর দিকে ভ্রুকুঁচকে তাকিয়ে হাত টেনে ভিতরে ঢুকিয়ে নিলো রোয়েন।কি করছো কি?বাহিরে কতো ঠান্ডা বুঝতে পারছোনা?চিৎকার করে উঠে রোয়েন।রুহী ড্রাইভারের দিকে একনজর তাকিয়ে রোয়েনের দিকে তাকালো।এভাবে ধমক দেয়ার কি ছিলো?ড্রাইভার কি ভাববে?এমন কেন উনি?ভীষন রাগ লাগছে ওর।রোয়েনের দিকে তাকিয়ে অন্যদিকে মুখ ফিরিযে নিলো রুহী।সরে আসতে চাইলে আরো জোরে জড়িয়ে নিলো রোয়েন।রোয়েনের দিকে রাগী চোখ তাকালো রুহী।রোয়েন বাঁকা হেসে তাকালো রুহীর দিকে।রুহী সরে যেতে চাইলে রুহীর হাত জোরে চেপে রুহীর দিকে চোখ রাঙ্গালো রোয়েন।বাহিরের ঠান্ডা বাতাস ওদের দুজনকে ভরিয়ে দিচ্ছে।রুহীর চুলগুলো উড়ে এসে রোয়েনের মুখে এসে পরশ বুলিয়ে গেলো।চুলগুলো কে সুন্দর করে রুহীর কানের পিছনে গুঁজে দিলো রোয়েন।
কিছুক্ষনের মাঝেই ওরা লাউয়াছড়ার লেমন গার্ডেন রিসোর্টে এসে পৌছোলো।সূর্যের আলো পড়তে শুরু করেছে।একটি পাহাড়ের টিলায় অবস্থিত রিসোর্টটি।হানিমুনের জন্যই বিশেষ করে রিসোর্টটি বানানো।বেশ নির্জন।ভিতরে ঢুকতেই ম্যানেজার শরৎ রায় ওদের সামনে এসে দাঁড়ালো।আদাব, সাহাব কোন কষ্ট হয়নি তো?নাহ,গম্ভীর কন্ঠে বলল রোয়েন।শরৎরায় রোয়েনের হাতে রুমের চাবি ধরিয়ে দিলো।রোয়েন রুহীকে নিয়ে ওদের রুমে চলে এলো।ডাবলবেডের বেশ সুন্দর একটি রুম।কাঠ ডিজাইন করে কেঁটে রুমের ছাদ বানানো হয়েছে।রুহী ঘুরে ঘুরে রুমটাকে দেখতে লাগলো।পাখির কলকাকলি শুনে দৌড়ে বারান্দায় এলো রুহী।দূর দূর পর্যন্ত পাহাড় ছাড়া আর কিছুরই দেখা মিলছেনা।রোয়েন ল্যান্ড লাইনে কল দিয়ে খাবার পাঠাতে বলে রুহীর পিছনে এসে দাঁড়ালো। পছন্দ হয়েছে?বলে উঠে রোয়েন।অনেক সুন্দর!!!সত্যিই ভীষন ভালো লাগছে আমার।রুহীর শাড়ীর ভিতর ধীরে ধীরে হাত প্রবেশ করালো।খুব শীঘ্রই স্পর্শ আরো গাঢ়ো হতে লাগলো। রুহীর তুলতুলে পেটে হাত রেখে রোয়েন খুব জোরে নিজের বুকে রুহীকে জড়িয়ে নিয়েছে।
বুকের ভিতর তোলপাড় শুরু হয়ে গেলো রুহীর।রোয়েনের গরম নেশা জড়ানো নিশ্বাস রুহী নিজের কাঁধে অনুভব করতে লাগলো।রুহীর নিশ্বাস ও ভারি হয়ে আসছে।ঘন ঘন নিশ্বাস নিচ্ছে রুহী।রোয়েনের নিশ্বাস ও ঘন হচ্ছে।রুহীর খোলা কোমল চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলো রোয়েন।চুলের মাতাল করা ঘ্রান পাগল করে দিচ্ছে রোয়েনকে।রোয়েনের অপর হাতটি রুহীর কাঁধ থেকে নামতে নামতে রুহীর ছাড়িয়ে নিচে যেতে লাগলো।পরম মায়ায় রুহীর চোখ বুজে আসতে চাইছে।পা যেন অবশ হয়ে আসছে রুহীর।রোয়েন শার্ট পিছন থেকে খামচে ধরলো রুহী।রোয়েনের হাতটি রুহীর হাতের আঙ্গুল গুলো নিজের ভাজে ঢুকিয়ে নিতে থাকলো।রুহীর ঠোঁটের কোনে অজান্তেই হাসি ফুঁটে উঠলো।ছোট্ট করে নেশা ছড়ানো হাসির শব্দ বেরিয়ে এলো রুহীর বুক চিরে।
,,,,,,,,,,,,,,রুহীর চুলের ভিতর দিয়ে কাঁধে চুমু খেলো রোয়েন।রুহী রোয়েনের শার্ট খামচে ধরে খুব টানছে নিজের কাছে।ও যে আর পারছেনা।বুঝতে পেরে রুহীকে সামনে ঘুরিয়ে নিলো রোয়েন।রুহীর বন্ধ করা চোখ জোড়া ভিজে আছে।রোয়েন ঠোঁট দিয়ে পানি গুলো শুষে নিলো।রুহীর কপালে চুমো একেঁ রুহীর রসালো ঠোঁট জোড়ায় ঠোঁট ডুবালো রোয়েন।রুহীর ঠোঁটটাকে নিজের ঠোঁট মনে করে আঁকড়ে ধরে আছে রোয়েন।পরম আবেশে চুমো খাচ্ছে রোয়েন।রুহীর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিলো রোয়েন। রুহীকে নিয়ে আস্তে আস্তে পিছাতে পিছাতে দেয়ালে লেগে গেলো দুজন।রুহী পাজোড়াকে উঁচু করে রোয়েনকে সমান তালে চুমো দিচ্ছে।রুহীর ঠোঁটে আলতো করে দুতিনটে চুমো দিয়ে একটু সরে এসে রুহীর গলায় ঠোঁট লাগাতেই দরজায় নক পড়লো।চোখ বন্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনা চেষ্টা করলো রোয়েন।রোয়েনের ঠোঁটের স্পর্শ শিথিল হওয়ায় রুহী চোখ খুলল অনিচ্ছাসত্ত্বেও।রোয়েন একটু সরে এসে রুহীর দিকে একনজর তাকিয়ে দরজার দিকে এগোলো।রুহী চোখ বুজে সময়টাকে ভাবছিলো।রোয়েন ওকে অবর্ননীয় সুখ এনে দিচ্ছিলো।ওনার প্রত্যেকটা স্পর্শ পাগল করে দিচ্ছিলো ওকে।মরে যেতে মন চাইছিলো ওর।
,,,,,,,,,,,,,রোয়েন খাবারের ট্রে নিয়ে খাটের ওপর রাখলো।রুহীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো।যাও ফ্রেশ হয়ে খেতে আসো।রুহী লাগেজ থেকে লাল একটি শাড়ী বের করে ওয়াশরুমের দিকে এগোলো।
চলবে