অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 12
মেঘ হটাৎ দেখতে পায় এক জন বৃদ্ধ লোক কিছু খুঁজছে৷ পরনে বস্তার মোত বস্ত্র। মনে হচ্ছে খুব কষ্ট হচ্ছে তার৷ মেঘ সাত পাঁচ না ভেবে দৌরে বৃদ্ধার কাছে যায়
-কিছু লাগবে আপনার। দেখে তো মনে হচ্ছে খুব অসুস্থ আপনি।
-মা আসলে আমার ছেলেটা বাইরে পরে আছে কি যেন হয়েছে আমি ওকে তুলতে পারছি না তুমি কি একটু সাহায্য করবা আমাকে।
মেঘ দরজা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে সত্যি একটা ছেলে পরে আছে।
-জী আমি দেখছি।
মেঘ ছেলেটির কাছে চলে আসে কিচ্ছু না ভেবে সেখানে আসতে কিছু কালো কাপড় পরা লোক এসে সামনে দাঁড়ায় মেঘের।
মেঘ কিছু বুঝতে পারার আগে একজন তার মুখে কাপড় ঠেসে ধরে। মেঘ সেন্স হারায়৷ তর পর তারা তাকে নিয়ে কোথায় চলে যায়৷
ওদিকে,
-আরে ভাইয়া বার হলো না দেখি কি করেনা যে ভাইয়া। ওকে হচ্ছে মারার দরকার৷ মা থাকলে কিনা খুশি হতে আজ।
আারাবি আসফির রুমের সামনে আসতে আসফি বেরিয়ে পরে৷ হলুদ কালারের পাঞ্জাবি পরে৷ চুল গুলা সুন্দর করে আচরানো। পাঞ্জাবির সাথে সবুজ ধরনের কটি। পরে,
-বাহ ভাইয়া তোকেতো অনেক সুন্দর লাগছে। কারোর নজর না লাগুক।
-মেঘ কই৷
-ওকে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে এসেছি চল জাবি।
আারাবি আসফিকে নিয়ে স্টেজে এসে মেঘকে দেখতে পায় না।
-কিরে আমার বৌটা কই৷ আাে পাশের গার্ড রা বা কই দেখতে পাচ্ছি না তো কাওকে।
– গার্ড রা কই থাকবে মেবি বাইরে। আর মেঘকে এখানে তো বসিয়ে রেখে গেলাম দাড়া তো আমি খুঁজে আসি।
আরাবি পুরো বাসা তন্ন তন্ন করে খুঁজে মেঘ কোথাও নেই।
-ভাইয়া মেঘ নেই৷
-নেই মানে।
-কোথাও পাচ্ছি না৷
-কি বলছিস৷
-পুরো বাসয় কোথাও নেই৷
আসফি তৎক্ষনাৎ গার্ড দের ডাক দেয় কিন্তু কেউ নেই আসফি বাইরে গিয়ে দেখতে পায়, সবাই ঘুমিয়ে আছে।
আসফি ওদের ঘুমতে দেখে বুঝতে পারে মেঘর কিছু একটা হইছে।
-কি হচ্ছে ভাইয়া এগুলো। ভাইয়া মেঘ কই এরা এভাবে ঘুমচ্ছে কেন।
-আমারি ভুল সাহাজান খানকে মেরে দেবা উচিৎ ছিলো ।
-কি বলছিস ভাইয়া।
-মেঘর কিছু একটা হইছে আর আমি নিশ্চিত এর পেছনে ওই লোজটাই আছে।
-কি৷
-হ্যা। আমার মেঘ না জানি কোথায় আছে কি করছে।
-ভাইয়া সিসি টিভি চেক করি৷
-চল।
আসফি ভেতরে এসে সব মেহমানকে বলে কোন কারনে অনুষ্ঠান টা হচ্ছে না। সবাই চলে যায়।
আরাবি আর আসফি মিলে সিসি টিভি চেক করে৷
-ভাইয়া ওই বৃদ্ধা মেঘকে বাইরে পাঠিয়েছে। বাইরের লেক গুলো ওই দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ঠিক কোথায় যেতে পারে৷
আারাবি এসব বলতে বলতে আসফির ফোন বেজে ওঠে আসফি ফোনটা রিসিভ করে,
-হ্যালো৷
-জামাই বাবু কেমন আছেন।
-মেঘ কই।। (রেগে)
-আরে আরে ক্ষিপ্ত হচ্ছেন কেন। আপনি ক্ষিপ্ত হলে কষ্ট আপনার বৌ পাবে।
-সহাজান খন আমার মেঘের কিছু হলে আমি তোকে ছাড়বো না।
-আহা কি যে বলেন না জামাই বাবু। আমার তো কিছু ডিমান্ড পুরোন করলে আপনি আপনার বৌকে পেয়ে জাবেন।
-কোথায় আসতে হবে বলুন।
-আহ হা আগে আপনি সতর্ক হোন কোন পুলিশ কেস হলে মেঘ তখনি শেষ। আর নিজের পাল্তু কুকুর গুলোকে বাসায় রেখে আসবেন। আপনি একা আসবেন শুধু আপনি।
-কোথায় আসতে হবে বলুন।
-.(…….)এই ঠিকানায় চলে আসুন।
আর হ্যা চালাকি করার চেষ্টা করলে মেঘ কিন্তু। বলেই ফোনরা কেটে দেয়।
-ভাইয়া কি বললো।
আসফি মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে৷
সব আমার জন্য হইছে আমারি ওই লোকটাকে ছেড়ে দেবা উচিৎ ছিলো না।আামর ভুলের খেসারত আমার মেঘ দিচ্ছে।
-ভাইয়া ভেঙে পরিস না।
-আরাবি আন্টির খেয়াল রাখিস। আমি আর নাও ফিরতে পারি৷ তুই কিন্তু সব সময় আন্টির পাশে থকবি।
-ভাইয়া এভবে বলিস না (কেঁদে)
– আারাবি আমার সাহসি বোন ভেঙে পরিস না। আল্লাকে সরন কর আমি আসি।
বলে আসফি বরিয়ে পরে, গন্তব্য মেঘ।
আসফি চলে যেতে আরাবি নামাজের পাটিতে বসে৷
এদিকে আসফি পৌঁছে যায় ।
বাইরের এরিয়াটা সম্পূর্ণ নিজের দখলে করে নেয়। আর ভেতরে যায় নিজে একা।
ভেতর প্রবেশ করতে মেঘকে বাধা দেখতে পায়৷ তার সেন্স নাই৷ আসফি মেঘের কাছে জেতে গেলে,
-জামাই বাবু আপনি এসে গেছেন। কিন্তু এত সহজেতো যাওয়া জাবে না আমার মেয়ের কাছে।
-আপনার ওই নোংরা মুখ দিয়ে আমার মেঘকে মেয়ে বলবেন না।
-আচ্ছা খেপছোন কেন জামাই বাবু আমিতো আমার মেয়েকে আপনার সাথে দিতেই এখানে এনেছি। আমার ছোট্ট একটা ডিমান্ড আছে।
-আপনার সব ডিমান্ড আমি না ইনরা পুরোন করুক। তাহলে হবে।
-কারা।
আসফি পেছনে দেখায় পুলিশ ফোর্স।
-আরে মিয়া আমি জানতাম তুমি এই কাজ করবা কাজটা ঠিক করো নি।
সহাজান খানের বলতে দেরি না মেঘের পেটে কেউ বাইরে থেকে একটা গুলি করে দেয়। আসফি দৌরে যেতে অন্য একটা গুলির শব্দ।
,,
,,
চরিদিক অন্ধকার হয়ে আসতে লাগলো আসফির পা চলছেনা রাস্তাটা ছোট কিন্তু মনে হচ্ছে মাইল মাইলের দূরত্ব৷ হেটে এগোবার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, মুখের সামনে ভাসছে মেঘের মায়া ভরা মুখ। এটাকি তবে শেষ দেখা,
চলবে,