অপ্রিয় হলেও সত্যি

অপ্রিয় হলেও সত্যি !! Part- 04

মেঘ উঠে বসতে গেল আসফি লেপটপ অফ করে মেঘের পাশে বসলো। মেঘের খুব ভয় হচ্ছে দুপুরের কথা মনে পরলে সারা শরীর কটা দিয়ে উঠছে৷ মেঘ ভেবেছিলো আসফি হয়তো আবার কিছু করবে কিন্তু মেঘকে অবাক করে দিয়ে আসফি মেঘের দুগালে হাত দিয়ে,
-ভয় পেয়েছো অনেক।
-……
আসফি মেঘের চুপ থাকা দেখে একটু ঝুকে মেঘের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে নেয়।
মেঘ রীতিমতো ৪৪০ ভোল্টের স্কট খাইছে প্রথমতো মেঘের এতো কাছে কোন ছেলে আসে নি দ্বিতীয়তো এটা সেই আসফি যে কিনা একটু আগে মেঘের উপর এত টর্চার করলো
মেঘ আসফিকে জোরে ধাক্কা দেয়।
-দেখুন মিস্টার. চৌধুরী একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন আপনার সাথে আমার ডিলটা ছিলো আপনার যাবতিয় কাজ করে দেবার আপনার এসব কাজের জন্য পতিতলায় ঘুরে আসবেন (রেগে চিল্লিয়ে)৷
আসফি মেঘের কথা শুনে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পরলো না।
-তুই কি ভেবেছিস আমি তোকে অবৈধ ভাবে ধরেছি তোকে আমি বৈদ ভাবেই ধরেছি ওই পেপার গুলোর মধ্যে আমাদের বিয়ের রেজিষ্ট্রি পেপারও ছিলো মেঘ তুই আমার বৌ বিয়ে করা বউ। (মেঘের গাল টিপে)
এতটা জোরে গালটা ধরেছে দমটা যায় যায় অবস্থা মেঘের ছাড়াবার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে মেঘ কিন্তু আসফিকে এক বিন্দু নরাতে পারছে না।
আসফি মেঘকে ছেড়ে এমন একটা ধাক্কা দেয় মেঘ সোজা গিয়ে ফ্লোরে পরে আর পাশে থাকা কাচের টেবিলের কোনা লেগে মাথাটা অনেক কেটে যায়৷
মেঘ মাথায় হাত দিয়ে আসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
-মানি না বিয়ে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছেন আপনি কোন মত ছিলোনা আমার আমি মরে যাবো তবু আপনাকে বিয়ে করবো না।মানুষ রুপি আমানুষ আপনি (কেঁদে কেঁদে)
-তোর মানা না মানায় কিচ্ছু আসে যায় না তোর ইচ্ছের দাম দেওয়া অনেক বছর আগে ছেড়ে দিছি। আী বলছিসনা মরে যাবি তুই নিযে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তোরমাকে আমি সেই দিনই মেরে ফেলবো।
মেঘ আসফির কথায় কি বলবে, ওর মা ওর শেষ সম্বল যার জন্য নিজের জীবনের এত বড়ো কোরবানি করলো না না আম্মুর জন্য বাঁচতে হবে।
আসফি মেঘকে তুলে,
-অনেক কষ্ট দিয়েছিস মেঘ। প্রতি রাত তের জন্য মরেছি এক বার করে। এত সহজে তোকে মরতে দিবো না।
-কি বলছেন আপনি কিসের মৃত্যু আমি তো আপনাকে চিনিওনা আপনি কেন এমন করছেন কি করেছি আমি৷ দয়া করুন আমাকে রেহায় দিন একটা দিন আপনি আমাকে আদ মরা করে ছেড়েছেন ১০ বছর এ যনত্রনা সইতে পরবো না।(আসফির কলার ধরে কাঁদতে কাঁদতে)
আসফি মেঘের কথা শুনে ঝাড়ি মেরে মেঘকে ফেলে দিয়ে রুম থেকে বাইরে চলে যায়।
এভাবে তিব্র ভাবে পরে যাওয়াতে মেঘের মনে হচ্ছে শরীরে একটা হাড় আস্ত নাই সব ভেঙে গেছে৷। এত বার উঠে দাড়াতে চইছে পারছেনা। ৩ বার চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দেয় ব্যার্থ চেষ্টা এগুলো বুঝতে পারছে মেঘ সে এইখানে পরে থাকবে। কারোর হেল্প ছাড়া উঠে দাড়াতে পারবেনা সে।
ফ্লোরে শুয়ে আল্লাহকে ডাকছে৷
রাত ১২ টা আসফি রুমে এসে মেঘকে মেঝেতে দেখে। আসফি মেঘের কাছে গিয়ে কোলে তুলে বিছনায় আধশোয়া করে শুইয়ে দেয় তারপর খাবার ধরে মেঘের মুখে৷ মেঘ মুখ ফিরিয়ে নেয়।
-তুই কি চাচ্ছিস আমি এখন তোর স্বামীর আধিকার প্রয়োগ করি৷ জদি না চাস চুপচাপ খেয়ে নে নাইলে তুই জানিস কি হবে।
মেঘের এ লোককে নিয়ে মোটেই ভরসা নাই চুপচাপ কথা না বরিয়ে খেয়ে নেয় বর সেতো সকাল থেকে কিছু খায়ওনি একটু পানিও না।
মেঘকে খাইয়ে ঔষধ খাইয়ে আসফি মেঘকে ঘুমতে বলে চলে যায়৷
কিন্তু মেঘর ঘুম নাই বার বার দুটো কথা কানে ভাসছে “অনেক আগে তোর ইচ্ছে কথা ভাবা ছাড়ান দিছি ” আর “অনেক কষ্ট দিছিস আমাকে”।
-লোকটা কে কেন বললো আমাকে কথা গুলো কিসের শত্রুতা আমার তার সাথে। হে আল্লাহ তুমি কোন পরিক্ষায় ফেল্লে। প্লিজ মুক্তি চায় আমি খোদা৷
১ ঘন্টা কেটে গেছে মেঘের ঘুম নাই হটাৎ কারোর গান শুনতে পেলো মেঘ পাশের রুম থেকে আসছে গানটা। মেঘ অনেক কষ্টে বিছনা থেকে উঠে পাশের রুমে দরজার সামনে যেতে দেখে আসফি গান গইছে,
caha tuje dil ne mare to saso ne doka dia tara hua iu is tara ke mujce hua me juda sang le gaya tu pir mare jine ke care waja. Tare khalis tari pana kiu dil me iyu di he jaga mujmehi tu lage ab sada aaa. Adadat he tu buri iya bhala. Tujpevi tu lage na jami iiii behad he e mari asikiiiiiii
(বাকি টুকু শুনে নিবেন🥴)
গানটা শেষ হতে আসফি কাঁদছে। কথায় আছে ছেলেরা নাকি কাঁদে না। খুব বেশি কষ্ট না হলে তাহলে কিসের এতো কষ্ট তার। নাহ আর ভাবতে পারচেনা মেঘ সব কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এক অদ্ভুত মায়া কাজ করচে ইচ্ছে হচ্ছে ছুটে যেয়ে তাঁকে বুকের ভেতর জরিয়ে বলি কেন কষ্ট পাচ্ছেন কিসের এত কষ্ট আপনার৷
না কি ভাবছি আমি৷ মেঘ আর দাঁড়িয়ে থাকলো না ছুটে রুমে চলে এলো। বিছনার এক পাশে ঘুটি-শুটি মেরে শুয়ে পরলো কিন্তু ওই রাতে ঘুম হলোনা। আসফি মেঘ দুজনে কেঁদে কাটিয়েছে৷
ফজরের নামাজ পরে মেঘ চলে গেল কিচেনে। কারন আসফি বলেছে আজ তার মা আসবে। আজ যদি সময় মতো সব না পায় তাহলে যদি মাকে কিছু করে দেয়।
কফি বানিয়ে আসফির রুমে আসতে দেখে আসফি রেডি হচ্ছে
মেঘ কফিটা আসফির কাছে থাকা টেবিলে রেখে চলে যেতে নিলে আসফি ডাক দেয়,
-baby girl. এদিকে এসো৷
মেঘ কাছে যেতে।
-নেউ টাই বেধে দেও৷
-নিজের টাই নিজে বাধেন
আসফির কিছু বলা লাগেনি শুধু চোখ ্টা পাকিয়ে তাকাতে মেঘ চুপ চাপ টাই বেধে দেয়
-গুড এবার গিয়ে রান্না করো যাউ
মেঘ কিছু না বলে বেরিয়ে এসে কিচেনে রান্না করে৷ নুডলস। কি বা করবপ মা তো আর সবকিছু শিখায়নি
মেঘ আসফিকে নুডলস পরিবেশন করে দেয়।
আসফি কথা বলে নি চুপচাপ খেয়ে বেরিয়ে পরে।
-বাহ এই আমানুষটা এতো মানুষ মানুষ হলো কেন কিছুই বললো না। যাক তেোরই ভালো ছেমরি তুই কি চচ্ছিস তোকে আবার তবা না একদমি না।
মেঘ সারা দিন বরিং কাটিয়েছে৷ শুধু দুপুরে রান্নাটা করেছে কিন্তু আসফি খেতে আসেনি। দুপুর গরিয়ে রাত হলো।
মেঘ সোফায় বসে ছিলো এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠে। মেঘ যেয়ে দরজা খুলতে আবাক আসফি তার মাকে নিয়ে আসছে কিন্তু তার মা জেন সেন্স লেস অবস্থায় আছে।
-আম্মু কি হইছে৷
-ভেতরে যেতে দেও বলছি
মেঘ সরে দাঁড়ায় তার মাকে নিচের একটা রুমে রখা হয় কারন উপরে নেওয়াটা রিস্ক।
-তোমার মা মাথায় আনেক আঘাত খেয়েছে ফলে সে কোমায় আছে কিন্তু তার অনুভব শক্তি কাজ করছে। ডক্টর বলছে তিনি ঠিক হয়ে যেতে পারে৷
মেঘ আসফির কথা শুনে কেঁদে দিলো।
মায়ের কাছে গিয়ে মায়ের হাতটা ধরে কাঁদতে আছে৷
-কি হয়ে গেল এসব আম্মু।
এর মধ্যে সিস্টার বলে উঠে ম্যাম আপনি পেশেন্টকে এসব বলবেন না এতে ওনার মাথায় বেশি চাপ পরবে কারন তিনি সবটা শুনতে পান৷
মেঘ চুপ হয়ে গেল৷ আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলো না দৌড়ে বাইরে চলে গেল।
মেঘ রুমে এসে কেঁদেই চলছে এমন সময় আসফির ডাক পরে। মেঘ নিজেকে সামলে আসফির রুমে যেতে,
আসফি একটানে মেঘকে নিজের সাথে জড়িয়ে নায়। আর,
চলবে,
(ভুল গলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ)