Addition !! Part- 09
মায়া বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ছিলো তখন নীল হটাৎ মায়াকে পেছন থেকে জরিয়ে ধরে ।
-জান এই পাগল করা ঘ্রানে আমি রোজ রোজ ক্রাস খাই যানো তুমি। কেমন ঘোর লেগে যায়।
-আপনি আফিম যান নি৷
-না।
-কেন?
-রোমাঞ্চ করবো বলে। ( চুলে মুখ ডুবিয়ে)
-ছাড়ুন আমাকে সবটা প্রমান করার পর আমাকে টাচ করবেন তার আগেনা৷
-ধুরো তুমি আমাকে শান্তি দিবে না।
সমস্যা নাই আজকে রাতে পার্টির পর দেখে নেবো তোমাকে। (চোখ মেরে)
ওইযে একটা প্যাকেট দেখছো ওটাতে একটা গাউন আছে আজ রাতে ওটা পরবা৷
মায়া কিছু বললো না। কারন এখানে তার চাওয়ার কোন দাম দিবেনা নীল এটা সে জানে৷
দেখতে দেখতে সন্ধা নেমে এলো আজ সারা দিন নীল বাসায় ছিল আর মায়া বেচারি কে জালিয়ে খেয়েছে, সারা দিন তার রোমাঞ্চের ঠেলায় ভালো করে শ্বাস টা নিতে পারেনি। মায়া।
সন্ধার মধ্যে বাড়িটাকে খুব সুন্দর করে সাজনো হয়েছে নীলতো মায়াকে নিচে নামতে দেয়নি। কিন্তু মায়া এখন সবটা দেখে অবাক।
-কি হলো অবাক হচ্ছো৷। (পেছন থেকে নীল)
-…….
-আচ্ছা কিছু বলতে হবে না। গিয়ে রেডি হয়ে নাও সবাই চলে আসবে এখোনি।
মায়া উপরে চলে এলো আর নীল অন্য একটা রুমে গেল সেও রেডি হয়ে নিচে এলো। নীল পুরো ব্লু সুট পরেছে ফর্সা মানুষেকে এসব কলারে মানায় ভালো চুল গুলো স্পাইক করা। হাতে ঘড়ি পুরাই ক্রাস।
নীল নিচে নেমে দেখে সবাই চলে আসছে৷ কিন্তু মায়ার পরিবার এখনো আসেনি। নীল কথা বলতে বলতে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে মায়ার বাবা, মা, আমায়রা আর অনিক সবাই এক সাথে আসছে৷ নীল ওদের দেখে এগিয়ে গিয়ে সবাইকে সাগোতম জানিয়ে ভেতরে আনে। নীল মনে মনে মায়ার মাকে দেখে ভিশন রেগে আছে সব সময় এটা হতো কিন্তু রাগ টাকে নিজের মধ্যে চেপে মিখে মিথ্যা হাসি রাখে।
-নীল মায়া কই (আমায়রা)
-এইতো আপু চলে আাসার কথা৷
বলতে বলতে নীলের চোখ সিঁড়িতে যেয়ে আটকে যায়৷ মায়া নামছে,
নীলের মতো ব্লু কালারের একটা গাউন, চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া৷ সামনে হালকা বাধা৷ হালকা আইলানার আর একটু লিপস্টিক। অসম্ভব সুন্দর লাগছে। নীলতো আবারো ক্রস খেলো।
-খুহুম। (শুকনো কেশে আমায়রা) ভাইয়া মনে হচ্ছে আমার বোনটাকে আজ প্রথম দেখছে।
আাময়রার কথায় বাস্তবে আসে নীল। লজ্জা পেয়ে বলে।
-না আপু৷
মায়া নিচে নেমে তার মা,বাব, আপুকে দেখতে পেয়ে ছুটে ওদের কাছে যায়৷
-মা ছরি মা প্লিজ ক্ষমা করে দেও৷ (মায়া)
আমায়রা এসে এখানে না ভেতরে গিয়ে কথা বলো সবাই আছে। (মিছা হেসে).
মায়া মাকে নিয়ে পাশে একটা রুমে যায়।
-মা সরি মা।
-ক্ষমা করে দেওনা বাচ্চা মেয়েটা আমার আর কতো রেগে থাকবা। (মায়ার বাবা) ।
মায়ার আম্মু মায়াকে বুকে জরিয়ে নেয়। মায়া যেন হাজার বছর পর শান্তির স্থান পেল।
-আমার বাচ্চা টার উপর আর রেগে থাকতে পারি বল। এখন চল বাইরে সবাই অপেক্ষা করছে।
মায়া তার আম্মুকে নিয়ে হাসু মুখে বার হয়৷ আমায়রা নীলকে বলে৷
-দেখছেন ভাইয়া আমি বলছিলাম মা মায়ার উপর রেগে থাকতে পারবে না৷
-হুম আপু মাতে মাই হয়৷
আচ্ছা আপু আপনার বোনকে দুটো সারপ্রাইজ দিবো।
-আচ্ছা কি কি?
-একটা গান। আর পরের টা পরে দেখবেন।
-ওকে ভাইয়া।
নীল স্টেজে উঠে,
-লেডিস এন্ড জেন্টালম্যান, আজকে এই পার্টিটা আমার স্ত্রী মায়ার জন্য। আমাদের বিয়ে উপলক্ষে যেহেতু আপনাদের দাওয়াত দিতে পারিনি সেহেতু এইটা ছোট একটা পূর্ণতা পাবার চেষ্টা আরকি৷ এই মুহুর্তে আমি আমার স্ত্রী কে ডেডিকেট করে একটি গান গাইবো,। মায়া THIS is for you
নীল গিটার নিয়ে গইতে শুরু করে,
Bulabe tuje yeriya jo mare galiya basa me tare sang me alag duniya,
Bulave yeriya jo mari galiya basu me tare sang me alag duniya ba aya khavi donome jaravi false bas ak tu ho ak mehu or koina. Jo hove tu udas muje dhake hasle tu cahe mare hack ke jamin rak le.
(সরি এই টুকুই লিখলাম বকিটা কষ্ট করে শুনে নিন)😊
গানটা শেষ হতে নীল চোখ খুলে মায়াকে দেখতে পায় মায়া এক চোখে তাকিয়ে আছে।
মায়ার জেন জানি অদ্ভুত টান আনুভব হচ্ছে নীলের উপোর৷
-গাইস আর একটা ছোট গিফট আমার জানের জন্য।
নীল কথাটা বলার সাথে সাথে লাইট আফ হয়ে যায় এবং প্রজেক্টরে মায়া আর নীলের কিছু ছবি আসে।
মায়া এগুলো দেখে রীতিমতো অবাক এগুলো কখন তোলা সেটা তার জানা নেই৷ হটৎ কিছু ছবি আসতে থাকে যেগুলো দেখে উপস্থিত সবাই আবার।
মায়ারতো রিতিমতো হাত পা কাপা কাপি শুরু হয়ে গেছে। ছবিতে দেখা স্পষ্ট যাচ্ছে
,,
চলবে,