সিনিয়র বউ –পর্ব-১৮
আমার যখন গ্যান ফিরলো তখন দেখি আমি
হাসপাতেলের বেডে শুইয়ে আছি কিন্ত আমি
এখানে আসলাম কি করে কে আনছে আমাকে
তখনি একজন নার্স আমাকে বলছে,,
নার্স: আপনি রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে ছিলেন তখন
কেউ একজন অপরিচিত লোক আপনাকে
হাসপাতালে ভর্তি করে গেছে আর আজ দুই দিন
পড়ে আপনার গ্যান ফিরে আসছে আপনার কাছে
পরিচিত কারো নাম্বার আছে থাকলে বলেন আমি
কল করে বলে দেই,,
আমি: এখন কাওকে খবর দিতে হবেনা তবে কেউ
আসেনি আমাকে দেখতে,,,?
নার্স: না কেউ আসেনি আর আমরা কাওকে খবর
দিতে পারিনি আপনার বাসার কোন ঠিকানা পাইনি তাই,
আমি: কেন আমার মোবাইল কই মোবাইলে তো
নাম্বার ছিলো,,?
নার্স: আপনার মোবাইল আমরা পাইনি,,
আমি: আমার মোবাইল আর মানি ব্যাগটা নিলো কে,,,?
নার্স: আমি কিছু যানিনা তবে আমার মনে হয় যখন
রাস্তায় পরে ছিলেন তখন কেউ হয়তো নিয়ে
গেছে,,
আমি: হয়ত এমন কিছু একটা হবে,,আমি উঠার চেষ্ট
করতেছি,,
নার্স: কি করছেন উঠতেছেন কেনো আপনার
শরিল এখনো ভালোবাবে সুস্থ হয়নি,,
আমি: আমাকে যেতে হবে আব্বু আম্মুরা
খোজবে আমাকে আর আমি সুস্থ হবো কবে,,?
নার্স: আমি সঠিক যানিনা তবে স্যার বলতে পারবে
আপনি শুইয়ে থাকুন আমি স্যারকে ডেকে আনছি
বলে নার্স চলে গেলো কিন্ত অবাক লাগতেছে
আমি দুই দিন নিখোজ কেউ আমার কোন খোজ
করেনি কারনটা কি নাকি ওরা মনে করছে আমি
কোথাও গুড়তে গেছি তখনি ডাক্তার এসে হাজির,,
ডাক্তার: অবশেষে আপনার গ্যান ফিরলো যাক
ভালো আপনার কোন সমস্যা হয়নি এখন আপনি
অনেকটা সুস্থ আছেন তবে আপনি আরো দুই দিন
হাসপাতালে থাকতে হবে,,
আমি: ঠিক আছে ডাক্তার,,
ডাক্তার: আপনার কোন আত্বীয় স্বজন নেই
নাকি,,?
আমি: আছে কিন্ত ওরা কেই হয়ত যানেনা আমি
এক্সিডেন্ট করছি তাই কেউ আসেনি,,
ডাক্তার: তাহলে এখন নাম্বারটা দেন আমি ওনাদের
কে কল করে সব বলে দেয়,,
আমি: না থাক আমি বাড়ীতে গিয়ে সবটা বলবো
এখন বললে সবাই কান্নাকাটি করে হাসপাতালে
আসবে,,
ডাক্তার: ঠিক আছে বলে চলে গেল,,দেখতে
দেখতে দুইদিন কেটে গেল সকাল সকাল বাড়ীর
উদ্দেশ রওনা দিলাম তবে এই কয়দিনে নার্সটার মায়ায়
পড়ে গেছি অনেক ভালো মানুষ নার্সটা ওর জন্য
আমি নতুন করে নাকি জীবন ফিরি পায়ছি ডাক্তার
বললো,,
যাক বাসার সামনে এসে দরজার কয়েন বেল টিপ
দিতেই আম্মু দরজাটা খোলে দিয়েছে আমাকে
দেখা মাত্র সবাইকে ডাকা শুরু করছে
আম্মু: রিয়াদ বাড়ী ফিরে আসছে তুমরা সবাই দেখে
যাউ বলে আমাকে বোকে জরিয়ে কান্না করে
দিলো আম্মু আর বলছে কোথায় ছিলি বাবা এর
মধ্যে বাসার সবাই চলে আসছে শুধু জারা আসেনি কি
ব্যাপার জারা কই ও আসেনি কেন নাকি জারা যানেনা
আমি যে এতদিন দরে বাড়ীতে নেই তখনি,,,
আব্বু: রিয়াদ তুই এতদিন কোথায় ছিলি আর তোর
মোবাইলটা অফ কেন বল,,?
আমি: সবাইকে বললাম আমার এক্সিডেন্টের কথা সব
শুনার পর আব্বু আমিত থানায় বলে আসছি তোকে
খোজে পাইনা দেখে তারপর আরো অনেক
জায়গায় খোজ করছি কিন্ত কোথাও পাইনি,,
আমি: তুমরা সবাই আছো কিন্ত জারা কই আম্মু,,?
আম্মু: জারাকে তোর ব্যাপারে কিছু যানানো হয়নি
কারন জারার আব্বু শরিল খারাব নিয়ে টেনশনে আছে
আবার তোকে নিয়ে টেনশন করবে তাই তোর
আব্বু জারাকে জানাতে মানা করছে,,
আমি: কিন্ত জারাকি একবারো আমার কথা জানতে
চাইলোনা নাকি,,?
আব্বু: এখন থাক না এসব কথা তুই রুমে গিয়ে
ফ্রেসহয়ে নে আগে পরে কথা বলিস এসব কথা,,
আমি: ঠিক আছে বলে রুমে গেলাম আজ অনেক
দিন পরে রুমটাতে ডোকলাম অাগের সৃতিগুলো
খোব মনে পড়ছে আমার যাক ফ্রেসহয়ে
খাঠের উপর এক ঘুম বিকালে আম্মুর ডাক শুনে ঘুম
বাঙ্গলো,,
আম্মু: কিরে খাবিনা নাকি আর তোর সব ঔষুধ
আছেত নাকি আনতে হবে,,?
আমি: আনতে হবে কিছু,,,আমি এখন গিয়ে নিয়ে
আসবো আর আমাকে কিছু টাকা দিয়ো তো আমার
লাগবে,,,?
আম্মু: ঠিক আছে এখন ঔষুধ নিয়ে আয়,,
আমি: ঠিক আছে আনতেছি ঔষুধ আনলাম বাসায়
আরো কয়টা দিন কাটিয়ে দিলাম এখন একমদ সুস্থ আমি
তাই কাল কলেজে যাবো ভাবছি খাঠে উপর বসে
জারাকে অনেকদিন দরে দেখিনা হয়ত জারা সাগরের
সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে তখনি
আম্মু: রিয়াদ তুই টাকা চাইছিলি না এই নে টাকা তোর আব্বু
দিছে,,
আমি: টাকাটা নিয়ে বেরিয়ে পরলাম মার্কেটে গিয়ে
নতুন একটা সিম কিনে নিলাম আর একটা মোবাইল
কিনে বাসায় চলে আসলাম রাতে কিছু খেয়ে রুমে
গিয়ে এক ঘুম দিলাম সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা
করে কলেজের জন্য রওনা দিলাম আজ ২০দিন
পরে কলেজে যাচ্ছি রাস্তায় কারো সাথে দেখা
হয়নি যখন কলেজের গেলাম তখনি দেখি রিপা
সোহেল ওরা সবাই বসে আড্ডা মারছে আমাকে
দেখে,,
রিপা: কিরে হারামি তুই এতদিন কোথায় ছিলি তোর
কোন্ খবর নেই কেনো..?
আমি: বলছি কিন্ত আগে বল জারা কলেজে আসছে
এতদিন,,
সোহেল: আসছে তো কেন কি হয়ছে,,?
আমি: কিছুনা চল ক্যান্টিনের দিকে যায়,,
রিপা: রিয়াদ ঐতো জারা এদিকে আসছে মনে হয়,,
আমি: আসুক তাতে আমার কি চল আমরা ক্যান্টিনের
দিকে যায় বলে আমরা সবাই ক্যান্টিনের দিকে
যায়তেছি তখনি দেখি জারা আমাদের রাস্তার মাঝ খানে
দারিয়ে পরছে সবাই হাঠা থামিয়ে দিয়েছে শুধু আমি
পাশ কাটিয়ে চলে আসলাম জারা আমাকে কিছু একটা
বলতে চাইছে কিন্ত বলেনি আমরা সবাই ক্যান্টিনের
ভিতর এসে বসলাম,,
সোহেল: রিয়াদ তোকে জারা মনে হয় কিছু বলতে
চাইছিলো,,
আমি: দুর বাদদে তো ওর কথা এখন বল তোরা সবাই
কেমন আছিস,,
রিপা: আগে বল তুই এতদিন পরে কোথায় থেকে
আসছিস,,?
আমি: আরে আমিত,,তখনি দেখলাম জারা আর সাগর
দুজনে এক সাথে ক্যান্টিনের ভিতর ডোকছে
আর ঠিক আমাদের পাশের টেবিলে বসেছে,, জারা
সাগরকে বলছে বলো সাগর তুমি কি খাবে আমি
আজ তোমাকে খাওয়াতে চাই কারন আমার মনটা আজ
অনেক ভালো
সাগর: আমি জানি কেন তোমার মনটা আজ এত ভালো
তার জন্য বেশি কিছু খাওয়াতে হবেনা শুধু একটা কফি
খাওয়ালে চলবো,,?
রিপা: এই রিয়াদ বল কোথায় ছিলি এই কয়দিন,,?
আমি: বলছি তাহলে শুন আরে আমিত কক্সবাজার
গেছিলাম গুড়তে ঐখানে তানজিনা নামের একটা
মেয়ের সাথে আলাপ হয় মেয়েটা যা সুন্দর না কি
ভালো ভাবে গুচিয়ে কথা বলে হাসলে মনে হয়
পূর্ণিমার চাঁদ হাসছে আমাকে খোব আপন করে
নিছে এই কয়দিনে তানজিনার প্রশংসা যত করবো তত
কম হবে মেয়েটা খোব ভাল। চুখ গুলো বড় বড়
চুল গুলো অনেক লম্বা তখনি সোহেল আমাকে
ইশারা করে বলছে থামতে আমি না থেমে বলে
যাচ্ছি কারন এই কথা গুলো জারাকে শুনাবার জন্য বলছি
তখনি আমার কথা বলা অফ হয়ে গেল কিন্ত আমি
নিজথেকে অফ করিনি কেউ একজন আমার মুখ
চেপে দরছে দুই হাত দিয়ে পেচন থেকে,,
আমার নিশ্বাষ নিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে মনে
হচ্ছে এখনি নিশ্বাষটা বন্ধ হয়ে যাবে তখনি
দেখি,,,,,,
।
চলবে,,,,,,,,,,