Love !! Part- 16
মেহেদী – খবর টা শুনে আর নিজকে ধরে রাখতে পারিনি এতো দিন পর তোমাকে পেয়েছি আবার আমি বাবা হতে চলেছি ভাবো আমি কতোটা খুশি হয়েছি।
আমি কিছু না বলে তাকিয়ে আছি সত্যি লোকটা অনেক খুশি হয়েছে তার মুখই বলে দিচ্ছে সে কতটা খুশি মনে হচ্ছে এই কথা হাসি সব আমার অনেক চেনা। কিন্তু কিছু তেই মনে পরছে না।
মেহেদী – কিছু খেয়েছো
মেহেদী – বলো ওফ তোমার মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে খাওনি কিছু এখন না খেয়ে থাকা উচিত না আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি তারপর একসাথে খাবো।
আমি – আপনি কি করে জানলে আমি এসেছি
মেহেদী – রাজ ওই তো আমাকে ফোন করেছিল।
আমি কিছু বলার আগেই চলে গেল বাথরুমে একটু
পর বের হয়ে খেতে যেতে বলল আমি না করে দিলাম অনেক বলার পর ও গেলাম না অবশেষে ব্যর্থ হয়ে একাই চলে গেল।
মেহেদী নিচে এসে খাবার খেয়ে নিলো সবার সাথে তারপর নিলার জন্য ও রুমেই নিয়ে গেল। রুমে এসে দেখে আনমনা হয়ে জানালায় কাছে বসে বাইরে তাকিয়ে আছে। আমি খাবার নিয়ে টেবিলে রেখে ঔকে ডাকলাম।
মেহেদী – নিলা
আমার ডাক শুনে পেছনে তাকালো আবার সামনে তাকালো আমি ওর পাশে গিয়ে দাড়ালাম।
মেহেদী – কি হলো আসছো না কেন তোমার খাবার নিয়ে আসছি আসো রুমেই খেয়ে নাও
আমি – বললাম না আমি খাবো না আমার খিদে নাই
মেহেদী – খিদে নেই বললেই হলো মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে তারা তারি আসো খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে।
আমি – খাবো না বলছি তো
মেহেদী – এতো তেরামকি করো কেন বলো তো তোমার খিদে না পেলে ও আমার বাচ্চার খিদে পেয়েছে।
বলেই টেনে খাটে এনে বসালো। খাবার সামনে এনে দিল আমি খাবারের হাত দিচ্ছি না অনেক বলার পর ও চুপ করে বসে আছি হঠাৎ উঠে গেল ওফ বাচা গেল ওমনি কেউ আমার মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিলো তাকিয়ে দেখি ওই লোকটা। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ভাবতে ও পারিনি এমন কিছু করবে।
মেহেদী – কি হলো হা করে তাকিয়ে আছো কেন খাও তারাতারি।
আমি কিছুই বলতে পারছি না মুখ বরতি খাবার তাই খেয়ে নিলাম আবার দিতে এলে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম জুড় করেই খাওয়াবে তাই একাই খেতে লাগলাম।
রাতে শুয়ে আছি একটু পর লোকটা এসে আমার পাশে শুতে লাগল সঙ্গে সঙ্গে আমি উঠে বসলাম।
আমি – একি আপনি এখানে শুচ্ছেন কেন
মেহেদী – তাহলে কোথায় শুবো
আমি – যেখানে খুশি সেখানে ঘুমান এখানে বাদে
মেহেদী – আমি তোমার হাজবেন্ট
আমি -তো আমি এখন আপনাকে চিনি না সো অন্য জায়গায় যান।
আমি আর কিছু না বলে খাট থেকে নেমে গেলাম কবে তোমার সৃতি ফিরবে নিলা কতো দিন বলবে আমাকে চেনো না তুমি কথা গুলো ভেবে চোখ দিয়ে দুফোটা জল গরিয়ে পরলো আমি বারান্দায় চলে গেলাম।
এতো দিন পর নিজের ভালোবাসার মানুষকে পেয়েও নিজের করে পাচ্ছি না সে আমাকে অপরিচিত মানুষ ভাবে।
কিছুক্ষণ কাটিয়ে রুমে এসে দেখলাম ঘুমিয়ে পরেছে আমি গিয়ে ওর মাথার কাছে বসলাম। কতো দিন পর এমন করে দেখতে পাচ্ছি তোমার তুমি কি আর কোন দিন আমার ভালোবাসার কথা মনে করতে পারবা নি কথা গুলো ওর হাত ধরে বলছি।
সকালে থেকে উঠে দেখি সকাল হয়ে গেছে তারাতারি সকালের নামাজ পরে নেয়।
রুমে এসে দেখি নিলা নামাজ পরে উঠছে আমি গিয়ে বলি।
মেহেদী – রাজ ফোন দিয়েছিল কথা বলবে
আমি – সঙ্গে সঙ্গে ফোন নিয়ে নিলাম আর রাজকে ফোন দিলাম
– হ্যালো
– ফোন দিয়েছো কেন
– আর ফোন দিবে না ওকে বাই
বলেই ফোন রেখে দিলাম। আমি তাকিয়ে দেখছি কেমন অভিমান নিয়ে কথা বলল এমন করে আগে আমার সাথে বলতো।
মলি- ভাবি ভাবি
হঠাৎ মলির ডাক এলো আমি ফোন টা দিয়ে বাইরে চলে এলাম।নিচে সবাই সাথে বসে আছি একটা মহিলা সাথে একটা ছেলে এসেছে আমি যাওয়া মাওই আমাকে কান্না করতে লাগল। আমি কিছু ই বুঝতে পারছি না এরা কারা।
আমি জিগ্গেস করে জানতে পারি এরা আমার মা আর ভাই। আমি মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে আছি তার পর বলে ডেকে উঠলাম এদের আমার প্রথমেই আপন মনে হচ্ছি লো।
বিকেলে সবাই চলে গেল এভাবে কেটে গেল এক সপ্তাহ এই এক সপ্তাহে অনেক বার কল করেছে রাজ আমাকে কিন্তু আমি রিসিভ করি নি কিন্তু আরেক টা ব্যাপার আমার কিন্তু ওতোটাও খাও লাগেনি তাতে কেন তা বুঝতে পারি নি।
মেহেদী ছেলে টা কে যত দেখছি অবাক হচ্ছি সেই দিনের পর আর আমার কাছে আসে নি শুধু বলেছে আমার সৃতি আসা পযর্ন্ত ওয়েট করবে আমি রাজের এই ধয্য দেখেই ভালোবেসেছিলাম সেই ধয্য এখন এর মধ্যে ও দেখছি।
পরিবারের সবাই অনেক ভালো মামুনি দের মতো রাজের সাথে কথা না বললে ও মামুনিদের সাথে কথা হয়েছে।
এখন পরিবারের সবার সাথেই অনেক ভালো মিল হয়ে গেছে আমার। আজ আমি আর মলি বাইরের যাবো ঘুরতে সকালে মেহেদী চলে যাবার পর আমি আর মলি বেরিয়ে পরি রাস্তায়….
চলবে…..