Love

Love !! Part- 15

রাজ- রোপা

রোপা নিরব হয়ে আছে মুখে কোন কথা নেই সে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে কি বা বলার আছে আমি একটা বিবাহিত মেয়ে হয়ে কি করে অন্য কাউকে ভালোবাসলাম এখন ও বাসি কেন আমার সব মনে পরছে না কেন আমি কি করে থাকবো রাজকে ছাড়া না আমি থাকতে পারবো না কিন্তু আমাকে রাজ কেনই বা মেনে নেবে।

রাজ একজন ভালো ছেলে তার কি মেয়ের অভাব হবে না তাহলে কেন একটা বিবাহিত মেয়ের সাথে থাকবে কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না নিজকে পাগল মনে হচ্ছে এতো চিন্তা করে থাকবু কি করে আমাকে আমার স্বামীর কাছে যেতেই হবে তার বাচ্চা আমার পেটে আমি কি ভাবে রাজের কাছে থাকতে চাইতে পারি এটা ঠিক না।

আমি রাজের সাথে অন্যায় করতে পারি না আমাকে চলে যেতেই হবে রাজের সুখের জন্য আমার ভালোবাসার জন্য রাজের জীবন আমি কিছু তেই নষ্ট করতে পারি না।

রাজের কথায় বাস্তবে ফিরলাম। রাজের দিকে ভালো করে চেয়ে রইলাম কি করে আমি এই মানুষ টাকে ছেড়ে থাকবে কি করে এমন কেন হলো যদি তাকে নাই পাবো কেন ভালোবাসা হলো কেন।

দু চোখ দিয়ে অজরে পানি পরছে আমার ও রাজের ও চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছে হচ্ছে না আমার কষ্ট রাজকে আর দেখাবো না তাহলে ও অনেক কষ্ট পাবে আমি জানি রাজ আমাকে অনেক ভালো বাসে।

রাজ- কি হলো কথা বলছো না কেন তখন কেন দরজা বন্ধ করলে আমি কতো ভয় পেয়েছিলাম জানো। আমি তোমার সব কথা শুনবো তোমাকে যেতে হবে না ওই ছেলের কাছে তোমার বাচ্চা আর তুমি আমার আজ থেকে তুমি বিবাহিত এতে আমার কোন প্রবলেম নেই বিশ্বাস করো আমি শুধু তোমার কথা ভেবেই বলেছিলাম তোমাকে ছাড়া আমি ও থাকতে পারবো না।

রাজ কতোটা ভয় পেয়েছে এখন বুঝতে পারছি আমার ছেলে মানুষির জন্য এতো কষ্ট পেল। না আর কষ্ট দেবো না।

আমি – তুমিই ঠিক রাজ আমার চলে যাওয়া উচিত। অন্যের বাচ্চার দায়িত্ব তুমি কেন নিবে আর একটা বিবাহিত মেয়ের সাথেই বা কেন থাকবে। আমি কালই চলে যাবো।

বলেই শুয়ে পরলাম অনেক কষ্ট হচ্ছে কি করে রাজকে ছেড়ে যাব আমি আমি থাকতে পারবো তো এই আমি দুই টানে পরলাম। আমাকে রাজের ভালোর জন্য যেতেই হবে। কাথা দিয়ে মাথা ডেকে রেখেছি বাইরে থেকে রাজ অনেক ডাকছে আমি কোন উওর দিচ্ছি না।

পরদিন চলে আসলাম

সবাই বলেছিলো থাকতে রাজ আমার সাথে কথা বলার জন্য ও এসেছিল আমি কথা বলার সুযোগ দেয় নি। এগিয়ে দিতে ও আসতে চায় আমি মানা করে দেয়।

দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি কলিংবেল দেওয়ার সাহস হচ্ছে না অপরিচিত সবাই আমার কাছে।

মনে সাহস এনে কলিংবেলে চাপলাম একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে আমাকে দেখেই চিৎকার করে ভাবি বলে জরিয়ে ধরলো। কান্না করতে লাগল আমি কিছু বুঝলাম না।

একটু পর একটা মহিলা এসে ও আমাকে জরিয়ে ধরলো সাথে কান্না তো আছেই। আমাকে ভিতরে নিয়ে বসালো আর না না কথা এতো দিন কোথায় ছিলাম কেন ফিরে আসি না আমার জন্য সবাই অনেক কষ্ট পেয়েছে আমি তাদের কোন কথার জবাব না দিয়ে বললাম আপনারা কে দুজন দুজনের মুখি একবার তাকিয়ে বলল মেয়েটার নাম মলি আমার ননদ আর মহিলা টি আমার শাশুড়ি।

একটু পর আমাকে মলি নামের মেয়েটা একটা রুমে নিয়ে এলো রুমটা অনেক সুন্দর সাজানো গুছানো ।

মলি- ভাবি এটা তোমার রুম

আমি কিছু না বলে দাড়িয়ে আছি হঠাৎ একটা ছবির উপর চোখ আটকে গেল আমার ছবি একটা ছেলের সাথে আমি হাসি দিয়ে আছি এরা যে আমার আপন জন তা আর অস্বীকার করার মতো নেই। কিন্তু আমি তো কিছু মনে করতে পারছি না আর করতে ও চাই না মনে পরলে যদি রাজ কে ভুলে যায়।

মলি- ভাবি তুমি ফ্রেশ হও আমি তোমার খাবার নিয়ে আসি।

বলেই মেয়েটি চলে গেল। আমি কিছু ক্ষণ বসে রইলাম একই ভাবে তারপর ফ্রেশ হয়ে আসলাম। মেয়েটিকে দেখলাম খাবার নিয়ে আসছে। খিদে পেয়েছে কিন্তু খাওয়ার ইচ্ছে নাই ফোন রেখে এসেছি ওই বাড়িতে সবার জন্য অনেক খারাপ লাগছে কেন এমন হলো।

মলি- ভাবি এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন খাবে না।

আমি মাথা দিয়ে না বললাম অনেক খাওয়ার কথা বলল কিন্তু আমি খেলাম না ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিলো।
মেয়েটি চলে যাবার পর আমি শুয়ে পরলাম।

হঠাৎ ই কেউ নিলা নিলা করতে করতে রুমে প্রবেশ করলো আমি শুয়া থেকে উঠে বসলাম দেখলাম সেইদিনের সেই ছেলে টি এসেই আমাকে দেখে খুশি হয়েছে মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আমার কাছে এসে জরিয়ে ধরলো আমি কিছু বলার সুযোগ ও পেলাম না ঘটনা এতো তারাতারি ঘটল।

রাগের আমার শরীর কাপছে হয়তো সে আমার স্বামী কিন্তু এখন আমার কিছু মনে নেই সো সে আমার কাছে একজন অপরিচিত মানুষ সে জানে আমার কিছু মনে নেই তবুও এমন বিহেব এর কি মানে।

নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। আমি এমন করবো সে হয়তো ভাবে নি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।

আমি – প্লিজ আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখবেন আপনি হয়তো আমার স্বামী কিন্তু এখন আমার কিছুই মনে নেই সুতরাং এখন আপনি আমার কাছে অপরিচিত মানুষ।

চলবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *