আজব প্রেমের কাহিনি

আজব প্রেমের কাহিনি !! Part- 09

মেরিন: sir….
প্রনয়
স্যাররররর।
প্রনয়: হামম।
নীড়: ভাইয়া মেয়েটা চলে গেছে।
প্রনয়: কেন…. তো গেছে তো গেছে। গাড়িতে ওঠো।
নীড়-মেরিন উঠলো। ওরা বাড়িতে পৌছালো।

.

পরদিন….
দেশের বিভিন্ন লোকেশন ডিজাইনাররা নীড়দের project site দেখতে এলো। দেখলো। বিকালে meeting ঠিক করলো।

.

বিকালবেলা…..
নীলিমা; কি রে এখন মেরিনকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছো? কখন ফিরবি? তোদের জন্য একটুও মেয়েটার সাথে কথা বলে শান্তি পাইনা। কি হলো বলো।
নীড়: বিয়ে করতে…😒😒
নীলিমা: 😍😃। সত্যি?
নীড়: মামবি meeting আছে। bye….

.

meeting এ….
নীড় দেশের সকল সেরা ডিজাইনারদের ডেকেছে।
কিন্তু মেরিন তাদের সাথে এমন এমন আচরন করলো যে meeting টা তো পন্ড হলোই সেই সাথে সব ডিজাইনার রা চলে গেলো।
মেরিন মনে মনে: হতচ্ছারা গুলো। তোরা না গেলে আমি নীলা কে আনবো কি করে?
মেরিন নীড়ের দিকে ঘুরলো। দেখলো নীড়ের মুখ রাগের চোটে লাল নীল বেগুনী হয়ে আছে।
মেরিন: hello sssirrrr… 😅..
নীড় মেরিনকে ঠাস করে দেয়ালে ঠেকালো।
নীড়: সমস্যাটা কি তোমার? এমন করলে কেন?
নীড় দেখলো যে মেরিন ভয়ের চোটে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে আছে। যা দেখে মেরিনকে আর বকতে ইচ্ছা করলোনা। তবুও রাগ কমানোর জন্য শরীরের সব শক্তি দিয়ে দেয়ালে ঘুষি মারলো।
মেরিন:😱।
মেরিন সাথে সাথে দেয়ালের দিকে ঘুরে দেখতে লাগলো দেয়াল ঠিক আছে কিনা? যা দেখে নীড়ের রাগ আরো বেরে গেলো।
নীড়: এই মেয়ে….
মেরিন: এতো জোরে দেয়ালে ঘুষি মারলেন কেন? দেয়াল বলে কি এরা মানুষ না?
নীড়: what??
মেরিন: কিছুনা।
নীড়: এমনটা কেন করলা? কতো লস হবে জানো? এই dream project টাই না বাতিল হয়ে যায়।
মেরিন: কিচ্ছু হবে না। স্যার। সব ঠিক হবে।
নীড়: সব নষ্ট করে বলছো ঠিক করবো?
মেরিন: আসলে ওদের কারো বুদ্ধিই আমার ভালো লাগেনি। তাই।
নীড়:like really …. ১টা presentation ঠিকঠাক মতো করে কি নিজেকে রানী ভিক্টোরিয়া ভাবছো?
মেরিন: ভিক্টোরিয়া কি?
🧐🤔🧐🤔
নীড়: shut up….. আমার এই project নষ্ট হলে আমি তোমার সাথে কি করবো নিজেও জানিনা।
মেরিন: নষ্ট যখন আমিই করেছি তখন ঠিকও আমিই করবো।
নীড়: যদি না করতে পারো?
মেরিন: চাকরী ছেরে দেবো।
নীড়:৪৮ ঘন্টা সময় দিলাম। এর মধ্যে না হলে..
মেরিন: ok…
নীড়: যাও এখন আমার জন্য কফি করে আনো।
মেরিন: yes sirr…

.

২মিনিটপর….
মেরিন কফি নিয়ে হাজির। নীড় অবাক।
নীড়: এতো তারাতারি কিভাবে আনলে?
মেরিন: its magic ….
নীড়:😒। দাও।
নীড় কাপ ধরতে গিয়ে হাতের ব্যাথায় ouch বলে উঠলো।
মেরিন: কি হয়েছে?
নীড়: হাতে ব্যাথা করছে।
মেরিন দেখি দেখি। বলেই মেরিন নীড়ের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিলো। নীড়ের হাত ছুয়ে দিলো। আর নীড়ের হাতের ব্যাথা চলে গেলো। নীড় অনেক অবাক হলো।

.

পরদিন…..
সানি প্রনয় নীড় পুকুরে মাছ ধরতে বসেছে। মেরিন ওখানে গেলো।
মেরিন: আপনারা কি করছেন?
নীড়: চোর ধরছি… ধরবে?
মেরিন: হামম। কিন্তু কিভাবে ধরবো? পৃথিবীর পানিতে চোর থাকে?😱
নীড় বড়শি দিয়ে নিজের কপালে বারি মারতে লাগলো।
প্রনয়: আপুমনি….
মেরিন: জী স্যার।
প্রনয়: এখন আমরা কাজের বাইরে। তাই এখন ভাইয়া বলো please …
মেরিন: জী ভাইয়া।
প্রনয়: মাছ মারবো আমাদের ধরবে?
মেরিন: কিভাবে ধরবো?
প্রনয় : এই বড়শি দিয়ে।
মেরিন: হামম।
মেরিনও মাছ ধরতে বসলো। সবাই কম বেশি মাছ ধরতে পেরেছে। কিন্তু মেরিন ১টাও পেলোনা।
নীড় মেরিনকে খোচা মারতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে: আমাকে নিয়ে মজা? 😡।

✨💫🌟

এই এখানের সবথেকে বড় মাছটা আমার লাঠিতে (বড়শি) উঠে আসুক।
ইলি গিলি ফুস।

✨💫🌟

তখনই ওর বড়শিতে টান লাগলো। মেরিন একা ওটা ওঠাতে চেষ্টা করেও পারলোনা।
শেষে প্রনয় সাহায্য করলো। কিন্তু উঠে এলো প্রনয়ের driver …
যা দেখে সবাই অবাক।
প্রনয়:তুমি এখানে?
driver: স্যার আমি ওই ঘাটলাতে ডুব দিয়েছিলাম। ভুল করে ঘড়িটা খুলতেই ভুলে গেছি। ডুব দিতেই এই বড়শিটা ঘড়িতে বাজলো। আর….
নীড়:😂😂। এই না হলেই মেয়ে। বাহ বাহ বাহ। কি talent . হাহাহাহা।
মেরিন মুখ ভেংচে চলে গেলো।
প্রনয়: নীড়…. কাউকে নিয়ে এভাবে মজা করা কি ঠিক?
নীড়: আরে ভাইয়া আমি কি করলাম?
প্রনয়: যাও গিয়ে দেখো মেরিন কোথায় গেলো? sorry torry বলে ওকে নিয়ে আসো।
নীড়: কিন্তু ভ…
প্রনয়: কোনো কথা না।
নীড় গেলো।

.

মেরিন হাওয়া হয়ে গেলো। নীলার বাড়ি গেলো। গিয়ে দেখলো মামি ইচ্ছা মতো নীলাকে মারছে।
মেরিন: এতোদিন তো বকতো। আজকে মারছে। একে তো…

✨💫🌟

এখনই এই লাঠিটা অবিষধর সাপ হয়ে মামির হাতে পেচিয়ে ১০-১২ কামড় দিক।
ইলি গিলি ফুস।

✨💫🌟।

তখনই মামির হাতে সাপ পেচিয়ে গেলো।
মেরিন: ও কি দারুন।আমার ম্যাজিক কা…..
তখন মেরিনের মনে হলো যে ওর পায়ে কিছু ১টা আছে। নিচে তাকিয়ে দেখলো সাপ।
মেরিন: আআআ……
মেরিন কি থেকে করবে দিশা পায়না। দৌড়াতে দৌড়তে কতোদূর যে চলে এসেছে তা খেয়ালই করেনি। আসলে নীড় তো মেরিনকে খুজতে বেরিয়েছে। মেরিন দৌড়াতে দৌড়াতে নীড়ের সামনে এসে পরেছে।

.

মেরিন:

✨💫🌟

আমার পা থেকে এখনই সাপ চলে যাক।
ইলি গিলি ফুস।

✨💫🌟।

জাদুতে পায়ের সাপটা গেলোই না উল্টা আরো ১টা সাপ মেরিনের পিছে পরলো। এখন মেরিন এদিন থেকে সেদিক আর সেদিক থেকে এদিক গোল গোল দৌড়াতে লাগলো। চিল্লাতেও লাগলো। নীড় চিল্লানোর শব্দ শুনে পিছে ঘুরলো। দেখে মেরিন গোল গোল ঘুরছে।
নীড়: এর আবার কি হয়েছে?
নীড় দৌড়ে মেরিনের ওদিকে গেলো। দেখে মেরিনের পায়ে ১টা সাপ পেচানো সেই সাথে আরেকটা সাপ ওকে তারা করছে। ভাগ্যক্রমে ওগলো বিষধর নয়। নীড়কে দেখে মেরিন দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে নীড়ের কোলে উঠলো।
নীড়:😱 ।
মেরিন: স্যার স্যার বাচান বাচান।

মেরিন পারলে নীড়ের বুকের ভেতর ঢুকে যায় । নীড়ের শার্টের বাটন টেনে টুনে ছিরে শার্টের ভেতর মাথা ঢুকিয়ে চেচাচ্ছে। এতে মেরিনের ভয় কমলেও নীড়ের বুকে তো ডংকা বাচতে লাগলো। নীড় নিজেকে শান্ত রেখে
বলল: কি হলো? পাগল নাকি? নামো।
মেরিন: না সাপ।
নীড়: কিচ্ছু হবেনা। নামো।
মেরিন: উহু।
নীড় বাধ্য হয়ে মেরিনকে কোলে নিয়ে ১টা বেঞ্চে বসলো।
মেরিন: সাপটা গেছে?
নীড় চুপ। নীড় মেরিনের পায়ের দিকে দেখলো। দূর থেকে ১রকম লাগলেও সামনে একদম ভিন্নরকম লাগছে। এমন সাপ এর আগে দেখেছি কিনা সন্দেহ যেটা দাত বের করে হাসে। দেখবে কি করে এটা যে ম্যাজিকাল সাপ। নীড় সাপটা সরিয়ে ফেলল। দেখলো মেরিনের পা টা লাল হয়ে গেছে।
নীড়: ইশ পায়ের কি অবস্থা। দেখি একটু নামো। তোমার পা টা দেখতে দাও।
মেরিন:…..
নীড়: miss pa..
মেরিন: ……
নীড়: miss pa…..
মেরিন:…..
নীড়: মেরিন……
মেরিন:…..
নীড়: ঘুমিয়ে পরেছে না অজ্ঞান হয়ে গেলো?
নীড় মেরিনকে সরাতে গিয়ে বুঝতে পারলো যে মেরিন কতোটা শক্ত করে ২হাত দিয়ে ওর শার্টটা ধরে রেখেছে। নীড় আর সরালোনা। ওভাবেই রাখলো।
নীড়: মায়া খুব খারাপ জিনিষ মেরিন। তোমার মায়া থেকে বের হবার বদলে মনে হচ্ছে আরও জরিয়ে যাচ্ছি।

.

২ঘন্টাপর…..
মেরিন চোখ মেলল।
মেরিন: কোথায় আমি?
নীড়: আমার কলিজার ওপরে…
মেরিন সাথে সাথে মাথা তুলল। নীড়কে দেখলো। নীড়ের চোখে চোখ পরতেই চোখটা নামিয়ে নিলে।

এরপর নিচে নামলো। আর নেমেই পায়ের ব্যাথায় আহ করে উঠলো। নীড় সাথে সাথে গিয়ে ধরে ফেলল।
নীড়: দেখি বসো বসো।
মেরিন: লাগবেনা। আমার কাজ আছে।
নীড়: ওরে আমার কামিনকররে। বসো এখানে। পায়ের অবস্থা দেখেছো? একটু পানি হলে ভালো হতো। বসো এখানে আমি আসছি।
নীড় পানি আনতে গেলো।
মেরিন: huh… তার কথা শুনতে আমার বয়েই গেছে। বসে থাকলে আমার কাজ কিভাবে হবে?
বলেই মেরিন উরে নীলাদের বাসায় গেলো। দেখে মামা নীলাকে মারার জন্য হাত ওঠালে মেরিন খপ করে ধরে ফেলল।
মামা: কে তুমি? তোমার সাহস কি করে হয় আমার হাত ধরার?
মেরিন: সেটা আপনাকে বলা প্রয়োজন মনে করছিনা।
মেরিন ধাক্কা দিয়ে মামাকে ফেলে দিলো। আর মামার হাত থেকে নীলার আংটি টা নিয়ে নিলো। মেরিন নীলার কাছে গেলো। নীলার হাতে আংটিটা দিলো।
নীলা:কককে তুমি?
মেরিন: আমি মেরিন।
নীলা: তোমাকে তো চচিনলাম ননা।
মেরিন: চিনো না তো চিনে যাবে। এখন বলো তো এই আংটির জন্য তোমার মামা তোমাকে মারছিলো কেন?
নীলা: কারন এই আংটি টা দিতে চাইনি বলে।
মেরিন: দিতে চাওনি কেন?
নীলা: কারন এটা আমার পানচিনির আংটি।
মেরিন: পানচিনি কি?
নীলা: engagement …
মেরিন চোখ বন্ধ করে দেখলো engagement মানে কি…
মেরিন: তো কার সাথে engagement হয়েছে তোমার?
নীলা: হয়েছিলো কারো সাথে।
মেরিন: হয়েছিলো কারো সাথে মানে? নাম কি তার?
নীলা: তার নাম জেনে কি হবে?
মেরিন: বলোই না শুনি।
নীলা: প্রনয় আহমেদ চৌধুরী….
মেরিন: কি?
নীলা: হামম। কককেন চেনো তুমি তাকে?
মেরিন: সেটা বড় কথানা। তোমার কন্ঠে এমন বেদনা কেন সেটা বলো।
নীলা: আরেক দিন বলবো। প্রথম আমাদের বাসা এলে। তোমার জন্য চা করে আনি।
মেরিন: আনতে পারি তবে প্রনয় জিজুর কথা বলতে হবে। 😁।
নীলা: আচ্ছা।

.

চা খেতে খেতে নীলা সবটা বলল। যদিও সত্যটা মেরিন জানতো। কিন্তু নীলার মনের অনুভূতিটা জানতো না। সব শুনে
মেরিন বলল : তুমি কোন যুগে আছো? তুমি তো মিথ্যার জগতে বাস করছো। এখনকার সময়ে কে এসব মানে। সেই শেষ হয়ে যাওয়া সম্পর্ক, সেই বেঈমান পরিবার আর সেই অহংকারী লোকটার এই চিহ্নকে এখনো আকরে ধরে আছো? মার খাচ্ছো? এই আংটি আর এই ছোটবেলার মিথ্যা সম্পর্ককে মনে রেখে কি লাভ? আমি হলে তো এই আংটি কবে ছুরে ফেলে দিতাম। ফালতু যত্তোসব।🤬।
নীলা: ছিঃ অমন করে বলতে নেই সবই ভাগ্য । আর এই সম্পর্কের জন্যেই তো বেচে আছি আমি। যদি আমার ভালোবাসা সত্যি হয় তবে ঠিকই
আসবে।
মেরিন: আজও তার অপেক্ষা।
নীলা: আজীবন করবো।
মেরিন: সেটা তোমার ব্যাপার। কিন্তু আমি এখানে এসেছিলাম ১টা কাজে। আচ্ছা নীলাদের বাড়িটা কোন দিকে? ওর সাথে ১টা কাজ ছিলো।
নীলা হেসে উঠলো। অনেকদিন পর মন খুলে হাসলো।
মেরিন: হাসছো কেন?🤔।
নীলা: এতোক্ষন ধরে আমার সাথে কথা বলছো আর আমাকেই কিনা খুজছো।
মেরিন: তুমিই নীলা। small world …. তোমার ভার্সিটি থেকে জানতে পারলাম যে তুমিই department এর সেরা location designer….. টপার। এবার masters কমপ্লিট করছো। তাই আমার তোমাকে চাই।
নীলা: আমি কি করতে পারি?
মেরিন: আমার সাহায্য। আমার বস। Mr. নীড় খুব খারাপ। তিনি বলেছেন তার project এর জন্য best কাউকে নিতে। না হলে আমার চাকরী শেষ হয়ে যাবে। তাই আমি তোমার কাছে এলাম। সাহায্যের
জন্য। কিন্তু তুমি তো নিজেই …
আচ্ছা আমি অন্য কাউকে খুজে নেবো।
নীলা: আমি চেষ্টা করবো তোমার সাহায্য।
মেরিন: তোমার মামা-মামী…..
নীলা:তা কিছুনা। আমি অভ্যস্ত।
মেরিন: আচ্ছা। তাহলে কালকে ৪টা ৫টার মধ্যে চলে এসো।
বলেই মেরিন চলে গেলো।

.

এদিকে মেরিন চৌধুরী বাড়িতে ঢুকেই দেখতে পেলো পুরো বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে আছে।
মেরিন: কি হয়েছে?
নীলিমা ইশারা দিয়ে বলল চুপ করতে।
মেরিন: ম্যাম আপনি মুখে আঙ্গুল দিয়ে কি বলছেন?
নীড়: সেটা তোমাকে জানাতে হবে।
মেরিন পিছে ঘুরলো। নীড়ের মুখ দেখেই বুঝতে পারলো যে নীড় অনেক রেগে আছে।
নীড় মেরিনকে টেনে রুমে নিয়ে গেলো।
নীলিমা: আল্লাহ আমার জল্লাদ ছেলের হাত থেকে বাচ্চা মেয়েটাকে কি করে…..

.

রুমে …..
নীড়: তুমি আমার কি?
মেরিন: কিছুন….. pa….
নীড়: তুমি আমার আন্ডারে কাজ করো। আজকের পর যদি আমার অনুমতি ছারা কিছু করেছো তবে আমার হাত থেকে তোমাকে কেউ বাচাতে পারবেনা। তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে না বলে চলে যাওয়ার।
মেরিন: সাহসের কি আছে?
নীড়: কতো tension হচ্ছিলো জানো?
মেরিন: কেন tension হবে কেন?
নীড়: তোমার সাথে কথা বলি কেন সেটাই জানিনা। আর হ্যা… কালকের কথা মনে আছে তো? location designer যদি সময় মতো না আসে তবে দেখে নিও।
মেরিন: okkk স্যারররর।
বলেই নীড় যেতে নিলে
নীড় বলল: কোথায় যাচ্ছো?
মেরিন: রুমে।
নীড়: দারাও। এখানে বসো।
মেরিন:কেন?
নীড়: বসো।
মেরিন গিয়ে বসলো।
নীড় বরফ এনে নিচে বসে মেরিনের পা নিজের কোলে নিয়ে পায়ে বরফ দিতে লাগলো।
নীড়: কি অবস্থা হয়েছে পায়ের। idiot….
মেরিন নীড়কে অবাক চোখে দেখছে।
মেরিন মনে মনে: মানুষেরা সত্যি অাজব। কখন যে কি করে বোঝা দায়।

.

পরদিন…..
siteএ….
নীড় বারবার ঘড়ি দেখছে।
নীড় মনে মনে: আজকে তোমাকে এমন শাস্তি দিবো যে তুমি আজীবন মনে রাখবে।
প্রনয়: আপুমনি।
মেরিন: জী স্যার।
প্রনয়: তুমি কি কাউকে ঠিক করেছো? না হলে যে নীড়ের হাত থেকে আমিও বাচাতে পারবোনা।
মেরিন: চলে আসবে স্যার।
ঠিক তখনই নীলা এলো।
মেরিন: ওই আপু চলে এসেছে।
নীড়-প্রনয় সামনে তাকালো। আবার প্রনয় হারিয়ে গেলো।
মেরিন: স্যার…. ইনি হচ্ছেন এখানের best location designer….. নুপুর।

( নীলার পুরো নাম হলো নুপুর জাহান নীলা। )

department এর টপার।
নীড়: hello….
নীলা: আসসালামু আলাইকুম।
নীড়: ওয়ালাইকুম আসসালাম।
নীলা বোরকা না পরলেও যথেষ্ট পর্দাশীল। যা দেখে প্রনয় আরো impress …. নীলা কাজ করতে লাগলো। নীলা জায়গাটা ভালোভাবে দেখে
বলল: জায়গাটার অনেক গুলো সুবিধা যেমন আছে সেই সাথে কিছু অসুবিধাও আছে। আমার কালকে পর্যন্ত সময় লাগবে design টা ভাবার জন্য।
প্রনয়: জী অবশ্যই।
নীড়: miss নুপুর আপনি ভীষন মিষ্টি।
তখনই ওরা ৩জন মেরিনের চিল্লানো শুনতে পেলো। দেখলো যে মেরিন দৌড়াচ্ছে। আর ওর পিছে মুরগী বাহিনী। মেরিন দৌড়াচ্ছে আর চিল্লাচ্ছে বাচাও বাচাও বলে। দৌড়াচ্ছে তো দৌড়াচ্ছে সেই সাথে মাঠের ঘেরাও দেয়ার জন্য যে খুটি গুলো আছে সেগুলো ফেলছে। আর বিভিন্ন জিনিসপত্র ফেলছে। যা দেখে নীড়ের হাসি পেলেও রাগীভাবটাই তুলে রাখলো। প্রনয়-নীলা খিলখিল করে হেসে উঠলো। নীলার হাসিটা খুব সুন্দর। প্রনয় নিজের হাসি থামিয়ে নীলার হাসি দেখতে লাগলো। আর নীড় মেরিনের দিকে যেতে লাগলো। সবটুকু যেতে হলোনা। মেরিনই দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে নীড়ের কোলে উঠে ওর বুকের ভেতর ঢুকে গেলো।

.

মেরিন: স্যার বাচান বাচান।
নীড় :😭। বাচাবো বোইন বাচাবো। তুই আগে আমার কোল থেকে তো নাম।😭।
যা দেখে আর শুনে নীলা আরো জোরে জোরে হাসতে লাগলো।
মেরিন নামলো।
নীড়: মুরগী তাও মুরগীর বাচ্চাকে দেখে কেউ ভয় পায়?
মেরিন: আমি তো পাই।
তখন প্রনয়-নীলা ওদের কাছে গেলো।
নীলা: এইযে মিষ্টিপাখি এতোটুকু প্রানী তোমার কি করতে পারবে বলো তো।
নীড়: আজকে তো কেবল শুরু। আরো কি কি যে আপনি দেখবেন সেটা কেউ জানিনা।

.

চলবে…..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *