তোমাকে খোঁজে

তোমাকে খোঁজে !! Part- 08

নেহাল দরজাটা খুলতেই পুলিশ নেহালকে ধাক্কা মেরে বাড়ির ভেতরে চলে আসে।তারপর পুরো বাড়িটা চার্স করে।পুলিশ নেহালের রুমে গিয়ে আদিবাকে পায়।আদিবাকে পেয়ে আবির চৌধুরীকে ফোন করে পুলিশ জানায় আদিবা কোথায় আছে।

আবির চৌধুরী মেয়ের খোঁজ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে নেহালের বাড়িতে।আর আদিবার সাথে কথা বললে সব দোষ নেহালের উপরে চাপিয়ে দেয় আদিবা।

আদিবা কাঁদতে কাঁদতে বলে, বিয়ের দিন আত্মহত্যার ভয় দেখিয়ে নেহাল আমাকে ডেকে এনে বন্দী করে রেখেছে। এমন কি আমাকে মেরে ফেলারও চেস্টা করেছে।

আদিবার এমন কথা শুনে নেহাল একটা বড় রকমের ধাক্কা খায়। যেই আদিবাকে নেহাল এতোটা ভালোবেসেছে।যাকে বাঁচানোর জন্য নিজের শরীরের সবটুকু রক্ত পর্যন্ত দিতে চেয়েছে।আজ সেই আদিবা সব যেনেও এমন কথা বলছে! নেহালের ভেতরটা ভেঙে চুরে যাচ্ছে আদিবার কথায়।

পুলিশ আদিবাকে বলে, আমারাতো শুনেছি আপনি নেহালের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করেছেন।কথাটা কতোটুকু সত্য মিস চৌধুরী?

আদিবা কিছুক্ষণ ভেবে তাই বলে, হ্যাঁ আমি অভিনয় করেছি।বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে।কিন্তু সেটা খেলার ছলে করেছি।নেহালকে ভালোবেসে নয়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর আমি নেহালকে বলেছি ব্রেকাপ করবো।যাতে নেহালের মনে না হয় আমি অভিনয় করেছি।আপনারাই বলুন ব্রেপাক হওয়া কি স্বাভাবিক ব্যাপার নয়? এতে আমার ভুলটা কোথায়? তারপরও নেহাল আমার পিছু ছাড়ে নি।শোনেনি আমার কথা।আমার বিয়ের দিন নেহাল আমাকে আত্নহত্যার ভয় দেখিয়ে ডেকে আনে।এমন কি রাগের বসে আমাকে মেরে ফেলারও চেস্টা করে।ওকে নিয়ে যান আপনারা। আর এমন শাস্তি দেন যেন আর কখনো এই রকম পাগলামো কারও সাথে নেক্সট টাইম না করতে পারে।

আদিবার কথা শুনে মিতি রেগে যায়।মিতি নেহালের দিকে চেয়ে দেখে নেহালের দুচোখ লাল রক্ত বর্ণ ধারণ করেছে।যেখানে চোখের পানিতে দুচোখ টলমল করছে।মিতি বুঝতে পারছে, নিশ্চয় ভাই খুব কস্ট পেয়েছে ভাবির কথায়।এর আগে কখনো মিতি তার ভাইকে এতোটা নিরূপায় আর অসহায়ের মতো কারও দিকে চেয়ে থাকতে দেখিনি। তাই মিতি আদিবাকে বলে, সবকিছুই যখন বলে দিয়েছো ভাবি তখন এটাও বলে দাও যে ভাইয়া তোমার স্বামী।

মিতির কথা শুনে আদিবা বলে, আমি তোমাকে আগেও বলেছি মিতি তোমার ভাইকে আমি কখনো বিয়ে করবো না।তাই প্লিজ আমাকে আর ভাবি বলে ডেকো না।

মিতি জোড়ে হেসে ওঠে।আর হাসতে হাসতে বলে, তোমার কি আমার ভাইটাকে এতোটাই বোকা মনে হয় ভাবি?
তারপর সবাইকে অপেক্ষা করতে বলে মিতি উপরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর একটা পেপার নিয়ে আসে।আর আদিবার হাতে দেয়।

আদিবা জানতে চায়,,কিসের পেপার এটা?

তার উত্তরে মিতি বলে, তোমার আর ভাইয়ার বিয়ের রেজিষ্ট্রি পেপার।ভালোভাবে দেখে বলো ভাবি সিগনেচারটা তোমার কিনা?

আদিবা তাকিয়ে দেখে হ্যাঁ, সিগনেচারটা তারই।কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?
তাহলে কি নেহালও সব জেনে আদিবার সাথে খেলেছে?

তুমি আমার ভাইয়ের স্ত্রী। তারপরও কেন অন্য কাউকে বিয়ে করতে চেয়েছো ভাবি! আমাদের সবাইকে বলো?

আদিবা কিছু বুঝতে পারছে না।কিভাবে সিগনেচারটা হলো। চুপ করে আছে আদিবা।
,
,
,
,
,
,
,
,
চলবে,,,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *