তুমি প্রাক্তন নও আমার ভালোবাসা !! Part- 03

১ঘন্টা পর,,,, ফারহানের কেবিনের দিকে যেতেই দেখি মিরাজ শেখ ফোনে কথা বলতে বলতে কেবিন থেকে বের হচ্ছে আমি কিছু না বলেই চলে যেতে নিলে আমার হাত ধরে টান দেয় আর আমি সাথে সাথে হাত ছেড়ে দিয়ে বলে উঠলাম..

আমি : এটা কোন ধরনের অসভ্যতামি(রেগে)
মিরাজ : cool baby.. এতো রেগে যাওয়ার কি আছে,,, তোমার মত এতো সফট মেয়েকে যে কেউ ছুঁতে চাইবে..আর তোমার কোমর অনেক সে** (বলেই আমার কোমরে হাত দিয়ে দিলো আর আমি সাথে সাথে একটা থাপ্পড় মারলাম)

মিরাজ : what the hell.. 😡তোর সাহস কি করে হয় আমাকে থাপ্পড় মারার ( বলেই আমকে থাপ্পড় মারতে আসলে কে যেন হাতটা ধরে ফেলে তাকিয়ে দেখি ফারহান)
ফারহান : কি হয়েছে মিস্টার মিরাজ শেখ ওর গায়ে হাত তুলছেন কেন?
মিরাজ : তুমি জানো ফারহান ওই দু টাকার মেয়ে আমাকে থাপ্পড় মেরেছে,,, ওর সাহস কি করে হয় আমার গায়ে হাত তোলার😠😠
ফারহান : কি হয়েছে মিস ফারিয়া উনাকে থাপ্পড় মেরেছেন কেন(রেগে)
আমি : স্যার উনি আমার শরীরে….(আর কিছু বলার আগেই,,নিশু প্রেত্নিটা এসে বলে..

নিশু : আরে ফারহান এইসব দুটাকার মেয়ে আর কি পারে,,,মিরাজ শেখ যাচ্ছিলেন মিস ফারিয়া এসেই উনার সাথে নিজের ইচ্ছায় ধাক্কা দিয়ে নিচে পড়ে যায় আর মিরাজ শেখ উঠিয়ে দিলে উনাকে থাপ্পড় মারে…জানো না এইসব মেয়েকোন টাকা ওয়ালা ছেলে দেখলেই তো নিজের ইচ্চায় গায়ে পড়ে,,, ছোট লোক কথাকার(বলেই মুখ বাকা করে ফেলে,,,ফারহান নিশুর কথা শুনার পর পরই আমাকে একটা থাপ্পড় মারে,,, আমি গালে হাত দিয়ে ভাবছি মানুষ কিভাবে এতো মিথ্যা বলতে পারে,,, ফারহানের তো আমার কথাটা একটা বার শুনার দরকার ছিলো,,,চোখের পানি চিকচিক করছে তা দেখে নিশু বলে,,

নিশু : এইসব নেকা কান্না করো না তো তোমাদের মত মেয়েদের চেনা আছে,,ঢং😏
ফারহান : মিরাজ শেখ ওর হয়ে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি স্যরি কিছু মনে করবেন না
মিরাজ : it’s ok…
ফারহান : চলুন আপনাকে এগিয়ে দিয়ে আসি (বলেই ফারহান আর মিরাজ শেখ চলে গেলো,,,আমি বোকার মত তখনো দাঁড়িয়ে আছি,,কি থেকে কি হয়ে গেলো,,অফিসের সব স্টাফ আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,আর নিশু আমার কাছে এসে বলে…

নিশু : তোমাকে বলে ছিলাম না তোমার চাকরী আমি কেড়ে নিবো সবে তো শুরু,,,ফারহানকে হাত করা এতোটাও সোজা না মিস ফারিয়া (বলেই শয়তানি হাসি দিয়ে বলে উঠে,,এখানে কি সিনেমা চলছে সবাই এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন যাও নিজের কাজে যাও,,, সবাই চলে গেল সাথে নিশুও,,,আমি দৌড়ে আমার ওয়াশরুমে গিয়ে কান্না করতে লাগলাম,,,কেন আমার কথা একবার শুনলে না ফারহান,,,একবার তো আমকেও জিজ্ঞেস করে জানতে পারতে,,,এইসব ভাবছি আর কান্না করতেছি,,,ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে কেবিনে দিকে যেতেই একটা মেয়ে বলে উঠলো,,

মেয়েটি : হাই আমি তিশা(হাত বাড়িয়ে দিয়ে)
আমি : হ্যালো আমি ফারিয়া(হাত মিলিয়ে)
তিশা : তুমি স্যার এর নতুন পিএ তাই না(মুচকি হেসে)
আমি : হুম( মন খারাপ করে)
তিশা : তুমি মন খারাপ করো না ওই নিশু ভূতনীর কথা শুনে,,,আমি জানি নিশু মিথ্যা বলেছে,,আর মিরাজ শেখ লোকটা খুব বাজে,,,মেয়েদের শরীরে হাত দেয় শুধু আর নিশু তোমাকে অপমান করার জন্যই ওইসব মিথ্যা কথা বলেছে আমি,, সব দেখেছি,,
আমি : আমার কোন দোষ ছিলো না সত্যি(বলেই আবার কান্না করে দিলাম)
তিশা : আরে আরে কান্না করছো কেন,,ওই নিশুটা এমনি মানুষকে অপমান করে শুধু,,আর তুমি এখন স্যার এর পিএ না এখন নিশু হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরবে,,,শুধু তোমার উপর প্রতিশোধ নিতে চাইবে,,,সাবধানে থেকো তুমি,, আর শুনো আজ থেকে চাইলে তুমি আমার সাথে সব শেয়ার করতে পারো বন্ধু ভেবে,,,বলেই আমার চোখের পানি মুছে দিলো)
আমি : হুম ওকে,,, (আমি নিশুর এই অপমানের প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বো মনে মনে)
তিশা : এখন চলো যাওয়া যাক নিশু আবার এখানে একসাথে দেখলে গন্ডোগোল পাকিয়ে দিবে,,, আর একদম কন্না করবে না তুমি খুব মিষ্টি দেখতে কান্না করলে ভুতের মত লাগে (বলেই হেসে দিলো,,আমি ও হেসে দিলাম)

আমি আর তিশা দুজনে একসাথে দুপুরের খাবার খেলাম,,,
সন্ধ্যায় অফিস ছুটি হওয়ার পর দুজনে একসাথে বের হলাম আমি হোস্টেলে চলে গেলাম আর তিশা ওর বাসায় চলে গেলো,,

সকালে ঘুম ভাংলো ফোনের রিং শুনে ঘুম ঘুম চোখে ফোন হাতে নিয়ে দেখি……..

চলবে…