The villain lover

The villain lover ।। পার্ট : ০৫

 

ছোয়ার ঘারে নাক ডুবিয়ে দিয়েছে রুদ্র আর হাত দিয়ে স্লাইড করছে ছোয়ার পেটে, আর ছোয়া বার,বার কেপে উঠছে।

– কি করছেন ছাড়ুন,

ছোয়ার কথা যেন রুদ্র শুনতেই পেলোনা।

– কি হলো আমি ছাড়তে বলেছি ছাড়ুন!!

ছোয়া অনেকবার বলার পর ও যখন রুদ্র ছাড়লোনা তখনি জোরে রুদ্রের ঘারে কামড় বসিয়ে দিলো,,,

– আহ জান এটা কি করলে?

– কখন থেকে ছাড়তে বলছি ছাড়ছেন না,তাই বাদ্ধ্য হলাম এটা করতে, বলেই ছোয়া বাথরুমে চলে গেলো।

জান তুমিতো জানোনা তোমার দেয়া প্রতিটা ব্যাথাও যে আমার কাছে একেকেটা ভালোবাসা প্রতীক। ( মনে,মনে)

 

অতীত,,

– দোস্ত একটা খবর আছে( মিম)

– কি খবর?? ( ছোয়া)

– আগে বল আজ কলেজ আসলিনা কেনো?( মিম)

– ঘুমের থেকে উঠতে ইচ্ছা করেনি তাই, কি হয়েছে বলণা?

– দোস্ত সামনের ৪ তারিখ আমাদের পিকনিক ৩ দিনের ট্রিপ,খাগড়াছড়ি।

– ওয়াও তাই?( অনেক খুশি হয়ে)

– হ্যা রে,আজ আমরা সবাই নোটিশ পেয়েছি, তুই কাল আয় বাকি প্লেন কলেজে করবো।

– ওকে দোস্ত কাল আমি আসছি,এখন রাখি।

– আচ্ছা বায়।

তারপর ছোয়া তার মায়ের কাছে গেলো,

– আম্মু আমাদের কলেজ থেকে পিকনিকে যাবে,খাগড়াছড়ি ৩ দিনের ট্রিপ আমি কিন্তু যাবো।

– কিন্তু মা!!

– কোনো কিন্তু না আম্মু আমি বড় হয়েছিনা তুমিই বলো প্লিজ আম্মু না করোনা প্লিজ্জজ।

– আচ্ছা মা যা,

– থ্যাংক ইউ আম্মু উম্মম্মা।

– পাগলি একটা,

……..

– হ্যালো ভাইয়া?

– হ্যা বল, কেমন আছিস?

– আমি ভালো আছি ভাইয়া। তুমি কেমন আছো।

– ভালো।

– ভাইয়া তোমার জন্য একটা খবর আছে,

– কি খবর রে???

– ভাইয়া ছোয়া আপুরা সবাই পিকনিকে যাচ্ছে খাগড়াছড়ি।

– তাই নাকি?? তাইলে তো আমি যাচ্ছি। তুমি কিভাবে যাবা? তুমিকি আমাদের কলেজে পড় নাকি?

– পড়িনা ভর্তি হয়ে যাবো,

– কিভাবে এতো কিছু তোকে বলতে হবে কেনো, ছোট ছোটর মতো থাক।

– বাহ আমি খবর দিলাম আর এখন আমাকেই ছোট বলে ভাগিয়ে দিচ্ছো?

– সরি,সরি আমার বোনটা তুই তো বুড়ি হয়ে গিয়েছিস আমি ভুলেই গিয়েছিলাম।

– ভাইয়া ( রেগে) তোমার সাথে কথা নাই বলেই রোদেলা ফোন কেটে দিলো।

– পাগলিটা ছোট বেলার মতোই রয়ে গেলো।

পরেরদিন,,,

– দোস্ত তুই এসেছিস, চল সবাই মাঠে ওয়েট করছে প্লেনিং করতে হবে তো।( মিম)

– আচ্ছা চল( ছোয়া)

– শোন আমরা সবাই কিন্তু একসাথে বসবো বুঝলি? নয়তো মজা হবে না, আর শোন জিয়া তুই তোর গিটারটা নিয়ে আসবি বুঝলি।

– আচ্ছা দোস্ত সব হবে,,,,,,,

📱

– হ্যালো দোস্ত

– হ্যা বল কেমন আছিস?

– ভালোনা।

– কেনো?

– তোর ভাবিকে কাছে পেয়েও কাছে পাচ্ছিনা,

– মানে কি বলছিস? বিয়ে করলি কবে আর ভাবি বা কোথা থেকে আসলো?

– সব বলবো আগে বল,মেমোরিয়াল কলেজ তোর আংকেল এর না?

– হ্যা, কেনো?

– শোন সামনে ওদের একটা পিকনিক আছে,তুই যে করেই হোক আমাকে সেই পিকনিকে পাঠানোর চেস্টা কর।

– আরে কেনো কি হয়েছে বলবি তো?

– শোন ওই কলেজে তোর ভাবি আছে,আর আমি তোর ভাবিকে একা যেতে দিবোনা,আর কিছু জানতে চাইবি না।আমার যাওয়ার ব্যাবস্থা কর।

– ওকে ওকে, ট্রাই করছি।

থ্যাংকস দোস্ত রাখি।

তারপর ফোন রেখে রুদ্র বিছানায় শুয়ে পড়লো, রুদ্রের চোখের সামনে বার,বার ছোয়ার মুখটাই ফুটে উঠছে,

উফ কবে যে তুমি আমার বুকে থাকবে জান,সেদিন আমি বুক ভরে নিশ্বাস নেবো তোমাকে আকরে ধরে।

 

– আম্মু দেখতো এই জামাটা নেবো, নাকি ওইটা।

– তোর যেইটা ভালো লাগে মা।

– উফ আম্মু দেখো কাল সকালে বাস,আর আমার এখনো ঠিকমতো গোছানো হয়নি( ন্যাকা কান্না করে)

– দে আমি সব গুছিয়ে দিচ্ছি।

-আপু আমার জন্য কি আনবে?( দোহা)

– কি লাগবে আমার আপুটার?

– আমার জন্য খুব সুন্দর একটা ওড়না আনবে। ( দোহা)

– আচ্ছা ঠিক আছে আনবো।

ছোয়ার আম্মু ব্যাগ গুছিয়ে দিলো,কাল সকালে বাস তাই ছোয়া খেয়ে,দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

 

সকালে মিম এসেছে ছোয়াকে নিতে,

– আম্মু আসি তাইলে,

– আচ্ছা মা সাবধানে যাস, মিম মা ওকে একটু দেখো।

– আন্টি চিন্তা করবেন না,আমরা সবাই সবসময় একসাথেই থাকবো।

– আচ্ছা আম্মু তুমি চিন্তা করোনা তো, আমি নিজের খেয়াল রাখবো।

– আপু আমার জন্য আনবা কিন্তু।

– ওকে মাই সুইটি উম্মম্মমা, আনবো। এখন আসি?

– আচ্ছা বের হয়ে পর মা( ছোয়ার মা)

তারপর ছোয়া আর মা বের হয়ে গেলো , বাসে উঠতে যাবে তখনি।

– ছোয়া মিম, (স্যার)

– ইয়েস স্যার?

– তোমরা পেছনেত বাসে যাবে, ওটাতে ওভারলোড হয়ে গিয়েছে,

– কিন্তু স্যার আমাদের সব ফ্রেন্ড রা তোহ ওখানে।

– কিছু করার নেই, যেয়ে দেখো কেও নিজের ইচ্ছায় সিট ছাড়বে কিনা, ছাড়লে বসতে পারো।

ছোয়া বাসে উঠে সব সিট দেখলো, তারপর একটা মেয়েকে দেখলো,

– আরে রোদেলা?

– ছোয়া আপু কেমন আছো?

– ভালো তুমি কেমন আছো? তুমিও যাচ্ছ নাকি?

– হুম আপু,

– রাদি তুই একটা অন্য সিটে যেয়ে বস দোস্ত প্লিজ( রোদেলা তার ফ্রেন্ডকে বললো)

রোদেলার ফ্রেন্ড অন্য সিটে গেলো।

– আপু বসো!

– অনেক ধন্যবাদ, আপু। তারপর কি অবস্থা তোমার?

– ভালো আপু,তুমি এখন বাসায় আসোনা,

– হুম তেমন কোথাও যাওয়া হয়না।

ছোয়া আর রোদেলা কথা বলছে, এত মাঝেই বাসে আরেকজন উঠলো, যার দিকে সব মেয়েরা হা করে তাকিয়ে আছে।

– ছোয়া আপু তুমি বসো, আমি আমার ফ্রেন্ড এর কাছে যেয়ে বসি।

– আচ্ছা যাও। ছোয়া মিমকে খুজছে,

মেয়েটা কথায় গেলো? আর এদিক, ওদিক তাকাচ্ছে।

হঠাৎ কেও এসে ছোয়ার পাশে বসলো,

– ভাইয়া আপনি? ( অবাক হয়ে)

– আরে তুমি? ( ভান করে)

– হ্যা আমাদের পিকনিক তাই আমি কিন্তু আপনি কিভাবে?

– আসলে তোমাদের একটা টুরিস্ট গাইড লাগতো,আর আমি খাগড়াছড়ি অনেকবার গিয়েছি প্রিন্সিপাল আংকেল আমার ফ্রেন্ড এর চাচা, তাই ফ্রেন্ড আমাকে যেতে বললো তাই যাচ্ছি।

– ওহহ, আচ্ছা ভালোই হলো।

– কেনো????

– এইযে পরিচিত একজন টুরিস্ট গাইড পেলাম( হাহাহা)

– হুম তাই,

এর মাঝেই সবাই গান ধরলো, একে একে সবাই গান গাইছে।

রুদ্র চুপ করে সবার গান শুনছে,

– আরে ভাইয়া আমরা সবাই গান করছি আপনি চুপ করে বসে আছেন।

– আসলে।

– কোনো আসলে না,এই সবাই চুপ এখন ভাইয়া আমাদের একটা গান শুনাবে।

সবার জোরাজোরি আর অনুরোধে রুদ্র গান গাইতে শুরু করলো,

টাল-মাটাল, মনটা কিছু তোমায় বলতে চায়।

বেসামাল, ভাবনাগুলো তোমায় ছুতে চায়।

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়,

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়,

না লেখা চিঠিগুলো মন পাহারায়।

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়,

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়।

রাত দিন চেনা তুমি ছিলে অচেনা

অন্তহীন মনে ছিলো মিষ্টি যন্ত্রণা।

সেই ব্যাথা উঠলো সেরে,চোখেরই চাওয়ায়।

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়,

আমি শুধু চেয়েছি তোমায়।

চোখ বন্ধ করে গান গাইছিলো রুদ্র

ছোয়ার কথা ভেবেই গানের প্রতিটা কথা সে অনুভব করছিলো, আর রুদ্রের ঠোটেত কোনে ছিলো একটা মিষ্টি হাসি।

সবার হাততালির শব্দে চোখ খুললো রুদ্র।

– বাহ ভাই অনেক ভালো গান করেন আপনি আমাদের ভাবি অনেক লাকি, হাসবেন্ড প্লাস গায়ক পাবে।

– আরে তেমন কিছু না না যাস্ট।

– ভাইয়া, এতো ভালো গান করতে পাড়েন, আপনাকে দেখে মনে হয়না। ( ছোয়া)

– তাহলে কি মনে হয় দেখে??

– (মুচকি হাসি দিয়ে) জানিনা( বলেই জানালা দিয়ে বাহিরে তাকায় ছোয়া।

বাতাসে বার, বার ছোয়ার চুল এসে পড়ছে রুদ্রের মুখে এক আলাদা অনুভূতি হচ্ছে রুদ্রর,মাতাল করা টাইপের অনুভূতি।

– হঠাৎ ছোয়া চুল গুলো রাবার ব্যান্ড দিয়ে বেধে ফেললো।

 

আর রুদ্রের মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো, কারন ছোয়ার চুল গুলো তো তাকে আলাদা একটা শুখ দিচ্ছিলো, যে শুখের সন্ধ্যান কখনো করেনি রুদ্র, কিন্তু ঠিকই সে সুখ আজ ধরা দিয়েছে তার কাছে, কিন্তু ছোয়া এটা কি করলো, চুল গুলো বেধে ফেললো, ইচ্ছা করছে ছোয়া চুল গুলো খুলে দিতে, কিন্তু তা তো সম্ভব না,,,মন খারাপ করে কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ছোয়াকে দেখছে রুদ্র।

রুদ্রের কাধে ঘুমিয়ে পড়েছে ছোয়া,কখন ঘুমিয়ে পড়লো সে নিজেও জানে না, ভাগ্য ভালো এই বাসে কোনো স্যার, ম্যাম নেই নইলে যে কি হতো,

আর রুদ্র ছোয়াকে দেখছে মন ভরে,

 

চোখ খুলেই ছোয়া দেখলো সে রুদ্রের কাধে শুয়ে ছিলো নিজেকে সামলাতে, সামলাতে

– ভাইয়া আসলে আমি যে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেও জানি না,সরি ভাইয়া।

– আরে তাতে হয়েছে,এতো দূরের পথ ইটস ওকে।

এই সবাই নাস্তা করে নাও সামনে গাড়ি থামাবে,

 

বর্তমান,,

– ছোয়া ফ্রেস হয়ে বের হলো,

– ছোয়া আমার কোন শার্ট টা পরি বলোতো?

– আমার কাছে কেনো জানতে চাচ্ছেন? আমি কি জানি?

– তুমি না জানলে কে জানে জান? আমার বউ তুমি, তুমি আমার সবকিছু ঠিক করে দিবে। আমি কোন জামা পড়বো, কোম জুতো পড়বো, কোন আন্ডারওয়ার পড়বো সব।

– ছি আপনার মুখে কি কিছু আটকায় না?

– কেনো,কেনো? বউয়ের সামনে বলতে আটকাবে কেনো?

– বউ, বউ করবেন না,অস্যহ লাগে।

– ওকে জান,জান করবো ভালো লাগবে ( বলেই চোখ টিপ মেরব,ডেভিল টাইপ হাসি দিয়ে রুদ্র বাথরুমে ঢুকলো।

ফ্রেস হয়ে বের হয়ে রুদ্র যা দেখলো তা দেখে জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো কারন তার সামনে, ছোয়া শাড়ি পড়ছে ঝুকে শাড়ি পরার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছেনা,

আর ছোয়ার, বুকের আচলটাও পরে গিয়েছে,

রুদ্র দাড়িয়ে আছে,

– আর কতো মাতাল করবে এই মেয়েটা আমাকে?

চলবে,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *