পাথরের বুকে ফুল

পাথরের বুকে ফুল !! Part- 02

আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে অরিএান। পিঠের দাগুলো দেখছে আর ঠোঁট বাকিয়ে টেড়ি স্মাইল দিচ্ছে। সাওয়ার নিয়েছে সকালে তাই চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। তবে সেদিকে তার মনোযোগ নাই।সে তার দাগ নিয়ে পরে আছে। ভাবছে মেয়েটার সাহস তার ভাবনার চাইতেও এক ইন্ছি বেশি।তবে ততে কি।এসব মেয়েদের সে ভাল করেই হেন্ডেল করতে পারে।কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কালো শার্টি গায়ে জড়িয়ে নেয়।তারপর তৌইরি হয়ে নেয়। আজ তার একটা পার্টি রয়েছে।সাধারণত পার্টি রাতে হয় তবে আজ দিনে হবে কারন সে আজ রাতে আমেরিকা উর্দ্দেশ্যে যাবে।তাই কালকের যে ডিলটা হয়েছে তার পার্টি আজই দিবে।
:
:
:
অরিএানের গাড়ি একটা বড় কটেজে এসে থামলো।সে গাড়ি থেকে নামতে দেড়ি কিন্তু মডিয়া তার পিছনে পড়তে দেড়ি হয় নায়।অরিএান বিরক্তি নিয়ে তার বডি গার্ডসদের দিকে তাকায়।সাথে সাথে তার ছয় গার্ডস সবাইকে সরিয়ে রাস্তা ক্লিয়ার করে দেয় আর অরিএান তার বাম চোখে পরে থাকা তর্কি কার্ট চুলগুলো ডান হাত দিয়ে সরিয়ে হেটে চলে যায়। সাথে তার পার্সোনাল দুই গার্ডসও।এই সব কিছুই মাদৌলি উপর থেকে দেখ ছিলো।অরিএানের সব কিছুই তাকে ঘায়েল করে।তার এটাটিউড,তার পার্সোনালিটি,তার স্টাইল,সবই মাদৌলিকে পাগল করে তুলে। তার উপর আজ অরিএান নিজেকে কালোতে সোজ্জাইত করেছে।ভিতরে ডুকতেই মেয়েদের চোখ আটকে যায় তার উপরে।সবইতো এখনি বেহুশ হবে মনে হয়।অরিএানকে সবাই স্বাগতম জানায়।তারপর যে যার মত পার্টি ইন্জয় করতে শুরু করে তারা যানে অরিএান ভীর একদম পছন্দ করে না। সে একা থাতেই পছন্দ করে।আর সবার কাছে অরিএানের পছন্দই সব।অরিএান স্যাম্পনের গ্লাস হাতে সামনের সুইমিংপুলের পাশে দাড়ায়।এদিকটা এক প্রকার নীড়িবিলি। চারিপাশে এই দিনেও লাইটিং এর জন্য রাত মনে হচ্ছে। কেউ বলবেনা এখন দুপুর দুইটা বাজে।তেবে সূর্যের কিরন পুলের উপরে পরছে এটা বাদে আর কোনো ভাবে দিনের বেপার বুঝা মশকিল।এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ অরিএান কিছুর সাথে ধাক্কা খায়।আসলে অরিএান না ওই কিছুটাই ওর সাথে ধাক্কা খায়।ধাক্কাটা জড়ে পরলেও অরিএানের বডির কাছে কিছু না।কিন্তু কার এতো সাহস তাকে ধাক্কা দেয় এটা ভেবেই অরিএানের মাথা গরম।তাই রেগে সামনে তাকাতে তাকাতে বলতে লাগে…….
:
:
:
what the hell are you??
:
:
বলেই তাকাতেই সে স্তব্ধিত।অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সামনে থাকা ব্যক্তি দিকে।হে এক ব্যক্তিই তাকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে এটা যে সুধু ব্যক্তি তা নয় রীতিমতো এক মেয়ে।যাকে দেখতে এখন হুরের চাইতেও সুন্দর মনে হচ্ছে না অরিএানের কাছে।সে মনে মনে ভাবছে………
:
:
মেয়েরা সুন্দর হয় এটা তার যানা আছে।এনিয়ে তো কম মেয়ের সাথের রাত কাটাইয় নি সে। তাই মেয়েদের সুন্দোর্য্য সম্পর্কে তার চাইতে তো ভাল খুব কম মানুষই যানবে।তবে এ কে?? একি মেয়ে নাকি রুপকথার পরী।দেখেতো সাধারণ মেয়ে মনে হয় না।তবে কি তার মতো ভয়ংকর প্রানিকে যব্দ করতে এবার হুরপরী এলো??বেপারটা ভাবার বিষয়।তবে এখন সে ভাবতে পাড়ছেনা। সে তো তার সামনে আগত হুরপরীকে দেখতে বেস্ত।গাড়ো লালা গোরা গায়ের রং মনে হচ্ছে,চোখগুলোতে হালকা আকাশি আর গাড়ো নীলের মিক্সরোনের দুটি জোতি রয়েছে। কি অসাধারন চোখ।যা পৃথিবীতে খুব রেয়ার।খুব কম মানুষেরই এমন চোখ হয়।তবে অরিএান এ প্রথম দেখেছে এমন চোখ।চোখের পাপড়ি গুলো প্রচুর ঘন।মনে হবে আলাদা আইলেস লাগিয়েছে, চৌখা নাক,লাল টকটকে দুটি ঠোঁট।গাল দুটি,নাকের গুড়া,আর জামির নিচে স্টোব্যারির মত লাল।সাদা সিল্কের জামার সাথে সাদা জর্জেট হিজাব।মোটা ভ্রু গুলো কুঁচকে আছে বিরক্তি নিয়ে কারন মেয়েটির সম্পূর্ণ গায়ে ফেরি লাইট আটলা পরে আছে।যা খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করে সে বারবার পরাজিত হচ্ছে। চেহারাটা দেখেয়ে বুজা যাচ্ছে আর একটু হলেই কেঁদে দিবে।মুখশ্রী লাল আভায় আবৃত হয়ে আছে।তার উপর ফেরি লাইটের কারনে মনে হচ্ছে হিরে ঝরছে গা থেকে।কেমন আদ্ভুত মাতালোতা কাজ করছে অরিএানের তা সে নিজও বুঝতে পারছেনা।মেয়েটার কথায় অরিএান তার ভাবনার জগৎ থেকে বাহিরে আসে…………….
:
:
:
এই যে পোলা একটু খুলতে সাহায্য করেন। কি হাবার মত তাকিয়ে আছেন তো আছেনই।(বিরক্তি মার্কা মুখ করে বলো)
:
:
অরিএানতো অবাক তাও নিজের উপর কারন সে তো কখনো কোনো মেয়েকে এত গবেষনা করে দেখার মানুষ না।তাহলে এই মেয়ের থেকে চোখ কেনো সরাতে পাড়ছেনা। কেনো,why,how, কিউ,ক্যাসে,কিছুই তার মাথায় ডুকছেনা।কিভাবে ডুকবে তার সমস্ত জুড়ে মেয়েটার চিন্তা ঘুরছে। ভাবনার মঝে আবার মেয়েটা বলে উঠে……………………….
:
:
:
ওয়াসেনাত :আরে আপনি কি কানে শুনেন না,বোবাও নাকি।(কিছুক্ষণ অরিএানকে দেখে বলে উঠে…)আহারে লাট সাহেব টাইপের হিরো হিরো দেখতে হলে কি হবে বেচারা বোবা সাথে বয়রাও।ভাবা যায়। আল্লা কখন করে কি করে কে যানে(দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করে এবার আর মুখে না হাত দিয়ে ইশারা করে বেচারি মনে করছে আমাদের হিরো সত্যি বোবা😂😂)
:
:
মেয়েটার হাত নাচানাচি দেখে অরিএানের রাগ হওয়ার কথা তবে কেনো যে তার রাগ উঠছে না তা তার অজানা।এবার সে নিজের উপরই বিরক্ত। কারন তার এখনকার কার্যকলাপ তার আসল ক্যারেক্টারের সাথে যায় না।যেখানে কেউ তার সাথে ভয়ে কথা বলতে চায়না আর এত যা মুখে আসছে তাই বলছে।আর আবাক করা বেপার ও কিছুই বলছেনা মেয়েটাকে।না এবার বলতে হবে বলেই বলে উঠে………….
:
:
:
অরিএান :what ravishe?who are you???you know who am i??
:
:
:
ওয়াসেনাত :ওরে আল্লা বেটা বোবা না। এই তাইলে আপনি না আপনারে আপনি বলমু না তুই কমু। আচ্ছা বজ্জাত লোক তো তুই। একটা মেয়ে তোর কাছে help চাইছে আর তুই বোবা সেজে বসে আছস।তোরে তো পরে দেখে নিমু।আগে আমারে এগুলো থেকে ছাড়া।আর কি যেনো বলছিলি আমি তোরে চিনি কিনা।আরে আমি তোরে কেন ছিনতে যামু। বরং তুই আমারে চিন। আমি ওয়াসেনাত জাহান হায়াত। ওয়েডিং প্লেনার বুঝতে পারছেন। এবার খুলতে সাহায্য করুন তাড়াতাড়ি। আর আম sorry তুই বলছি আসলে রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকে না।আর তুই যানোস আমি টানা ১ঘন্টা এখানে আটকা পরে আছি। আধা ঘন্টা তো তোর মানে sorry 🙄আবার তুই বলে পেলেছি। আপনারে help এর জন্য বলছি কিন্তু আপনিত ভাবনার দুনিয়ায় আছেন তো আছেনই।😐😐আচ্ছা সব বাদদেন আমর এগুলো খলেননননন plzzz(ফেরি লাইট গুলো টানাটানি করতে করতে বললো)
:
:
:
অরিএান জাস্ট হতবাগ। এটা কেমন মেয়েরে বাবা।পাগল নাতো।আর আমাকে চিনে না। অরিএান খান কে চিনে না।এমন মেয়ে এই শহরে আছে তা অরিএানের যানা ছিলোনা। সে রাগী লুকে তাকাতেই ওয়াসেনাত বলে উঠে……….
:
:
ওয়াসেনাত:ভাই তাড়াতাড়ি খুলতে সাহায্য করেন। নাইলে ওই কি যেনো নাম 🤔🤔আরে যে পার্টিটা দিয়েছ 🤔🤔ওওও মনে পড়েছে অরিএান না পরিএান সে আমার চাকরি নট করিয়ে ছাড়বে শুনেছি হালা না মানে 🙄বজ্জাতটা নাকি হেব্বি রাগী,সিংহের মত হিংস্র। যাই হক আসল কাথা কি যানেন শালা আবাল।আমার তো আবার গরুও মনে হয়। কি দেখে যে মাইয়ারা cursed খায় কে যানে। মাইয়ারা নাকি পাগল তার জন্য। আমার কি মনে হয় যানেন। ওই বিলাই বুড়া হই বো।টাকার লাইগা মাইয়ারা ফিদা ইতার জন্যে না। তবে আপনে কিন্তু খারাপ না দেখতে। যান এবার তারিফও করে দিয়েছি এবার help করেন(কথা গুলো বলার সময় একা বার ফিসফিস করে বলছে তো একবার জোড়ে জোরে বলছে।অরিএানের নামের গুলো ফিসফিস করে বলেছে যাতে কেউ না শুনে)
:
:
অরিএান এবার কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছ না। নিজের অজাতেই সে ওয়াসেনাতের কোমরে হাত দিয়ে টেনে তার কছে নিয়ে আসে। ওয়াসেনাতো এবার ভয় পেয়ে যায়। তাই ছাড়াতে চায়।তবে পারে না।কিছু বলতে যাবে তাকে বলতে না দিয়ে তার নরম ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে বলে………..
:
:
:
অরিএান :তুমি কি অরিএান কে দেখেছ কখনো??সে কিন্তু সত্যিই সিংহের মত।ভাবোও যদি তোমার কাথা গুলো শুনে কি হবে।(ঠোঁটে নিজের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে করতে)
:
:
ওয়াসেনাত :এই আআপননি এমন করছেন কেনো। দুরে যান।আর ওই পরিএান কে আমি ভয় পাইনা(অরিএানের হাত সরাতে সরাতে ভাবনিয়ে বল্লো)
:
:
অরিএান :দূরে যাবো কেনো আমি তো তোমাকে হেল্প করছি।so এখানে এভাবে দাড়াও।একদম মচরামুচরি করবা না।(হুংকারের সাথে বলে উঠে আর ওয়াসেনাতের গা থেকে তারগুলো খুলতে লাগে)
:
:
ওয়াসেনাত আর কথা বরালো না তাই ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।অরিএান তারগুলো খুলছে আর ওয়াসেনাতকে দেখছে।ওয়াসেনাতের আবস্থা দেখে কেনো যেনো তার খুব হাসি পাছে।তারপরও তা চেপে রেখেছে।
:
:
তাদের এভাবে আরও দুজন দেখছে। একজন আবাক হচ্ছে আর একজন হিংস্র হায়নার মতো ফুলছে। রিমন অরিএানের এই রুপ দেখে রীতিমত শিহরিত বিমোহিত। সে আবাক চরম ভাবে।আজ 10 বছরের বন্ধুতে সে আজ নতুন অরিএানকে নিজের সামনে দেখছে।প্রথম থেকে সব দেখেছে সে।কোথায় ভেবেছে এই মেয়ের বকবক শুনে তাকে অরিএান শুট করবে তা না করে চুপ তো ছিলো ছিলো তার উপর হালকা পাতলা রোম্যান্সও করেছে। আবার সাহায্য করছে ভাবা যায়। যে ছেলে রাতে বেড পাটনার ছাড়া কখনো মেয়ে দের দিকে তাকায় না সে কিনা। না আর ভাবতে পারছে না রিমন।তার মাথা হ্যাঙ্গ লাগছে।তহলে কি তার হিংস্র, ভয়ংকর, দায়া মায়া বিহিন বন্ধুর জীবনে নতুন সূর্যের উদয় হবে নাকি কালো মেঘে ডাকা থাকবে………………………………………….💓

:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *