2. ছোট গল্প গুলোঃঅন্য অন্য লেখকবউ রাণী

বউ রাণী ! পর্ব–০১ থেকে – 5 শেষ

আপনাকে মিষ্টি খাওয়াইছে বলে
আপনার বাচ্ছা হবে কিন্তু ওনি তো
আমাকে রোজ মিষ্টি খাওয়াই তাহলে
আমার বাচ্ছা হয়না কেন? আচ্ছা ভাবি
ভাইয়া আপনাকে কেমন করে মিষ্টি
খাওয়াই আমাকে একটু বলবেন তাহলে
আমিও ওনার কাছ থেকে ঐ রকম করে
মিষ্টি খাবো। (সোনালী)
ভাবি:- সোনালী এইটা মিষ্টি হবেনা
বলবে কিস, আর কিস করলে বাচ্ছা হয়
নাকি বাচ্ছা নিতে গেলে অনেক কিছু
করতে হয় যা এখনো তোমার বুঝার মত
জ্ঞান হয়নি।
সোনালী:- তাহলে বলেন ভাবি কি
করলে বাচ্ছা হবে আমি তাই করবো।
ভাবি:- ঠিক আছে তবে তুমি কাওকে
বলবেনা আমি তোমাকে শিখাই
দিয়েছি।
সোনালী:- না না কাওকে বলবোনা এখন
আপনি বলেন কি করলে বাচ্ছা হবে।
ভাবি:- তাহলে শোন, সোনালীর কানের
কাছে গিয়ে ভাবি কি যেন বলছে তা
আমি দূর থেকে শোনিনি তবে এইটা
রাতে আমার উপর প্রবাব পরবে আমি
শিউর।
সোনালী:- ভাবি আপনি যেইটা করতে
বলছেন আমি তো সেইটা রোজ করি
তাহলে বাচ্ছা হয়না কেন। আর ওনি তো
আমাকে বুকের উপর নিয়ে ঘুমায়।
সোনালীর কথা শোনে আব্বু আর আম্মু এখন
আগের মত দৌর দেয়না কিছু দিন ধরে তবে
আজকে ঠিকই দৌর দিয়েছে। আমি শিড়ি
দিয়ে নামতেছি আর সোনালীর কথা গুলা
শোনতেছি তবে এখন আর আগের মত
নিজের কাছেও লজ্জা করেনা কিন্তু
সোনালীকে ভাবি কি বলছে যেইটা
আমি আর সোনালী রোজ করি।
আমি:- সোনালী তাহলে তুমি আবার শুরু
করে দিয়েছো বোকামি কথা বাত্রা।
তোমাকে আমি কত বার বলছি এমন কোন
কথা না বলতে যেইটা তুমি আমি একা
একা রুমে কি করি।
সোনালী:- আমার একটা বাচ্ছা লাগবে।
আমি:- নিজেকে নিজে কন্ট্রোল করতে
পারোনা আবার বাচ্ছা লাগবে, বাচ্ছা
নিয়ে তুমি কি করবে?
সোনালী:- ভাবি বলছে একটা বাচ্ছা হলে
আপনি আর আমাকে একা আমাদের
বাড়ীতে রেখে আসতে পারবেন না তাই
বলছে এই কিছু দিনের মাঝে একটা বাচ্ছা
নিয়ে নিতাম।
আমি:- ঠিক আছে বাজার থেকে আব্বুকে
সাথে করে গিয়ে কিনে নিয়ে এসো
আমার কাজ আছে অফিসে গেলাম। যদি
মন চাই তাহলে দুপুরের খাবারটা নিয়ে
অফিসে এসো।
সোনালী:- আজকে খাবার নিয়ে অফিসে
যেতে পারবোনা আমি আব্বাজানকে
সাথে করে গিয়ে বাচ্ছা কিনে আনবো
বাজার থেকে। আপনি রাতে এসে
দেখবেন বাচ্ছাটা আপনাকে আব্বা
ঢাকবে।
আমি:- ঠিক আছে তাহলে আমি অফিসে
যাই কেমন উম্মা কপালে কিস করে দিয়ে
হাসতে হাসতে বেরিয়ে এসেছি
অফিসের জন্য মাঝ রাস্তায় এসেছি তখনি
আব্বুর ফোন রিসিব করতেই।
আব্বু:- কিরে তুই # বউ_রানীকে কি বলে
গেছিস বাজার থেকে বাচ্ছা কিনে
আনতে আমাকে সাথে নিয়ে গিয়ে।
আমি এখন বাচ্ছা পাবো কোথায়, এদিক
দিয়ে আমার আজ জরুলি একটা মিটিং
আছে আমি এখন বাচ্ছা পাবো কোথায়।
আমি:- আপনি ভালো জানেন আমি কি
করে বলবো আপনি বাচ্ছা পাবেন কোথায়!
আমার কাজ আছে তাই আপনার নাম বলে
কেটে পরেছি এখন আপনি কি করে বের
হবেন সেইটা আপনার ব্যাপার।
আব্বু:- মা # বউ_রানী বাচ্ছা কিনতে
পাওয়া যায়না এইটা হয় যেমন তোমার এই
ভাবির হবে ঠিক তোমারও হবে। আব্বু
লাওড স্পিকার দিয়ে রাখছে আমি কথা
গুলা শোনতেছি।
সোনালী:- ভাবিকে ভাইয়া মিষ্টি
খাওয়াইছে তাই হয়ছে কিন্তু ওনি তো
আমাকে রোজ মিষ্টি খাওয়াই তাও হয়না
কেন। ওনি যে মিষ্টি খাওয়াই তা তো
আপনারা সবাই দেখছেন তাইনা।
আব্বু:- এইটা অন্য রকম ভাবে হয় সোহরাব
আসলে তুমি ওর কাছে জিজ্ঞেস করো
কেমন।
সোনালী:- ভাবি বলছে ওনার বুকের উপর
শুয়ে ঠোটে কিস করলে হবে কিন্তু আমি
তো রোজ ওনার বুকের উপর শুয়ে কিস করি
আর সাড়া রাত ঘুমিয়ে থাকি তাও তো
আমার বাচ্ছা হয়না।
আব্বু:- মাত্র তো কিছু দিন হলো তোমাদের
বিয়ের বয়স আরো কিছু দিন যাক এর পর
বাচ্ছা হবে।
সোনালী:- হ্যা কিন্তু বাচ্ছা হওয়ার কোন
লক্ষন তো আমার হচ্ছেনা ভমি করিনি
যদি ভমি করতাম তাহলে বুঝতাম লক্ষন
হয়ছে বাচ্ছা হওয়ার।
আব্বু:- এক কাজ করো তাহলে সোহরাবকে
সাথে করে তুমি আজ ডাক্তারের সাথে
দেখা করে এই বাচ্ছার ব্যাপারে আলাপ
করিও কেমন আমার এখন অনেক কাজ আমি
যাই।
সোনালী:- আমি আপনাকে যেতে দিবনা
যদি আমাকে বাচ্ছা বাজার থেকে কিনে
না দেন।
আব্বু:- সোহরাব তোমাকে মিথ্যা কথা
বলে বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে তুমি
দুপুরে খাবার নিয়ে গিয়ে ওকে সাথে
করে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বাচ্ছার
জন্য আলাপ করবে। আমি ফোনে ওদের সব
কথা শোনতেছি আর হাসতেছি যাক আব্বু
আজকে ভালোই ফেসেছে ফোনটা কেটে
দিয়ে অফিসের ভীতরে গেলাম। অফিসে
বসে কাজ করতেছি আর আব্বুর জন্য হাসি
পাইতেছে আজকে ভালো করে
ফেসেছে। বুন্ধুত্ত মুজবুত করবে এখন করেন
মুজবুত হি হি হি, কাজ করতে করকে কখন
সকাল থেকে দুপুর হয়ে গেছে ঠিক মনে
নেই। সোনালী আজকে বাচ্ছার ফিকির
করতেছে আমার খাবার নিয়ে আজকে
আসবেনা। দেখি আব্বুকে একটা ফোন করে
কি অবস্থা আব্বুর রিং হতেই কিছুক্ষন পর
রিসিব করে আমাকে বলে,,
আব্বু:- আজকে তোর জন্য আমার মিটিং
বাতিল করতে হয়ছে এখন আবার ফোন করে
মজা নিতে আয়ছো তাইনা।
আমি:- বাচ্ছা বাজার থেকে কিনে
দিয়েছেন বলে হাসি হি হি হি।
আব্বু:- ঢাকা শহরের সব বাজার আমাকে
নিয়ে ঘুরতেছে বাচ্ছার জন্য এখন মনে হয়
কান্না করবে। একটা উপাই বের করে দে
বাপ আর পারছিনা।
আমি:- ঠিক আছে আপনি সোনালীকে
ফোনটা দেন আমি বলে দেয়। আব্বু
সোনালীর কাছে ফোন ধরিয়ে দিয়েছে।
সোনালী:- হ্যা বলেন।
আমি:- মন খারাপ বাচ্ছার জন্য?
সোনালী:- অনেক।
আমি:- ঠিক আছে আমি রাতে এসে
তোমাকে বাচ্ছা দিব আর বাচ্ছা
বাজারে কিনতে পাওয়া যায়না। এইটা
বউ আর স্বামি মিলে নিয়ে আসে তুমি
একা পারবেনা আনতে আমি আর তুমি
নিয়ে আসবো। এখন আব্বুকে কষ্ট না দিয়ে
তুমি বাসায় চলে যাও কেমন।
সোনালী:- ঠিক আছে তাহলে আমি এখন
অফিসে আসি রাতে দুজনে বাচ্ছা সাথে
করে বাসায় যাবো।
আমি:- ঠিক আছে এসো এখন ফোনটা রাখি,
সোনালীর হঠাত করে বাচ্ছার ভুত মাথায়
চাপিয়ে দিয়েছে ওর ভাবি কেন জানি
ওনি এই কাজটা করতে গেলো। আবার
কাজে মন দিলাম কাজ করতেছি এমনি
সোনালী এসে হাজির।
সোনালী:- চলেন আমরা দুজনে গিয়ে
বাচ্ছা নিয়ে আসি।
আমি:- তোমার চোখের এই অবস্থা কেন
কাজল গুলা সব নষ্ট করে ফেলছো এসো
আমার সাথে সোনালীকে সাথে নিয়ে
ওয়াশ রুম থেকে ফ্রেস করিয়ে আনলাম।
সোনালী:- একটা কথা বলবো?
আমি:- হ্যা বলো কি বলবে?
সোনালী:- আমার না খোব খিদা লাগছে
চলেন না আমরা গিয়ে কিছু খেয়ে তারপর
বাচ্ছা কিনতে যাবো।
আমি:- তুমি কিছু খাওনি, ঠিক আছে চলো
সোনালীকে সাথে করে অফিস থেকে
বেড়িয়ে পরলাম দুজনে গিয়ে একটা
রেস্টুরেন্ট গেলাম। টেবিলে বসে খাবার
অডার করেছি যখন তখনি সোনালী এমন এক
কথা বলছে সবাই আমার দিকে হা হয়ে
তাকিয়ে আছে।

চলবে,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *