1. নতুন গল্পঃ২য় প্রেম ( 2nd Love )3. রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প গুলোঃলেখাঃ ফারজানা আক্তার মিথিলা

২য় প্রেম ( 2nd Love ) লেখাঃ ফারজানা আক্তার মিথিলা

আজ ৮বছর পর মিহি বাংলাদেশ যাচ্ছে। এই ৮বছর সে তার ছোট মামার কাছে লন্ডন এ ছিল নিজের পড়াশোনা জন্য আর নিজের অতীত ভোলার জন্য কিন্তু কিছু অতীত কখন ভোলা যাই না।মিহি এখন একজন উকিল ।মিহি এখন প্লেনে বসে অপেক্ষা করছে তার প্রিয় মানষ গুলকে দেখার জন্য আর কিছু ক্ষন পর প্লেন লান্ড করবে এয়ারপোর্ট এ ।অহ আপনাদের পরিচয় দেয়া হইনি প্লেন লান্ড করতে করতে পরিচয় টা দিয়ে দেই।

(বিঃ দ্রঃ “২য় প্রেম ( 2nd Love ) লেখাঃ ফারজানা আক্তার মিথিলা” গল্পের সবগুলো পর্ব একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন)

এই হচ্ছে ফাইজা তাসনিম মিহি লন্ডন থেকে পড়ালেখা শেষ করে আজ দেশ এ ফেরছে।দেশে তার আপন বলতে মামা,মামি ভাইয়া , কাজিনরা আর নানু আসে।তার মা বাবা মারা যাওয়ার পর মামার কাছে থাকত মিহি আর তার বড় ভাই আমান।তার বড় ভাই পেশাই একজন ডক্টর তার উয়াফ ও ডক্টর ।এখন এতটুক বল্লাম পরে আস্তে আস্তে সব জানতে পারবেন।মিহি এসে গেছে বাংলাদেশ এ প্লেন থেকে নেমে ফর্মালিটি শেষ করে বাইরে এসে দেখে সবাই চোখে পানি নিয়ে দারিয়ে আসে তাকে দেখে তার বড় ভাই গিয়ে জরিয়ে ধরলেন মিহিও আকড়ে ধরল তার ভাইকে ভাইয়া কাদছে মিহি ও কাদছে এই ভাবে ৮বছর আগে সবাই কে কাদিয়ে চলে গেছিল লন্ডন আজ আবার সবাই কাদছে কিন্তু আজ কেও কস্টের জন্য কাদছে না এটা খুশির কান্না মিহি সবার সাথে কথা বলেও তার চোখ একজন কে খুজছে কিন্তু আসেনি দেখে মিহির মন খারাপ হয়ে গেল বড় মামা: এইখানে কি দারিয়ে থাকবি তোরা?
বড় মা( মিহির বড় মামি): বাসাই জেয়ে যত খুশি গল্প করিস এখন বাসাই চল।
ভাইয়া বলল হা চল। বড় রা একটা গাড়িতে উঠল আর ভাই বোন রা অন্য গাড়িতে উঠল মিহি জানালার পাশে বসল গাড়ি চলতে শুরু করছে নিজ গতিতে আমান ভাইয়া ড্রাইভ করছে পাশে ভাবি আর আরফান মানে মিহির ভাইপো তার পিছনে মিহি ইশিকা,নিশু আপু আর আপুর মেয়ে মানহা একদম পিছনে অয়ন ভাইয়া নয়ন আর নিশু আপুর হাসবেন্ড
মিহি জানালা দিয়ে রাস্তা দেখেছে। এই রাস্তা দিয়ে কত মজা করেছে সে এই রাস্তা এই প্রিয় মানুষ এর সাথে শেষ দেখা হইছে রাস্তার কথা ভাবতে ভাবতে বাড়ি চলে এসেছে বাড়ি দিকে তাকিয়ে দেখে এখন ও আগের মতই গেটের পাশে বড় করে লেখা মির্জা বাড়ি গাড়ি বাড়ির ভিতরে ধুকে গেল সবাই নেমে ভিতর এর দিক এ গেল মিহি নেমে দারিয়ে আসে বাড়ি টাকে দেখছে কিছু বদলাইনি বাড়ি টার ঠিক আগের মতই আসে শুধু বদলে গেছে মিহির জিবন। মিহি বাগানের দিকে তাকিয়ে পা বাড়াতে গেল দোলনার দিকে তখনি ভাবি এসে তাকে বাসায় ধুকতে বলল সে কিছু বলতে গিয়েও বলল না ভাবির সাথে
বাসার ভিতরে ধুকে মিহি চমকে গেল ফ্লোরে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে দিয়ে লেখা ওয়েলকাম স্লিপ এনজেল মিহি ফ্লোরে পা দিতেয় তার উপর গেন্দা আর গোলাপের পাপড়ি পরল সবাই চিতকার দিয়ে তাকে ওয়েল কাম যানাল হঠাত একজন এসে মিহি কে জড়িয়ে ধরে বলল আর কোথাও জেতে দেবনা তোমাকে মিহি তাকে আকড়ে ধরে বলল আর কোথাও যাবনা তোমাদের সেরে এর মধ্যে আরফান এসে বলল এবার তো ভিতর চল মিহি ভিতর এ গিয়ে লিভিং রুম এ বসল আর ছোট মামাকে কল দিয়ে বলল সে পোঁছে গেছে।
বড় মা:উপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে আই আমি খাবার দিচ্ছি।
মিহি: না বড় মা এখন খাব না তুমি এক কাপ কফি দাও
বড় মা: ঠিক আসে যা ফ্রেস হয়ে রেস্ট নে আমি কফি উপরে পাঠিয়ে দিছি
মিহি: ঠিক আসে বড় মা আমি উপরে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিচ্ছি।
মিহি উপরে গিয়ে ল্যাগেজ থেকে প্লাজু আর কুর্তি বের করে ওয়াসরুম এ ধুকল শাওয়ার নিতে।মিহি শাওয়ার নিতে থাক এই বাড়ি এর সবার পরিচয় দিয়ে দেয়।এটা মির্জা বাড়ি মিথিলা নানার বাসা এখানে মিহির বড় মামা,মেজ মামা,মামি নানু মিহির বড় ভাই,মিহির মামা তো ভাই বোন রা থাকে এই বাড়ি তে জয়েন ফ্যামিলির মানুষ এরা।বড় মামার ৩ছেলে মেয়ে,নিশু আপু,অয়ন ভাইয়া আর নয়ন। মেজো মামার ২ছেলে মেয়ে ইশান আর ইশিকা। ছোট মামা এক মেয়ে নিজুম সবাই নিজু বলে ডাকে এরা ।অয়ন ভাইয়া আর আমান ভাইয়া বিয়ে করছে আমান ভাইয়ার বউ এর নাম মিশ্মি আর তারা ২জন ডক্টর। অয়ন ভাইয়া পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা করে আর ভাবি নেহা হাউস ওয়াইফ।নিশু আপুর বিয়ে হয়ছে রবিন ভাইয়ার সাথে সে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি তে জব করে তাদের একমাত্র মেয়ে মানহা ।আমান আর মিশ্মি এর ছেলে আরফান এই মানুষ গুলকে নিয়েই মিহির পরিবার ।এখন এতটুক থাক বাকিটা আস্তে আস্তে জানবেন
মিহির শাওয়ার নিয়ে ওয়াসরুম থেকে বচুল মুছতে মুছতে বের হল আর একজন তো তাকে দেখতে বিজি কফি হাতে দাড়িয়ে মিহির দিকে তাকিয়ে আসে ইশান।
মিহি: ওই ভাবে কি দেখেছ প্রেম এ পরে যাবে তো( ফান করে বলে মিহি)
ইশান :…….
মনে মনে বলে অনেক আগেই প্রেম পরে গেছি তোমার নিজের অজান্তে কখন তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি বুজতে পারিনি জানিনা কখন তোমাকে বলতে পারব কিনা এটাও জানিনা তুমি আমাকে ভালবাসবে কিনা শুধু জানি তোমাকে খুব ভালবাসি
মিহি: ওই কি ভাব এত????
ইশান : কই কিছু না। কফি টা নেও ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে
মিহি মুচকি হেসে কফির মগ টা ইশান এর হাত থেকে নিল
মিহি: তুমি আমাকে একটা হেল্প করবে???
ইশান : হ্যা বল কি হেল্প করতে হবে
মিহি: ওই ব্লু ল্যাগেজ টা নিচে নিয়ে চল।
ইশান: ল্যাগেজ নিচে নিয়ে যাব কেন??
মিহি: উহ এত প্রশ্ন কর কেন বলছি তাই কর
ইশান : জো হুকুম মেরি সাহেবা
মিহি: পাগল। নিচে চল
ইশান : হুম্ম চল
মিহি আর ইশান নিচে নেমে দেখল সবাই লিভিং রুম এ বসে আসে
বড় মামা: কিরে ল্যাগেজ নিয়ে কই যাচ্ছিস তোরা
ইশান:বড় আব্বু আমি জানিনা মিহি বলল ল্যাগেজ নিচে আনতে ।ওর কাছে শোন কি করবে ও।
মিহি: উফফ !!!!
তোমাদের জন্য কিছু গিফট এনেছি তাই ল্যাগেজ টা আনতে বললাম ইশান ভাইয়াকে
মেজোমা: এগুল আনার কি দরকার ছিল হ্যা??
বড় মামা: মেয়ে আমার বড় হয়ে গেছে
মিহি বড় মামার কাধে হাত রেখে বলল হুম্ম বড় তো হয়েছি ২৫বসর হয়ে গেছে আমার আমি এখন উকিল হুম
বড় মামা: ওকে উকিল মামনি
মিহি : আচ্ছা এবার সবার গিফট সবাই কে দিয়ে দেই
একে একে সবাই কে তাদের গিফট দিল বাকি আসে জাস্ট ইশান
মিহি বলল ইশান ভাইয়া সরি তোমার জন্য কিছু আনতে মনে নেই
ইশান: আমার কিছু লাগবে না মিহি তুমি ফিরে এসেছ এটাই আমার গিফট
মিহি: থাক আর মন খারাপ করতে হবেনা এই নাও এটা তোমার গিফট একটা বক্স দিল ইশান এর হাতে ইশান মিহির হাত থেকে বক্স টা নিল আর বলল
চলবে?????

4 thoughts on “২য় প্রেম ( 2nd Love ) লেখাঃ ফারজানা আক্তার মিথিলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *