হিংস্র ভালোবাসা

হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 29

ঠিক আদঘন্টা পর আগুনের সামনে চেয়ারে হাত পা বাধা অবস্তায় বসে আছে রায়হান শিকদার আর আগুন রায়হানের ঠিক সোজাসুজি আর একটি চেয়ারে বসে হাতে গান নিয়ে আঙ্গুলের ফাকে ঘুড়িয়ে যাচ্ছে আগুন …….

— অফিসার মাথা তুলে আগুনের দিকে তাকাতে রায়হান একপ্রকার শক্ট হয়ে গেলো ……..আর আগুন অফিসারের মুখ দেখে হু হা হা করে হেসে উঠলো তা দেখে অফিসার রাগে কটমট করে বলে উঠলো ……… ….

— সালা হারামির*** তুই এই সবের নাটের গুরু ৷ আমারতো তোর উপর আগে সন্ধেহ ছিলো কিন্তু তা যে সত্যি হবে এটা ভাবতে পারি নি….(রায়হান)

আগুন অফিসারের মুখে গালি শুনে রাগ না করে উলটো এক পৌশাচিক হাসি দিয়ে অফিস্যারের মুখ চেপে ধরে আগুন দাতেঁ দাঁত চেপে বলে ….

— ইউ ব্লাডি ফুল কি ভেবে ছিলি আমার কাজে বাধা দিয়ে প্লান করে আমাকে এরেস্ট করে প্রমোশন নিবি হা তোর মতো চুনুপুটি কে এই আগুন এক মুহূর্তে পিশে ফেলতে পারে জানিস তো নাকি ..??(আগুন)

— তোর কি মনে হয় জানোয়ার আমাকে বন্দি করে রাখলে তোর সব কাজ পার্ফেক্টলি চলবে হু.!! আরেহ তোর প্লানে আমার জল ঢালতে দু মিনিট ও লাগবে না আমি তোর ডেরায় থেকে ও তোর সব প্লান ডিল ক্যান্সেল করতে আমাকে বাহিরে যেতে হবে না…….(অফিস্যার)

অফিস্যারের কথা শুনে আগুন একটু ঘাবড়ে যায় কারন এমন ভয়ঙ্কর পরিস্তিতে ও অফিস্যার যেভাবে স্ট্রংলি ওর কথার পালটা জবাব দিয়েছে তাতে মনে হয় ওকে যে কিডন্যাপ করা হবে এটা বেশ বুজতে পেরে কোন নতুন চাল চেলে এসেছে ……আগুনের ভাবনার ছেদ ঘটে অফিস্যারের অট্টহাসি আওয়াজে …..

— কি হলো মিস্টার খান এভাবে চমকে উঠলেন কেনো ..?? নিশ্চয় ভাবছো আমি এতো কন্ফিডেন্সলি কথা গুলো কি করে বললাম তাই তো….???(অফিস্যারের কথা শুনে আগুন তেরে অফিস্যারের কাছে যেয়ে অফিস্যারের বুক বরাবর একলাথি মারে অফিস্যার চেয়ার নিয়ে ছিটকে মাটিতে পরে যায়)

— মাদার**** তোর সাহস কি করে হয় আমার সাথে গেম খেলার তুই জানিস না আমি তোর সাথে ঠিক কি কি করতে পারি হুম …….(আগুন)

— এইটুকু তেই এই অবস্তা আর কিছুক্ষন পর যা ঘটবে তা কি করে হজম করবি তুই…(অফিস্যার)

আগুন কিছু বলতে যাবে ঠিক তখনি রিক দৌড়ে আসে….

— বস ,,,,,(রিক)

— কি হয়েছে এভাবে দৌড়ে আসলি ..?? (আগুন)

— বস আমাদের এখুনি এই জায়গা থেকে অন্য কোথাও শিফ্ট হতে হবে কারন আমার লোক রা মাত্র খবর দিলো পুলিশের পুরো ফোর্স আমাদের ডেরার দিকে এগিয়ে আসছে….(রিক)

রিকের কথা শুনে আগুনের বুজতে বাকি নেই অফিস্যারের কথার হেয়ালি গুলো , রাগে আগুনের মাথা টন টন করছে ইচ্ছে করছে অফিস্যার কে এখানে মেরে ফেলতে কিন্তু আগুন তা করবে না কারন আগুন অফিসার কে কঠিন একটা শিক্ষা দিতে চায় ৷ আগুন একটা ধারালো চাপাতি বের করে অফিস্যারের পা দুটো এক কোপে আলাদা করে দিলো …….

— কি অফিস্যার কেমন লাগছে এখন .?? না মানে কেমন ফিল করতেন পা দুটো হারিয়ে ..???

আগুন হাসতে হাসতে সেখান থেকে পুরো লোকজন নিয়ে বেরিয়ে যায় আর অফিস্যার সেখানে ছটপট করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে পরে থাকে……………
.
.
.
.
.
.
— আ’ম রেইলি সারপ্রাইজড জানপাখি৷ আমার বিশ্বাস হচ্ছে না তুমি স্বইচ্ছায় আমাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছো ৷ …..(মেঘ)

— মেঘ একটা কথা জনতে চাই তোমার কাছে সত্যি করে বলবে .??(ফারহা মেঘের কথা টোটালে ইগনোর করে পাল্টা প্রশ্ন করলো)

— অবশ্যই, আমি তোমাকে কখনো মিথ্যে বলি না জান তুমি যা জানতে চাও প্রশ্ন করো আমার জানা থাকলে সত্যি টাই তোমাকে বললো…..(মেঘ)

— এতোগুলো খুন তুমি কেনো করলে মেঘ …??(ফারহা)

ফারহার কথা শুনে মেঘ মৃদু হেসে ফারহা গাল দুটো ধরে চুমু দিয়ে বলে ….

— আমি জানতাম তুমি এমন কোন প্রশ্ন করবে তবে আমি এই প্রশ্নের উওর তোমাকে দিবো , হ্যা আমি ওদের খুন করেছি কারন টা তুমি..(মেঘ)

— কা,,,কারনটা আমি মানে..(অবাক হয়ে জানতে চাইলো ফারহা)

— হ্যা কারন টা তুমি , আমার থেকে তোমাকে কেড়ে নেওয়ার জন্য কেউ একজন ওদের টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছিলো ইভেন তোমার আমার প্রত্যেকটা মোমেন্টের খবরা খবর পৌছে যেতো তার কাছে ……(মেঘ)

— তুমি জানলে কি করে মেঘ যে তোমার গার্ড রা তোমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে…???(ফারহা)

— ওহ জান তোমার হাসবেন্ট কোন কাচা খেলোয়াড় না বুজলে (গাল টেনে দিয়ে) আমি আমার প্রত্যেকটা লোকদের স্পেশাল ফোন ইউজ করতে দিই যে ফোন দিয়ে তারা শুধু মাত্র আমার সাথে কথা বলবে কিন্তু আমি বেতিতো অন্য কোন ব্যাক্তি বা অন্য কোন নাম্বারে কল করলে তার কল রেকডিং প্রুফ সহ আমার ফোনে চলে আসে ……….(মেঘ)

ফারহা এতোক্ষনে সব টা বুজতে পারলো গার্ডদের এভাবে মারার কারন টা তবে এটা বুজতে পারছে না কে এই সব করছে….

— মেঘ কে এই সব করছে তা কি জানতে পেরেছো…??(ফারহা)

— নাহ এটা এখনো জানা যায়নি কারন প্রত্যেক বার একটা প্রাইভেট নাম্বার থেকে ওদের কল করতো ….(মেঘ)

— আচ্ছা এটা আগুন নয়তো ..?? আমি তো কয়েকবার এই বেজলেটের কালো বাটন টা চেপে ধরে ছিলাম নিশ্চয় আগুন বুজতে পেরেছে আমি বিপদে আছি আর তাই হয়তো ও এই সব করছে……ফারহার আগুনের কথা ভাবতে ভাবতে মেঘ কে খাইয়ে দিচ্ছো তখনি মেঘ শয়তানি করে ফারহার আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দেয় …..

— আহা..! এটা কি করলে মেঘ ???(রেগে বললো ফারহা)

— সিমপিল আমার বউ আমাকে খাওয়ানোর সময় অন্য কারোর ধ্যানে মুশগুল থাকবে এটা তো আর হতে পারে না তাই না জান ,,,বলে চোখ মেরে দিলো মেঘ.এদিকে ফারহা রেগে আগুন হলে ও ফারহা ভাবছে কি করে মেঘ কে মেডেসিন গুলো খাওয়াবে তখনি মেঘ ফারহা কে বলে উঠলো …..

— কি ভাবছো জান ..! মেডেসিন গুলো আমাকে কি করে খাওয়াবে তাইতো..????(মেঘ)

মেঘের মুখে মেডেসিনের কথা শুনে ফারহা যেনো আকাশ থেকে পরলো ফারহা ভাবতে পারেনি মেঘ বিষয় টা এভাবে জেনে যাবে ৷ তারপর ও ফারহা না ঘাবড়ে মেঘ কে বোঝানোর জন্য কিছু বলতে যাবে তখনি মেঘ হাত দিয়ে থামিয়ে দেয় ফারহা কে….

— আমি জানি জানপাখি তুমি কেনো এই মেডেসিন গুলো আমাকে খাওয়াতে চাও নাহ আমি তোমার কাছে কোন কৈফত চাইছি না কারন আমি তোমাকে আমার নিজের থেকে ও বেশি বিশ্বাস করি তুমি যদি নিজ হাতে বিষ ও খেতে দেও আমি চোখ বন্ধ করে সে বিষ পান করবো …..(মেঘ)

মেঘের আবেগ মাখা কথা গুলো ফারহার মন ছুয়ে গেলো ফারহা ভাবছে পাচঁ বছর আগে যদি ও মেঘ কে এভাবে অসুস্ত না করে দিতাম তাহলে হয়তো আজ মেঘ সম্পূন সুস্ত একটা জীবন যাপন করতো হয়তো সে জীবনটা জুরে আমার অস্তিত্ব ছড়িয়ে থাকতো….

আনমনে ফারহার দু-চোখে নোনাজল জমতে শুরু করেছে ৷ মেঘ ফারহার হঠাৎ এমন চুপ করে থাকা দেখে আবার ও ফারহার আঙ্গুলে কামড় বসিয়ে দেয় সাথে সাথে ফারহা চমকে ওঠে মেঘ কে বালিস দিয়ে
মারতে থাকে…………
.
.
.
.
.
— স্যার এখন আমি কি করবো আপনি প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আমি এ কাজ করতে পারবো না…(নীলা)

— তাই বুঝি মিরা (নীলা)তাহলে নিজের পরিবারের মরা মুখ দেখার জন্য প্রস্তুত হও….

— নাহহহহহহহ দয়াকরে আমার পরিবারের কোন ক্ষতি করবেন না ৷ আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো তার বিনিময়ে আমার পরিবার কে মুক্তি দিন …….(নীলা)

— এই তো লক্ষি মেয়ের মতো কথা তাহলে শোন কিছুক্ষণ পর একজন গার্ড এসে একটা পার্সেল দিয়ে যাবে ৷ ওটাতে ঘুমের মেডিসিন আছে ও গুলো বারের গার্ডদের খাবারে মিশিয়ে দিতে হবে আর হা তা করতে হবে মেঘ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মনে থাকবে……

— জ্বি স্যার…

কল ডিসকানেক্ট হতেই কান্নায় ভেঙ্গে পরে নীলা ওদিকে মেঘ ফারহার লান্চ শেষ করে মেঘ কে ফারহা মেডেসিন গুলো খাইয়ে দিয়ে ট্রেটা নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখে নীলা কাদছেঁ ৷ ফারহা নীলার কান্না দেখে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে সোজা কিচেনে গিয়ে পেলেট গুলো রেখে নীলার জন্য খাবার বেরে নিয়ে আসে ফারহা…..

— নীলা….(ফারহা)

ফারহার গলা পেয়ে নীলা দ্রুত চোখের পানি মুছে নিজেকে স্বাভাবিক করে পিছুনে তাকিয়ে দেখে ফারহা খাবারের প্লেট হাতে দারিয়ে আছে……

— ম্যাম আপনি এখানে .? কোন কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে ডাকতে পারতেন.? (নীলা)

— চুপ একদম চুপ এতো কথা বলো কেনো হুম এই নেও খাবার টা খেয়ে নেও ৷ আমাদের খাওয়া শেষ তুমি কার জন্য অপেক্ষা করছো .? আমি খাবার নিয়ে এসেছি…(ফারহা)

— ফারহার কথা গুলো শুনে নীলার মনে হলো ওর বড় বোন ওকে না খাওয়ার জন্য শাসন করছে ৷ যেনো কতো বছরের চেনা ফারহা…

— কি হলো এভাবে তাকিয়ে না থেকে দ্রুত খাবার টা খেয়ে রেস্ট করো আর শোন এখন কিছু প্রয়োজন নেই আমাদের তাই তুমি খেয়ে কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নিও …

— ওকে ম্যাম (খাবার প্লেট টা হাতে নিয়ে)

এভাবে কিছুদিন পেরিয়ে গেলো কিন্তু নীলা কিছুতেই গার্ডদের খাবারে মেডেসিন গুলো মিশাতে পারেনি তারজন্য সেই লোকটার থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় পরিবার কে হারানোর হুমকি শুনতে হয় নীলা কে তবু ও সে হার মানে নি ফারহা কে সব টা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছে …..এদিকে মেঘের ও হেল্ত আগের থেকে বেশ ভালো ফারহার কথা মতো ঠিক সময় মেডেসিন গুলো খাচ্ছে মেঘ ৷ কিন্ত এদিকে আরহান চৌধুরী কিছুতেই ফারহা কে মেনে নিতে পারছে না আন্ডারওয়ার্ল্ডের কিং AK সাথে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে

— জানপাখি আমার টাই কোথায়…(জোড়ে চিৎকার করে )

— সেকেন্ড ড্রয়ারে সব টা আছে মেঘ ..(ওয়াসরুম থেকে ফারহা বলতে লাগলো)

— বাহ বউ দেখি সব টা গুছিয়ে রেখেছে কিন্তু আমার তো এখন বউ কে আদর করতে ইচ্ছে করছে এটা কি হবে..???

জান আমি পাচ্ছি না কোথায় রেখেছো আমার তো অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে ((মিথ্যে বললো মেঘ সবটাই হাতের কাছে টাই ঘড়ি ওয়ালেট সানগ্লাস রুমাল বেডে কোট প্যান্ট )

— উফফ এই মেঘ না দিন দিন প্রচুর মিথ্যে বলা শুরু করেছে ৷ আমি বেশ বুজতে পারছি মেঘ তুমি কেনো মিথ্যে বলছো….(ফারহা)

মেঘের বার বার চেচামেচি শুনে ফারহা চেন্জ না করে টাওয়াল পেছিয়ে রুম থেকে বের হয়ে কমরে হাত দিয়ে রাগি চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে…..

— আহা মারজাবা (বুকে হাত দিয়ে মেঘ )

— ড্রামা কিং ,ড্রামা রেখে দ্রুত রেডি হয়ে অফিসে যাও অলরেডি দশ বেজে গেছে….(ফারহা)

ফারহার কথায় কোন কর্নপাত না করে মেঘ ফারহার দিকে তাকিয়ে আছে নেশা ভরা চোখে , ধিরে ধিরে ফারহার দিকে এগোতে লাগলো মেঘ এদিকে ফারহা মেঘের চোখ মুখ দেখে বুজতে পারলো মেঘ এখন কি করতে চলেছে …মেঘ কাছে আসার আগে ফারহা এক দৌড় দিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে পরতে চাইলো কিন্তু তার আগেই মেঘ ফারহার হাত টেনে ধরে বেডের উপর শুয়ে পরলো , মেঘ ফারহার হাত দুটো বেডের সাথে চেপে ধরে চুলে মুখ গুজে দিয়ে ফারহার চুলের ঘ্রান নিতে থাকে……

— মে,,,মেঘ ক,,কি,,কি করছো .,,বাকিটা বলার আগে মেঘ তার উষ্ণ ঠোট জোড়া দিয়ে ফারহার ভিজা ঠোট দুটো নিজের আয়ত্তে নিয়ে নেয়…কিছুক্ষন পর ঠোট জোড়া ছেড়ে দিয়ে ফারহার কানের কাছে মুখ এনে মেঘ বলে উঠলো ……

তোমার সিগ্ধ চাউনি তে হারিয়ে যাই বার বার ,তোমার চুলের গন্ধে মাদকতায় মরতে চাই বার বার, তোমার শরীলের ভাজে ভাজে আমার দেওয়া স্পর্শে ছুয়ে দিতে চাই বার বার , তোমার মনের আকাশ জুড়ে আমি থাকতে চাই , তোমার মাঝে নিজে কে খুন হতে দিতে চাই …..

— মেঘের কথা গুলো শুনে মনে হলো শির দারা বেয়ে কোন ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেলো , মেঘ যে এতোটা হিংস্র থেকে রোমান্টিক হতে পারে তা আমার সত্যি ধারনার বাইরে ছিলো …..কিন্তু আজ যে মেঘ কে বাইরে যেতেই হবে নয় তো আমার কাজ টা কোন ভাবে করতে পারবো না …….

ফারহা নিজেকে শক্ত করে মেঘ কে ধাক্কা দিয়ে বেডের অন্য পাশে ফেলে দেয় আচমকা এমন ঘটনার জন্য মেঘ মটেও প্রস্তুত ছিলো না রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে উঠলো মেঘের এরকম ঘনিষ্ট হওয়ার মুহূর্তে হঠাৎ করে এরকম বাধা দেওয়াটা খুব অপমান জনক লাগে মেঘের কাছে রেগে কোট নিয়ে বেরিয়ে যায় মেঘ ৷

— আ’ম সরি মেঘ , এভাবে তোমাকে অপমান করতে চাই নি কিন্তু আমি অপারগ তোমাকে যদি এখন না সরিয়ে দিতাম তাহলে তুমি আজ কিছুতেই অফিসে যেতে চাইতে না ৷
আর আজকের দিন টা আমার জন্য খুব ইমপ্রটেন্ট এই দিন টা কোন ভাবে তোমার জন্য আমি নষ্ট করতে পারবো না…..

ফারহা বেড থেকে উঠে কার্বাড খুলে ব্লাক শার্ট মিষ্টি কালার কোট প্যান্ট বের করে রেডি হয়ে নিলো ৷ ফারহা মেঘের ছবি টা হাতে নিয়ে আনমনে বলে উঠলো …..

— মেঘ তোমাকে সুস্ত করে তোমার প্রতি করা আমার অন্যায়ের প্রাইশ্চিত্ত করছি আমি কিন্তু আমার বোন কে যারা যারা খুন করেছে তাদের প্রত্যেক কে এখনো শাস্তি দেওয়া বাকি আছে তাদের মুখোশ খুলতে হবে আমাকে আর তাই আজ তোমাকে কষ্ট দিলাম আ’ ম সরি মেঘ কিন্তু এখন তোমাকে সামনে রেখে আমার মূল লক্ষে পৌছাতে হবে ……..

ফারহা মেঘের ছবি নিয়ে কথা বলার সময় নীলা ফারহা কে ডাকতে ডাকতে পিছুনে এসে দারায়,ফারহা নীলার উপস্তিতি বুজতে পেরে ফারহা মেঘের ছবি রেখে নীলা কে বলে……

— গাড়ি এসেগেছে ..??(ফারহা)

— জ্বি ম্যাম গাড়ি রেডি আছে সাথে উনিও…..(নীলা)

— হুম কেউ দেখেনি তো ..??
— না ম্যাম আমার লোক জন পাহারা দিচ্ছে আপনি এখুনি বের হন না হয় অনেক লেট হয়ে যাবে….
— হ্যা তাই তো , আচ্ছা শোন সাবধানে থাকবি দরকার পরলে কল করবি,আমি আসছি……..
— ওকে ম্যাম….

ফারহা পিছুনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে বাইরে রাখা গাড়ির ভিতরে থাকা মানুষ টা কে দেখে এক রহস্যময় হাসি দিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো ফারহা………….
.
.
.
.
.
*আচ্ছা কে বসে আছে গাড়িতে..?? আর ফারহা যাচ্ছে কোথায়..??
নীলা কি সব টা বলে দিয়েছে ফারহা কে ..??
নাকি এটা কোন নতুন চাল আরহান চৌধুরীর..???
বা আগুনের কেনো চাল ফারহা কে মেঘের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার ..??
#To_be_Continued…………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *