হিংস্র ভালোবাসা

হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 09

ব্যাস ব্যাস সামনে রাখুন এখানে নামবো আমরা….(ফারহা)

ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে কলেজে পা রাখতেই ফারহার কেমন যেনো হার্ডবিট বেরে যেতে থাকে কিছুটা সামনে আগাতে দেখে …………..

ওহ মাই গড হি ইজ সো হ্যান্ডসাম …(তিন্নি)

তিন্নি আমি ঠিক দেখছি তো আমার সামনে আগুন দারিয়ে ..??(ফারহা)

ইয়াহহ বেব তোর বেস্টু তোর সামনে দারিয়ে আছে ,,চোখ মেরে দিয়ে বললো আগুন ,,,

ফারহা ওখানে ফ্রিজড হয়ে দারিয়ে আছে আগুন ফারহার কাছে এসে জরিয়ে ধরে তিন্নি হা করে আগুন কে দেখছে অদ্ভুত সুন্দর লাগছে আগুন কে জাপানিজ দের মতো চোখ নাক ঠোট টা পুরোই স্টোভেরির মতো স্পাইক করা চুল হাতে ব্রান্ডের ঘড়ি পুরাই হিরো ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে চোখে সানগ্লাস পড়ে নেয় আগুন ফারহা আগুনের দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ তারপর বলে…

কেনো আগুন..??(ফারহা)

তুই তোর সব প্রশ্নের উওর পেয়ে যাবি কিন্তু তার আগে আমার সাথে তোকে এক জায়গায় যেতে হবে ..(আগুন)

ফারহা কিছু বলে ওঠার আগে তিন্নি বলে উঠলো ,,সরি ভাইয়া এখন তো ফারু আপনার সাথে যেতে পারবে না ম্যাম আমাদের অনেক দ্বায়িত্ব দিয়েছেন তাই এখন আমাদের কলেজে থাকতে হবে,,, আগুন তিন্নির দিকে এক ঝলক তাকিয়ে ফারহাকে বললো,,বেবি আমার একটা মিটিং আছে রয়েল হোটেলে তোমার প্রোগ্রাম শেষ হলে চলে এসো আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিবো…

নো নো আগুন গাড়ি পাঠানোর কোন প্রয়োজন নেই আমি চলে যাবো….(ফারহা)

ওকে ওকে দেন আমি যাচ্ছি বায় ,,,,

আগুন চলে যেতেই হঠাৎ করে কেউ ফারহার মুখ চেপে ধরে ফাকা অন্ধকার ক্লাস রুমে নিয়ে যায় রুম অন্ধকার থাকায় ফারহা ভালো করে কিছুই দেখতে পাচ্ছে উলটো প্রচন্ড ভয়ে হাত পা কাপছেঁ ,,,,

কে করলো এই সব কে আমাকে জোড় করে এই রুমে নিয়ে আসলো ..?? না আমাকে এখনি বের হতে হবে ,,ফারহা ক্লাস রুম থেকে বের হতে যাবে ঠিক তখনি ফারহার হাত দুটো দেযালে সাথে চেপে ধরে গলায় মুখ ডুবিয়ে দিয়ে চুমু দিতে থাকে ফারহা ভয়ে চিৎকার করতে যাবে তখনি গলা ছেড়ে ফারহার ঠোটের উপর আক্রমন করে বসল ,,ফারহা একচুল পরিমান নরতে পারছে না আর না কে ওর সাথে এই জঘন্য কাজ টা করছে তার মুখ টা দেখতে পারছে..!! পাচঁ মিনিট পর ফারহা ঠোট ছেড়ে দেয় ফারহা আসতে আসতে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে ক্লাসের দরজা খোলা ক্লাসে কেউ নেই সুধু ফারহা একা দারিয়ে ,,ফারহা রুম থেকে বের হতে যাবে তখনি খেয়াল করে কমরে পেটে প্রচুর জ্বলছে ভালো করে তাকিয়ে দেখে পেটে কমরের বেশ খানিকটা অংশে চামড়া ছিলে গেছে পুরো খামচির দাগ ফারহা কোন ভাবে শাড়ি দিয়ে পেট কমর ঢেকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে তিন্নির কাছে এসে দারায়…….

কি রে ফারু আমার কাছে তো দারিয়ে ছিলি হঠাৎ করে গায়েব হলি কি করে কোথায় ছিলি এতোক্ষন ম্যাম তোকে খুজতে এসেছিলো…(তিন্নি)

ফারহার মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখে তিন্নি আবার ও প্রশ্ন করে ,,,ফারু তুই ঠিক আছিস তো এতোটা অন্যমনুষ্ক কেনো ..?? কি হয়েছে তোর ..?? আর তোর শাড়ি টা এলোমেলো কেনো..??

তিন্নির কথা শুনে ফারহা ওর শাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি ওর শাড়িটা এলোমেলো হয়ে আছে ফারহা তিন্নির হাত ধরে স্টেজের পিছুনে গিয়ে শাড়িটা ঠিক করে নেয় তখনি আফসানা ম্যাম এসে ফারহা কে এক গাদা বকা দিয়ে হাতে গোলাপ ফুলের বুকে দিয়ে মেইন গেইটের কাছে দারাতে বলে .ফারহা তিন্নি ফুলের বুকে নিয়ে গেটের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে কলেজ প্রায় সব ছেলে গুলো ফারহার দিকে ড্যাপ ড্যাপ করে তাকিয়ে আছে যেনো পুরো কলেজে ওই একমাত্র মেয়ে আর কোন মেয়ে নেই তিন্নি বার বার ফারহা কে খোচা মেরে চারদিকে তাকাতে বলছে ফারহা তিন্নির কথা গায় না মেখে সোজা গেটের কাছে দারায়…….

ওহ গড আর কতোক্ষন এভাবে স্টাচু হয়ে দারিয়ে থাকতে হবে ..? যাই হোক যতো তারাতারি সম্ভব এখান থেকে বের হয়ে আগুনের সাথে আমাকে দেখা করতে যেতে হবে কিন্তু এখন তো আমার হার্ড বিট ঠিক আছে তাহলে তখন কেনো এতো জোড়ে হার্ড বিট করতে ছিলো..?? আগুনের জন্য নাকি অন্য কারোর জন্য..??? কিন্তু আজ যে আমার সাথে এই জঘন্য নোংরামি টা করেছে তাকে আমি ছাড়বো না …..

কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ফুল স্পিডে একটা ব্লাক কার ফারহার সামনে এসে থামে আচমকা এমন ঘটনায় ফারহা ভুয়ে দু পা পিছুনে গিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে ফারহা ফিল করে আবার ওর হার্ড হাজার স্পিডে বিড করতে থাকে তখনি তিন্নি ফারহার হাত ধরে গাড়ির সামনে নিয়ে আসে,,,গাড়ি থেকে চিফ গেস্ট নামতে ফারহার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম কারন ফারহার সামনে অন্য কেউ নয় সয়ং মেঘ চৌধুরি দারিয়ে আছে আর সেই হচ্ছে আজ কলেজের চিফ গেস্ট ,,,ফারহা কাপা কাপা হাতে ফুলের বুকে টা মেঘের দিকে এগিয়ে দিতে মেঘ ফারহার হাত থেকে বুকে না নিয়ে তিন্নির হাত থেকে ফুলের বুকে টা নিয়ে নেয় বিষয় টা ফারহার কাছে অপমান জনক লাগায় ফারহা ওখান থেকে চলে আসে,,,ফারহা কেনো এতো রাগ লাগছে সে নিজেও বুজতে পারছে না এর মধ্যে চার গ্লাস পানি খাওয়া শেষ ফারহার এর মধ্যে আফসানা ম্যাম মাইক্রোফোনে ফারহা কে গান গাওয়ার জন্য স্টেজে যেতে বলে …..

What……আমার নাম কেনো এনাউন্সমেন্ট করা হলো আর আমি কখন পার্টিসিপেট করার জন্য নাম দিলাম ,,;??

ফারু তোর নাম আমি দিয়েছি ..(তিন্নি)

আমার এখন খুব ইচ্ছে করছে কি জানিস তিন্নি ঠাডায় তোর কানের উপর একটা থাপ্পোর দিতে ….(ফারহা)

তিন্নি ফারহার কথা শুনে কাদো কাদো কলায় বললো…আ ম সরি ফারু আমি বুজতে পারি নি তুই এতোটা রেগে যাবি ,,(তিন্নি)

তিন্নি তোর কথা গুলো এখন বেজলেস তাই দয়া করে এখন কোন কথা বলিস না যাতে আমার মাথা গরম হয়ে যায় ,,,,,

ফারহার কথা শুনে তিন্নি বলে উঠলো ,,,কেনো রে তোর এতো রাগ ওঠার কারন কি মেঘ চৌধুরি তোর হাত থেকে ফুল না নিয়ে আমার হাত থেকে নিলো এ জন্য..??কথাটা বলে মিটি মিটি হাসতে লাগলো তিন্নি ,,,,,তিন্নির কথা শুনে ফারহা নাক ফুলিয়ে স্টেজের দিকে এগিয়ে গেলো তবে গান গাওয়ার জন্য ম্যাম কে সরি বলতে যে ও আজ গান গাইতে পারবে না ……
!
!
!
!
!
!
তিন্নি আমি বের হচ্ছি বাকিটা তুই সামলে নিস আর হা ম্যাম কে আমি খুব ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি তাই তোকে আর বকা খেতে হবে না নিশ্চিন্তে থাক….(ফারহা)

বাট তুই কোথায় যাচ্ছিস আগুন ভাইয়ার কাছে…???(তিন্নি)

তোকে সব টা পরে বলবো এখন আসি ,,,ফারহা কলেজ থেকে বের হয়ে দেখে আগুন দারিয়ে আছে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে ফারহা কে দেখে মিষ্টি হাসি দিয়ে ওর দিকে এগিয়ে আসে…….

এদিকে ফারহা আর আগুন কে দেখে একজন রাগে জ্বলে পুরে যাচ্ছে রাগে দেয়ালে ঘুশি মারতে থাকে তখনি তিন্নি সেখানে হাজির হয়……

আরে আরে মিস্টার চৌধুরি এটা আপনি কি করছেন আপনার হাত থেকে তো রক্ত বের হচ্ছে থামুন …(তিন্নি)

তিন্নির কথা শেষ হতে না হতে মেঘ আগুন চোখে তিন্নির দিকে তাকাতে তিন্নি ভয় পেয়ে যায় …..

মিস্টার চৌধুরি আপনি যদি এমন বিহেবিয়ার করেন তো আমি এখুনি এখান থেকে চলে যাবো আপনাকে আপনার জানপাখির কষ্টলি ইনফরমেশন আর দিতে পারবো না ….(তিন্নি)

তিন্নির কথা শুনে মেঘ কিছু টা শান্ত হয়ে তিন্নি কে প্রশ্ন করে ,,” ছেলেটিকে..??”

তিন্নি হাসি মুখে জবাব দিলো ছেলেটির নাম আগুন এ্যাবরোডে থাকে সম্ভবত আজ এ্যাবরোড থেকে ফিরেছে , আগুন ফারহার ছোট বেলার বন্ধু খুব ছোট বেলায় এ্যাবরোড চলে যাওয়ার পর তেমন ফারহার সাথে যোগাযোগ হয়নি তবে মাঝে মাঝে ভিডিও কলে কথা হতো ব্যাস এই টুকু জানতাম এদের বিষয়….(তিন্নি)

মেঘ তিন্নির হাতে ব্লান্ক চেক দিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে ফারহা কে খুজতে ……….

হাউ ডেয়ার হি এতো বড় সাহস আমাকে টাকা দেখায় এই ইনসালটিং আমি ভুলবো না মিস্টার মেঘ চৌধুরী কখনো না ….(তিন্নি)
!
!
!
!
!
!
বেব এই জায়গা টা তোর মনে পরে ..??(আগুন)

কেনো মনে পরবে না ছোট বেলায় আমি যখন তোর উপর খুব রাগ অভিমান করে থাকতাম তুই জোড় করে আমাকে এখানে নিয়ে আসতি যদি কখনো আঙ্কেল আন্টি বা বাবা মা যেতে নিষেধ করতো তাহলে তুই চিল্লিয়ে পুরো বাড়ি মাথায় তুলতি ,,,,কথা টা বলে ফারহা ফিক করে হেসে দিলো ,,,আগুন ফারহার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলতে শুরু করলো………

ফারহা একটা কথা জানিস ছোট বেলা থেকে তোর প্রতি আমার বেশি পজিসেব টা আমার মম ড্যাড মেনে নিতে পারে নি তারা ভেবেছিলো এটা আমার তোর প্রতি অতিরিক্ত পাগলামি আর এই পাগলামি টা শেষ করার জন্য আমাকে ইউ কে পাঠিয়ে দেওয়া হলো……..(আগুন)

আমি সব টা জানি আগুন ..(ফারহা)

নো ফারহা তুই সব টা জানিস না তুই উপরের টুকু জানিস ভিতরের আসল ঘটনা জানিস না ….(আগুন)

মানে কি বলতে চাইছিস তুই…??(ফারহা)

মানে জানতে চাস তুই তাহলে আগে এই ভিডিও টা দেখ…. ……..
*

*

*
#চলবে………………

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *