সে কি জানে

সে কি জানে ! Part- 11

ফ্রেস হয়েই রেয়ানের দেওয়া চিঠি নিয়ে বসে পরলাম সোফায়।।রিহান বিছানায় আরাম করে ঘুমাচ্ছে।।তাই নিশ্চিন্তে চিঠি-টা পড়া যাবে।।চিঠি-টা খুলতেই দেখি সেখানে সুন্দর করে লেখা……….
🍁
” প্রেয়সী আমার…… কি করো?? নিশ্চয়ই এখন ঠান্ডা মেজাজ নিয়ে আমার চিঠি পড়তে বসেছো!! আমি জানি চিঠি-টা সম্পূর্ণ পড়ার পর হয়তো তোমার আমার উপর অনেক রাগ-অভিমান জমবে।।সাথে কিছু অজানা প্রশ্নও।। কিন্তু সেসব প্রশ্নের উত্তর তুমি এ চিঠিতে পাবে না।।সব রহস্যের জোট তো আর খুলে না।।তাই এখানেও কিছু অজানা প্রশ্ন অসমাপ্তই থেকে যাবে।।যাই হোক,,,, প্রথমবার চিঠি লিখছি কিন্তু।।যদি কোনো ভুল হয় তাহলে সেটা না দেখার ভান করে রেখে দিও।।আমি আবার অত শুদ্ধ করতে পারবো না বানান।।তাহলে এখন মূল ঘটনায় যাওয়া যাক………
তুমি তো জানো বাবার বিজনেসে আমার কোনো ইন্টারেস্ট নেই।।পুলিশের চাকরিই আমার সব।।এতে কিন্তু বাবা কোনো বাঁধা দেয় নি।।কিন্তু তাও তার এক মাত্র ছেলে৷ তার বিজনেস না দেখে,,, একটা সামান্য পুলিশের চাকরি করছে।।নিশ্চয়ই বাবার এটা খারাপ লাগার বিষয়!! বাবা সবসময় চাইতেন আমি যেন বাবার বিজনেস-টা ধরে রাখি।।আরও নামি-দামি করি।।তাই তিনি যখন বিভিন্ন কাজে দেশ-বিদেশে যেতেন তখন আমাকে সাথে করে নিয়ে যেতেন।।যেন তিনি না থাকলেও আমি পুলিশের চাকরির সাথে সাথে বিজনেস-টাও করতে পারি………
সেবার বাবার একটা কাজ পড়ে যায় আমেরিকায়।।আমাকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।।সব ঠিক-ঠাকই চলছিলো।।বাবা যে কাজের জন্য এসেছিলেন সে কাজ খুব সুন্দর ভাবে হয়ে যায়।। তাই সে খুশিতে বাবা আর তার বিজনেস পার্টনার মিলে আমেরিকায়ই একটা পার্টির ব্যবস্থা করে।।ওইদিন পার্টিতে আমি একটু বেশিই ড্রিংক্স করে ফেলি।।তাই জ্ঞান ছিল না আমার তেমন।।একটা মজার ব্যাপার কি জানো,,,,ড্রাংক হওয়া সত্যেও আমি জিদ ধরি আমি একাই গাড়ি চালিয়ে বাসায় যাবো।। এজন্য গাড়ি থেকে ড্রাইভারকেও ধাক্কা মেরে বের করে দি।।বাবা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।।তিনি পার্টিতে ব্যস্ত ছিলেন।।তাই হয়তো আমাকে এসব করতে দেখেন নি।।আর তাই আমি ড্রাংক অবস্থায় থেকেও খুব আরামেই গাড়ি স্টার্ট দি বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে।। আসল ঘটনা শুরু হয় তখনি!!আমি এক্সিডেন্ট করি।।অন্য একটা গাড়ির সাথে!! এক্সিডেন্টে আমি অত ব্যথা পাই নি।।শুধু একটু পায়ে আর মাথায় পেয়েছিলাম।।কিন্তু অপসিট সাইডে যার সাথে আমার এক্সিডেন্ট হয় তার অবস্থা ভালো ছিল না।।সে মাথায় খুব বাজে ভাবে আঘাত পেয়েছিল,,,সাথে তার পেটে একটা বড় কাঁচ ডুকে গিয়েছিল।।আশেপাশের মানুষ আমাদের এক্সিডেন্ট দেখে আমাদের হস্পিটালে ভর্তি করান।।আমি যেহেতু অত ব্যথা পাই নি।।তাই আমি তাড়াতাড়িই সুস্থ হয়ে যাই।।কিন্তু আমার সাথে যে ছেলেটার এক্সিডেন্ট হয়,,,, তার সুস্থ হওয়ার চান্স খুব কম ছিল।।আর যদি হয়ও তাও সে বাঁচবে না।।ডাক্তারদের মতে এমনও সম্ভাবনা ছিল যে ছেলেটা সুস্থ হওয়ার ১-২ দিন কিংবা ১ মিনিটেও মারা যেতে পারে।।এসবে আমি খুব অনুতপ্ত ছিলাম।।আমার জন্যই তো ছেলেটার এমন অবস্থা হয়েছিক।।প্রায় ১মাস ছেলেটার চিকিৎসা চলে।।ফলে সে একটু একটু কথা বলতে পারতো।। কিন্তু তার মৃত্যুর চান্স তখনও ছিল অনেক!! এজন্য আমি আর বাবা অনেক ক্ষমা চাই ছেলেটার কাছে।। জানো মরুভূমি!! ছেলেটা অনেক ভালো ছিলো।।আমার জন্য সে মারা যাবে সেটা জানা সত্ত্বেও আমাদের ক্ষমা করে দেয় সে।।তার শুধু একটা শেষ ইচ্ছে ছিল,,,,তার ওয়াইফের সাথে যেন সে শেষবার দেখা করতে পারে।।তাই আমরা তার ওয়াইফের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি।। করতে পারিও।।কিন্তু একবার যোগাযোগ করার পরপরই তার ওয়াইফ আমাদের কোনো ফোন-কল কিছুই ধরছিল না।।একসময় তার ওয়াইফের ফোন সুইচড অফ দেখাতে শুরু করে।।যোগাযোগের সব মাধ্যমই তখন বন্ধ।।এদিকে আমার আর ওই ছেলেটার বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়।।ও ওর,,, ওর ওয়াইফ আর ওর পরিবারের সম্পর্কে অনেক কিছু বলে আমাকে।।ছেলেটা তার ওয়াইফের ছবিও দেখায় আমাকে।।বিশ্বাস করো!! মেয়েটার ছবি দেখে কেন যেন আমার এক অজানা অনুভূতি কাজ করা শুরু করে।।কিন্তু তাতে এত পাত্তা দেয়ই নি।।তাছাড়া সে অন্য একজনের ওয়াইফ,, আর তার একটা বেবিও আছে।।এটা তো সম্ভব ছিল না।। তাই না??
আমার ছেলেটার সাথে অনেক ভালোই কাটছিল দিন।।কিন্তু একদিন ছেলেটা হঠাৎ-ই মারা যায়।।জানো মিরা ছেলেটার নাম কি ছিল?? ছেলেটার নাম ছিল শুভ।।তোমার শুভ।।

কথাটা পড়ে থেমে গেলাম আমি।।তাহলে রেয়ান যার কথা বলছে সে শুভ?? শুভ কি তাহলে মারা গেছে?? মুহুর্তেই চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো আমার।।পরক্ষনে মুখে হাসি চলে এলো ।।চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে সবাইকে বলতে ইচ্ছে করছে…..।।আমার স্বামীকে আমি আমার করে রাখতে পেরেছিলাম।।সে আমার সাথে কোনো বিশ্বাসঘতকতা করে নি।।সত্যিই শুভ ভালোবেসেছিল আমায়।।…..কিন্তু তাহলে ওই ডিভোর্স লেটার,, চিঠি,,,ওগুলো কে পাঠিয়েছে?? ভেবেই চোখের পানিগুলো মুছে ফেললাম বাম হাত দিয়ে।।তারপর আবার চিঠি পড়া শুরু করলাম………
” শুভর মারা যাওয়ার ২-৩ দিন পরই আমি দেশে ফিরি।।দেশে এসে আমার প্রথম কাজ ছিল তোমাকে খুঁজে বের করা।।শুভর মারা যাওয়ার খবরটা তো তোমাকে দিতে হবে।। তাই শুভর দেওয়া বাসার এড্রেসে যাই আমি।।সেখানে গিয়ে তোমাকে পাই নি,,, কিন্তু শুভর বোন রিহা থাকতো সেখানে।।তাকে শুভর মৃত্যুর খবর দি।।ও খবরটা শুনে অনেক কান্না করেছিল।। ওকে শান্তনা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞেস করেছিলাম তুমি কোথায় তা জানার জন্য।। কিন্তু না,,, সে বলছিলই না তুমি এখানে কেন থাকো না কিংবা এখন কোথায় থাকো!! এজন্য দিন-রাত খোঁজা শুরু করি তোমার।।পেয়েও যাই।। কিন্তু এ অবস্থায় পাবো জানতাম না।।তোমাকে যখন প্রথম খুঁজে বের করি আমি।।তখন তোমাকে কাঁদতে দেখি।।পার্কে বসে কোনো একটা বিষয়ে খুব কাঁদছিলে তুমি।।তখন কি ইচ্ছে করছিল আমার জানো?? তোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে ” কেঁদো না মরুভূমি,,,সব ঠিক হয়ে যাবে ” কিন্তু আফসোস!! তখন কিছু করতে পারি নি আমি।।তোমাকে দেখার পর থেকে কিছু কথা বেশ ভাবে ভাবাচ্ছিল আমাকে।।…..প্রথমত তোমার এ অবস্থা কেন?? তুমি রিহার সাথে থাকো না কেন?? আর আমি যে আমেরিকা থেকে কল করেছিলাম সেটা কে ধরেছিলো??…..।।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় তোমার এলাকার কাছাকাছি পুলিশ স্টেসনে ট্রান্সফার হই আমি।।এন্ড তারপর আসলে কি হয়েছে তা জানার জন্য কাজে লেগে যাই।।শুভ যাওয়ার পর তোমরা কি করেছো না করেছো,,তোমাদের ফোন কলসের রেকড,, সব কিছুর ডিটেলস জোগার করি।।সবশেষে আমার সন্দেহ বারবার রিহার উপর যাচ্ছিল।।কিন্তু আমি কনফ্রম ছিল না।।তাই তোমার সাথে নানাভাবে কথা বলার চেষ্টা করি।। যাতে কথা বলতে বলতে একসময় তোমার সাথে পাস্টে এ কি কি হয়েছে তা জানতে পারি।।আর যেটা চেয়েছিলাম সেটা হয়েও যায়।।তুমি তোমার পাস্ট সম্পর্কে সবকিছু বলো আমাকে।।আর তখনই আমি বুঝে যাই যে আসল কার্লপিট কে!!
রিহাই ছিল যে এসব কিছু করেছে।।প্রথম প্রথম ও কিছু শিকার করতে চায় নি।।ওকে লাগাতার টর্চার করার পর ও মুখ খুলে।। ওর এসব করার কারন কি ছিল জানো?? ওর নাকি তোমাকে হিংসে হতো।।এর মূল কারন এই যে,,,শুভ তার অর্ধেক প্রোপার্টি তোমার নামে লিখে দিয়েছিলো।।তা ও সহ্য করতে পারে নি।।তাও তেমন কিছু করে নি সে।।কিন্তু যখন জানতে পারে শুভ এ পৃথিবীতে নেই।। তখন ও ভাবে এখন হয়তো শুভর সব প্রোপার্টি ওর নামে হয়ে যেতে পারে।।তাই তোমাকে নানা ভাবে চিঠি দেয়।।শুভর নকল সাইন দিয়ে ডিভোর্স লেটার পাঠায়।।আর তাছাড়া তুমি জানতে না যে শুভ তোমার নামে এতগুলো প্রোপার্টি লিখে গিয়েছে।।তাই হয়তো রিহা যা চেয়েছিলো তা খুব সহজেই পেয়ে যায় সে।।এখন মূলত রিহা কারাগারে বন্দী।।ওকে শাস্তি দিয়েছি আমি।।এইতো কিছুদিন হলো।।…….আমি জানি মিরা,,,এখনও কিছু প্রশ্ন আছে তোমার।। ওগুলো তুমি যখন আমাকে জিজ্ঞেস করবে তখন আমি বলে দেবো।।সবশেষে শুধু এতটুকুই বলব,,, প্লিজ আমাকে ভুল বুঝবে না।। আমি তো আর ইচ্ছে করে কিছু করিনি।।শুভর ব্যাপারটা এক্সিডেন্ট ছিল।।হ্যাঁ একটু ভুল তো অবশ্যই ছিল আমার।।কিন্তু মিরা সবকিছু বিবেচনা করে তারপর না হয় আমাকে যা বলার বলো।।চাইলে যত ইচ্ছা তত থাপ্পড় মেরো।।কিন্তু কখনও ছেঁড়ে যেও না।।শ্বাস আটকে মারা যাবো আমি।।সত্যি!! এখন যে তুমি বিহীন আমি কিছু না।।তুমি থাকলেই আমি আছি,,,নাহলে নেই।।আচ্ছা মিরা!! আমি যাকে ভালোবাসি #সে_কি_জানে!! আমি তার মাঝে আমার অস্তিত্ত্ব খুঁজে পাই??…… ”
🍁
পুরো চিঠিটা পড়া শেষ আমার।। চিঠি-টার দিকে একধ্যানে তাকিয়ে আছি আমি।।নিজেকে কেন যেন অনুভূতি শূণ্য মনে হচ্ছে।।শুভ আর এ পৃথিবীতে বেঁচে নেই।।ভাবতেই বুক ভেটে কান্না আসছে আমার।।খুব ইচ্ছে করছে একটু কাঁদতে।।কেন যেন ইচ্ছেটা দমিয়ে রাখতে পারলাম না।। ওয়াশরুমে গিয়ে ঝরনা ছেঁড়ে সেটার নিচে বসে পড়লাম।।যত ইচ্ছে তত কান্না করব আজকে আমি।।তাহলে একটু হলেও তো আমার কষ্টটা কমবে তাই না?? আমার কিন্তু আগে খুব কষ্ট হতো এই ভেবে শুভ আমাকে ছেঁড়ে চলে গেছে।।কিন্তু এখন এর চেয়ে দ্বীগুণ কষ্ট হচ্ছে এরজন্য যে শুভ এ পৃথিবী ছেঁড়ে চলে গেছে।।………..

আমি আর রেয়ান কালকের সেই নদীর তীরটায় বসে আছি।।প্রায় অনেক্ষন ধরে আমরা চুপচাপ বসে আছি এখানে।।রেয়ান মাথা নিচু করে আর আমি নদীর দিকে তাকিয়ে!! নিরবতা ভেঙ্গে রেয়ানই বলল…..
—” আমাকে মাফ করে দাও মিরা।। ”
—” এতে আপনার কোনো দোষ ছিল না রেয়ান।।ভুলে হয়তো হয়ে গেছে।। ”
কথাটা শুনে রেয়ানের মলিন মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠল।।কিন্তু পরক্ষনেই আমার কথা শুনে রেয়ানের মুখ আবার মলিন হয়ে গেল…….
—” আচ্ছা রেয়ান!! আমার যখন আপনার সাথে প্রথম দেখা হয় তখন আমাকে এসব কিছু বলেন নি কেন??আর খারাপ ব্যবহারই-বা কেন করেছিলেন?? ”
—” আসলে আমি যদি তোমাকে প্রথমেই কিছু বলতাম তাহলে হয়তো তুমি আমাকে ভুল বুঝতে।।কারন আমার কাছে তখন তেমন কোনো প্রমাণ ছিল না।।আর এতে হয়তো আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলতাম।।খুব ভয় লাগতো কেন যেন!! আর খারাপ ব্যবহার করি কারন,,,,তখন তোমার মনে হতো শুভ তোমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে,,,এসময় কেউ যদি তোমার জীবনে আসতে চায় তখন তুমি অবশ্যই তাকে “না” করবে।।তাছাড়া ভালো ব্যবহার করলে তুমি আমাকে পাত্তা দিতে না।। তাই খারাপ ব্যবহার করাটাই আমার কাছে উত্তম মনে হয়েছিলো।। ”
—” আপনি ঠিকই বলেছেন।।প্রথমে যদি সত্যি বলতেন তাহলে হয়তো আমি আপনাকে ভুলই বুঝতাম।।কিন্তু খারাপ ব্যবহার করাটা আপনার মোটেও ঠিক করেন নি।। ”
—” ও তাই?? সরি ”
তার কথা শুনে আমি তার দিকে তাকালাম।।শান্ত কণ্ঠে বললাম……
—” আমাকে ভালোবাসেন?? ”
—” জানি না।। ”
—” বিয়ে করতে চান কেন?? ”
–” জানি না।। ”
—” তাহলে জানেনটা কি আপনি?? আচ্ছা আমাকে একটা কথা বলুন তো মিস্টার রেয়ান।।এই যে আপনি খালি আমাকে বলেন বিয়ে করো,,, বিয়ে করো।।কোনো দিন কি প্রোপোজ করেছেন আমাকে?? ”
—” প্রোপোজ করলেই কি সব?? ”
—” না!! এমনি সুন্দর লাগে।। ”
—” শুনো এগুলো আমার ভালো লাগে না।। তাই করি না।।আমি যেমন তেমনই থাকবো।। ”
—” জীবনেও পাল্টাবেন না আপনি।। “”
—” হুম ঠিক!! আচ্ছা একটা কথা বলতো,,আজকে হঠাৎ বিয়ে,,ভালোবাসা,,প্রোপোজ এগুলো নিয়ে কথা বলছ।।কেন বলতো?? সামথিং সামথিং?? ”
—” অবশ্যই না।। নাথিং নাথিং।। ”
—” হুম,,সেটা তো দেখাই যাচ্ছে মরুভূমি ”
—” এই,, আপনি সবসময় আমাকে মরুভূমি ডাকবেন না তো,,,আমার বিরক্তি লাগে।। ”
—” আমার ইচ্ছে আমি তোমাকে যা ইচ্ছা ডাকবো।।চাইলে তুমিও আমার নাম রাখতে পারো।। ”
—” গুড আইডিয়া।।তাহলে আপনার নাম আমার জানের ভাই।। ”
—” ওয়াট?? ” জানের ভাই” এটা কি ধরণের নাম?? একটা কথা জানো কি মরুভূমি,,তোমার মতো তোমার নামও খেত।। ”
—” কি বললেন আপনি?? ”

আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে রেয়ান নদীর দিকে তাকিয়ে রইলেন।।হঠাৎ-ই গান গাওয়া শুরু করলেন……
—” কিস মি….ক্লোজ ইউর আইস এন্ড মিস মি….. ”
—” ছিঃ এটা কি ধরণের গান।। ”
—” তোমার মতো মাথায় ভর্তি গোবর ওয়ালা মেয়ে বুঝবে না।। ”
—” কি?? ”
—” কিছু না।। ”
বলেই তিনি উঠে দাঁড়ালেন।।সাথে আমার হাত টান দিয়ে আমাকেও দাঁড় করালেন।।তারপর বললেন……
—” চলো ”
—” কোথায়?? ”
—” তোমাকে ভার্সিটিতে ভর্তি করাবো।। ”
কথাটা শুনে আমি অপলক তাকিয়ে রইলাম তার দিকে।।এত ভালো কেন উনি?? আমার জন্য এত কিছু না করলেও তো পারেন!!
.
.
.
.
.
#চলবে🍁🍁