সম্পর্কের মারপ্যাঁচ

সম্পর্কের মারপ্যাঁচ ! Part- 06

“ভাইয়া তিথি সুইসাইড করেছে।ওর অবস্থা অনেক খারাপ।ওকে হসপিটালে এডমিট করা হয়েছে।প্লিজ আমাকে ওর কাছে নিয়ে চলো।”
এমন কিছু হয়ে যাবে রুদ্র কল্পনাও করতে পারেনি।তিথি এমন সাংঘাতিক কান্ড ঘটিয়ে ফেলবে ভেবেই তার মাথা ঘুরছে।
রুদ্র তাড়াতাড়ি রিয়া কে নিয়ে বাস থেকে নিমে হসপিটালের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।হসপিটালে পৌঁছেই তারা রিয়ার বাবাকে দেখতে পায়।
“আংকেল কি হয়েছে তিথির? ও এখন কেমন আছে?”
“মা রে ওর অবস্থা ভালো নেই।আমার মেয়েটা যে এমন কেন করলো রে।ওর কিছু হয়ে গেলে আমরা কিভাবে বাঁচবো!”
“আংকেল তিথির কিছু হবে না।” রুদ্র বললো।
তখনি ডাক্তার বেড়িয়ে এলো।
“তিথির অবস্থা অনেক বেশি ক্রিটিকাল।স্লিপিং পিলস অতিরিক্ত নেয়ার জন্য অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গিয়েছে।২৪ ঘন্টার মধ্যে ওর জ্ঞান না ফিরলে কিছু বলা যাচ্ছে না।” বলেই ডাক্তার সেখান থেকে চলে যায়।
ডাক্তারের কথা শুনে তিথির বাবা আলতাফ সাহেব প্রচন্ড ভেঙে পরেন।সে বুঝতে পারছে না কি করবে।রুদ্র তাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছে।

★★★★★★★★★
তৌকির আর তার মা ব্যাগ গোছাচ্ছে।একটু পরই তাদের রওনা দিতে হবে।তৌকিরের মনটা বেশ খারাপ।প্রভাতিকে রেখে তার যেতেই ইচ্ছে করছে না।কিন্তু কি আর করার যাওয়া তো লাগবেই।
“প্রভাতি মা মন দিয়ে পড়াশুনা করো কেমন।আর কিছু লাগলে আমাকে অবশ্যই জানাবে।আর এই নাও ২০০০ টা কিছু লাগলে এটা নিয়ে কিনে নিও।”সালমা বেগম বললেন।
প্রভাতি প্রথমে টাকাটা না নিতে চাইলেও সালমা বেগমের জোরাজোরিতে নিতে হলো।প্রভাতির সালমা বেগমকে বেশ ভালো লাগে।কি অমায়িক ব্যাবহার তার।আল্লাহ যদি এমন একটা মা তাকে দিতো মন্দ হতো না।
তৌকির সবার চোখের আড়ালে প্রভাতির পাশে এসে দাড়ালো।
” এই যে চন্দ্রাবতী চলে যাচ্ছি।আবার আসবো তোমাকে জ্বালাতে।”বলেই তৌকির প্রভাতির গাল টেনে দিলো।
প্রভাতি ভেবে পায়না এই ছেলে তাকে চন্দ্রাবতী কেনো ডাকে।
তৌকির আর তৌকিরের মা ওদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
প্রভাতি নিজের রুমে চলে যায়।আলমারি থেকে ছবিটা বের করে দেখতে থাকে।তখনি রুবি বেগম তার রুমে আসে।
“আমার তোর সাথে কিছু কথা ছিলো।”
চাচিকে দেখে প্রভাতি ভয়ে ছবিটা লুকিয়ে ফেলে।
“জ্বি চাচি বলো।”
“আমি এখন তোকে যা বলবো তুই কিন্তু মন দিয়ে শুনবি।”
“জ্বি আচ্ছা।”
“তুই তো বড় হয়েছিস এখন তাইনা।মেয়েরা বড় হলে একদিন তাকে বাবার বাড়ি ছেড়ে শশুর বাড়ি যেতে হয়।আর যেহেতু আমি ই তোর গার্ডিয়ান আমি যদি তোর জন্য ছেলে ঠিক করি তুই কি রাগ করবি?”
চাচির কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারছে না সে।
“তৌকির কে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। আমি চাচ্ছিলাম ওর সাথে তোর বিয়ে দিতে।ছেলে হিসেবেও অনেক ভালো আর ওর মায়ের ব্যাবহার তো অমায়িক তুই দেখেছিসই। আর তুই ও বাড়িতে খুশি থাকবি। ”
চাচির এমন কথা শুনে তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো।কি বলছে সে এইসব।সে কিভাবে অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে! সে তো! নাহ আর কিছু ভাবতে পারছে না সে।সে এখন কি বলবে চাচিকে!
“আমি এখনো তো অনেক ছোট। আরো পরে বিয়ে করলে হয় না?”
“এখনি বিয়ে দিবো বললেই কি বিয়ে হয় নাকি।আমি বলেছি আমার পছন্দ তৌকিরকে।আর তুই তো সবসময় আমার কাছ থেকে মায়ের আদর চেয়েছিস।তুই যদি ওকে বিয়ে করতে রাজি হস আমি আজ থেকে তোকে অনেক আদর করবো।”
প্রভাতির কেমন যেনো লোভ হয়।এতো বছর ধরে সে যেই আদর ভালোবাসার জন্য এতো কিছু করছে আর আজ সে নিজে এসে বলছে।প্রভাতি কিছু না ভেবেই হ্যা বলে দেয় ।
রুবি বেগমের মনের থেকে বড় একটা পাথর যেনো নেমে যায়।সে আজ বড্ড খুশি।খুশিতে গদগদ হয়ে সে প্রভাতিকে বুকে জড়িয়ে নেয়।
প্রভাতি অঝোরে কাঁদছে।এতোগুলো বছর পর তার চাচি এই প্রথম তাকে বুকে জড়িয়ে নিলো তাকে আদর করছে ভাবতেই তার অসম্ভব ভালো লাগছে।
★★★★★★★★★
১৫ ঘন্টার মধ্যেই তিথির জ্ঞান ফিরে আসে।জ্ঞান ফেরার সাথে সাথে সে প্রথম যার নাম নেয় সেটা হলো রুদ্র।
নার্স বেড়িয়ে এসে,
“এখানে রুদ্র নামের কেউ আছে?”
“জি আমি।”
পেশেন্ট রুদ্র রুদ্র করছে। আপনি ভিতরে আসুন। উপস্থিত সবাই অবাক হলেও কারো বুঝতে বাকি থাকে না যে কাহিনি কি।
রুদ্র নার্সের সাথে কেবিনে ঢুকে।রুদ্র যেয়ে দেখে তিথি রুদ্র রুদ্র করছে।
রুদ্র তিথির পাশে যেয়ে বসে, তিথির এক হাত নিজের হাতের মুঠোয় নেয়।
“তিথি আমি এসেছি।তুমি শান্ত হও।”
তিথি আসতে আসতে চোখ খুলে রুদ্রকে দেখে।রুদ্রকে দেখে তার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
“তুমি এসেছো।তুমি কোথাও যাবে না বলো।তুমি আমার কাছেই থাকবে।”
রুদ্র কিছুই বলে না।
“তুমি কিছু বলছোনা কেনো? বলোনা বলো।তুমি আমার তুমি আমার তুমি আমার।” তিথি প্যানিক করতে থাকে।তখনি ডাক্তার এসে তিথিকে ইনজেকশন দেয়।রুদ্রকে ইশারা করে তার সাথে বের হতে।
বাহিরে তিথির বাবা মা রিয়া আয়শা বেগম জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে ডাক্তারের দিকে তাকিয়ে আছে।
“তিথির ছোটবেলা থেকেই হার্টের সমস্যা তা তো আপনারা জানেনই।ওর হার্ট অনেক দুর্বল।তার উপর ও এমন ভয়ংকর কান্ড ঘটিয়েছে। এতে ওর অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গিয়েছে।ওকে কোনো ভাবেই উত্তেজিত করা যাবে না।ও প্যানিক হলে ও কোমায় অথবা মারাও যেতে পারে।প্লিজ ওকে হ্যাপি রাখার চেষ্টা করবেন।”
এটা শুনে সবাই শক খেয়ে যায়।রুদ্র বুঝতে পারছে তার জন্য ভয়ানক কোনো ঝড় অপেক্ষা করছে।সে ভয় পাচ্ছে এই ঝড় তার জীবনটা তছনছ না করে দেয়।
আলতাফ সাহেব রুদ্রের পায়ের কাছে এসে বসে পরলেন।
“বাবা আমার মেয়েটাকে বাঁচাও।ও ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই বাবা।আমার মেয়েটাকে বাঁচাও।”
রুদ্র জলদি করে তিথির বাবাকে ধরে উঠান।
“এইসব কি করছেন আংকেল?”
“প্লিজ বাবা।শুধু কয়েকটা দিন।আমার মেয়েটাকে সুস্থ হতে সাহায্য করো।আমি তোমার কাছে সারাজীবন ঋনি হয়ে থাকবো।”
রুদ্র অসহায় দৃষ্টিতে রিয়ার দিকে তকায়া।
“প্লিজ ভাইয়া তিথিকে বাঁচা।”
রুদ্র আর কিছু বলেনা।তার কাছে বলার কিছুই নেই।সে এই কোন ফ্যাসাদে পরলো।এর থেকে বের হবে কিভাবে বুঝতে পারছে না।
“ঠিক আছে আংকেল আমি আছি আপনারা টেন্সন করবেন না।” বলেই রুদ্র সেখান থেকে করিডোরের দিকে চলে যায়।
রিয়াও রুদ্রের পিছে পিছে যায়।
রুদ্র গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে।তার সাথে কি হচ্ছে সে ভেবে পাচ্ছে না।
“ভাইয়া সরি রে।প্লিজ তুই আমাকে ভুল বুঝিস না।তুই না থাকলে তিথিকে বাঁচানো যাবেনা।আর তিথি একবার ঠিক হয়ে গেলে আমি নিজে ওকে সব বুঝিয়ে বলবো।প্লিজ ভাইয়া তোর এই ছোট বোনটার কথা রাখ।”
রুদ্র কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে,
“#সম্পর্কের_মারপ্যাঁচ বড্ড কঠিন জিনিস রে।এই দেখ তুই আমার বোন। তুই আমার থেকে কিছু আবদার করলে আমি কিভাবে না করতে পারি।এই সম্পর্কের মারপ্যাঁচে পরেই মানুষকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছু করতে হয়।কিছু কিছু সময় নিজের সবথেকে প্রিয় জিনিসটাও বিসর্জন দিতে হয়।”
রিয়া তার ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।রুদ্রের কথাগুলো শুনে সে আৎকে উঠলো।তার নিজেকে বড্ড সেলফিস লাগছে।

★★★★★★★★★★★
প্রভাতির মনে তোলপার করা ঝর বয়ে যাচ্ছে।সে বুঝতে পারছে না সে ঠিক করছে না ভুল। তার মনের দিধাদন্দ্ব দূর করার রাস্তা অজানা তার।
তৌকির আর তার বিয়ের কথা শুনার পর থেকে রুদ্র যে তার মাথায় আরো চেপে বসেছে।একটা মুহুর্তের জন্য সে রুদ্রের কথা মাথা থেকে ঝেরে ফেলে দিতে পারছে না।কিন্তু এমনটা কেনো হচ্ছে।রুদ্র তো তার কাজিন লাগে।তাহলে এমন চিন্তা ভাবনা তাকে নিয়ে তার মাথায় আসবেই বা কেনো।
তার মনে হচ্ছে এই বিয়েটা অন্যায়।কিন্তু পরোক্ষণেই মনে হচ্ছে এটা অন্যায় কেন হবে। সবকিছু মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে সে। তার এই মনের অস্থিরতা দূর না করতে পারলে যে সে শান্তি পাচ্ছে না।তার এই অস্থিরতা একমাত্র রুদ্রই দূর করতে পারবে।সে সব বলবে রুদ্রকে।
প্রভাতি প্রহর গুনছে কবে তার রুদ্র ভাই আসবে আর সে তার মনের সব অব্যাক্ত কথা তার সামনে তুলে ধরবে।
★★★★★★★★★★
তিথিকে বাসায় নিয়ে এসেছে দুদিন হলো। এই দুদিন তিথি রুদ্রের সাথে আঠার মতো চিপকে ছিলো।শুধু মাত্র রাতে ঘুমানো ছাড়া তিথি কোনোভাবেই রুদ্রকে কাছ ছাড়া করতো না।
তিথি রুদ্রের গলার কাটার মতো হয়ে উঠছে।না গিলতে পারছে আর না বের করতে।তার এখন তিথিকে আপদ মনে হচ্ছে।
এভাবেই একসপ্তাহ কেটে গেলো।তিথি এখন আগের থেকে ক্ষানিকটা ভালো আছে।
আজ রুদ্রের সাথে রিয়াও এসেছে তিথির সাথে দেখা করতে।
“রিয়াকে দেখে তিথি খুশিতে লাফিয়ে উঠলো।শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।”
রুদ্র চেয়ার টেনে বসে তাদের কান্ড দেখছে।তার ইচ্ছে করছে এখান থেকে চলে যেতে।কিন্তু পারছে না।রিয়া ব্যাপারটা বুঝতে পারলো।
“রুদ্র ভাইয়া আজ তোমার ছুটি।আজ শুধু আমার আর তিথির দিন।”
তিথি কিছু বলতে যেয়েও বলতে পারলো না।কেনোনা রিয়ার সাথে তার কিছু কথা ছিলো যা রুদ্র থাকলে বলা যাবেনা।
রুদ্র যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো।সে সাথে সাথে তিথির বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলো।
“তুই যে আমার ভাইটার প্রেমে এমন হাবুডুবু খাচ্ছিস।আমাকে বলিস নি কেনো?”
“আমার বুঝি লজ্জা লাগেনা।”
“আহা আসছে আমার লজ্জাবতি।এখন তোমার লজ্জা কোথায় গেলো?”
“জানিনা রে। আমি রুদ্র কে প্রচন্ড ভালোবাসি রে।তুই কিছু কর না রে রুদ্রও যাতে আমাকে ভালোবাসে।”
রিয়া শুধু মলিন একটা হাসি দিলো।এক দিকে তার ভাই অন্য দিকে তার বেস্ট ফ্রেন্ড।আরেকদিকে মা বাবা হারানো মেয়েটা। এ কোন অদ্ভুত #সম্পর্কের_মারপ্যাঁচে পরেছে সে।
“বলনা আমায় তুই সাহায্য করবিনা।আমাকে তোর ভাবি বানাবি না?”
“হুম বানাবো।”
তিথি প্রভাতির কথা জিজ্ঞেস করতে যেয়েও আর করলোনা।
এভাবেই দিনের পর দিন কাটতে লাগলো।একদিন প্ল্যান হলো রিয়া তিথি রুদ্র ঘুরতে বের হবে।তিথির জোরাজোরিতেই এই প্ল্যান করা।
তারা সুন্দর একটা পার্কে যেয়ে বসলো।তিথি রুদ্রের পাশেই বসলো।
তিথি রুদ্রের এক হাতে ধরে তার কাঁধে মাথা রাখলো।রুদ্রের বেশ অস্বস্তি হচ্ছে।সে চেয়েও কিছু বলতে পারছে না চুপ করে বসে রইলো। একটু পর তিথি উঠে দাড়ালো সে সামনের দিকটায় যাবে।রুদ্রও পিছে পিছে যাচ্ছে।
রিয়া এখনো সেখানে বসে আছে। সে চিন্তা করছে এর পরের ঝরের কথা।
তিথি হঠাৎ পা মচকে পরে গেলো।পরে সে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে।সে যে পরে গেছে রুদ্রের কোনো খেয়ালই নেই।রুদ্র অন্য দিকে চেয়ে হাটছে।
তিথির মনে পরে গেলো সেদিনের ঘটনা যেদিন প্রভাতি পরে গিয়েছিলো আর রুদ্র পাগলের মতো ছুটে গিয়েছিলো। তাকে কোলে নিয়ে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে এসেছিলো।
তিথির চোখ দিয়ে দু ফোটা জল গড়িয়ে পরে।
“রুদ্র ”
তিথির ডাকে রুদ্রের হুশ ফিয়ে।চেয়ে দেখে তিথি পরে আছে।
রুদ্র তিথির কাছে যেয়ে বসে,
“কি হয়েছে তোমার?”
“কিছুনা। তুমি রিয়াকে ডাক দাও।ওকে বলো আমাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে।”
রুদ্র তিথিকে ওখানে ফেলে রিয়াকে ডাকতে যায়। রিয়া এসে তিথিকে আস্তে আস্তে উঠায়।
রুদ্র ধরতে নিলেই তিথি হাতের ইশারা দিয়ে তাকে ধরতে না করে।
ঐদিন তিথি রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেয়।সেদিন আর সে বের হয়নি। কারো সাথে একটা কথাও বলেনি।
★★★★★★★★
প্রভাতির খুব আশ্চর্য লাগছে তার চাচি তাকে ফোন কিনে দিয়েছে তৌকিরের সাথে কথা বলতে।আজ সকালেই সে ফোনটা হাতে পায়।সে বিয়েতে রাজি হওয়ার পর থেকে তার চাচির ব্যাবহারে অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে।তার চাচি যেনো তাকে চোখে হারায়।
প্রভাতি অনেক্ষণ ধরে ফোনটার দিকে তাকিয়ে আছে।তার খুব ইচ্ছে করছে রুদ্রকে কল দিতে।কিন্তু রুদ্রের নাম্বারটা যে জানা নেই তার।তখনি তার ফোনে কল আসে
প্রভাতি রিসিভ করতেই,
“হ্যালো।চিনতে পেরেছো?”
প্রভাতির ভয়েস টা চেনা চেনা লাগলেও সে বুঝতে পারছেনা।
” না আপনি কে?”
” এতো জলদি ভুলে গেলে।আমি তৌকির।”
“আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন?”
“তোমার চাচি দিয়েছে।”
“ওহ আচ্ছা।”
“তুমি কি বিরক্ত হচ্ছো? আমি তোমায় কল দিয়েছি বলে?”
প্রভাতি বিরক্ত হলেও সে তা প্রকাশ করলোনা কিছুক্ষণ কথা বলেই রেখে দিলো।
প্রভাতি ভাবতে লাগলো কিভাবে সে রুদ্রের নাম্বার জোগাড় করবে।

★★★★★★★★★
তিনদিন হয়ে গেলো তিথি রুদ্রের সাথে দেখা করেনা।যদিও এটা নিয়ে রুদ্রের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।সে তো তার প্রভাতিকে নিয়ে চিন্তা করেই কুল পাচ্ছেনা।কবে সে যাবে আর তার মনের কথা বলবে।
“ভাই তিথি তোকে ওর বাসায় ডেকেছে।”
তিথির নাম শুনেই রুদ্রের মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো।
“উফ তোর ঐ সাইকো ফ্রেন্ড টা কি আমাকে শান্তিতে বাঁচতে দিবে না রে?”
“ওর মনে কিছু একটা চলছে ভাই। তুই প্লিজ ওর সাথে দেখা কর।”
রুদ্র না চাইতেও তিথিদের বাসায় গেলো তিথির সাথে দেখা করতে।
তিথির রুমে যেতেই রুদ্র কিছুটা চমকে গেলো।তিথি রুদ্রকে চেয়ারে বসতে বলে উঠে গেলো দরজার দিকে।তারপর যেয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলো।
তিথির এমন কান্ড দেখে রুদ্রের গলা শুখিয়ে যাচ্ছে।এই সাইকো মেয়ে তার সাথে কি করবে ভেবেই ভয় লাগছে তার।তিথি অডিও প্লেয়ারের কাছে যেয়ে লো ভলিউমে গান প্লে করলো।
“আমার পরানো যাহা চায় তুমি তাই
তাই গো……”
তারপর হঠাৎ সে একদম রুদ্রের কাছকাছি এসে দাড়ালো।হঠাৎ ই সে……..
চলবে….