লাভার নাকি ভিলেন ! সিজনঃ ২

লাভার নাকি ভিলেন ! সিজনঃ ২ !! Part- 31

আকাশ মেঘলা ২ জনেরেই অবস্থা খারাপ নাবিল পুরোপুরি ভেংগে পড়েছে। আবির আকাশ আর মেঘলা ২ জনকেই কেবিনে নিয়ে গেল আর ডাক্তার ডাকল।







রাত শেষে ভোর হয়েছে আকাশ মেঘলা ২ জনেরই চিকিৎসা চলছে নাবিল সারারাত ধরে কেঁদেছে তার কান্না এখনো থামে নি।সামিরার মুখেও কথা নেই কারন সে সব কিছুর জন্য নিজেকে দায়ী ভাবছে।
দেখতে দেখতে সারাদিনো কেটে গেল আকাশের জ্ঞান ফিরে এসেছে।মেঘলার জ্ঞান না ফিরলেও সেও বিপদ মুক্ত জানিয়েছেন ডাক্তার।

দিন শেষে মেঘলা আর আকাশ ২ জনেই মোটামুটি বিপদ মুক্ত হয়েছে।ডাক্তার তাদের সাথে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে। আকাশের বাবা মা মেঘলার বাবা মা সবাই এসেছে।

তবে আকাশ শুধু নাবিলের সাথে দেখা করতে চায় বাকিদের আসতে নিষেধ করেছে।

একজন নার্স এসে নাবিল কে বলল আকাশ তাকে ডাকছে নাবিল তাড়াতাড়ি আকাশের কাছে ছুটে গেল।

নাবিলঃ আকাশ কিছু লাগবে তোর? খারাপ লাগছে কি তোর?

আকাশঃ না আমি ঠিক আছি আয় আমার কাছে আয়…

নাবিল আকাশের কাছে গিয়ে আকাশের কপালে আলতো করে হাত রেখে বলল হ্যা বল কি বলবি…

আকাশঃ তুই আমায় কত টা ভালবাসিস?

নাবিলঃ এটা কোন প্রশ্ন হল? তুই যানিস না আমি তোকে কতটা ভালবাসি?

আকাশঃ বল না…আমার জন্য কি কি করতে পারবি?

নাবিলঃ তুই যা বলবি তাই মরতে বললে মরতেও পারব।

আকাশঃ সত্যি?

নাবিলঃ একদম

আকাশঃ একটা জিনিস চাইব দিবি?

নাবিলঃ এভাবে বলছিস কেন একবার চেয়ে দেখ শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত চেষ্টা করব।

আকাশঃ যে মেয়েটাকে মেঘলা নিয়ে আসল তাকে তো তুই বিয়ে করবি তাই না?

নাবিলঃ বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছে যখন বিয়েতো করতেই হবে তোরা সুস্থ হলেই বিয়ে করে নিব।

আকাশঃ তুই যেদিন বিয়ে করবি আমিও সেদিন বিয়ে করতে চাই…

নাবিলঃ এটা আবার বলতে হয়.. আমিও আর এক মুহুর্ত দেরি করব না তুই সুস্থ হওয়ার সাথে সাথে তোর আর মেঘলার বিয়েটা দিয়ে দিব অনেক ঝামেলা হয়েছে আর না।

আকাশঃ আমার চাওয়া টা ওই জায়গাতেই।

নাবিলঃ তোর চাইতে হবে না এমনেতেই দিয়ে দিব।

আকাশঃ না আমি যা চাইব তুই সহজে দিবি না জানি তাই তো এভাবে বলছি।

নাবিল এবার কিছুটা বিচলিত হল কারন আকাশ বেশ সিরিয়াস মোডে কথা বলছে।

নাবিলঃ কি হয়েছে দোস্ত..??

আকাশঃ আমার জন্য একটা বউ খোঁজে দিবি নাবিল..

নাবিলঃ মানে কি…??

আকাশঃ তুই কি লক্ষ্য করেছিস তুই অনেক্ষন হয় এখানে এসেছিস কিন্তু আমি একবারো জিজ্ঞাস করি নি মেঘলা কেমন আছে… ও কি সুস্থ্য হয়েছে কিনা জানতে চাই নি।

নাবিলঃ হ্যা আমি সেটাই ভাবছিলাম আর অবাকও হয়েছি বিষয় টা খেয়াল করে।

আকাশঃ হ্যা আমি সব মায়া কাটিয়ে দিয়েছি নাবিল।আমি অনেক ভেবে সিধান্ত নিয়েছি আমি মেঘলা কে বিয়ে করব না।

নাবিলঃ মজা করা বাদ দে তো..

আকাশঃ মজা না সত্যি এই জন্যেই তোকে এভাবে বলেছিলাম আমি জানি এটা মেনে নেয়া তোর পক্ষে সহজ হবে না।তবে অনেক ভেবেই আমি কথাটা বলছি। আচ্ছা তুই ই বল না মেঘলা কখনো আমাকে বুঝেছে বা আমাকে শান্তি দিয়েছে? এতবার করে ওকে বুঝিয়েছি তবুও ও সবসময় বোকামি করে গিয়েছে। আমি সত্যিই আর চাই না।

নাবিলঃ কিন্তু আকাশ ওর সব কাজের পিছনের কারন তো তুই ই ছিলি। ও যাই করোক না করোক তোকে অনেক ভালবাসে।

আকাশঃ ভালবাসলে বীপরিত পাশের মানুষটাকে বুঝতে হয় ও কখনো আমায় বুঝে নি আমি পারব না ওকে ক্ষমা করতে। আমি মেঘলার মুখে মুখে মানা করতে পারব কিন্তু তোকে মানা করতে পারবনা তাই তোর কাছে চাইছি।তুই কি আমার কথা রাখবি? তুই মেঘলা বাদে যাকে বলবি আমি কোন প্রশ্ন ছাড়াই তাকে মেনে নিব।

নাবিলঃ আমি যানি তুই না ভেবে কোন সিধান্ত নিস না আর তুই যাকে চাস না তাকে তোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার মত ভাই আমি নই মেঘলার যদি কখনো বিয়ে নাও হয় আমি তোকে জোর করব না কিন্তু জীবন টা ছেলে খেলা নয়।তুই যা বলছিস ভেবে বলছিস তো?

আকাশঃ হুম ভেবেই বলছি… কিন্তু সেই অপরাধে তুই আমাকে ছেড়ে যাবি না তো দোস্ত?

নাবিলঃ স্বার্থের জন্য কোনদিন তোর কাছে আসি নি আর কোন স্বার্থের জন্য তোকে ছেড়েও যাব না।আমরা যেমন ছিলাম তেমনি থাকব।

আকাশঃ বিয়ে করার জন্য মেয়ে কোথায় পাবি এত তাড়াতাড়ি?

নাবিলঃ তোর জন্য মেয়ের অভাব হবে না।তুই এই নিয়ে চিন্তা করিস না।
বলে নাবিল চলে গেল। আর কিছুক্ষন পর মেঘলাকে দেখতে গেল।

মেঘলা নাবিলকে দেখে খুশি হল।

নাবিলঃ এখন কেমন আছিস?

মেঘলাঃ ভাইয়া আকাশ আসল না…??

নাবিলঃ আমি তোকে কিছু জিজ্ঞাস করলাম।

মেঘলাঃ আরে আমি তো ভালই আছি তুই বল না আকাশ কোথায় ও আসল না কেন?

নাবিলঃ আকাশ অসুস্থ তাই আসে নি।

মেঘলাঃ মিথ্যা কথা আমি জ্ঞান হারানোর আগেও দেখলাম ও ভাল আছে। আমি জানি ও কেন আসে নি…

নাবিলঃ কেন আসে নি?

মেঘলাঃ আমাকে এই অবস্থায় দেখতে চায় না তাই…ও আমাকে খুব ভালবাসে তাই আমাকে খারাপ অবস্থায় দেখতে চায় না…

নাবিল কি বলবে বুঝতে পারছে না।নাবিল মিথ্যা বলতে পারে না তাই কিছু না বলে বাইরে চলে গেল।









দেখতে দেখতে কেটে গেছে কয়েকদিন মেঘলা আকাশ ২ জনেই প্রায় সুস্থ এই কয়েকদিনে মেঘলা আকাশের ব্যাপারে নাবিল আর আবির কে হাজার বার প্রশ্ন করেছে কিন্তু ২ জনেই এড়িয়ে গেছে।

আগামীকাল ২ জনেই বাসায় ফিরবে।মেঘলার খুশি যেন আর ধরে না।

নাবিলঃ সকালে নিয়ে যাব এসে ঠিক আছে?

মেঘলাঃ ভাইয়া একটা কাজ করে দিবি আমার?

নাবিলঃ কি কাজ? বাসায় যখন যাবি আমার জন্য পিংক কালারের একটা ড্রেস আর আমার অর্নামেন্টস এর বক্সটা নিয়ে আসবি আমি এমন এপ্রন পরে বাসায় যেতে চাই না।

নাবিলঃ আচ্ছা নিয়ে আসব।বলে চলে গেল আর ন কিছুক্ষন পর মেঘলার কথা মত সব নিয়েও আসল।

পরদিন সকালে,
হাসপাতালের সমস্থ ফরমালিটি শেষ করে,
আবির এসে বলল মেঘলা চলো।মেঘলা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে কারন আজ তার আকাশের সাথে দেখা হবে।

মেঘলাঃ ভাইয়া কোথায়?

আবিরঃ আকাশ ভাইয়ের কাছে গেছে।আমাকে বলল তোমাকে নিয়ে যেতে

মেঘলাঃ ও আচ্ছা…

আবিরঃ আচ্ছা বল্লেই হবে নাকি চলো…

মেঘলাঃ তুমি একটু দাঁড়াও আমি রেডি হয়ে নেই।

আবিরঃ রেডি হওয়ার কি দরকার? এইটুকু তো রাস্তা…

মেঘলাঃ আজ কতদিন পর আকাশের সাথে আমার দেখা হবে আমি যানি ও আমার উপড় রেগে আছে ঠিকি কিন্তু আমাকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছে তাই আমি আজ ওর মন মত করে সাজব। তুমি একটু বসো আমি এই যাব আর আসব।

মেঘলার আগ্রহ দেখে আবিরের মন মুহূর্তেই খারাপ হয়ে গেল কারন আবির জানে মেঘলা আজ বড় ধরনের ধাক্কা খেতে যাচ্ছে।
আবিরের কোন কথা না শুনেই মেঘলা ওয়াশরুমে চলে গেল।

মেঘলা চোখে গাঢ় কাজল,কানে আকাশের পছন্দের ঝুমকা ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক পড়েছে।মোট কথা আকাশ যেমনটা পছন্দ ঠিক সেভাবেই সেজেছে।

মেঘলা আসার পর আবির মেঘলাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।

মেঘলাঃ আমরা একা যাচ্ছি কেন? সবাই একসাথে গেলে হত না?

আবিরঃ একটু পর তো সবাই একসাথেই হয়ে যাব তাহলে শুধু শুধু যট বেঁধে যাওয়ার কি দরকার?

মেঘলাঃ আচ্ছা… কিন্তু আমরা এদিকে কোথায় যাচ্ছি এটা তো আমার বা আকাশের বাড়ির রাস্তা না…

আবিরঃ আকাশ আর নাবিল ভাই ২ জনেই একসাথে বিয়ে করবে তাই গেস্ট হাউজ ভাড়া করা হয়েছে আমরা সেখানেই যাচ্ছি।

আবির গাড়ির মিররে স্পষ্ট দেখতে পেল মেঘলা লজ্জা পেয়েছে। আবিরের এসব খারাপ লাগছে।

মেঘলাঃ এই জন্যেই আমার সাথে এত দিন দেখা করে নি আকাশ আমাকে সারপ্রাইজ দিতে চায়… কথা গুলি মনে মনে ভেবে খুব আনন্দ পেল মেঘলা।

কিছুক্ষনের মধ্যেই তারা পৌছে গেল। গেস্ট হাউজ খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আকাশ নাবিল সেখানে আগেই পৌছে গেছে মেঘলার বাবা মা আকাশের বাবা মা সবাই সেখানে আছে সবাই মিলে হাসাহাসি করছে এর মধ্যেই আবির মেঘলা ঢুকলো।

মেঘলা ঢুকেই আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসি দিল। কিন্তু আকাশ দেখও না দেখার ভান করল।

মেঘলা আবির গিয়ে সবার সাথে বসল।
মেঘলা কিছুটা লজ্জা পাচ্ছে কারন এখানে বিয়ের কথা হচ্ছে কাকে দাওয়াত দেয়া হবে কি কি ম্যানু হবে এসব নিয়ে কথা হচ্ছে।
মেঘলা লজ্জা পাচ্ছে তাই কারো সাথেই কথা বলে নি আকাশের সাথেও না।

হটাৎ মেঘলা লক্ষ্য করল সবাই হাসিখুশি থাকলেও তার মা বাবার মুখে হাসি নেই।তখনি একজন এসে কার্ড গুলি ডেলিভারি দিয়ে গেল।

আবিরঃ মেঘলা ভাবছে ওর বিয়ে ওকে এবার সবটা জানানো দরকার বলে আবির ২ টা কার্ড নিয়ে মেঘলার হাতে দিল।

মেঘলাঃ আমি এগুলো দিয়ে করব?

আবিরঃ দেখো না ডিজাইন ঠিক আছে কিনা।

মেঘলাঃ তোমরা পছন্দ করে দিয়েছো তী ঠিকি আছে বলে রেখে দিতে চাইল।

আবির কিছুটা রেগে গিয়েই আকাশের বিয়ের কার্ড টা খুলে মেঘলার হাতে দিল।

মেঘলা কার্ড এ চোখ রাখতেই দেখতে পেল সেখানে বউয়ের নামের জায়গায় লিখা অবনো আকাশের সাথে অন্য আর একটা মেয়ের ছবি।

কার্ডটা দেখার সাথে সাথে মেঘলার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেল মেঘলার মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না চোখ থেকে ২ ফোঁটা পানি গড়িয়ে কার্ডের উপড়ে পড়ল।

মেঘলা ছল ছল চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল এটা কে আকাশ…??

আকাশ নির্দ্বিধায় বলে দিল আমার হবু বউ অবনী।

মেঘলাঃ আকাশ তুমি এসব কি বলছো?

আকাশঃ যা ঘটছে তাই বলছি..

মেঘলাঃ তুমি আমার উপর রাগ করেছো তাই না?

আকাশঃ রাগের কি আছে?জীবন টা তো একদিনের না আমি বুঝতে পেরেছি তুই কখনো আমার কথা মত চলতে পারবি না তুই সবসময় নিজের মন মত চলিস আর আমার এমন মেয়ে পছন্দ না।তোকে ভাল লাগে ঠিকি কিন্তু তোর সাথে সংসার করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

এবার মেঘলা আকাশের কাছে গিয়ে বলল আমাকে শাস্তি দেয়ার জন্য এমন বলছো তাই না? বাকি সব কার্ডে আমাদের নামেই লিখা আছে তাই না? বলে মেঘলা আরও কয়েকটা কার্ড উল্টে পাল্টে দেখল কিন্তু সব গুলোতেও একেই নাম। এবার মেঘলা জোরে কেঁদে দিল।

আকাশের বাবাঃ কি বলছিস এসব তুই?

আকাশঃ জীবনটা আমার তাই আমাকে সিধান্ত দিতে দাও বাবা…

আকাশের বাবা আর কিছু না বলে রাগে চলে গেলেন আকাশের মাও তার পিছন পিছন গেল।

মেঘলার বাবা মাকে নাবিল আগেই বলে দিয়েছে তাই তারা জানে এখানে তাদের কিছু বলার নেই তাই তারাও চলে গেল।

মেঘলা বুঝতে পারল ব্যাপারটা মজার না আকাশ সিরিয়াসলি বলছে তাই কাঁদতে কাঁদতে এসে আকাশকে বলল তুমি এটা করতে পারো না আকাশ আমি তোমাকে ভালবাসি।আমি তোমার সব কথা মেনে চলব প্লিজ তুমি আমাকে ছেড়ে দিও না…

আকাশঃ যখন সময় ছিল শুনিস নি আমার কথা আমি কখনো তোর কাছ থেকে কোন প্রকার সুখ পাই নি একের পর এক আঘাত করেছিস আর আমি চাইলেও আর পিছিয়ে আসতে পারব না মেয়ের বাড়িতে সবাইকে দাওয়াত দেয়া শেষ চাইলেই তো আর বিয়ের ২ দিন আগে বিয়ে ভেংগে দেয়া যায় না।

মেঘলাঃতোমার ২ টা পায়ে পড়ি আকাশ আমাকে এত বড় শাস্তি দিও না।বলে মেঘলা আকাশের পায়ের কাছে বসে কাঁদতে লাগল।

নাবিল এতক্ষন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল এবার এসে মেঘলাকে টেনে তুলে ঠাস করে মেঘলার গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিল।

আকাশঃ কি করলি এটা মারলি কেন?

নাবিলঃ চুপ আকাশ বোনটা আমার তাই মারব নাকি আদর করব আমি বুঝব তুই এর মধ্যে কথা বলিস না।

মেঘলাঃ মার আরো মার কিন্তু এটা বল ভাইয়া তুই চুপ করে আছিস কেন? তুই কেন কিছু বলছিস না আমি যানি আকাশ তোর কথা শুনবে তুই ওকে বল না ভাইয়া আমি ওর সব কথা শুনব আর ভুল করব না বল না ভাইয়া প্লিজ আমাকে যেন ছেড়ে না দেয়…

নাবিল মেঘলাকে জোরে ঝাঁকিয়ে বলল কেন অনুরোধ করব বল? আর তুই কাঁদছিস কেন মেঘলা তুই বুঝতে পারছিস না একটা ছেলে তোকে সবার সামনে অপমান করছে তোকে রিজেক্ট করেছে..

মেঘলাঃ কিসের মান কিসের অপমান ভাইয়া আমার সব কিছুই তো শেষ হয়ে যাচ্ছে ওকে ছাড়া আমি কি নিয়ে বাঁচব?আকাশের চেয়ে আমার অপমানের দাম বেশি হল?

এবার নাবিল কেঁদে ফেলল আর মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল আকাশ মনে করে তুই ওর যোগ্য না তোর সাথে থাকলে ও সুখি হবে না তুই কি চাস যাকে তুই ভালবাসিস সে সারাজীবন আফসোস নিয়ে থাকুক?তুই মাথামোটা তুই বুঝিস না তাই ও তোকে ছেড়ে দিয়েছে মেঘলা এরপরেও তুই ওকে জোর করবি?

মেঘলার মুখের কথা থেমে গেল শুধু অঝরে চোখের পানি ঝরছে।
মেঘলা ফেল ফেল চোখে নাবিলের দিকে তাকিয়ে বলল আমি ওর যোগ্য নই?এটা আকাশ বললো?

নাবিলঃ…..

আকাশঃ ন্যাকামি এবার বন্ধ কর কিছুক্ষন পর আমার হবু বউ আসবে বিয়ের আগে পর্যন্ত এখানেই থাকবে তাই আমি চাই না ও এসে এসব দেখুক।

আকাশের কথাগুলি মেঘলার বুকে তীরের মত আঘাত করল সে যখন আকাশের দেয়া ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছে তখন একজন এসে মেঘলার সামনে হাঁটু ঘেরে বসে বলতে শুরু করল আমি জানি তুমি আমায় ভালবাসো না আমি এটাও জানি আমি আকাশের মত সাকসেসফুল নই কিন্তু তোমাকে সুখে রাখার সব যোগ্যতাই আমার আছে তুমি কি আমার হবে…??

মেঘলা অবাক চোখে তার দিকে তাকাল।

নাবিল আর আকাশো তাকাল।

মেঘলার সামনে হাঁটু ঘেরে বসে আছে আবির…

নাবিল এসে অবাক হয়ে বলল আবির তুই সব জেনেও…

আবিরঃ হ্যা আমি জানি আমি কখনো মেঘলার মন থেকে আকাশ নামটা মুছতে পারব না আমি কখনো ওর মনে জায়গা পাব কিনা জানি না তবুও সব জেনেও আমি মেঘলাকে বিয়ে করতে চাই।

নাবিল এসে মেঘলার হাত টেনে আবিরের বাড়িয়ে রাখা হাতে দিয়ে দিল।

মেঘলাঃ ভাইয়া কি করছিস?

নাবিলঃ কেউ চাক বা না চাক আমি তোর সাথেই মেঘলার বিয়ে দিব আবির…
আমাদের বিয়ের দিনেই তোর আর মেঘলারো বিয়ে হবে সেটা মেঘলা না চাইলেও….




চলবে…!!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *