© রোমান্টিক অত্যাচার–>১৪
Israt Jahan
(গল্পের নিচে আগের পার্টের লিংক দেওয়া আছে। সবাই একটু
খেয়াল করে দেখে নিবেন)
আশফিঃ চুপ করো তুমি। তুমি কতটুকু জানো তার সম্পর্কে? আমি
যা জানি তুমি তার ১ ভাগ ও জানোনা।
মাহিঃ কি বলছো তুমি এসব আশফি??
আশফিঃ আমি এখন যা বলবো তা তুমি শুনলে তোমার পায়ের
নিচ থেকে মাটি সরে যাবে।
আমার এই কথাটা শুনে মামনি ও অবাক হয়ে তাকালো। তার
চোখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে অনেক প্রশ্ন করতে চাই
আমাকে। তাই আমি বলা শুরু করলাম।
– হ্যা এটা একদম সত্য যে তোমার বাবা তার অফিসের এক
প্রবাসী মহিলা কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায় এবং
তাকে বিয়ে ও করে। আর তা জানার পর আমার বাবা তোমার
বাবার সাথে সব হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিয়ে তাকে বিজনেস
থেকে বের করে দেয়। তারপর তোমার বাবা একাই বিজনেস শুরু
করে। তবে তোমার আর মামনির সাথে কোনো যোগাযোগ
রাখেনি। একরকম আমার বাবা তোমার সাথে ওনাকে
যোগাযোগ করতে দেইনি। সেই থেকে আমার বাবাই তোমাদের
দেখাশোনার দায়িত্ব নেয়। এদিকে মামনির অবস্থা খুবই খারাপ
হয়ে যায়। সে বিশ্বাস করতে পারছিলনা তোমার বাবা তাকে
এভাবে কোনোদিন ঠকাতে পারে। অনেক ভেঙ্গে পড়েছিল
মামনি। তবে তোমার বাবাও যে খুব ভালো ছিল সেটা নয়। সে
তার ভুল বুঝতে পেরেছিল যখন সে জানতে পারলো ঐ মহিলার
আগেও একজন স্বামি আছে। আর সে ছিল আমাদের কোম্পানির
অর্থ্যাৎ তোমার আর আমার বাবার কোম্পানির একজন সাধারণ
কর্মকর্তা(জাপানিজ)। আর ওরা প্ল্যান করেই তোমার বাবাকে
ওদের জালে ফাঁসিয়েছিল শুধুমাত্র ওনার প্রপাটি নেওয়ার
জন্য। আর এগুলো জানার পর উনি অনেক চেষ্টা করেছিল
তোমাদের কাছে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু ওরা ওনাকে আসতে
দেইনি।কারণ তোমাকে আর মামনি কে মেরে ফেলার হুমকি
দিয়েছিল। তোমার বাবা কে অনেক টর্চার করেছিল ওরা।
শুধুমাত্র প্রপাটি তাদের নামে লিখে দেওয়া জন্য কিন্তু সেটা
করেনি বলে তাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। একদিন বাবা
প্ল্যান করেছিল যে আমার জন্মদিনে বাইরে কোথাও ঘুরে
আসবে। আমিও অনেক জেদ ধরেছিলাম বাইরে( জাপানের
বাইরে) ঘুরতে যাওয়ার জন্য। বাবা ভেবেছিল এতে মামনির মন
টাও একটু ভালো হবে। মামনি কে যেতে বলেছিল কিন্তু মামনি
যেতে রাজি হইনি। সেদিন তোমাকে নিয়ে যেতে বলেছিল শুধু।
কিন্তু তোমাকে বাবা নেইনি কারণ মামনি সারাদিন ঘরে বন্দি
হয়ে থাকতো তার ওপর তোমাকে নিয়ে গেলে আরও একা হয়ে
যাবে তাই তোমাকে রেখে গেছিল। আমরা যখন আমাদের
গন্তব্যে পৌঁছালাম। তার কিছুক্ষণ পর বাবার ফোনে একটা কল
আসলো। কলটা করেছিল তোমার বাবা। সেদিন বাবাকে এই
কথাগুলো বলেছিল যা সে জানতে পারে ওদের সম্পর্কে।
তোমার বাবা ওদের গোপনে তার সব প্রপাটি যা কিছু ছিল
তোমার নামে লিখে সেই কাগজ গুলো একটা ব্যাংকের লকারে
রেখে দেয়। আর ওরা সেটা জানতে পারে যে তার সব সম্পত্তি
সে তোমার নামে লিখে দিয়েছে। তাই ওরা তোমাদের খুন
করার পরিকল্পনা করে। যে কোনো সময় তোমাদের ওপর ওরা
এ্যাটাক করতে পারে সেটাই বাবাকে জানায়। আর এটাও বলে
দেয় যে ঐ কাগজ গুলো কোন ব্যাংকে আছে। বাবা সেদিনই
তোমাদের দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে। আমাদের ওখানে
রেখেই বাবা চলে যায় জাপান। পৌছাতে প্রায় ২ দিন সময়
লেগে গেছিল। বাবা ভাবছিল ওখানে গিয়ে তোমাদের সে
দেখতে পাবে তো? বাবা রাতে গিয়ে পৌঁছাই। বাইরে থেকেই
বাবা শুনতে পাই ভেতরে অনেক গুলির শব্দ হচ্ছে। বাবা পেছন
দিকের সিড়ি দিয়ে উঠে রুমে ভেতর ঢুকে। মামনি তখন
তোমাকে নিয়ে বাথরুমে লুকিয়ে ছিল। সেদিন রাতে অনেক
কষ্টে ওদের মোকাবেলা করে তোমাদের কে নিয়ে বেরিয়ে
আসে। কিন্তু সব থেকে কষ্টের বিষয় কি জানো মাহি? ঐ দিন
রাতেই তোমার বাবাকে ওরা মেরে ফেলে।
মাঃ অভি??(মাহির বাবা)
(অভি বলে চিৎকার করে সোফায় বসে পড়ে)
আশফিঃ মামনি আমি এই কথাগুলো কোনোদিন বলতে চাইনি।
কারণ আমি জানি তুমি এখনো ওনাকে খুব ভালোবাসো। শুধুমাত্র
মাহিকে ভুল ধারণা থেকে বের করার জন্য আমি বলতে বাদ্ধ
হয়েছি।বাবা ও আমাকে বলতে নিষেধ করেছিল।
আমি মাহির দিকে তাকালাম। ওর চোখ দিয়ে অজস্র ধারায়
পানি পড়ছে। একদম পুতুলের মত দাড়িয়ে আছে। আমি ওর কাছে
গেলাম। ওকে আজকে সব জানতে হবে।
-মাহি তোমাকে অনেক শক্ত হতে হবে। সামনে যে অনেক বিপদ
ওত পেতে আছে। সেগুলো তোমাকে মোকাবেলা করতে হবে।
মাহিঃ আশফি আমি তাকে ঘৃণা করলেও কোনোদিনও তার মৃত্যু
কামনা করিনি।
আশফিঃ আমি জানি মাহি। তুমি নিজেকে সামলাও। মামনির
বেঁচে থাকার একমাত্র উৎস তুমি। তোমাকে ভেঙ্গে পড়লে
হবেনা। কারণ ওরা থেমে নেই। তোমাকে মারার জন্য ওরা
এখানে লোক পাঠিয়েছে। ঐ মহিলার স্বামি আগে থেকেই
মাফিয়া দলের সাথে যুক্ত ছিল। এখন সে ঐ দলের leader.
তোমাকে খুন করতে পারলে ঐ প্রপাটি ওরা এমনিতেই পেয়ে
যাবে। কারণ ওদের একটা ছেলে আছে। সেখানে তোমার
বাবাকেই ওর বাবা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
মাঃ আশফি?
আশফিঃ বলো মামনি?
মাঃ আমি একবার আশরাফ ভাইয়ের সাথে কথা বলতে চাই। তার
কাছ থেকে আমি শুনতে চাই।
আশফিঃ মামনি আমি জানি তোমার বিশ্বাস হচ্ছেনা। কিন্তু
আমি কি করে তোমাকে বিশ্বাস করাবো? বাবা মা কেউ ই যে
বেঁচে নেই।(কেঁদে বলছিল)
এটা শোনার পর মামনি আরও একবার চমকে উঠলো।
মাঃ কি বলছিস তুই এসব?
আশফিঃ হ্যা। ওরা বাঁচতে দেইনি। ২ বছর আগের কথা। ওরা
জাল পাওয়ার অফ এটোনির উইল বানিয়ে মাহির প্রপাটি ভোগ
করছিল। বাবা সেটা জানতে পেরে আইনি ব্যবস্থা নেই। আর
ওরা এটাও জেনে যাই যে মাহির প্রপাটির সমস্ত উইল বাবার
কাছে। বাবাকে অনেক ভাবে থ্রেট করে ওগুলো তাদের দিয়ে
দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাবা দেইনি। বাবা রাজি না হওয়াই
বাবাকে মেরে ফেলার প্ল্যান করে। কার এক্সিডেন্টের
মাধ্যমে মারার চেষ্টা করে। ঐ accident স্পটেই মা মারা যায়
বাবাকে তাড়াতাড়ি hospital নিয়ে যায়। Hospital এ অনেক
গার্ডের ব্যবস্থা করি। কিছুদিন পর বাবার sense ফিরে। বাবা
আমাকে ডেকে অনেক কিছু বলে যার কিছুই আমি জানতাম না।
বাবা এভাবে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিল যার জন্য অসুস্থ পরছিল।
আমি সেদিন রাতে বাবাকে থামিয়ে দিয়ে রেস্ট নিতে বলি
পরে সব কথা শুনবো বলে। কিন্তু ঐ দিন ই যে বাবার শেষ রাত
ছিল সেটা আমি জানতামনা। ওরা Doctor কে টাকা দিয়ে
বাবাকে মারতে পাঠায় তার আগে এটা জানতে চাই ঐ উইল
গুলো কোথায়। বাবা বলেনি তখনই বাবাকে বিষের ইনজেকশন
push করে মেরে দেয়। পরে অবশ্য সে ধরা পড়েছিল। কিন্তু ওরা
ধরা পড়েনি। ওরা কিছুদিন আগেও জনতো যে মাহি সেদিন
রাতেই হয়তো মারা গেছে। ওর লোকেরা ওদের সেইরকম খবর ই
দিয়েছিল। কিন্তু কিভাবে যেনো ওরা জানতে পেরে যায় যে
মাহি এখনও বেঁচে আছে। ওকে আবার মারতে ওরা এখানে
পর্যন্ত লোক পাঠিয়ে দেয়। আমি দেশে আসার আগে চাচ্চুর
সাথে যোগাযোগ করে সব জানাই। তারপর দেশে ফিরি।
অনেকবার মাহির সামনে গিয়েছি মাহি আমাকে চিনতে
পারিনি।খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম আমি। সবকিছু হারিয়ে ওকে
পাওয়ার জন্য দেশে ফিরলাম আর সেই মাহি আমাকে চিনতে
পারলোনা। তারপর মাহি কোথায় কি করে সব খোঁজ খবর
নিলাম। ও যে কোম্পানি তে চাকরি করে সেই কোম্পানির
ওউনার এর সাথে কথা বলে ওনার কোম্পানির 75% শেয়ার
অনেক চড়া দামে কিনে ঐ কোম্পানির এম.ডি. হয়ে ওখানে
গেলাম।
এতকিছু শোনার পর ওদের মুখে কোনা ভাষা ছিলনা। এর মধ্যে
চাচ্চু চলে এলো।
চাচ্চুঃ আশফি? কি বলার জন্য আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিস??
-ভাবি আপনাকে এমন লাগছে কেনো? কি হয়েছে?
আশফি ভাবির কি হয়েছে এরকম দেখাচ্ছে কেনো ভাবিকে?
(মাহির মায়ের দিকে তাকিয়ে)
আশফিঃ চাচ্চু আমি ওদের সবকিছু বলে দিয়েছি। ওদের ভুল
ধারনা থেকে মুক্ত করার জন্য। আমি মামনির কাছে গেলাম।
-মামনি? তুমি এভাবে চুপ করে থেকোনা। প্লিজ কথা বলো তুমি।
চাচ্চুঃ আশফি? ওদেরকে একা থাকতে দে।
আশফিঃ না চাচ্চু এভাবে ওদের একা রাখার জন্য আসিনি।
ওদেরকে অনেক কঠোর হতে হবে। মাহিকে ওখানে যেতে হবে,
ওকে ওর প্রাপ্য বুঝে নিতে হবে।
মাঃ না। আমি মাহি কে ওখানে যেতে দেবোনা। ওরা আমার
মাহির যদি কোনো ক্ষতি করে আবার? যে প্রপাটির জন্য আমার
এতো কাছের মানুষ গুলোকে হারিয়েছি সেই প্রপাটির কোনো
দরকার নেই।
চাচ্চুঃ ভাবি মাহি কেনো ওর অধিকার ছেড়ে দিবে। ওরা
অবৈধ ভাবে ওগুলো ভোগ করছে। মাহি কেনো ওদের কেনো
শাস্তি দিবেনা?
মাহিঃ মা। চাচ্চু একদম ঠিক বলেছে। আমি ওখানে যাবো কিন্তু
প্রপাটিই মেইন নয়। ওদেরকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। ওদের কাছে
আমরা কেনো হেরে যাবো?
তুমি এখন আমার সাথে ঘরে চলো। একটু রেস্ট নেবে।
আশফিঃ মাহি মামনি কে নিয়ে ঘরে চলে গেলো। আমি চাচ্চুর
সাথে কিছু কথা বললাম।
-চাচ্চু আমাদের ফিরে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। এখানে যা কিছু
আছে সবকিছু তুমিই দেখাশোনা করবে। আর সেটা কাল থেকেই।
তারপর মামনির ঘরে গেলাম।
মাঃ আশফি তোরা আমাকে একটু একা থাকতে দিবি বাবা?
আমি একটু একা থাকতে চাই।
আশফিঃ ঠিক আছে মামনি। আমি মাহি কে নিয়ে আমাদের
রুমে চলে এলাম।আজকে রাতে কারোর ই ডিনার হয়নি। ওকে
অনেক কিছু বুঝিয়ে তারপর ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। কাল অনেক
কাজ আছে।আমাদের জাপান ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে
হবে। তাই আমিও তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম। ★সোমাবার সন্ধা
৬:৪৫ ফ্লাইট টাইম★
মাহিঃ মা আমি তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো ওখানে?
আমি পারবোনা থাকতে।তুমি প্লিজ চলো আমাদের সাথে।
আশফিঃ মামনি আমি শুধু মাহিকে নিতে আসিনি। আমি
তোমাকেও নিতে এসেছি। আমার মামনি কে আবার ফিরে
পাবো বলে এখানে এসেছি।
মাঃ আশফি তোরা আমাকে এই বিষয়ে কোনো জোড় করিসনা।
কারণ আমি ওখানে গিয়ে থাকতে পারবোনা। প্রত্যেকটা মূহুর্ত
আমার ওর স্মৃতিগুলো মনে পড়বে। তোরা তোদের খেয়াল রাখিস
ভালোভাবে। তোদের কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে আমি আর
বাঁচবোনা।
আশফিঃ মামনি আমার আর মাহির কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে
ধরে কাঁদলো। তারপর আমরা বিদায় নিলাম। চলে এলাম জাপান।
★জাপান★
আশফিঃ আমাদের দুজনের নতুন জীবন শুরু হলো জাপান। মাহি
এখানে এসে আমাদের বাড়ি কিছু সময় ঘুরে দেখলো।
মাহিঃ বাসার ভেতর ঢুকে সব থেকে বেশি আকর্ষিত করলো
দেওয়ালে টাঙ্গানো কিছু ছবি। ছবি গুলো ছিল আমাদের সবার
এক সাথে থাকা সময়ের কিছু ছবি। কোনো ছবিতে আমরা সবাই
একসাথে, কোথাও আমি আর মা, কোথাও আবার আমার আর
আশফির ছবি। একটা ছবিতে আমি একটা গাড়ি নিয়ে খেলছি
আর ও আমার পেছন থেকে এসে কান কামড়ে ধরেছে। মনে
হচ্ছিলনা যে ও ওটা দুষ্টুমি করে করছে। ওর মুখের ভাব দেখে
মনে হচ্ছে খুব রেগে ছিল আমার ওপর। একটা ছবিতে আমার চোখ
আটকে গেলো। বাবা আর মায়ের ছবি। আমি এই প্রথম বাবার
ছবি এতো সামনে দাড়িয়ে কাছ থেকে দেখছি। মনের
অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পড়ছিল। হঠাৎ পেছন থেকে আশফি
আমার কোমোর জড়িয়ে ধরে আমার পিঠ ওর বুকের সাথে
মিশিয়ে দাড়িয়ে রইলো।
-আশফি আমরা কি এর থেকে সুন্দর জীবন যাপন করতে
পারতামনা?(ছবির দিকে তাকিয়ে)
আশফিঃ মাহি আমি এই ছবি গুলো এখানে টাঙ্গিয়েছি
শুধুমাত্র আমাদের সুন্দর স্মৃতি গুলো তোমাকে মনে করানোর
জন্য। কষ্ট পাওয়ার জন্য নয়। তাই এখন থেকে আর কোনো কষ্ট
পাবেনা।
মাহিঃ কিন্তু আমার যে কিছুই মনে নেই এই দিন গুলোর কথা।
মনে পড়ছেও না।
আশফিঃ তোমাকে মনে করতে হবেনা। তুমি শুধু উপলব্ধি করবে।
ঠিক আছে? কথাটা বলে ওর মাথার এক পাশে চুমু দিলাম। এখন
ঘরে চলো মামনিকে ও তো ফোন করতে হবে। আর অনেক্ষণ
আমাকে আদর করোনা। এবার চলো তো আমাকে একটু আদর
করবে। তোমার জন্য স্পেশাল বেডরুম ওয়েট করছে।
মাহিঃ স্পেশাল বেডরুম মানে?
আশফিঃ গেলেই দেখতে পাবে। তারপর ওকে কোলে তুলে
বেডরুমে চলে গেলাম।
চলবে………..