রাগী বস

রাগী বস – পর্ব- ১৪

সিফাতঃসকালে জেগে দেখি সিনহা আমার বুকের ওপর ঘুমাচ্ছে, সে তো আমার পাশে ছিলো তাহলে বুকের ওপর আসলো কিভাবে,ওহো মনে পড়েছে এইটুকু সোফায় দুজন ভালভাবো হচ্ছিলো না আমি প্রায় পরে যেতে লাগছিলাম তখনই এই ঘুমন্ত পেত্নী কে বুকে নিয়ে ছিলাম,অপলক তাকিয়ে আছি সিনহার দিকে।কেমন পিচ্ছি মেয়ের মতো চুপটি করে আমার বুকের মধ্যে ঘুমিয়ে আছে।মুখের ওপর চুলগুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে,ভারী মিষ্টি লাগছে ওকে দেখতে।চুল গুলো সরিয়ে আলতো করে কপালে একটা ভালবাসার পরশ দিলাম।ও একটু নড়ে চড়ে উঠলো তখনি চোখ বন্ধ করে ফেললাম যাতে ও না বুঝে আমি জেগে আছি।
.
সিনহাঃসকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেকে ওনার বুকে আবিষ্কার করলাম।কখন আমি ওনার বুকের ভিতর আসলাম।সারা রাত কি আমি এভাবেই ছিলাম,আল্লাহ উনি বুঝতে পারেনি তো আবার বুঝতে পারলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে উনার সামনে যাবো কি করে,ঘুমের ভিতর আমার কোনো হুশ থাকে না কেন । উনি এখনো ঘুমিয়ে আছে কি সুন্দর লাগছে উনাকে দেখতে কে বলবে উনি এতো রাগী, কতো কিউট একটা,কিন্তু খারুস আমার সাথে সবসময় রাগ দেখায়,পাজি একটা বলে ওনার কপালে একটা হামি দিলাম।দিয়ে উঠে যেতে নিলাম তখনি শাড়ীর আচলে টান পড়লো,এইরে উনি টানলো নাকি শাড়ীর আচল এদিকে তো একেবারে শারী নেই এইবার ওপাশ ঘুরবো কিভাবে? স্যার ছাড়ুন আমি যাবো উঠবো।
.
সিফাতঃবাব্বাহ আমাকে হামি দিলো তারমানে সামথিং সামথিং, চোখ খুললাম ওর কথায় কি ছাড়তে বলছে ও,আমিতো কিছু ধরিনি।
.
কি হয়েছে তুমি এখনো না উঠে বসে আছো কেন ওভাবে, যাও ফ্রেশ হও।
.
সিনহাঃযেতে দিলে তো যাবো।
.
সিফাতঃকে যেতে দিলো না, তোমায় কি কেউ ধরে রেখেছে নাকি?
.
সিনহাঃকি ন্যাকামিটাই না করছে নিজে শাড়ীর আচল টেনে ধরে এখন আমাকে বলছে,এমন ভাব মনে হয় কিছুই জানে না।
.
সিফাতঃকি হলো বলো?.
.
সিনহাঃআপনিই তো শাড়ির আচল ধরে রেখে,,,কথাটা পুরোটা আর বলতে পারলাম না পিছনে ঘুরে দেখি শারীটা উনি ধরে নেই উনার পিঠের নিচে পরে আছে।আর আমি কি না কি ভাবছি 😷
.
সিফাতঃকি হলো কি যেনো বলবে আটকে গেলে কেন?আমি শাড়ী কি করেছি?
.
সিনহাঃআসলে শাড়ীটা আপনার পিঠের নিচে চাপা পড়ে আছে।তাই আমি যেতে পারছি না।
.
সিফাতঃওহ আচ্ছা বলে শারির আঁচল টা ছাড়িয়ে দিয়ে বললাম তারাতারি ব্রেকফাস্ট রেডি করো অফিস যাবো।আর হ্যা কাল রাতের কথা যেনো মনে থাকে কোন উল্টো পাল্টা করলে তার ফল কেমন হয় কাল তো বুঝেছই আশা করি আর বোঝাতে হবে না?
.
সিনহাঃহুহ বলে উঠে চলে গেলাম।😏
গোসল শেষে রুমে এসে দেখি উনি এখনো শুয়ে আছে এই নাকি অফিসে যাবে।চুলগুলো ঝেড়ে মুছতে লাগলো।
.
সিফাতঃমুখে পানি আসলো কই থেকে চোখ খুলে দেখি সিনহা চুল ঝাড়ছে, ওয়াও এতো লম্বা চুল কোমড় ছাড়িয়ে পরেছে। ও একটা হালকা পিংক কালারের জরজেট শাড়ি পড়েছে,ওর ঘাড়ে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে।ও একটু হেলে চুল মুছছে ডেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে।ভেজা চুলে অসম্ভব সুন্দর লাগছে ওকে ইচ্ছে করছে চুলে নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নেই।ও শুধু কাছে টানছে । আর পারলাম না নিজেকে সামলাতে গিয়ে ওর পিছনে দাড়ালাম। পিছন থেকে ওর কোমড় জরিয়ে ধরলাম।ও একটু কেঁপে উঠলো। ওর কেপে উঠা আমাকে যেনো আরো নেশায় ডুবাতে লাগলো।ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ওর ঘাড়ে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু পানি গুলো ঠোঁট দিয়ে শুষে নিলাম।ওর চুলে নাক ডুবিয়ে দিলাম।
.
সিনহাঃআজ কি হলো উনার,উনি আমায় এভাবে ধরে রেখেছে কেন,উনার প্রতিটা স্পর্শে আমি শিহরিত হচ্ছি।
.
স্যার,,?
.
সিফাতঃহুম ওর চুলে নাক ডুবিয়ে বললাম।
.
সিনহাঃছাড়ুন
.
সিফাতঃউহু ঘোড়ের মধ্যে বলছি।
.
সিনহাঃঅফিস যাবেন তো ছাড়ুন আমায় আমি ব্রেকফাস্ট তৈরী করি।
.
সিফাতঃউহু না ছাড়বো না চুপ করোতো।
.
সিনহাঃস্যার অফিসে দেরী হয়ে যাবে একটু জোডেই বললাম।
.
সিফাতঃউফ এতো চেচাচ্ছো কেন।ওকে ছাড়িয়ে দিয়ে।
.
সিনহাঃএতোক্ষন আস্তে বললাম আপনি তো শুনলেন না।
.
সিফাতঃ,ধ্যাত যাও তো বলে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
.
to be continu…
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *