ভালোবাসি হয়নি বলা !! Part- 21
হঠাৎ দীপার কেবিন থেকে একজন নার্স বেরিয়ে এসে ডক্টর ডক্টর বলে চিৎকার করতে লাগল
ডক্টর ঃ কি হয়েছে এইভাবে চেঁচাচ্ছেন কি জন্য এটা হসপিটাল একটু আসতে
নার্স: এক্সট্রিমলি সরি,,, আসলে দীপা নামের যে প্রেসেন্ট আছে তার জ্ঞান ফিরে এসেছে তা অবিশ্বাস্য কাহিনী
ডক্টর ঃ আরে কি আজব কথাবার্তা বলতেছেন আপনার মাথা কি ঠিক আছে আমরা একটু আগে দেখে আসলাম তার অবস্থা অনেক খারাপ আর আপনি এখন বলতেছেন তার জ্ঞান ফিরে এসেছে এটা কিভাবে সম্ভব
নার্স ঃ আমিও তো সেটাই ভাবতেছি এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে তাই তো আমি আপনাদের ডাকার জন্য ছুটে এলাম আর কি ধরণের অদ্ভুত অদ্ভুত কথা কথা বলতেছে
ডক্টর : চলুন তো দেখি কি অবস্থা
নার্স এবং ডক্টর দুজনেই দিপার কেবিনে প্রবেশ করল ডক্টর কেবিনে প্রবেশ করেই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে দিপার দিকে কারণ তার লাইফের ফার্স্ট টাইম এরকম প্রেসিডেন্টকে এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হতে দেখলে
ডক্টর ঃ এটাকি কবে হতে পারে এ রকমই হতে পারে না একটা মানুষ এত তাড়াতাড়ি কিভাবে সুস্থ হতে পারেনা এটা একটা স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে কখনো হতে পারে না
দীপা: ডক্টর কি হতে পারে না আর আপনি কি আবোল তাবোল কথাবার্তা বলতেছেন আমি তো সুস্থ মানুষ আমি আবার অসুস্থ হলাম কবে
দীপার কথা শুনে ডক্টর যেন আকাশ থেকে মাটিতে এইমাত্র পরল
নার্স অবাক হয়ে দিপার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে মুখ হা করে
দিপাঃ আজব ব্যাপার আপনারা এরকম ব্যবহার করতেছেন কেন আর আমি এইভাবে শুয়ে আছি কেন,,,আর আমার ভাই তো একদম সুস্থ হয়েছে আমি তো আপনার সাথে কথা বলতে যাচ্ছিলাম কবে রিলিজ দিবেন সেই ব্যাপারটা নিয়ে তাহলে আমি এখানে কিভাবে আসলাম
ডক্টর এবং নার্স অবাক এর উপর অবাক হচ্ছে কি হচ্ছে তাদের সাথে তারা কি আদৌ ঠিক আছে নাকি তারাই অসুস্থ মেন্টালিটির সমস্যায় ভুগছে
দিপা ডক্টর যাই হোক আমি এখন আসি আমার আম্মু হয়তো আমার জন্য টেনশন করতেসেন
ডক্টর আর নার্স কিছুই বলল না দীপার চলে জাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে তারা অবাক হচ্ছে এটা কিভাবে হতে পারে এত দুর্বলতা মানুষ এত তাড়াতাড়ি কিভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে তাদের মাথায় ঢুকতেছেনা তারা শুধু এটাই ভাবতাছে
দীপাকে কে রুমে প্রবেশ করতে দেখে দীপার আম্মু
আম্মুঃ আরে মা তুই সেই কখন বেরিয়েছিস রুম থেকে এখন রুমে আসার নাম হলো
আমিঃ আবে আম্মু আর বলবো না আমার সাথে কি আজব আজব ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আজকে আবার আরেকজনের সাথে দেখা পেলাম সে আমাকে এখানে নিয়ে গেল সেখান থেকে আসলাম
আম্মুঃ তো ডক্টর কি বলল তোর ভাইকে কবে রিলিজ দিচ্ছে আর আমরা কবে বাসায় যাচ্ছি আর এখানে ভালো লাগতেছে না রে মা
আমিঃ আরে আম্মু কালকের রিলিজ দিবে আজকের রাতটা কোনো রকম থাকো কালকে বাসা যাব সবাই তার পর বাসায় গিয়ে থাকবো আর কখনো হসপিটাল আসতে হবে না আমাদের
তারপর মা মেয়ে অনেক গল্প করল তাদের হৃদয়ের জমে থাকা নানা ধরনের কথা
(কি ভাবতাছেন দীপা এত তাড়াতাড়ি কেন সুস্থ হলো তাই তো,, কি করব ভাই আমি একটু তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দিলাম নয় তো এইসব অসুস্থতার কারণে আরও একটা পাঠ লিখতে হতো,,, আর আপনাদের সবারই কমেন্ট দেখলাম তাদেরকে খুব তাড়াতাড়ি মিল করে দেওয়ার জন্য হ্যাঁ আমিও সেই চেষ্টা করতেছি কিন্তু গল্পটা তো লিখে যেতে হবে তাই না প্লিজ একটু ধৈর্য্য নিয়ে পড়ুন অনেক মজা পাবেন সেষসময় আমিও চেষ্টা করতেছি ওদের খুব তাড়াতাড়ি মিল করে দেওয়ার জন্য এবং ওদের খুনসুটি আবার শুরু করার জন্য তাই কেউ এটা জিজ্ঞেস করবেন না যে দীপার কি এমন হলো যার কারনে এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে গেল )
এইদিকে.
ডক্টর কি অপারেশন রুম থেকে বেরিয়ে আসতে দেখে রাকিব চৌধুরী ডক্টরের কাছে এগিয়ে গেলেন
রাকিবঃ ডক্টর পেশেন্ট এর কি অবস্থা
ডক্টর : টেনশন করার কিছুই নেই টেনশন মুক্ত থাকতে পারেন 72 ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে,,, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি বাকিটা আল্লাহতালার হাতে আমরা আশা করতেছি 72 ঘণ্টার মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে আর যদি না আসে তাহলে কোমায় চলে যাবে
রকিব চৌধুরি ডক্টর মুখ থেকে এরকম কথা শুনে নির্বাক হয়ে গেলেন এবং মাথাটা নিচু করে আবার চেয়ারে গিয়ে বসে পড়লেন দু গালে হাত দিয়ে
ড্রাইভার : স্যার এত চিন্তা করবেননা তো খুব তাড়াতাড়ি ওনার জ্ঞান ফিরে আসবে দেখবেন আমার মন বলতেছে উনি বেঁচে আসবে
রাকিবঃ তোমার কথাই যেন সত্যি হয়
নার্স : আপনাদের প্রেসিডেন্ট কে ক্যাবিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চাইলে আপনারা দেখে আসতে পারেন তাকে
রাকিব চৌধুরী এবং তার ড্রাইভার দুজনে মিলে মাহিনকে দেখতে গেল কেবিনে
তারপর মাহীন কে দেখে সেখান থেকে দুজনেরই বেরিয়ে আসলো
রাকিব চৌধুরী ডক্টর সাথে কিছুক্ষণ কথা বললেন মাহিকে নিয়ে এবং ড্রাইভারসহ রাকিব চৌধুরী চলে গেলেন তাদের নিজ বাসায় আর ডক্টর কে বলে গেলেন যদি জ্ঞান ফেরে তাদেরকে খবরটা জানাতে
এইদিকে,,,
ছুটকিঃ আরে আম্মু একটা জিনিস খেয়াল করেছো ভাইয়া বাসায় এখনও আসতেছে না ব্যাপারটা কি
আম্মুঃ আরে তোর ভাইয়ের এখন নতুন বউ হইছে না তাকে তো একটু সময় দিতে হবে এখন তো আর আমাদের সময় দেওয়ার মত ওর হাতে সময় নাই তাই এটা তোকে এখনো মেনে নিতে হবে
ছুটকিঃ তাই বলে কি বাসায় একবারও আসবেনা আমার মনটা না কেমন জানি করতেছে
আম্মুঃ ভুলেও কুলক্ষণে কথা মুখে আনবি না আমার ছেলে একদম ঠিক আছে যেখানে আছে আর খুব তাড়াতাড়ি আমার কোলে ফিরে আসবে
ছুটকিঃ তাও আমার মনটা না কেমন কেমন জানি করতেছে ভাইজান মনে হয়
আম্মুঃ চুপ থাকবি মনটা কেমন কেমন করতেছে ভাইজান মনে হয় একদম চুপ থাক আর একটা কথা বলবি না চুপচাপ গিয়ে পড়তে বোশ যা আমার চোখের সামনে থেকে যা এখন
ছুটকি আর কিছু না বলে চুপচাপ তার আম্মুর সামন থেকে সরে গেল এবং রুমে গিয়ে তার ভাইয়াকে ফোনে ট্রাই করতে লাগলো কিন্তু ফোনটা তুলতেছে না
ছুটকি এভাবে কয়েকবার ট্রাই করলা যখন ফোনে মাহিন কে পেলোনা চুপ চাপ বিসানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল
এইদিকে,,,
আমিঃ আম্মু আমি একটু বাইরে থেকে আসতেছি তুমি দাঁড়াও আমি 5 মিনিটের ভিতর আসতেছি
আম্মুঃ না পড়ে 5 মিনিট 5 ঘন্টা হয়ে যাবে তোর তার থেকে ভালো হবে তুই এখন আর রুম থেকে বেরোবি না তাহলে
আম্মু অনেক টা রাগী কন্ঠে আমাকে কথাগুলো শুনিয়ে দিলেন বুঝতে পারলাম আম্মু অনেকটা রেগে আছে
তাই চুপচাপ আমার ভাইয়ের বেডে বসে পড়লাম কারণ এখন আম্মুর সাথে এখন কথা বাড়ানো ঠিক হবে না তাহলে সন্দেহ শুরু করে দিবে
কিন্তু আমার মন মানছে না আমার মন বলতেছে উনি ভালো নেই
তকজন কেন যে তার সাথে ওই রকম ব্যবহার করতে গেলাম এখন নিজেই কষ্ট পাইতেছি
উফফফ কি করতেছে এখন উনি,, যে পরিমাণ রাগী মানুষ উনি রাগের বশে নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলবে নাতো আবার
উফ আর কোন কিছুই ভাবতে পারতেছিনা মাথাটা একদম ফেটে যাচ্ছে টেনসনে
সেদিনের মত অনেক কষ্ট করে রাতটা পার করলাম
সকালে ভাইয়াকে নিয়ে বিজি হয়ে গেলাম ভাইয়া রিলিজ নিয়ে ভাইয়াকে গাড়িতে করে বাসায় নিয়ে আসলাম
তারপর বাসার অনেক কাজ-কর্ম করলাম এতক্ষন পর্যন্ত উনার কথা আমার মনে পড়ে নি
উনার কথা মনে পরতেই বুকে ধুকধুকানি বেড়ে গেল আমার কেন জানি মনে হচ্ছে উনি এখন ভালো নেই যদি ভাল থাকতো তাহলে সকাল বেলা একবার হলেও আমাকে দেখার জন্য হসপিটালের গেটে ঘুরঘুর করত
কিন্তু আমি তো একবারও দেখলাম না ওনাকে বা উনার গাড়ি কিছুই তো দেখতে পেলাম না
না আমি আপনাকে না দেখে থাকতে পারবো না এখনি আমাকে বাসা থেকে বের হতে হবে উনার বাসায় যাব আমি।।।
তারপর মায়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম উদ্দেশ্য উনার বাড়ি
একটা রিক্সা ভাড়া করে উনার বাসায় পৌছে গেলাম
উনার বাসায় পৌঁছানোর পর যেটা দেখলাম আর যেটা শুনলাম আমি একদম হতবাক এতো কিছু হয়ে গেছে।।। আমার একটু ভুলের জন্য
( আমিও খুব করে চাচ্ছি মাহিন দিপার মিল দিয়ে আপনাদের মন জয় করার,, তার জন্য আমাকে একটু সময় দেন আর আপনারা একটু ধৈর্য ধারণ করুন আমি খুব তাড়াতাড়ি ওদের মিল করে দিব)
(বানান ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ)
চলবে…..