ভালোবাসি হয়নি বলা !! Part- 19
#পর্বঃ১৯ ( অন্য রকম পর্ব)
আমিঃ আপনি কি আমাকে দয়া দেখাচ্ছেন কেনও বলুন তো আপনি আমার সাথে এরকম করতেছেন আমি কি একটুও ভুল করছি আপনার সাথে যার কারণে আপনি সবসময় আমার এইরকম উপহার করেন বা ক্ষতি করেন কেন
আমাকে দেখে অনেক হকচকিয়ে উঠলেন মনে হয় ভাবতে পারেনি আমাকে এসময় এখানে দেখবে
আমিঃ প্লিজ বলুন না কি এমন করেছি যার জন্য আপনি আমার সাথে এরকম করতেছেন আমাকে এত দয়া জানার কি আছে
মাহিনঃ প্লিজ না করো না করো আমি তোমাকে পরে সব বুঝিয়ে বলব এখন এটা হসপিটাল এখানে প্লিজ সিনক্রেট করো না
আমিঃ আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দেন আপনি কেন আমাকে এভাবে দয়া দেখাচ্ছেন কেন আমাকে এভাবে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আপনি
মাহিনঃ দীপা বোঝার চেষ্টা করো এটা হসপিটাল অন্য কিছু নয় এখানে অনেক পেশেন্ট এর সমস্যা হবে তোমার এত জোরে জোরে কথা বলার কারণে আর তুমি এভাবে কান্না করতেছ কেন
আমি অনেক জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম এটা মেনে নিতে পারছি না কেন সেটা আমি নিজেও জানিনা আমার বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে,, কেন আমার সাথে এরকম হয়
আমি কান্না করতে করতে দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে আস্তে আস্তে বসে পরলাম ফ্লোরে
আমার এই রকম অবস্থা দেখে উন এগিয়ে আসলেন আমাকে তুলতে
ওনি যেই আমার দুই বাহু ধরেছে আমি ওনাকে এক ঝটকা দিয়ে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিলাম উনার গালে
আমিঃ আপনি আর কখনো আমার সামনে আসবেন না আমি চাই না আপনি আমার সাথে আর থাকুন আমি চাই না আপনি আমার সামনে আসুন আমি চাইনা আপনি আমাকে দয়া দেখান আমি চাইনা আমি কিছু চাইনা আমি শুধু এটা চাচ্ছি এখন আপনি আমার চোখের সামনে থেকে চলে যান নয়তো আমি কি করে বসবো সেটা আমি নিজেও জানিনা
আমি অনেক জোরে জোরে কান্না করতে লাগলাম আর কান্না করতে উনাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিলাম আমার মাথার ছিট খারাপ হয়ে গেছে কি কি বলতেছি আমি নিজেও জানিনা আমার নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি
মাহিনঃ দেখো হয়তো তুমি এটা মেনে নিতে পারতেছো না এখন তোমাকে ঠান্ডা মাথায় বুঝতে হবে কোথাও বসে আর এই নাও পানি পান করে নাও তাহলে তোমার রাগটা চলে যাবে
আমি গ্লাসটা হাতে নিয়ে ওনার মুখের উপর ছুড়ে মারলাম উনার কপালটা ফেটে রক্ত বের হতে লাগলো এটা দেখে ডক্টর ওনাকে ধরতে আসলেন উনি ডক্টর কে বাধা করলেন যাতে যেন ডক্টর উনার গায়ে হাত না দেয়
আমি এখনো ওখানেই বসে অনেক জোরে জোরে কান্না করেই যাচ্ছি
উনি ওখান থেকে অনেক রেগে আমার কাছে এসে আমাকে দাড় করিয়ে কয়েকটা থাপ্পর মারলো আমি থাপ্পর টাল সামলাতে না পেরে আবার ফ্লোরে পড়ে গেলাম,,
আমাকে থাপ্পড় মেরে ফেলে দিয়ে উনি হনহন করে কেবিন থেকে বাহিরে বেরিয়ে গেলেন আর আমি ওনার মুখটা দেখতে পেলাম না
আমি ওখানে বসেই কান্না করতেছি ডক্টর অবাক হয়তো ডক্টর এটা আমাদের কাছ থেকে আশা করেনি কখনো
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক
😭😢,,,🎶🎶🎶
এতো কাছে ছিলে তবুও,
করি নি খেয়াল
তোমার আমার মাঝে,
অদৃশ্য দেয়াল
তোমাকেই বুঝি খুঁজেছি,
আমি এতোকাল
এক ঝলকেই বদলে গেলো,
আমার দিনকাল
যাকে চেয়েছি, তাকে পেয়েছি,
সুন্দর হলো সকাল
আমি জেনেছি, আমি মেনেছি,
তুমি আমার চিরকাল…
আমার শুধু একটা তুমি চাই
তা কি বোঝনা ?
তুমিও আমাকে ছাড়া, কিছু খোঁজনা (x2)
খোঁজনা ..
হাসলে তুমি, হাসে সবুজ,
সুখে ভরে থাকে, চারপাশ
তুমি তাকালে, রোদে ভাসে,
মন খারাপের আকাশ
যাকে চেয়েছি, তাকে পেয়েছি,
সুন্দর হলো সকাল
আমি জেনেছি, আমি মেনেছি,
তুমি আমার চিরকাল…
আমার শুধু একটা তুমি চাই
তা কি বোঝনা ?
তুমিও আমাকে ছাড়া, কিছু খোঁজনা (x2)
খোঁজনা ..
রাখি তোমায়, চোখের নীলে
ছায়ায় তোমার, বারো মাস
থাকি আমি, তোমার খোঁজে
ছড়িয়ে সুবাস
যাকে চেয়েছি, তাকে পেয়েছি,
সুন্দর হলো সকাল
আমি জেনেছি, আমি মেনেছি,
তুমি আমার চিরকাল…
আমার শুধু একটা তুমি চাই
তা কি বোঝনা ?
তুমিও আমাকে ছাড়া, কিছু খোঁজনা (x4)
খোঁজনা
🎶🎶🎶🎶🎶🎶🎶
মাহিন হসপিটাল থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে অনেক স্পিডে গাড়ি চালাতে লাগল রাস্তায় কোন ট্রাফিক আইন না মেনে অনেক হাই স্পিডে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে
আর এই দিকে দীপা ওখানে বসে কান্না করতেছে আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক টা বাজতাছে দুজনের চোখেই পানি
মাহিন গাড়ি চালাচ্ছে আর হাত দিয়ে চোখের পানিগুলো বারবার মুছে ফেলতেছে
আর দিপা দুই হাঁটুর মাঝখানে মাথাটা রেখে কান্না করেই যাচ্ছে
হঠাৎ করে মাহিন লুকিং গ্লাসে দেখল তাতে একটা গাড়ি অনেকক্ষণ থেকে ফলো করতেছে সে বিষয়টা বুঝতে পারল না আসলে ঘটনাটা কী হতে যাচ্ছে তার সাথে আজকে
গাড়িটা তাকে অনেকক্ষণ তোকে ফলো করতেছে
এবং গাড়িটা অনেক স্পিড আসতাছে এবং একসময় মাহিনের গাড়ি কে কোর্স করে মাহিনের গাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো
যার ফলে মাহিন অনেক দ্রুত হার্ট ব্রেক করতে গেলে মাহিনের মাথায় বাড়ি লাগে
আর গাড়িটা উল্টো হয়ে যায়
মাহিন দেখতে পেল ওই গাড়িটা থেকে
সেদিন যে মেয়ে দুটো কে থাপ্পড় মেরেছিল সেই মেয়ে দুটো বেরিয়ে আসলো এবং তার সাথে কয়েকটা ছেলে
ছেলেগুলোর হাতে হকিস্টিক কারো হাতে চুড়ি কারো হতে গান
১ম মেয়েঃ কিরে কুত্তার বাচ্চা সেদিন তো অনেক বকবক বকবক করলি সেদিনে তোকে পুঁতে ফেলতে পারতাম কিন্তু তখন মজা পাইতাম না এখন তোকে ইচ্ছামত মারবো অনেক মজা করব তোকে মেরে
২য় মেয়েঃ তুই জানিস কাদের কাছে দুই হাত তুলে ছিলি তোর ভাগ্যটা ভালো সেদিন আমাদের কোন মুড ছিল না তোকে মারার কিন্তু আজকে কেন জানি তোকে দেখে মুডটা জেগে উঠলো, , অনেক আফসোস হচ্ছে জানিস কারন আমি এই প্রথম আমার কোনো ক্রাশকে মেরে ফেলতে যাচ্ছি হাহাহাহা
মাহিন মনে মনে ভাবতে লাগল আজকে তোর শেষ দিন সে হয়তো আর কোনদিন দীপার ঐ মুখটা দেখতে পাবে না তার ভাগ্যে এটাই ছিল
মাহিন ভাবতাছে তার জীবনটা বড়ই অদ্ভুত
যাকে এত ভালবাসলাম সে আমার মনটা বুঝতে পারল না
আর তার কপালটা অনেক খারাপ আজকে তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে
ছেলেগুলো মাহিনকে গাড়ি থেকে টেনে বাহিরে নিয়ে গেল
এবং হকি স্টিক দিয়ে ইচ্ছামত পেটাতে লাগলো
আর মেয়ে দুটো ভিডিও করতেছে আর মজা নিতেছে
মাহিন অনেক জোরে জোরে চিৎকার করে কান্না করতেছে আর তার মাকে ডাকতেছে
অনেক জোরে জোরে কান্না করতেছে চিৎকার করতেছে তার মাকে ডাকতেছে কিন্তু ছেলেগুলোর পাষান মন
তারা ইচ্ছামত মাহিনকে পিটাতে লাগলো
এইদিকে,,,
দীপা কান্না করতে করতে ওখানেই সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে
হঠাৎ করে একটা নার্স এসে দীপাকে ওই অবস্থা দেখে জোরে একটা চিত্কার করে উঠলো
নার্সের চিৎকার শুনে আরও কয়েকজন ডাক্তার শহ নার্স কেবিনে প্রবেশ করলো
সবাইকে কেবিনে প্রবেশ করে দীপাকে ওই অবস্থায় দেখে তাড়াহুড়ো করে সবাই দীপাকে একটা কেবিনে শিফট করালো
এবং দীপার দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলো
বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলো তাও দিপার জ্ঞান ফিরতে চায় না
ডাক্তার এবং নার্স অবাক এটা কিভাবে সম্ভব
( বানান ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)
(আমার ফোনে চার্জ কম তাই বড় করে লিখতে পারলাম না,😑 আগামীকাল বড় করে লিখব ইনশাল্লাহ)
আজ কের পর্ব পড়ে হয়তো অনেকেই আমাকে বকা দিবে 😑
চলবে…….