বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 20

তিথিঃ এই বজ্জাত তোমায় আমি অনেক ভালোবেসে ফেলেছি,,আমার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখো এই চোখে শুধু তোমার জন্য ভালোবাসা রয়েছে,,,মিস্টার বজ্জাত এনাকন্ডা ভালোবাসি তোমায় আমি অনেক,,,
তিথি যেন আজ নিজের মধ্যে একটু ও নাই,,,আবির তো আজ মহা খুশি শুধু এই ভেবে যে তিথি ও তাকে ভালোবাসে,,,,,তিথি ধম করে এই বার নিচে বসে যায় আর কেঁদে দেয়,,,,আবির তিথির সামনে গিয়ে বলে
আবিরঃ এই তিথি কাঁদছো কেন হুম?
তিথিঃ বজ্জাত এনাকন্ডা আমি তোকে কত ভালোবাসি আর তুই ওই নিয়ার সাথে (এই বার প্রচুর জোরে কেঁদে দেয়)
আবিরের খুব হাসি পাচ্ছে তিথির এমন কিউট ফেস করে কাঁদানো দেখে,,,,,তিথি কান্না তো জোরে জোরে করছে আর আবিরের কান নিচ্ছে,,,,তিথি উঠে চিৎকার করে বলে
তিথিঃ জানো জনগণ এই বজ্জাত কে আমি এতো না এতোওওঅঅঅঅঅঅঅঅ গুলো ভালোবাসি কিন্তু এই বজ্জাত এনাকন্ডা একটা শাঁতচুন্নির সাথে থাকে খালি আম্মমুউউউউউউ(কান্না করে করে)
আশে পাশের সবাই বুজতে পারে মাতাল অবস্থায় উল্টো পালটা বকছে,,,,তখন মহিলাটি বলে
মহিলাঃ আরে শুনো তোমার বউকে নিয়ে চলো ঘরে না হলে সে আরো বেশি করবে,,চলো সবাই যাই
আবিরঃ আতে না না আপু আপনারা অনুষ্ঠানে থাকেন সবাই কত মজা করছেন আপনারা করেন আমি ওকে সামলে নিবো,,,
আবির অই খান থেকে তিথিকে কোলে করে নিয়ে হাঁটতে থাকে আর তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছু ক্ষন,,,তারপর আবিরের গাল টেনে বলে
তিথিঃ তুমি কত কিউট,,,আমার তো ইচ্ছে করে তোমার গাল দুটো গাপুশ করে খেয়ে ফেলি,,,
আবিরঃ কিইইইইই এয়া আল্লাহ এই মেয়ে কি?
তিথিঃ বজ্জাত তোমার এই দাড়ি উফফফ আমার যে কি ভালো লাগে,,,ইচ্ছে করে তাও গাপুশ করে খেয়ে ফেলি
আবিরঃ ছি উয়াক তুমি শেষ মেষ দাড়ি ও খাবে উফফফ
তিথিঃ আরে দূর তোমার গাল গাপুশ গাপুশ করে কামড়ে খাবো আমি হ্মম্ম ইয়ামিইই
আবিরঃ হে আল্লাহ এই কোন রাক্ষসীর হাতে আমায় আজ ফেললে,,,,,কি কি সব খেয়ে মাতাল হয়্র আবুল তাবুল বকছে,,,সকাল হলে তো সিউর কিছু মনে থাকবে না,,,,
সকাল হলে কিছু মনে থাকবে না কথাটা বলে মুখটা মলিন করে ফেলে আর বলে
আবিরঃ তার মানে তিথি যে তার ফিলিংস আমায় বলেছে সব নেশায়,,,,পুরো হুশ ঞ্জানে তো বলে নাই,,,,তাহলে আমি এতো খুশি কি ভাবে হবো সে তো আর তার হুশ ঞ্জানে আমায় বলে নাই মাতাল অবস্থায় বলেছে যে সে আমায় ভালোবাসে,,,,
আবির এই সব ভাবছে আর হাঁটছে এই দিকে তিথি আবিরের গালে চুমু দিয়ে ফেলে,, আবির তার চোখ দুটো বড় করে ফেলে আর তিথির দিকে তাকায়
তিথিঃ উফফ বজ্জাত তোমার এই চাহিনি আজ আমার জান নিবে
আবিরঃ (আহা কি না বকবক করছে ম্যাডাম সকালে একটা কথা ও মনে থাকবে মা আর বললে উল্টো বলবে আমি মিথ্যা বলছি আসলে একটা ড্রামাকুইন)
তিথি কি করছে আজ সে ও জানে না আর আবির বেচারা পুরো ফেঁসে গেছে তিথির এমন কান্ড দেখে তো আবিরের প্রচুর ভয় করছে এই মেয়ে আজ কি কি করছে,,,,
আবির তিথিকে ঘর টায় নিয়ে আসে আস্তে করে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ আমি লেবুর শরবত পাই কি না দেখি চুপচাপ এই খানে বসো ওকে
আবির যেতে লাগে আর তিথি আবিরকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে
তিথিঃ আজকে তোমায় আমি ছাড়ছি না,,,,

আবিরঃ তিথি কি করছো?ছাড়ো বলছি
তিথি আবিরকে ঘুরিয়ে নেয় আবিরের ঘাড়ে দুই হাত রেখে বলে
তিথিঃ এই বজ্জাত আমায় ভালোবাসিস??আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বল
আবির না চাইতে ও তিথির সে মায়াবী চোখে তাকায় আর সত্যি সে ও হারিয়ে যায়,,,,আবির শুধু তাকিয়ে আছে তিথির চোখে,,, তিথি আবিরের দুই হাত নিয়ে নিজের কোমড়ে রালহে,,আর তার হাত দুটো আবিরের ঘাড়ে রেখে অনেক টা কাছে গিয়ে আস্তে করে বলে
তিথিঃ ভালোবাসো আমায়?
আবিরঃ হুম অনেক ভালোবাসি,,,এতো যে একদিন তোমায় না দেখলে আমার ঘুম ও হয় না,,,তোমার সামান্য হাসির জন্য সব করতে ইচ্ছে করে,,,,,ইচ্ছে করে তোমায় চিৎকার করে বলি যে তিথি তোমায় খুব ভালোবাসি এতো যে চাঁদ তার রসনিকে করে,,,,ওই আকাশটা জানে আমি তোমায় কত খানি ভালোবাসি,,,আমার মন জানে আমি তোমায় কতটা চাই,,,,জানি না কি ভাবে এতো টা ভালোবেসে ফেলেছি শুধু জানি আমি শুধু তোমায় চাই শুধু তোমায়,,,আমার প্রত্যেক টা হাসির কারণ এখন তুমি,,,আমার মনে যে এখন শুধু তুমি আর তুমি,,, ভালোবাসি আমি আমার তোতাপাখিকে,,,তার মায়াবী সে ঘুমকে,,,
তিথির চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে আবিরের কথা শুনে,,,আবিরের ও চোখ ভিজে যায়,,,,আজ আবির তার সব ফিলিংস তিথিকে বলছে কিন্তু আফসোস তিথির হুশ পর্যন্ত আজ নাই,,,,আবির তিথির সে মায়াবী মুখে যে আজ পুরো হারিয়ে গেছে আর বলে দিলো তার মনে সব কথা,,,,,কিছু ক্ষন দুইজনে চুপচাপ একে অপরের দিকে পলকহীন ভাবে চেয়ে আছে কারো কোনো শব্দ পর্যন্ত নাই মুখে,,,,
আবির তিথির অনেক টা কাছে আর তিথি ও,,,,হুট করে একটা বিড়াল লাফ দেয় পাশ দিয়ে আর মেউ করে উঠে,,, আবির একটু সরে দাঁড়ায় আর নিজে নিজে বলে
আবিরঃ কি করছিস কি আবির,,তিথির না হুশ নাই তোর তো আছে তাহলে কি করছিস,,,,
আবির যেতে লাগে তিথি আবিরের হাতটি ধরে টান দেয় আর আবিরের গাল হাত দিয়ে বলে
তিথিঃ অনেক ভালোবাসি আমি অনেক,,, একদম সহ্য হয় না কেউ তোমার আশে পাশে থাকলে,,আর ওই নিয়া শাঁতচুন্নিকে তো একদম না,,ইচ্ছে করে ওর সব চুল ছিড়ে কাকের মাথায় লাগিয়ে দেই হু
আবিরঃ কিইই কাকের মাথায় নিয়ার চুল লাগাবে ও আল্লাহ এই মেয়ে আসলে এলিয়েন
তিথি আবিরের ঠোঁটে আঙুল দিয়ে বলে
তিথিঃ ইসসসস একদম কারো নাম নিবে না,,তোমার মুখে শুধু আমার নাম শুনতে চাই বুজলে বজ্জাত
তিথির এমন পাগলা কান্ড দেখে আবিরের হাসি পায়,,,আসলে এই মেয়ে এলিয়েন আর সন্দেহ আছে,,,
তিথি আবিরের ঠোঁট থেকে আঙুল সরিয়ে বলে
তিথিঃ তোমার এই ঠোঁট দুটো আজ আমি গাপুশ করে কামড়ে খাবো,,,,উম্মম্ম
আবির তাড়াতাড়ি তার ঠোঁটে হাত দিয়ে বলে
আবিরঃ ইয়া আল্লাহ আজ আমায় বাঁচাও এই এলিয়েন আমার ইজ্জত লুটপাট করছে প্লিজ সেভ মি প্লিজ
তিথিঃ হি হা হা হু আজ কে তোমায় আমার হাত থেকে বাঁচাবে কালিয়া
আবিরঃ কালিয়া কে??
তিথিঃ উফফফ রোমাঞ্চ ও শান্তি মত করতে দিচ্ছে না এই বজ্জাত,,,,
আবিরঃ কিইই তিথি পাগলামি কম করো আর সরো
তিথি আবিরকে আরো জোরে আকড়ে ধরে আর আবিরের ঠোঁটের কাছে নিজের ঠোঁট এগিয়ে নিয়ে যায় আবির তিথিকে ধাক্কা দিয়ে খাটে ফেলে দেয়,,আর বুকে ফুঁ দিয়ে নিজে নিজে বলে
আবিরঃ কি মেয়েরা বাবা কি সব খেয়ে মাতাল হয়ে কি সব করছে,,আর সকাল হলে বলবে আমি করছি,,,হে আল্লাহ এই পাগল মেয়ের পাল্লায় আমি কি ভাবে পড়লাম উফফ,,,,ভাগ আবির দূর্ঘটনা ঘটার আগে,, না হলে এই মেয়ে আজ তোকে কি ওহ হে গাপুশ করে খেয়ে ফেলবে,,,,
আবির তাড়াতাড়ি পালাতে থাকে তিথি উঠে এসে আবিরকে চেপে ধরে আর আবিরের ফতুয়ার সব বুতাম টান মেরে ছিড়ে ফেলে আর বলে
তিথিঃ আজ তুমি আর আমি
আবিরঃ মাথা গেছে সিউর,,,চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়ো পাগলামি বন্ধ করে,,,,,
তিথিঃ উফফফ ঠিক করে রোমাঞ্চ ও করতে দিচ্ছে না এই বজ্জাত,,,পুরো আনরোমান্টিক একটা হু
আবির একটু ক্ষেপে যায়,,আবির এমন কিছু করতে চায় না যাতে পরে তিথি নিজে আফসোস করে,,,,তিথির হুশ নাই তাই এই সব করছে কিন্তু তার তো হুশ আছে এই ভেবে তিথিকে জোরে এক ধমক দিয়ে বলে
আবিরঃ কিসের রোমাঞ্চ হুম এক থাপ্পড় লাগাবো যে রোমাঞ্চ এর সব ভুঁত বের হয়ে যাবে ফাজিল মেয়ে,,,কি আব শুরু করছো হুম কয়েকটা কষে চড় লাগালে সব রোমাঞ্চ এর ভুঁত বাপ বাপ করে পালাবে,,,,,,
তিথিকে জোরে ধমকটা দেয় তিথি কেঁদে দেয় নিচে বসে,,,আবির প্রথমে ভাবে তিথির কান্না থামাবে আবার ভাবে যদি থামাতে যায় তাহলে তিথি আবার এই সব শুরু করবে তাই ঘর থেকে বের হয়ে যায়,,,

ঘর থেকে অনেক দূরে আসে,,একটা পাথর এর উপর বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরঃ আমি এমন কিছু কখনও করবো না যাতে তুমি পরে আফসোস করো,,,,আজ কি কি হয়েছে কিছু তোমার মনে থাকবে না সকাল হলে,,,,,তিথি ভালোবাসি তোমায় তাই বলে এই ভাবে এই সব কখনো না,,,,আমি তোমায় অনেক তাড়াতাড়ি নিজের ফিলিংস বলে দিবো,,একবার শহরে যাওয়ার পর দেখবে তিথি আমার ফিলিংস তোমায় কি ভাবে বলি এখন তো আমি এইও জানি যে তুমি আমায় ভালোবাসো,,,,অনেক তাড়াতাড়ি আমার তোতাপাখি পুরো হুশে আমায় বলবে বজ্জাত এনাকন্ডা তোমায় আমি ভালোবাসি,,,,,,
আবির অনেক ক্ষন পর ঘরে যায় আর গিয়ে দেখে তিথি বাচ্চাদের মত নিচে শুয়ে আছে,,,বুজা যাচ্ছে প্রচুর কান্না করছে আবির এই ভাবে তাকে ধমক দিতে চায় নাই কিন্তু সে কি করবে তার ও যে কিছু করার ছিলো না,,তিথি যা করছে তারপর আবিরের কাছে এইটা বেস্ট লাগছে,,,,
আবির তিথিকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,,, তিথির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে
আবিরঃ পাগলী আসলে,,,,, তোমায় অই ভাবে বকা না দিয়ে গেলে যে তুমি কি করতে আল্লাহ জানে,,,,সরি তোতাপাখি আর কখনো তোমায় কাঁদতে দিবো না,,আর কখনো কান্না করা অবস্থায় ছেড়ে যাবো না প্রমেস,,,,,
আবির তিথির কপালে চুমু দেয়,,,,নিচে একটা বেড সিট বিছিয়ে নেয় আর ওই খানে শুয়ে পড়ে,,,
সকালে,,,পাহাড়ি এলাকা এক তো চারপাশে পাখির কিচিরমিচি,,,,,অপূর্ব সৌন্দর্য পাহাড়ি এলাকার,,,চারপাশে সবুজ আর সবুজ,,,,,দেখতে এতো সুন্দর যা বলার বাহিরে,,,,

আবির উঠে দেখে তিথি ঘুমিয়ে আছে এখনও,,,,, আবির উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয় আর নিজের ড্রেস পড়ে নেয়,,,আবির বাহিরে গিয়ে দেখে মহিলাটা কি যেন রান্না করে তার সামনে আনছে,,,প্রচুর ক্ষেধে তো তার পেয়েছে কারণ রাতে সে কিছু খায় নাই,,,খাবে কি করে তিথির ওমন কান্ডতে কি আর কিছু খাওয়া যায়,,,আবিরের সামনে একধরনের পায়েস এর মত নাস্তা আনে,,মধু দিয়ে চাল দিয়ে নাকি পায়েস রান্না করে,,,আবির বেশ মজাতে তা খায়,,,
মহিলাঃ তোমার বউ উঠছে??আর লেবুর শরবত কি খাওয়াইছো?
আবিরঃ না উঠে নাই,,আসলে খাওয়ানোর আগে ঘুমিয়ে পড়ে তাই,,,
মহিলাটি একটা গ্লাসে লেবুর শরবত করে এনে দেয়,,,
মহিলাঃ এই টা খাইয়ে আসো না হলে মাথা ব্যাথা সারাদিন করবে,,,
আবির গ্লাসটি নিয়ে ঘরে গিয়ে দেখে তিথি মাথায় হাত দিয়ে বসে বসে বলে
তিথিঃ উফফ এতো মাথা ব্যাথা কেন করছে,,,,আর কাল রাতের কথা কেন মনে নাই,,,
আবিরঃ কাল তুমি যা যা করলে (ফাজলামি করে)
তিথিঃ কি করলাম আমি??আমার তো কিছু মনে পড়ছে না,,,
আবিরঃ কাল তুমি কি না করেছো তা জিজ্ঞেস করো,,আমার ইজ্জতের উপর আক্রমণ করেছো তুমি (অসহায় ভাব নিয়ে) কাল একা একটা ছেলে পেয়ে তুমি আমার ইজ্জত (অসহায় ভাব এর সাথে কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
আবিরের খুব মজা লাগছে এমন ফাজলামি করতে একটু তিথির সাথে,,,,,
চলবে,,,,,,