বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Part- 19
মামনিঃ মনে হয় ওরা চলে এসেছে যা গিয়ে দরজা খুলে দে…. তিথি গিয়ে দরজা খুলে দেয় র দরজা খুলে যা দেখলো তা দেখে তিথি পুরো শকড
তিথিঃ (এ,,,,,এই শ,,,,,য়তান টা এখানে কেন😨😨😨😨)
আবিরঃ কি হলো সরো,,,
তিথিঃ হু
আবিরঃ তিথি দরজা থেকে সরো,,
তিথি দরজা থেকে একটু সরে দাঁড়ায় র তখন আবিরের সব ফ্রেন্ডরা ভিতরে আসে,,,আবিরের একটা ফ্রেন্ডকে দেখে তো তিথি পুরো শকড,,,,
আবিরঃ তিথি ওরা আমার ফ্রেন্ড আকাশ র মেঘকে তো জানো র ও হলো শিহাব র তামিম,,র গাইস ও হলো তোদের ভাবি😊😊মানে আমার বউ
শিহাব তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে র আবিরকে বলে
শিহাবঃ তোর বউ তো অনেক সুন্দর আবির,,,পুরো ক্রাশ খাওয়ার মতো
তিথি শিহাবের কথা শুনে অনেকটা রেগে যায়,,তিথির ইচ্ছে করছে শিহাবকে ঝাড়ু দিয়ে পিঠিয়ে ঘর থেকে বের করতে কিন্তু নিজের রাগটা অনেক কষ্টে সে নিজে কন্ট্রোল করে রেখেছে,,,,,
তিথিঃ( এই কুত্তা,হারামজাদা, বদমাশ শয়তান এখানে কি করছে আবার কি জন্য আসছে,আগে ও আমার জীবন তেজপাতা করে গেছে আবার উফফ 😨😨ইচ্ছে তো করছে এখানে পুঁতে ফেলি খান্ডাস শয়তান 😠😡আবার কেন আসছে 😨😨)
আবির তিথিকে একটু ঝাকুনি দিয়ে বলে
আবিরঃ কি ভাবছো??
তিথিঃ কি…ছু না
আবিরঃ যাও আম্মুকে ডেকে দাও
তিথি চলে যায় যাওয়ার সময় শিহাবের চোখে চোখ পড়ায় শিহাব তিথিকে চোখ মারে র মুচকি হাসে,,,,তিথির এত রাগ লাগছে যে কি করবে সে নিজেও বুজতে পারছে না।।।যেতে যেতে সে আগের দিন গুলোর কথা মনে পরে যায় যখন শিহাব তার জীবনে এসেছে র তার জীবনের সব সুখ কেড়ে নেয়,,,,
৩ বছর আগে,,,
তিথি তার বান্ধবীদের সাথে কলেজ থেকে বাসায় যাচ্ছে তখন সে খেয়াল করে রাস্তায় অনেকটা ভিড় জমে আছে তিথি যেতে লাগে তখন রিতু বলে
রিতুঃ কিরে কই যাস
তিথিঃ ওই দেখ ঐখানে এত ভিড় কিছু হয়েছে হয়তো এই জন্য অনেকটা ভিড় জমে আছে চল দেখে আসি,,,,,,
নিলাঃ এই না না একদম না
তিথিঃ একদম চুপ কর।।আমি তো যাবো,,কেউ হয়তো বিপদে পরছে,,,দেখি আসি চল
রিতুঃ তিথি তুই যেখানে যাস সেখানে কিছু না কিছু করে আসিস পরে জামালায় পরতে হয়।।।প্লিজ আজকে যাস না
নিলাঃ হ্যাঁ রিতু তুই ঠিক বলেছিস তিথির কোনো বিশ্বাস নাই।।পরে দেখা যাবে গিয়ে উল্টো কোনো জামেলা করে এসেছে র আমাদের ও জামেলায় পেলেছে…
তিথিঃ কি বললি শাঁতচুন্নি 😡😠আমি সব জায়গায় জামেলা করি😠😠তোকে আমি আলু পরটা বানিয়ে এই নিলার বাচ্চাকে খাওয়াবো😠😠কুত্তি গুলো,,তোরা এত হারামি কেন😠😠ইচ্ছে তো করে তোদের দুই জনকে গাছে লটকিয়ে পিটাই😠
নিলাঃ উফফ আল্লাহ এই এলিয়েন টা আমাদের পৃথিবীতে কি ভাবে যে আসলো😨😨
তিথিঃ কি বললি😠😠যাই হোক তোদের আমি পরে দেখে নিবো আগে দেখে আসি ওখানে কি হয়েছে,,,,
তিথি কারো কথা না শুনে যায় র গিয়ে দেখে একটা ছেলে একটা রিকশাওয়ালাকে মারছে র সবাই দাঁড়িয়ে আছে কেউ কিছু বলছে না।।।তিথি একটা লোককে জিজ্ঞেস করে
তিথিঃ চাচা ওই ছেলে টা রিকশাওয়ালাকে এই ভাবে মারছে কেন??
লোকটিঃ ছেলেটার গাড়ির সাথে রিকশাটি ধাক্কা লাগে র গাড়ির একটা কাচ ভেঙ্গে যায় তাই ছেলেটি নেমে উনাকে মারতে থাকে,,,
তিথি এই কথা শুনার পর র রাগ কন্ট্রোল করতে পারে নাই,,,ছেলেটার সামনে গিয়ে তার কলার ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে ঠাসসসসস ঠাসসস করে দুইটা চড় মারে,,,সবাই পুরো অবাক,,
নিলাঃ এই মেয়ে জামেলা না করলে হয় না😨😨এত মানুষের সামনে এই ভাবে একটা ছেলেকে থাপ্পড় মারলো আল্লাহ কি করি এই মেয়েকে নিয়ে,,,
ছেলেটি গালে হাত দিয়ে তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে অগ্নি দৃষ্টিতে ছেলেটি কিছু বলতে যাবে তার আগে তিথি ছেলেটিকে বলে
তিথিঃ ওই অমানুষ তোর কি মন বলতে কিছু নাই😠😠গরিব বলে তুই উনাকে এই ভাবে মারবি,, কুত্তা, হারামি,অমানুষ তোকে আমি এখানে পুঁতে ফালবো
শিহাবঃ তোমার এত বড় সাহস আমাকে থাপ্পড় মারার😠😠তুমি জানো না তুমি কার গায়ে হাত তুলেছো
তিথিঃ আমি ভালো করে জানি কে তুই😠😠😠তুই হলি একটা মানুষ রুপে জানোয়ার
শিহাবঃ 😠😠😠😠ইউ
তিথিঃ একদম চুপ থাক।।।উনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নে না হলে এখন আমি কি করবো ভাবতে ও পারবি না😠😠
শিহাবঃ আমি র এই ছোট লোক থেকে ক্ষমা তোমার মাথা ঠিক আছে
তিথি এত টা রেগে গেছে যে সামনে একটা লাঠি পায় র সেটা দিয়ে শিহাবের গাড়ির মধ্যে এত জোরে বারি দেয় যে গাড়ির কাচ গুলো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলে,,,সবাই তো পুরো অবাক তিথির এমন কান্ড দেখে,,তিথি শিহাবের সামনে গিয়ে বলে
তিথিঃ দেখ ভালো ভালো বলছি তাড়াতাড়ি ক্ষমা চেয়ে নে না হলে তোর গাড়ির কাচের মতো তোর মাথাটাও আমি এই ভাবে টুকরো টুকরো করবো😠😠
শিহাব এতটা রেগে যায় সে তিথিকে কিছু বলতে যাবে তখন তিথি আবার গাড়ির মধ্যে বারি দেয়,,,,শিহাব না চাইতে ও রিকশাওয়ালার কাছে ক্ষমা চায় র চলে যেতে লাগে তখন তিথি কাছে এসে বলে
শিহাবঃ অনেক বড় ভুল করেছো আমার সাথে বেয়াদবী করে😠আমার সাথে এত বাজে ব্যবহার করে😠😠তুমি ভাবতে ও পারবে না আমি তোমার কি অবস্থা করি😠😠আমার লাইফের এখন একটা কাজ তোমার লাইফ হেল করা😠😠গেট রেডি মিস থাপ্পড় আলি,,,
তিথিঃ আরে যা যা তোর মতো বদমাশ আমার কিছুই করতে পারবে না।।।কারণ আমি তিথি র তিথি কাউকে ভয় পায় না,,
শিহাব সেখান থেকে চলে যায় তার মাথায় শুধু একটা কথা ঘুরছে র তা হলো তিথির লাইফ হেল করা।।সবার সামনে তাকে থাপ্পড় মারার র অপমান এর প্রতিশোধ নেওয়ার ভুঁত চেপেছে তার ঘাড়ে ,,,,তিথির নাম ছাড়া সে কিছু জানে না।।।
শিহাবঃ তোমার লাইফ আমি এত হেল করবো যে তুমি চাইলে ও আমার কাছ থেকে ছুঁটতে পারবে না,,,,তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল আমার গায়ে হাত তোলার র আমাকে অপমান করা,,,এই দিন না আমি ভুলবো র না তোমাকে ভুলতে দিবো😡😡
রিতু র নিলা তিথির কাছে আসে র তিথিকে সামলিয়ে বাসায় নিয়ে যায়,,,,,,
প্রায় ১ মাস কেটে যায় এই ঘটনার,,,,,শিহাব এই এক মাসে তিথির বেপারে সব জেনে নেয়,,
তিথি একদিন কলেজ থেকে বাসায় এসে দেখে শিহাব তার বাসায় তিথি তাকে প্রথমে চিনতে পারে নাই পরে ভালো করে দেখে শিহাব
তিথিঃ ওই বদমাশ তুই আমার বাসায় কি করিস😠😠ওই দিনের থাপ্পড় কি কম হয়ে গেছে যে আবার খেতে আমার বাসায় আসলি
চাচিঃ তিথিইইই মেহমানদের সাথে কি ভাবে কথা বলতে হয় জানিস না😠😠র একটা বেয়াদবী যদি করিস তাহলে থাপ্পড় মেরে গালের সব দাঁত ফেলে দিবো শয়তান মেয়ে😠😠
তিথিঃ কিন্তু চাচি তুমি জানো না লোক টা কেমন
চাচিঃ তিথি আমি তোকে চুপ থাকতে বলেছি র একটা কথা বলবি না।।।।উনার সাথে সম্মান দিয়ে কথা বলবি উনি তোর হবু বর
তিথিঃ হবু বর মানে😱😱😱
চাচিঃ হ্যাঁ শিহাবের সাথে আমি তোর বিয়ে ঠিক করেছি।।
তিথিঃ চাচি আমি এই বদমাশকে মেয়ে করবো না
চাচিঃ তোর থেকে আমি জিজ্ঞেস করি নাই যে তুই রাজি কি রাজি না।।।।তোকে এই বিয়ে করতে হবে ব্যস র হ্যাঁ তোর জন্য যা যা করেছি ছোট থেকে আজকে তার প্রতিদান দিবি তুই,,
তিথি র কিছু বলো না নিজের রুমে গিয়ে কান্না করতে থাকে,,,,শিহাব টাকার লোভ দেখায় চাচিকে যাতে তার সাথে তিথির বিয়ে দেয়,,,,,
তিথি না চাইতে ও এই বিয়েতে রাজি হয়,,,কি করবে তার বাবা-মা যে নাই র বাবা-মার মতো চাচা-চাচিকে ভালোবেসেছে,,,তিথি নিজের চাচাকেও বলতে পারছে না যে সে শিহাবকে বিয়ে করতে চায় না,,কারণ চাচি তাকে ভয় দেখিয়েছে যদি এই বিয়ে তে রাজি না থাকে বা তার চাচাকে বলে দেয় তাহলে তিনি নিজের জান দিয়ে দিবে র তার চাচার ও নিয়ে নিবে।।।।না চাইতে ও তিথি সব কিছু মেনে নেয়,,,,
অনেকদিন হয় তিথির শিহাবের সাথে বিয়ে ঠিক হয়,,,,শিহাব তিথিকে একটা পার্টিতে নিয়ে যায় তিথি না চাইতে ও যায়,,,
শিহাব তিথিকে একটা রুমে নিয়ে যায়,,র তার হাতে একটা পেকেট দেয়,,তিথি খুলে দেখে একটা ড্রেস র অনেক ছোট,,,ড্রেস টা দেখে তিথি চোখ দুটো বড় বড় করে ফেলে
তিথিঃ আমি এই ড্রেস পরবো না..
শিহাবঃ তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করি নাই যে তুমি এই ড্রেস টা পরবে কি পরবে না😠এই টা আজকে তুমি পরবে,,র একটা কথা না
তিথি আবার যখন বলে সে পরবে না তখন শিহাব তিথি গাল চেপে ধরে বলে
শিহাবঃ তুমি এখনো আমার আসল রুপ দেখো নাই😠😠তাড়াতাড়ি পরে আসো না হলে তোমার সাথে যা হবে তার জন্য শুধু তুমি দাই থাকবে,,,
শিহাব তিথিকে ধাক্কা মেরে চলে যায়,,,,তিথি ব্যালেন্স হারিয়ে ছোট একটা টেবিলের পাশে গিয়ে পরে র টেবিলের কনায় মাথা লাগায় তিথির মাথাটা একটু কেটে যায়,,,,,শিহাব তার সাথে অনেক বার বাজে ব্যবহার করেছে কিন্তু তিথি কিছু বলতো না,,একদিন তার চাচিকে বলায় উল্টা তাকে থাপ্পড় মারে র বলে তাকে যেন এই বিষয়ে কিছু না বলে।।।।তিথি সব কষ্ট সহ্য করে নেয়,,ভাগ্য ভেবে,,,,,
তিথি অনেক কষ্টে ড্রেসটা পরে নেয়,,,না চাইতে ও পরতে হয়,,,ড্রেস টা এত ছোট ছিল যে তিথি ওড়না মুড়িয়ে বের হয়,,,,তিথি অনেক কান্না আসছে এমন একটা জায়গায় এসেছে যে তার ধম বন্ধ হয়ে আসছে,,,শিহাব তিথিকে দেখে একটু রেগে যায় র তিথির কাছে এসে ওড়নাটা ছুঁড়ে ফেলে দেয়,,,র ডান্স করতে স্টেজে নিয়ে যায়,,,,,সব ছেলেরা তিথির দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে,,তিথির চোখ বেয়ে নোনা পানি পরছে তা শিহাব দেখে আরো মজা নেয়,,,,,
তিথির গায়ের সাথে কিছু ছেলে লেগে লেগে ডান্স করছে তিথির অনেক বিরক্তি লাগছে তিথি শিহাব কে বলে কিন্তু শিহাব তা কেয়ার না করে নিজের মতো ডান্স করতে থাকে,,,,তিথির এত মাথা খারাপ হয়ে গেছে যে সে রেগে একটা ছেলেকে সবার সামনে থাপ্পড় মারে,,,,সবাই তিথির দিকে তাকিয়ে আছে,,,
ছেলেটিঃ শিহাব এই মেয়ে আমাকে থাপ্পড় মেরেছে র তুই চুপ করে আছিস😠😠অপমান করার জন্য আমাদের এখানে এনেছিস
শিহাব তিথির কাছে গিয়ে তিথির হাত চেপে ধরে বলে
শিহাবঃ ওর কাছে মাপ চাও
তিথিঃ আমি কেন মাপ চাইবো এই বেয়াদব ছেলে আমার সাথে যা করেছে তাকে তো আরো থাপ্পড় মারা উচিত
শিহাব রেগে সবার সামনে তিথিকে থাপ্পড় মারে,,,তিথি ব্যালেন্স হারিয়ে নিচে পরে যায়,,,,তিথি ঠোঁট টা ও একটু কেটে যায়,,,,চোখ বেয়ে পানি পরতে থাকে,,,,,
চলবে.