বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Part- 16
মেয়েরা তিথিকে বিছানায় বসে চলে যায়।।।।লম্বা ঘোমটা দিয়ে বিছানার মাঝ খানে তিথি বসে থাকে,,,,
হঠাৎ দরজা খুলার আওয়াজ শুনে তিথি দরজার সামনে তাকিয়ে দেখে,,,,,,,,,,মামনি..
মামনি এসে তিথির পাশে বসে র তিথির হাত ধরে বলে
মামনিঃ আমরা যা কিছু করেছি শুধু তোর র আবিরের ভালোর জন্য,,,জানি এখন হয়তো বুজবি না কিন্তু সময় হলে ঠিকই বুজবি যে আমরা ভুল কোনো সিদ্ধান্ত নেই নাই,,
তিথিঃ চুপ,,,,,,,,,,,
মামনিঃ জানিস আমার ছেলেটা খারাপ না অনেক ভালো,,হয়তো অনেক রাগী তোর ভাষায় বলতে গেলে অনেক বজ্জাত,😅কিন্তু ওর মনটা খুব ভালো যেমন নারকেল এর মতো উপরে অনেক শক্ত র ভিতরে অনেক নরম,,,
তিথি তার মামনির দিকে তাকিয়ে আছে,,তিথি নিজে ও জানে আবির খারাপ কোনো ছেলে নয়,,,,সব দিকে পারফেক্ট,,,যে কোনো মেয়ে তাকে বিয়ে করতে চাইবে তার মধ্যে কোনো কমতি নাই।।।তিথি নিজেও যে আবিরকে নিজের মনে একটু একটু করে জায়গা দিয়েছে তা সে ঠিক বুজতে পারছে,,,,,,,,,তিথি চুপ থাকায় মামনি আবার বলে উঠে
মামনিঃ তিথি দেখিস আমার আবির তোকে কখনও কষ্ট দিবে না।।।সব সময় আগলে রাখবে
তিথি একটু মুচকি হেসে তার মামনির দিকে তাকিয়ে বলে
তিথিঃ আমাকে কিন্তু আগের মতো ভালোবাসতে হবে সব সময় আমার পক্ষ নিয়ে কথা বলতে হবে র হ্যাঁ আমাকে আগের মতো বকা আদর সব কিছু করতে হবে (মামনিকে জড়িয়ে ধরে,,,, তিথির চোখ বেয়ে পানি পরে যায়)
মামনিঃ একটা শর্তে,, যদি রাজি থাকিস তাহলে সব আগের মতো হবে..
তিথিঃ বলো
মামনিঃ আমাকে মা বলে ডাকবি প্লিজ
তিথি এই বার নিজের চোখের পানি আটকিয়ে রাখতে পারলো না…তার মামনিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়.. র বলে
তিথিঃ মা😭😭😭😭
মামনিও কান্না করে দেয়,,,,,অনেক ক্ষন তিথি তার মামনিকে জড়িয়ে ধরে রাখে,,,মামনি তাকে ছেড়ে বলে
মামনিঃ আমি আসি এখন কেমন র আবিরকে পাঠিয়ে দিচ্ছি
মামনি চলে যায়,,,তিথি তার চোখের পানি মুছে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে শীতল হাওয়া যেন তিথির গায়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে,,চাঁদনী রাত বাহিরের সব কিছু যেন আজকে তিথির কাছে অনেক ভালো লাগছে,,,,হঠাৎ একদিনে তার পুরো জীবন পাল্টে গেল,,,তার কাছের মানুষ গুলো ছেড়ে তার র যেতে হবে না,,,সারাজীবন তাদের সাথে থাকবে,,আবিরের জন্য ও তার মনে আলাদা একটা ফিলিং যা সে বুজছে না যে সে টা আসলে কি??তিথি চোখ বন্ধ করে শীতল হাওয়া অনুভব করছে,,,
আবির রুমে যেতে চায় না,,তার কেমন যেন লাগছে রুমে যেতে আবির ভাবতে ও পারে নাই যে মেয়েকে সে একটু ও সহ্য করতে পারতো না আজকে থেকে সারাজীবন করতে হবে,,আবির সব সময় এই টা ভাবতো যে ছেলে তিথিকে বিয়ে করবে তার কপালে কতো দুঃখ আছে এখন সে দুঃখ যে তার ঘাড়ে এসে চাপলো তা ভেবে তার অনেক আজিব ফিলিং আসছে,,,,অনেক কষ্টে রুমে যায় র গিয়ে দেখে তিথি রুমে নাই,,,,,আবির তোত টা কেয়ার না করে আলমারি থেকে কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,,,,,
আবির ফ্রেশ হয়ে দেখে এখনো তিথি আসে নাই,,আবির তাওয়ালে টা বিছানায় রেখে বারান্দায় যায় র গিয়ে দেখে তিথি বারান্দায় একটা চেয়ারে ঘুম,,ঘুমান্ত তিথিকে যে আবিরের খুব পছন্দ,,,তার সে মাসুম চেহারা যেন আবিরের অনেক কাছে টানে,,তিথির চুল গুলো নিয়ে যেন বাতাস খেলা করছে তার চুল গুলো বাতাস উড়ছে র তা আবিরের কাছে খুব ভালো লাগছে,,,আবির তিথির সামনে গিয়ে বসে তিথির মুখে আসা র কপালে আসা ছোট ছোট চুল গুলো আবির সরিয়ে দিচ্ছে,,,, র হঠাৎ করে তিথির কপালে আলতো করে চুমু একে দেয়,,,আবির নিজেও জানে না এই টা সে কেন করলো তার শুধু এই টাই ঠিক মনে হলো র দিয়ে দিলো,,আবির তিথির এত টা কাছে যে তিথির প্রত্যেকটি নিশ্বাস সে গনতে পারছে,,
তিথির এত টা কাছে আসাতে আবিরের হার্ট বিট যেন দ্রুত গতিতে বেরে গেছে,,আবির তার এক হাত বুকের বাম পাশে রাখে র চোখ বন্ধ করে দেখে তিথির চেহারা,,আবির চোখ খুলে দেখে তিথি তার সামনে ঘুমিয়ে আছে,,আবির তিথির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আবিরের চোখের পলক যেন একটুও পরছে না,,,তিথির চেহারায় এত টা মায়াবী যে আবির সে মায়াজালে আটকে গেল,,,তিথির সে গোলাপি গাল,,গোলাপি ঠোঁট যে আবিরকে তার আরো কাছে টানে,,
আবির অনেক ক্ষন এই ভাবে তিথির দিকে তাকিয়ে ছিল,,,অনেক ক্ষন পর আবির তিথির গালে তার দুই হাত রাখে র সে খেয়াল করে ঠান্ডায় তিথির গাল দুটো লাল হয়ে গেছে র কাঁপছে,,আবির র কিছু না ভেবে তিথিকে কোলে নিয়ে নেয় র রুমে গিয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়,,,,তিথি গয়না না গুলে ঘুমিয়ে গেছে,, আবির একটু মুচকি হেসে তিথির পাশে বসে
আবিরঃ জানি না এমন কি আছে তোমার মাঝে যা আমাকে বার বার টানে তোমার কাছে ,,,তোমার প্রতি এক আলাদা মায়া জমেছে,,অদ্ভুত এক ফিলিং তোমার জন্য জানি না এমন টা কেন হচ্ছে,,,,এই রকম ফিলিং অন্য কারো জন্য কখনোই হয় নাই,,শুধু তোমার জন্য হচ্ছে,,,,,এমনটার কারণ আমি জানি না শুধু জানি তোমায় অনেক ভালো লাগে অনেকক,,,,,,,
আবির তিথির মাথায় হাত রাখে র খেয়াল করে যে তিথি তার গয়না না খুলে ঘুমিয়ে গেছে,,,,,আবির একটু মুচকি হেসে তিথির গয়না গুলো খুলে ছোট টেবিলটিতে রাখে র তিথির পাশে শুয়ে পরে,,,,,
আবির অনেক চেস্টা করছে ঘুমার কিন্তু তার ঘুম কিছুতে আসছে না,,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে দেখে তিথি অনেক শান্তিতে ঘুমাচ্ছে তিথির ঘুম দেখে যেন আবিরের কাছে আরো ভালো লাগছে,,পুরো বাচ্চা লাগছে,,, তিথির সব দুষ্টুমি সব অদ্ভুত কথা,,,অদ্ভুত কাজ সব কিছু আবির মনে করে হাসছে,,,পুরো বাচ্চাদের মতো করে ,,আবির তিথির দিকে তাকিয়ে থাকে র অনেক ক্ষন পর সে ও ঘুমিয়ে যায়,,,
সকালে,,,,,,,,,
তিথি ঘুম থেকে উঠে যা দেখে তা দেখে তার চোখ দুটো কপালে,,,,,,,,,,
আবির তিথিকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে আবিরের নিশ্বাস তিথির মুখে এসে পরছে,,,,,,,, তিথি পুরো শকড যে সে কি করে এখানে আসলো…আবিরের মুখ তিথির মুখের অনেক কাছে,,,
তিথিঃ আমি তো বারান্দায় ছিলাম র সেখানে বসে ছিলাম হয়তো সেখানে ঘুমিয়ে গেলাম র এই বজ্জাত টা আমাকে হয়তো রুমে নিয়ে এসেছে,,,কিন্তু আমাকে এই ভাবে কেন জড়িয়ে ধরে রেখেছে উফফফ এই বজ্জাত টা যে কি শক্ত একটু সরাতে ও পারছি না,,,
তিথি অনেক চেস্টা করছে আবিরকে সরানোর কিন্তু সে বার বার ব্যথ হচ্ছে,,,,,,,,,,আবির তাকে আরো শক্ত করে ধরে রাখে,,তিথি অনেক টা বিরক্তি হয়ে বলে
তিথিঃ এই বজ্জাত টা কি ইচ্ছে করে আমাকে ধরে রেখেছে উফফফ এই এনাকন্ডা তো আমাকে মেরে ফেলবে যদি র একটু এই ভাবে চেপে ধরে,,কি যে করি,,,
হঠাৎ তিথির মাথায় লাল বাতি জ্বলে উঠলো র বাতি টা ছিল শয়তানি বুদ্ধি 😅😁তিথি খেয়াল করে পাশে একটা জগে পানি রাখা আছে তিথি অনেক কষ্টে পানির জগটি হাতে নেয় র সব পানি আবিরের মুখে ছুঁড়ে মারে সে ও একটু ভেজেছে কিন্তু আবিরকে পুরো ভিজিয়ে দিয়েছে😁😁😅😁
হঠাৎ করে পানি কেউ মুখে ছুঁড়ে মারায় আবির লাফিয়ে উঠে,,এক তো ঠান্ডা তার মধ্যে ঠান্ডা পানি কেউ ছুঁড়ে মারলো,,, র তিথি একটু হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো র আবিরের অবস্থা দেখে হাসতে হাসতে শেষ,,,তিথির তো এত হাসি পাচ্ছে যে সে একটু ও খেয়াল করে নাই আবির যে তার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,
আবির তো অনেক রেগে যায় তিথির এই রকম কান্ড দেখে আবিরের র বুজতে বাকি রইলো না যে পানি টা কে মেরেছে,,আবির রাগে তিথিকে চেপে ধরে আবিরের মুখ টা তিথির অনেক কাছে নিয়ে আসে,,,,আবিরের মুখের পানি গুলো তিথির মুখে পরছে,, আবিরের এমন চাহিনীতে তিথির কেমন যেন নেশা কাজ করছে,,,আবির তিথির জ্ঞালের সাথে নিজেত গাল লাগায় র তিথির কানের কাছে গিয়ে বলে
আবিরঃ অনেক শখ না তোমার পানির সাথে মজা করার দাঁড়াও দেখাছি তোমাকে মজা,,,
আবিরের ছোঁয়া তিথি কেঁপে উঠে আবার আবিরের কথায় চোখ দুটো বড় বড় করে ফেলে,,,, আবির তার সাথে কি করবে তিথি বুজতে পারছে না,,তিথি কিছু বলতে যাবে তার আগে,,,,,
আবির তিথিকে কোলে তুলে নেয়,,,,তিথি অনেক হাত পা ছুঁটাছে কিন্তু আবিরের কাছ থেকে কিছুতে ছুঁটতে পারছে না,,তিথি র না পেরে আবিরের বুকে খামচি দিতে থাকে আবিরের সে দিকে খেয়াল নাই,,,,
আবির তিথিকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে বাথটপে ছুঁড়ে মারে,,,এক তো ঠান্ডা তার মধ্যে আবির পুরো পানির মধ্যে তিথিকে চুবিয়ে দেয়,,,,,তিথি তো পুরো বেকল হয়ে গেল আবিরের এমন কান্ডতে,,,,,আবির যে তাকে এই ভাবে পানিতে চুবিয়ে দিবে তা সে ভাবতে ও পারে নাই,,,তিথি অনেক কাঁপছে ঠান্ডায় তার অবস্থা পুরো খারাপ তার পর ও রেগে আবিরকে বলে,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে…..