বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড Season 2 !! Part- 19

শিহাবঃ কি মায়াবী মেয়েটা,,,উফফ এতো সুন্দর মেয়ে😍😍পুরো পরী লাগছে,,,পরীরাও তার কাছে হার মানবে,,,,,, এতো মায়াবী পরীর মতো মেয়ে তো আল্লাহ আমার জন্য বানাইছে,,,অনেক তাড়াতাড়ি তোমাকে আমার জীনের আনবো তিথি😊😍
শিহাব তো মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে তিথির যাওয়ার দিকে,,,,পিছন থেকে মেহের এসে শিহাবের ঘাড়ে হাত রাখে আর বলে
মেহেরঃ কি রে কি দেখছিস এই ভাবে?
শিহাবের ঘোড় কাটে মেহের ডাকে,,,শিহাব মেহের দিকে মুচকি হেসে ফোনটা দেখিয়ে বলে
শিহাবঃ ওকে আমার চাই,,,
মেহেরঃ এক দিনের জন্য ওকে ডান
শিহাবঃ এক দিনের জন্য না,,,ওকে আমার সারাজীবনের জন্য লাগবে,,,ওকে আমি বিয়ে করতে চাই,,,
বিয়ের কথাটা শুনে মেহের শিহাবের কপালে হাত দিয়ে দেখে আর বলে
মেহেরঃ তুই ঠিক আছিস তো
শিহাবঃ হ্যাঁ আমি ঠিক আছি,,,,কিন্তু তুই এভাবে কেন করছিস?
মেহেরঃ না মানে তুই বিয়ের কথা বলছিস তাই,,,সত্যি কি তুই এই মেয়েকে বিয়ে করতে চাস?
শিহাবঃ হ্যাঁ আমি ওকে চাই,,,আর শুন ওর সব ইনফরমেশন চাই আমার,,,
মেহেরঃ ওকে ভাই ডান,,,
শিহাবঃ এই মেয়ে এতো মায়াবী যে ওর মায়াজালে শুধু আমি থাকতে চাই,,আর কেউ না,,,তুমি শুধু আমার তিথি শুধু আমার,,,
,,
,,,
,,,,,

তিথি রেস্টুরেন্টের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে,,,,আবির সে কখন থেকে ফোনে কথা বলছে,,,,তিথির অনেক বিরক্তি লাগছে একা একা এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে,,,একটু বিরক্তি নিয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে আবার অন্য পাশে তাকায়,,,আর নিজে নিজে বকবক করে
তিথিঃ শয়তান হারামি,,,আমাকে একা রেখে ফোনে কথা বলছে আমি সিউর এইটা ওই শাঁতচুন্নি নিয়া😡এই মাইয়াকে তো আমি কাঁচা মরিচ দিয়ে ভর্তা করে পেত্নীদের খাওয়াবো😡😡
,,,,,
আবিরঃ নিয়া প্লিজ একটু বুজো আমি এখন আসতে পারবো না,,,আমি অনেক ব্যস্ত আছি,,,আর আজকে দেখা করার জন্য এতো জরুরি কিসের আজিব
নিয়াঃ বছরের প্রথম দিন আমি তোমার সাথে কাটাতে চাই আর তুমি আবির😢(ন্যাকা কান্না করে)
আবিরঃ নিয়া প্লিজ কান্না করো না দেখো আমি কালকে তোমার সাথে দেখা করবো ওকে
নিয়াঃ সিউর
আবিরঃ হুম,,বাই
নিয়াঃ বাই বেবী
তিথি তো আবিরকে সে লেভের গালি গুলো দিচ্ছে,,,,তিথির খুব রাগ উঠে আবিরের উপর,,,,হঠাৎ তিথির ওড়না একটা ছোট বাচ্চা টেনে ধরে,,তিথি ঘুরে দেখে একটা বাচ্চা মেয়ে হাতে কিছু গোলাপ ফুল নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে,,,
মেয়েটিঃ আপ্পা একটা ফুল নেন,,,
আবির কথা বলে ফোনটা পকেটে রেখে তিথির দিকে এগিয়ে এসে দেখে একটা বাচ্চা মেয়ের হাতে অনেক গুলো গোলাপ,,আবির একটু মুচকি হেসে পকেটে থেকে হাজার টাকার ২ টা নোট বের করে মেয়েটিকে দেয় আর বলে
আবিরঃ আমাকে সব ফুল দিবে?
মেয়েটি খুব খুশি হয়ে যায়,,খুশিতে মেয়েটি সব ফুল আবিরের হাতে দিয়ে নাচতে নাচতে চলে যায়,,,তিথি তো মুগ্ধ নয়নে শুধু আবিরকে দেখছে,,,আবির যে এতো ভালো তা হয়তো তিথি জানতো না,,জানতো কি করে সারাদিন তো শুধু আবিরের সাথে ঝগড়া করে যেতো আর আবিরকে গালাগালি করতো😂😂😂আজকে তিথির মনে আবিরের জন্য অনেক সম্মান,এতো ক্ষন যতো রাগ ছিলো সব উড়ে গেছে,,,,তিথি আবিরের দিকে সে কখন থেকে তাকিয়ে আছে তার কোনো হিসাব নাই,,,,আবির তিথিকে বলে
আবিরঃ এই যে ম্যাডাম এই ভাবে কি দেখছেন?
তিথিঃ কি,,,,ছু না,,,,চলুন
আবির তিথির হাতটি সবার সামনে ধরে ফেলে,,,
তিথিঃ কি,,, করছেন কি হা,,,হাত ছা,,,ড়ুন প্লিজ,,সবাই তাকিয়ে আছে,,,(ঘাবড়ে চারপাশে তাকিয়ে)
চারপাশে অনেক মানুষ ছিলো,,,,,,
আবির তিথির কথার পাত্তা না দিয়ে হাঁটু ভাজ করে মাটিতে হাঁটু ঘেরে বসে,,আর গোলাপ ফুল গুলো তিথির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে
আবিরঃ তিথিইইইইই আইইইইইইই লাভভভভভভ ইউউউউউউউউ(চিৎকার করে বলে)
চারপাশের মানুষ শুধু আবির আর তিথিকে দেখছে,,,তিথি তো লজ্জায় শেষ,,,চারপাশে এতো মানুষ তাদের মাঝে আবির তাকে এমন কিছু বলবে তা সে ভাবতে ও পারে নাই,,,,,,অনেক গুলো মেয়ে তো আবিরের দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে,,,এক তো এতো হ্যান্ডসাম আর কিউট তার মধ্যে এতো সুন্দর করে সবার সামনে প্রোপস করেছে,,মেয়েরা তো ফিদা😂😂সাথে আমিও😜😜😜
তিথিঃ উঠুন প্লিজ (ওড়নার কাচা মোচড়তে মোচড়াতে)
আবিরঃ রিপ্লাই দাও আগে তার পর উঠবো,,
তিথিঃ কি পাগলামি শুরু করেছেন,,,প্লিজ উঠুন
আবিরঃ পাগলামি হোক বা যাই হোক আগে রিপ্লাই দাও,,তারপর উঠবো না হলে না,,,
চারপাশ থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে
সবাইঃ রিপ্লাই দিয়ে দাও,,,,

ভিড়ের মাঝে একটা মেয়ে তো বলে ফেলে
একটা মেয়েঃ তুমি যদি রিপ্লাই না দাও তাহলে আমি দিচ্ছি,,এতো হ্যান্ডসাম ছেলেকে তুমি রিপ্লাই না দিলে আমি দিচ্ছি😍উফফ আজকে যদি আমাকে কেউ এই ভাবে প্রোপাস করতো তাহলে তো আমি জাপিয়ে পরতাম,,,,,
তিথি তো চারপাশে তাকাচ্ছে যে কে বলেছে,,আবির তো মুচকি হেসে দেয় কথাটা শুনে,,,,তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির এখনো আগে মতো আছে,,,,তিথি বুজতে পারছে সে না বলা পর্যন্ত আবির উঠবে না,,,চোখটা বন্ধ করে বলতে যাবে তখন আবির বলে
আবিরঃ আমার দিকে তাকিয়ে বলো,,
তিথি চোখ খুলে আবিরের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,,,,আবির বুজতে পারছে তিথি অনেকটা ঘাবড়ে গেছে,,আবির উঠে পরে,,তিথি বলতে যাবে তার আগে আবির বলে উঠে
আবিরঃ চলো বলা লাগবে না তোমার,,,,,
তিথিঃ আ,,,মি আস,,,,,লে
আবিরঃ গাড়িতে উঠো
আবির চলে যায় তিথির সামনে থেকে আর গিয়ে গাড়িতে উঠে বসে,,,,, তিথি এখনও আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে,খুব খারাপ লাগছে তার,,,আবির এই ভাবে রেগে গেলো ,,,চারপাশের মানুষ গুলো নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছে
এক জন মেয়েঃ ছেলেটা কতো ভালোবাসে মেয়েটাকে আর মেয়েটা ভালোবাসি কথাটা বলতে পারলো না,,,ছেলেটা হয়তো রেগে চলে গেছে,,,,
তিথির খুব খারাপ লাগছে আবিরের জন্য,,সে তো বলতে যেতো তার আগে আবির চলে যায়,,,,
তিথিঃ আমি তো বলতাম কিন্তু তার আগে উনি রেগে চলে গেলেন😟আমি আসলে একটা স্টুপিড,,,, উনি রেগে গেলো,,কি করি এখন,,,
আবিরের গাড়ির হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে,,,তিথি দূরে এসে গাড়িতে বসে,,,,আবির তিথির দিকে না তাকিয়ে ড্রাইভ করতে থাকে,,তিথি যে সিট বেল লাগায়নি তা আবির দেখে নাই,,,,তিথি ইচ্ছে করে লাগায়নি,,,তিথি আবিরের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে আর আবির তো সামনে তাকিয়ে ড্রাইভ করছে,,,,,
তিথিঃ স্যা,,,,র স্যার
আবিরঃ হুম(ড্রাইভ করতে করতে)
তিথিঃ আপনি রেগে আছেন আমার উপর,,,
আবিরঃ না তো,,তোমার উপর কেন রেগে থাকবো,,,
তিথিঃ আম সরি স্যার😢😢আসলে আমি ত,,,খন,,,,
আবিরঃ ইটস ওকে তিথি,,,,
তিথিঃ আপনি রেগে আছেন আমি জানি,,😢😢আম সরি,,,
আবিরঃ তিথি আমি রেগে নাই সত্যি,,,চোখের পানি মুছে চুপ করে বসে থাকো,,,
তিথি কান্না করেই যাচ্ছে,,,,আবির এতো কথা বলেছে তার সাথে ঠিক কিন্তু এক বার ও তার দিকে তাকায়নি,,,তিথির কলিজা যেন পুড়ে যাচ্ছে,,,,,তিথি অন্য পাশে ফিরে চোখের পানি ফেলছে আর আবির তিথির দিকে আর চোখে একটু তাকিয়ে আবার ড্রাইভ করতে ব্যস্ত হয়ে পরে,,,অনেক ক্ষন পর গাড়ি আবিরদের গেটের ভিতরে ঢুকতে দেখে তিথি আবিরের দিকে তাকায়,,,,আবির কিছু না বলে গাড়ি থেকে বের হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,,তিথি মনে করেছে আবির এসে গাড়ির দরজা খুলে দিবে কিন্তু আবির তা করে নাই,,,চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে,, তিথির খুব খারাপ লাগছে,,,তিথি নিজে দরজা খুলে বের হয়ে আবিরের সামনে দাঁড়ায়,,,
তিথিঃ আমরা এখানে?
আবিরঃ হুম আম্মু আর বৃষ্টি তোমার সাথে কাটাতে চায়,,,চলো
তিথিঃ স্যার
আবির পিছনে ফিরে ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে কি?
তিথিঃ কি,,,,ছু না,,চলুন
তিথি ভিতরে গিয়ে আবিরের মা ও বোনের সাথে অনেক কথা বলে,,আবির গিয়ে সোফায় বসে শুধু দেখছে তিথি বৃষ্টি আর তার মা কি ভাবে জড়িয়ে ধরে কথা বলছে,,,,
বৃষ্টিঃ তো এখন থেকে তোমায় ভাবি ডাকবো,,
ভাবি নামটা শুনে তিথি অনেক লজ্জা পায়,,লজ্জা মুখখানি লাল হয়ে পরে,,,,আবিরের মা তিথির কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে
আবিরের মাঃ আমার ছেলের জন্য তুমি একদম পারফেক্ট,,,তাড়াতাড়ি তোমাকে আমার ঘরে বউ করে নিয়ে আসবো,,,,
তিথি লজ্জায় পুরো লাল,,,,,একটু মুচকি হেসে আবিরের দিকে তাকিয়ে দেখে আবির উঠে তার মাকে বলে
আবিরঃ আম্মু আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি,,,
আবির এই বলে উপরে চলে যায়,,একটা বারো তিথির দিকে তাকায়নই,,,আবিরের মা তা খেয়াল করে,,,, আবির মা তিথির দিকে তাকিয়ে বলে
আবিরের মাঃ আমার ছেলেটা একটু অভিমানী,,,,রাগী কিন্তু তার মনটা খুব ভালো,,,যাও ওর রাগ ভাঙিয়ে আসো,,(একটু মুচকি হেসে)
তিথি একটু মুচকি হেসে উপরে যায় আর মনে মনে দোয়া করে আবির যেন তার উপর বেশি ক্ষন রাগ করে না থাকে,,,,তিথি আবিরের রুমে অনেক ভয়ে ভয়ে ঢুকে,,,ভিতরে গিয়ে দেখে আবির রুমে নাই,,পুরো রুমের ১২টা,,, বেডের উপর অনেক গুলো কাপড় পরে আছে,,তিথি একটু মুচকি হেসে পুরো রুম গুছিয়ে,,বেডের পাশে ছোট একটা টেবিলে আবিরের একটা ছবি আছে,,তিথি আবিরের ছবিটা হাতে নিয়ে তাকিয়ে থাকে,,কি না কিউট লাগছে আবিরকে,,,,,,,একটা লাল টি-শার্ট পরে আছে,,,,মুখের কোণায় একটু হাসি যা পুরো তিথির মনে গাঁথে,,,,,তিথি আবিরের এই হাসিটা অনেক ভালোবাসে,,,আবার আবিরের উপর রাগও উঠছে,,,,,
তিথিঃ শয়তান বজ্জাত হারামি,,,সব সব সব এই বজ্জাতের হাড্ডি,,,,,,
আবির ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে মুখ মুছতে মুছতে থমকে যায়,,,,তিথি বেডের এক পাশে বসে তার ছবি নিয়ে তাকে বলা দিচ্ছে,,,আবির কিছু বলতে যাবে আবার থমকে যায় তিথির কথাটা শুনে,,,,

তিথিঃ মিস্টার এনাকন্ডা বজ্জাত আপনি জানেন আমি আপনাকে কতো ভালোবাসি তারপর ও আপনি আমার উপর রেগে আছেন😢😢আমি অনেক টা ঘাবড়ে গেছি ওই সময় এতো মানুষের সামনে বলতে যে আমি ও আপনাকে অনেককককক ভালোবাসি,,,,,,প্লিজ আমার সাথে রাগ করে থাকিয়েন না,,,না হলে আমি আপনাকে তেলাপোকার ভর্তা আর টিকটিকির আচার খাওয়াবো,,,,হুম
আবির তো ভুমি করার অবস্থা,,,
আবিরঃ ইয়াককক ছিঃ
তিথি পিছনে তাকিয়ে দেখে আবির কেমন ভাবে যেন মুখ হাত দিয়ে ভুমি করার মতো করছে,,,তিথি ছবিটা রেখে আবিরের কাছে এসে বলে
তিথিঃ কি হয়েছে আপনি ঠিক আছেন,,,
আবিরঃ তুমি আসলে কি,,,,
তিথিঃ মানে?
তিথিঃ সিরিয়াসলি তেলাপোকার ভর্তা আর টিকটিকির আচার,,উয়াক তুমি আসলে মানুষ না এলিয়েন,,,,
তিথিঃ আমি এলিয়েন😡😡
আবিরঃ তো নয়তো কি,,,কি আজগুবি কথা তুমি বলো,,,,আসলে আমি একটা এলিয়েনের সাথে প্রেম করি এতে কোনো সন্দেহ নাই,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,