পূর্ব রোদ

পূর্ব রোদ !! Part- 23

কথা শেষ করে নাবিলা কৃত্রিম হাসি দিলো।রোদ কিছু বললো না।তার মাথায় শুধু পূর্ব ঘুরছে।পূর্বের জায়গায় তো পূর্ব ঠিক তাহলে?সে ডিভোর্স কেনে চাইছে?আর রোদ কেনো পূর্বকে এতো মাথা ঘামাচ্ছে?রোদ নাবিলা’র দিকে তাকালো।কতোটা হ্যাপি দেখা যাচ্ছে বাহির থেকে।কিন্তু কেউ জানে না মেয়েটা নিজের ভিতর কী পুষে রেখেছে!
মেঘ সামনে গিয়ে স্টুডেন্টসদের উদ্দেশ্য কিছু কথা বলে।ওর টিমের আরো কয়েকজন একই ভাবে বক্তব্য দেয়।সবশেষে মেঘ আবারো স্টেজে গিয়ে বলে,
“দেখতে দেখতে আমাদের তিন মাস কেটে গেলো।আপনারা নিশ্চয় আমার টিম থেকে কিছু না কিছু শিখেছেন।আমাদের টিমে আরো একজন ম্যামবার ছিলো কিন্তু আপনারা উনাকে দেখেননি।আজ উনি আসছেন।সো প্লিজ মি.নিলয় আহমেদ..”
মেঘের কথা শেষ হতেই লাইট পড়লো দরজার দিকে।সবার দৃষ্টি ওদিকে হওয়ায় নাবিলা জুশের গ্লাস রেখে সেও তাকালো।তখনি নাবিলা’র শ্বাস-প্রশ্বাস থমকে গেলো।ছলছল চোখে নাবিলা সামনে তাকিয়ে রইলো।নিলয়ের আগমনে সবাই করতালি দিচ্ছে।নিলয় নামটা শুনে রোদের খটকা লাগলো।সে নাবিলা’র দিকে তাকিয়ে দেখলো তার চোখের কোণায় বিন্দু জল।রোদের বুঝতে বাকি রইলো না যে এই নিলয় কে?রোদের দৃষ্টি দেখে নাবিলা নিজেকে শক্ত করলো।এখন তার স্বাভাবিক হওয়ার সময়!
স্টেজে উঠে নিলয় কিছুক্ষণ কথা বললো।তারপর যে যার যার মতো পার্টি এনজয় করতে লাগলো।রোদ গিয়ে নাবিলা’র পাশে দাঁড়ালো।তখন মেঘ তাদের সামনে আসলো।মেঘের পিছু পিছু নিলয় আসছে দেখে রোদ ভাবলো নাবিলা নিজেকে লুকাবে।তাই হাতে থাকা নাবিলা’র হাত ছেড়ে দিলো।কিন্তু রোদকে অবাক করে দিয়ে নাবিলা চিল মোডে দাঁড়িয়ে রইলো।যেনো নিলয় থাকা না থাকায় নাবিলা’র কিছু আসে যায় না।মেঘ তাদের সামনে এসে বললো,
“নিলয়,ও হলো আমার বোন নাবিলা ওরফে নীরা।আর ও রোদ।”

“হেই হাই!আ’ম নিলয়!”
নিলয় একহাতে মোবাইল টিপছিলো।দৃষ্টি মেবাইলের দিকে রেখেই নিলয় হাত বাড়ালো।এতে করে নাবিলা হাত মিলালো না।বরং ডোন্ট কেয়ার ভাব নিলো।অনেকক্ষণ ধরে কেউ হাত মিলাচ্ছে না দেখে নিলয় সামনে তাকালো।সামনে তাকাতে নিজের হাতের মেবাইল পরে যেতে নিলে নাবিলা তা ধরে ফেললো।নিলয়কে উদ্দেশ্য করে বললো,
“নিজের জিনিস নিজে সামলে রাখতে শিখুন মি.নিলয়!”
নাবিলা’র কথা শুনে নিলয় হতবাক হয়ে গেলো।নিজের শুকনো ঠোঁট কামড়ে ধরে বললো,”নাইস!হাই রোদ!”
“হাই।”
নাবিলা’কে উদ্দেশ্য করে নিলয় বললো,”আপনাকে কোথাও যেনো দেখেছি।”
“এফবিতে।আই মিন এফবিতে হয়তো।”
“মে বি।”

নাবিলা ঠোঁটে প্লাস্টিকের হাসি ঝুলালো।ওদের দুজনের আচরণে রোদ অবাক হচ্ছে।আর নিলয়ের কথা শুনে এইটা স্পষ্ট যে নাবিলা’কে তার মনে নেই।কিন্তু এইটা কিভাবে সম্ভব?
“রোদ?” মেঘের ডাক শুনে রোদ বাস্তব জগতে ফিরে এলো।মেঘের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলো,
“হু!হুম বলো।”
“আমম তুমি কী ফ্রি আছো?”
“ফ্রি?কেনো?”
“ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড আমার সাথে কী তুমি একটা জায়গায় যেতে পারবে?”
“ক….”
“হ্যা হ্যা অবশ্যই।”
রোদ কিছু বলার আগেই নাবিলা উত্তর দিয়ে দিলো।রোদ নাবিলা’র দিকে তাকিয়ে কিছু বুঝার চেষ্টা করলো।কিন্তু রোদ কিছুই বুঝলো না।মেঘের সাথে সে যাওয়ার জন্য সামনে এগোলো।


“তো মিস.নাবিলা?”
“ইয়েস!”
“আপনি বাংলাদেশি?”
“অফকোর্স আ’ম বাংলাদেশি!এনি ডাউট?”
“নো নো!”
তাদের কথাবার্তা শুনে কেউ বলবে না তারা তিনবছরের পরিচিত ছিলো।নাবিলা বুঝতে পারছে না নিলয় তাকে কীভাবে ভূলে গেলো?নাকি সেও তার মতো অভিনয় করছে?নাহ!অভিনয় কেনো করবে?নিলয়ের কাছে তো মেয়ের অভাব নেই।তার মধ্যে তাকে কীভাবে বা মনে থাকবে?নিলয় তো এমন বাইরের দেশের অনেক মেয়ের সাথেই প্রেম করেছে।সেখানে নাবিলা পিঁপড়া’র সমান।গ্লাসে থাকা জুশের দিকে তাকিয়ে নাবিলা এসব ভাবছিলো।তখনি নিলয় হঠাৎ অনেকটা কাছে চলে এলো।নাবিলা’র ভিতরটা ধপধপ করতে থাকলো।নিলয় নাবিলা’র কানে ফিসফিস করে বললো,”ইউ আর সো ডেঞ্জারাস!”
নিলয়ের কথা বলার সময় তার ঠোঁট নাবিলা’র কানে লাগছিলো।ঠোঁটের ছোঁয়ায় নাবিলা কেঁপে উঠলো।কখনো কোনো ছেলে এতোটা কাছে আসেনি।আজই প্রথম।তাও তার এক তরফা ভালোবাসা!নিজের মধ্যে হুস আসতেই নাবিলা তাকে হাত দিয়ে আলতো করে দূরে সরিয়ে বললো,
“ডেঞ্জারাস পারসন থেকে দূরে থাকতে হয়।”
“বাট আই লাভ ডেঞ্জারাস পারসন সোওওও মাচ!”
“”তো মিস.নাবিলা?”

“ইয়েস!”
“আপনি বাংলাদেশি?”
“অফকোর্স আ’ম বাংলাদেশি!এনি ডাউট?”
“নো নো!”
তাদের কথাবার্তা শুনে কেউ বলবে না তারা তিনবছরের পরিচিত ছিলো।নাবিলা বুঝতে পারছে না নিলয় তাকে কীভাবে ভূলে গেলো?নাকি সেও তার মতো অভিনয় করছে?নাহ!অভিনয় কেনো করবে?নিলয়ের কাছে তো মেয়ের অভাব নেই।তার মধ্যে তাকে কীভাবে বা মনে থাকবে?নিলয় তো এমন বাইরের দেশের অনেক মেয়ের সাথেই প্রেম করেছে।সেখানে নাবিলা পিঁপড়া’র সমান।গ্লাসে থাকা জুশের দিকে তাকিয়ে নাবিলা এসব ভাবছিলো।তখনি নিলয় হঠাৎ অনেকটা কাছে চলে এলো।নাবিলা’র ভিতরটা ধপধপ করতে থাকলো।নিলয় নাবিলা’র কানে ফিসফিস করে বললো,”ইউ আর সো ডেঞ্জারাস!”
নিলয়ের কথা বলার সময় তার ঠোঁট নাবিলা’র কানে লাগছিলো।ঠোঁটের ছোঁয়ায় নাবিলা কেঁপে উঠলো।কখনো কোনো ছেলে এতোটা কাছে আসেনি।আজই প্রথম।তাও তার এক তরফা ভালোবাসা!নিজের মধ্যে হুস আসতেই নাবিলা তাকে হাত দিয়ে আলতো করে দূরে সরিয়ে বললো,
“ডেঞ্জারাস পারসন থেকে দূরে থাকতে হয়।”
“বাট আই লাভ ডেঞ্জারাস পারসন সোওওও মাচ!”
“আই সিই!”
নাবিলা তার বা’পা দিয়ে নিলয়ের পায়ে আঘাত করলো।নিলয় ব্যাথায় “আহহ!” শব্দ করলো।নাবিলা তাকে এড়িয়ে সামনে চার পা এগোতেই পেছন থেকে তার কানে ভেসে আসলো,”ও হ্যলো মিস!কন্টাক্ট নাম্বারটা তো দিয়ে যান।”
নাবিলা তার কথায় কোনো উত্তর দিলো।নাবিলা’র বুকটা ধকধক করে উঠছে।জলে টুপ টুপ হওয়া চোখ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো।নাবিলা ভেবে পাচ্ছে না নিলয় কেনো তাকে চিনতে পারছে না?কি করে সম্ভব এইটা?

“মেঘ,আমরা কোথায় যাচ্ছি?”
“গেলেই জানতে পারবে।”
“আর কতোটুকু?”
“পাঁচ মিনিট!”
রোদ জানে নাবিলা তার কোনো ক্ষতি করবে না।কিন্তু মেঘে’র সাথে আসতে সায় কেনো দিলো?যদি পূর্ব জানতে পারে তাহলে?রোদ নিজের মাথা চেপে ধরলো।রোদ মনেমনে ঠিক করে নিয়েছে পূর্বের কথা মেঘ’কে আজই বলে দিবে।তাহলে যদি প্রবলেম একটু কমে।হঠাৎ গাড়ি থেমে গেলো।মেঘ গাড়ি থেকে বের হয়ে রোদকে বের হতে বললো।রোদ চোখ ঘুরিয়ে দেখলো তারা একটা নিরব জায়গায় আছে।আশেপাশে গাছ ছাড়া আর কিছুই নেই।রোদ গাড়ি থেকে বের হতে যাবে তখনি তার মেবাইল বেজে উঠলো।স্কিনে তাকিয়ে দেখলো তিহানের কল।মেঘকে ইশারা করে রোদ কল রিসিভ করলো।
“হ্যালো,ভাইয়া?”
“রোদ তুমি কোথায়?এখনো বাড়ি আসোনি।নাবিলা তো চলে এসেছে।”
“আপু চলে গেছে?আমি আধঘন্টা’র মধ্যে পৌঁছে যাবো।”
“কোথায় এখন?”
“মেঘ বললো ওর সাথে আসতে।সারপ্রাইজ হবে কিছু।নাবিলাপু জানে।”
“ওহ,আচ্ছা।”
রোদ কল কেটে দিয়ে ভাবতে লাগলো তিহান কেনো কল করবে?তারমানে পূর্ব কী কল করতে বলেছে তিহান’কে?কিন্তু পূর্ব নিজে কেনো কল করেনি?”
এসব প্রশ্ন মাথা আসতেই রোদের মনে পড়লো পূর্ব ডিভোর্সের কথা বলেছিলো।তারমানে পূর্ব কী তার সাথে কথা বলতে চাইছে না?’ডিভোর্স’ শব্দটা এতো কঠিন কেনো?দুটো মানুষকে কতো সহজে আলাদা করতে পারে!
ডিভোর্সের কথা মাথায় আসতেই রোদের যে বড্ড কষ্ট হয়।রোদ তো পূর্বের সাথে সারাজীবন এভাবে কাটিয়ে দিতে।কিন্তু কেনো তার মন এমনটা চাই?
রোদ চোখ বন্ধ করতেই ভেসে উঠলো পূর্ব তাকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্য!প্রতিদিন সকালে কপালে চুমু দেওয়ার দৃশ্য!শঙ্খপুষ্পি ডাকার দৃশ্য!
পাউরুটিতে জেলি দিয়ে “Sorry” বলার দৃশ্য!
পূর্বের সবসময় বউ বউ করে ডাকার দৃশ্য!
প্রতিদিন রাতে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর দৃশ্য!
তার প্রতি পূর্বের কেয়ার!

ডিভোর্স শব্দটা যে রোদকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত করবে।পূর্বের মতো করে কেউ তার পেছনে ঘুরবে না।আর কেউ “জাদুমন্ত্রী” ডাকবে না!
“রোওওদ!”মেঘের ডাক শুনে রোদ পূর্বের দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এলো।পেছনে ঘুরে দেখলো, চারকোনা করে একটা টেবিল চারপাশে ফুল দিয়ে সাজানো,তারপাশে লাভ আকারের বেলুন,রোদের মাথার উপর জোনাকি পোকা বাতি ছড়াচ্ছে,টেবিলের মাঝখানে একটি বড় মোমবাতি,আর কিছু অদ্ভুত টাইপের জিনিস।সবদিক থেকে রোদ চোখ বুলিয়ে আসতেই দেখলো মেঘ হাঁটু গেড়ে বসে আছে।তার হাতে একটি রিং।মেঘের ঠোঁট জোড়া থেকে বেরিয়ে এলো,
“আই লাভ ইউ রোদ!উইল ইউ ম্যারি মি?”
মেঘের কথা শুনে রোদ কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।সে শুধু মেঘের কান্ড দেখছে।একে তো মাথায় মধ্যে পূর্ব তার উপর মেঘ!রোদ দেখলো মেঘ উঠে এসে রোদের দু’গালে হাত রাখলো।ঠান্ডা স্পর্শে রোদ কেঁপে উঠলো।সেদিন পূর্বের ছোঁয়া রোদের মনে পড়ে গেলো।মেঘ তাকে পেছন দিক থেকে জড়িয়ে ধরলে রোদের সামনে ভেসে উঠলো পূর্বের ঠোঁটের ছোঁয়া!তারপর খুব দ্রুত চোখের সামনে চলাচল করলো পূর্বের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহুর্ত!অদ্ভুতভাবে রোদের সামনে ভেসে উঠলো পূর্বের অভিমানি চেহেরা যা রোদ গতকাল রাতে দেখেনি!পূর্বের চোখে মরিচ দানা পরায় সেদিন জ্বালা করা দৃশ্য!আপনা-আপনি রোদের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরলো।রোদের মনে হলো পূর্ব তার দিকে করুন চাহনিতে তাকিয়ে আছে।অমনি রোদ এক ঝটকায় মেঘ’কে দূরে সরিয়ে দিলো।ডানহাত দিয়ে দুচোখের জল মুছে নিলো।রোদ এপাশ-ওপাশ তাকিয়ে পূর্বকে খুঁজতে লাগলো।রোদ চেচিয়ে বলছে,”পূর্ব!পূর্ব আমি জানি তুমি এখানে আছো।”
রোদ গাছের এপাশ-ওপাশ খুঁজলো।রোদ পাগলের মতো সামনে এগোচ্ছে।পেছন থেকে মেঘ অনেকবার ডেকেছে কিন্তু রোদ তার কথায় কর্ণপাত করছে না।রোদের চোখ থেকে অজস্র জল পরছে তাতে রোদের মাথা ব্যাথা নেই।রোদ নিজের মোবাইল থেকে পূর্বকে কল করলো।কিন্তু ওপাশ থেকে বর বার বন্ধ বলছে।রাগ,দুঃখে রোদ ফোন আছাড় দিলো।মেইন রাস্তায় এসে টেক্সি নিলো।রোদের মনে হচ্ছে তার রাস্তা অনেক দূর!টেক্সিওয়ালাকে বার বার পেছন থেকে বলছে আরো স্পিডে চালাতে।রোদের কর্মে ড্রাইভার বিরক্ত হচ্ছে।রোদের শুধু মনে হচ্ছে একটু ধেরি হলে পূর্ব হারিয়ে যাবে।অনেক দূরে মিলিয়ে যাবে!রোদের সামনে পুরাতন স্মৃতি ভেসে উঠছে।কতো ঝগড়া করতো তারা।আর এখন তার জন্য পাগলের মতো আচরণ করছে।

দশমিনিটের মধ্যে গাড়ি থামলো।গাড়ি থেকে নেমে রোদ বাড়ির দিকে দৌড় দিলো।আশেপাশের কিছুই রোদ খেয়াল করছে না।শুধু ছুটে চলছে পূর্বের কাছে!বাড়ির সামনে এসে একাধারে কলিংবেল দিতে লাগলো।একসময় তার গন্তব্যের দরজা খুলে গেলো।রোদের চোখের সামনে পূর্বের চেহেরা দেখা গেলো।রোদকে দেখতে পেয়ে পূর্ব বললো,
“পার্টি এতো জলদি শেষ হয়ে গেলো?মেঘ তোমাকে এতো জলদি ছেড়ে দিলো?আমি ভাবলাম আজ রাতে আসবেই….”
পূর্বের কথা শেষ না হতেই রোদ পূর্বের গালে চড় বসিয়ে দিলো।পূর্ব চোখ তুলে রোদের দিকে তাকিয়ে দেখলো রোদের চোখ থেকে পানি পড়ছে।পূর্বের বুকটা চেৎ করে উঠলো।পূর্ব কিছু জিজ্ঞেস করার আগে রোদ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।পূর্ব’কে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ভাঙ্গা কন্ঠে বললো,”আই ক্যান নট লিভ উইদাউট ইউ!আই লাভ ইউ!আই লাভ ইউ সো মাচ!”
রোদ শুধু কাঁদছে।পূর্বকে এতোটা শক্ত করে ধরে রেখেছে যে পূর্ব নড়তেও পারছে না।রোদের এমন কান্ডে পূর্ব হতবাক।পূর্ব যেনো রোবট হয়ে গেলো!রোদের থেকে এই মুহুর্তে এমন কিছু পূর্ব একদম আশা করেনি!
[চলবে]