তোমাকে খোঁজে

তোমাকে খোঁজে !! part- 03

কিছুক্ষণ পর নেহাল এসে বিছানায় বসেই আদিবাকে একটানে নিজের কোলের উপরে নিয়ে আসে।তারপর আদিবার সিল্কি চুলের ভাজে নাক ডুবিয়ে গন্ধ শুকে যায়।আর আদিবার হাটদুটো নিজের হাতের মুঠোয় এনে পেছনের থেকে এমন ভাবে শক্ত করে চেপে ধরে।যে চাইলেও আদিবা উঠে যেতে পারে না।কি করছেন কি নেহাল ছাড়ুন আমায়। উসসস! কথা বলো না জান।আমাকে যেতে দিন নেহাল। আবার কথা বলছো? মাথাটা আকড়ে ধরে নেহাল নিজের দিকে আদিবার মুখটা ঘুরিয়ে নেয়। তারপর আদিবার মুখের কাছে নিজের মুখটা নিয়ে এসে ফিসফিসিয়ে বলে, ভালোবাসি! খুব ভালোবাসি তোমাকে।বলেই আদিবার ঠোঁটের সাথে নিজের ঠোঁট জোড়া মিলিয়ে দেয়।আদিবা নেহালের ঠোঁটের স্পর্শে অস্বস্থিবোধ করতে থাকে।নেহালের থেকে নিজের ঠোঁট ছাড়ানোর প্রাণপন চেস্টা চালিয়ে যায়।কিন্তু পারে না।তারপর না পেরে নেহালের গলায়, ঘাড়ে আর পিঠে ইচ্ছা মতোন নখের আঁচড় দেয়।তবুও নেহাল আদিবাকে ছাড়তে চায় না।নেহাল এতো আঁচড় খেয়েও কোনো রকমের কু শব্দটুকু না করেই আদিবার ঠোঁটের স্বাদ নিতে থাকে।কিছুক্ষণ পর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে আদিবার কপালে, গালে আর মুখে, ঠোঁটের আলতো স্পর্শ ছুঁইয়ে ছেড়ে দিতেই নেহালকে ধাক্কা দিয়ে সাথে সাথে আদিবা নেহালের থেকে কিছুটা দূরে সরে আসে।হাঁপাতে হাঁপাতে চোখ তুলে সামনের আয়নার দিকে চেয়ে দেখে ঠোঁট’টা ফুলে লাল বর্ণ ধারণ করেছে।তারপর পেছনে ঘুরে দেখে নেহাল নিজের ঠোঁটে হাত রেখে মুচকি মুচকি হাসছে।


চৌধুরী মহলে,,
আদিবার বাবা-মাকে সবাই অনেক অপমান, অপদস্ত করে যাচ্ছে।যেটা দেখে সায়ানের খারাপ লাগে।সায়ান চায় না আদিবার বাবা-মাকে কেউ অপমান করুক।তাই সায়ান এগিয়ে এসে সবাইকে অনেকক্ষণ ধরে বুঝায়।সবাই বুঝতে পারলে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলে।সবাই যাওয়ার পর সায়ান আদিবার বাবা-মায়ের কাছে আবার ফিরে আসে।তারপর সকলের তরোফ থেকে ছরি বলে দেয়।

আমি জানি আমার পরিবার আপনাদের অনেক অপমান করেছে আংকেল। তারজন্য আমি সত্যিই খুব লজ্জিত।প্লিজ আংকেল এরজন্য দুই পরিবারের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা নষ্ট করবেন না। সায়ান হাত জোড় করে কথাটা বলে আবির চৌধুরীকে।

আবির চৌধুরী সায়ানের হাতটা ধরে নিচে নামিয়ে দেয়। এটা তুই কি করছিস সায়ান? সব দোষতো আমার।আমার মেয়েকে আমি সঠিকভাবে মানুষ করতে পারি নি।

নাহ আংকেল আপনাদের মতোন বাবা-মা হয় না।আদিবাও খুব ভালো মেয়ে। আসলে সবাই তো চাইলেই সবকিছু পায় না।ওই উপর অলা হয়তো আদিবাকে আমার ভাগ্যে রাখে নি।তাই এই বিয়েটা হলো না।তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো যার সাথেই আদিবা সুখে থাকতে চায়।প্লিজ ওকে আপনারা তার সাথেই মেনে নিয়েন।ও ফিরে আসলে যেন কস্ট না পায় আংকেল।

সায়ানের কথায় আবির চৌধুরী চোখের পানি মুছে অবাক দৃষ্টিতে সায়ানের দিকে তাকায়।তারপর বলে, তুই এতো ভালো কেন সায়ান?

আমি ভালো না আংকেল।বন্ধু হিসেবে আদিবার এটুকু ভালোতো চাইতেই পারি।

শুধু কি বন্ধুত্ব?

মানে?

মানে বুঝছিস না? যেই মেয়েটা এভাবে বিয়ের আসর ছেড়ে তোকে একা ফেলে চলে গেলো তার কথায় তুই ভাবছিস! কেন সায়ান?

সায়ান মনে মনে ভাবে আদিবাকে ভালোবাসার কথা আংকেলকে বলা যাবে না। এতোদিনেও যখন আদিবাকে বলা হয়ে ওঠে নি।তখন আজ এই সময়ে এমন পরিস্থিতিতে আংকেলকে কেন বলবো? ভাবনা ছেড়ে বাস্তবে এসে বলে।

আরে আংকেল আমার চিন্তা করবেন না তো।আমি সুন্দর, হ্যান্ডসাম ও শিক্ষিত।আজ না হয় কাল আদিবার থেকেও ভালো মেয়ে পেয়ে যাবো।আপনি আদিবাকে নিয়ে ভাবুন। ও যার সাথে সুখী হতে চায় মন ভরে দোয়া করুন যেন তার সাথেই ভালো থাকে।আপনাদের দোয়া ছাড়া যে আদিবা সুখী হবে না।

সায়ানের কথায় হেসে ওঠে আবির চৌধুরী।এবার সে এটা ভেবে নিশ্চিত হয় যে ছেলেটার মন ভাঙে নি।

তারপর ঘুরে চোখের কোণের লুকিয়ে রাখা অশ্রু মুছে বিয়ের আসর থেকে চলে আসে সায়ান নিজের বাড়িতে।


এদিকে,,, নেহাল উঠে এসে আদিবাকে ঘুরিয়ে আয়নার সামনে দাড় করায়। পেছনের থেকে আদিবার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে আয়নাতে দেখিয়ে ইশারা করে বলে, ঠিক এইভাবে তোমার এই ঠোঁট’জোড়া একদিন আমার ঠোঁটকে দখলে নিয়েছিলো।মনে পরে জান? সেই প্রথম দিন রেস্টুরেন্টে বাজি ধরে হুট করে এসেই কিস করেছিলে আমায়!
আমি আপনাকে ছরি বলেছিলাম নেহাল! সেটাই তো! তোমার ছরি বলাটাও আমার বুকে লেগেছিলো।ভালোবেসে ফেলেছিলাম তোমাকে দেখে আমি।
,
,
,
,
চলবে,,,,,,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *