তুই যে শুধুই আমার ! সিজন- ২ !! Part- 05
আরুশঃ এন্ড ইয়েস ওয়ান মোর থিং,, আপনারা কেউ নিজ ইচ্ছায় চাকরি ছাড়তে পারবেন না,, এইখানে আসার আগেই আপনাকে একটা এগ্রিমেন্টে সাইন করানো হয়েছে সেখানে ক্লিয়ারলি লিখা ছিল যে আপনারা একবার এইখানে আসলে ৬ বছরের আগে নিজ ইচ্ছায় জবটা ছাড়তে পারবেন না,, কিন্তু আমি যখন তখন যে কাউকে বরখাস্ত করতে পারবো,, আশা করি সকলেই এইবার ক্লিয়ার,,, নাও গো ব্যাক টু ইউর ওয়ার্ক,,
।
এই বলে আরুশ নিজের কেবিনে চলে যায়,, আর সবাই এইবার একেকজনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে,, কি বলবে বুঝতে পারছে না,, এইদিকে এইসব রুলস টুলস শুনে সায়রার মাথায় বাশ পড়সে,, সায়রা মূর্তির ন্যায় দাড়িয়ে আছে,, ঠিক তখন নিশি ম্যাম এসে ওর কাধে হাত রাখে,, এতে সায়রা চমকে উঠে,,, সায়রা পিছে ঘুরতেই নিশি বলে উঠে,,
।
নিশিঃ স্যার তোমায় নিজের কেবিনে ডেকেছে,,
।
সায়রাঃ আমায়,,
।
নিশিঃ হুম,,, গো ফাস্ট নাও,,
সায়রা মাথা দুলিয়ে আরুশের কেবিনের দিকে যায়,, কেবিনের দরজার সামনে দাড়িয়ে মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে থাকে,,
।
সায়রাঃ আল্লাহ আর কোন মি. উগান্ডা পাইলা না যে এইটা রেই আমার বস বানাইলা,, দুনিয়াতে কি মি. উগান্ডা কম পড়েছিল,, এখন না জানি কালকের জন্য আমার থেকে কেমনে প্রতিশোধ নেয়,,
হঠাৎ সে নিজেকেই বলে উঠে,,
।
“আচ্ছা আমি ভয় পাইতাসি কেন,, আমি কি কোন ভুল করেছি,, না মোটেও ভুল করস নেই তুই সায়রা,, তুই ঠিক করেছিলি,, মি. উগান্ডাকে তুই একদম সঠিক শিক্ষা দিয়েছিলি,, তা না হলে এরা জিনিসের মর্ম বুঝে না,, ”
।
কিন্তু পরক্ষনেই আবার নিজেকে বলে,,
।
” শিক্ষা তহ দিলি ভালো কথা কিন্তু এখন এর বদলে যে মি. উগান্ডা তোকে গুরু দাখসানা (ফি) দিব তা তহ মনে হয় তুই মইরা মিস হাওয়া হাওয়ায়ী হবে যাবি,, ভুইলা যাইস না এই পোলাটা তোর বস,, আর বসের আরেক নাম সস থুক্কু জম,,
এই পোলা তোরে সহজে ছাড়বো না তা এই মি. উগান্ডার চেহেরা দেখেই বুঝে গিয়েছি,, কেমনে বাচুম এই মি. উগান্ডা থেকে,, ভাব সায়রা মেরি জান ভাব,, তা না হলে সকল পাঠকরা বলবো যে তুই এক নাম্বার এর গাধী,,, বাই দ্যা ওয়ে গাধা তহ আসলেই একটা পশু আছে কিন্তু গাধী কি আসলেই আছে নাকি,,
ধুর সায়রা কি ভাবছিস এইসব,, এখন এইটি ভাবার টাইম না,, তুই এখন এইটা ভাব কেমনে মি. উগান্ডার হাত থেকে নিজে রক্ষা করবি,, ”
।
[ বিঃদ্রঃ আমিও যখন বেশি ভাবি তখন সায়রার মত নিজের সাথে কথা বলতে থাকি,, আর গভীর চিন্তার মধ্যেও এইসব উটকো চিন্তা করি,, আমার মত এই প্রবলেম কার কার হাত উঠাইও মুই দেখতে চাই😁 ]
।
সায়রা যখন এইসব আকাশ পাতাল ভাবছিল তখন আরুশ নিজের কেবিনের দরজা খুলে বের হতে নেয় হঠাৎ সায়রা আরুশকে দেখে ভয়ে লাফ দিয়ে উঠে,,
।
সায়রাঃ বাবা গো পেত্নি থুক্কু পেত্না,, বলে বুকে থু থু দিতে থাকে,,
।
আরুশ সায়রা এমন আজগুবি কথা শুনে ভ্রু কুচকিয়ে সায়রার দিকে তাকায়,, আর রাগী ভয়েস এ বলে,,
।
আরুশঃ হোয়াট দ্যা হেল আর ইউ ডুয়িং আউট সাইড অফ মাই কেবিন,,
সায়রাঃ আব আব,,, স,, স্য,, স্যার,
।
আরুশঃ স্পিক আপ,, ধমকের সুরে
।
সায়রাঃ আপনি তহ ডেকেছিলেন,, এক নিশ্বাসে বলে ফেলে,,,
।
আরুশঃ আমি ডেকেছি ভালো কথা,, কিন্তু বলেছিলাম কেবিনে আসতে আপনি বাইরে কি করছিলেন,,
।
সায়রাঃ ইয়ে মানে,, আব,,
।
আরুশঃ হয়েছে আর বলতে হবে না,, কাম ইন্টু দ্যা কেবিন,,
।
এই বলে আরুশ কেবিনে চলে যায় আর সায়রাও ওর পিছে পিছে যায়,,আরুশ নিজের সিটে গিয়ে বসে একটা ফাইল দেখতে থাকে,, আর সায়রা গিয়ে চেয়ারে বসতে নিলে আরুশ বলে উঠে,,
।
আরুশঃ আমি কি আপনাকে বসতে বলেছি,,
।
এই কথা শুনার সাথে সাথে সায়রা দাড়িয়ে যায়,, আর মাথা নিচু করে বলে,,
।
সায়রাঃ না মানে,, সরি স্যার,,
।
আরুশঃ তা আপনি কত দিন ধরে এইখানে জব করছেন,,
।
সায়রাঃ ৬ মাস,,
।
আরুশঃ ৬ মাস ধরে কাজ করছেন আর বসের সাথে কেমন বিহ্যাভ করতে হয় তা জানেন না,,
।
সায়রাঃ না মানে স্যার,,
আরুশঃ তা আপনি দেখি ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলছেন,, মুখে তহ কথার বুলি ফুটছেই না,, আর কাল তহ একদম কথার বুলেট ট্রেন ছেড়ে দিয়েছিলেন,,
।
সায়রাঃ মিয়ার বেটা ফালু মিয়া,, এখন আইসোস মেইন পয়েন্টে,, এত কথা না পেঁচাইয়া কালকের কথাটায় আগেই আসলে পারতি,, মনে মনে,,
।
আরুশঃ কি হলো কথা বলছেন না কেনো,, ধমকের সুরে
।
সায়রাঃ কি বলবো স্যার,, পেত্নির কয়টা জামাই আছে তা,, বলে জ্বিব্বাতে একটা কামড় দেয়,,
।
আরুশঃ হোয়াট ননসেন্স,,
।
সায়রাঃ স্যার কেন ডেকেছিলেন,, কথা ঘুরানোর জন্য,,
।
আরুশঃ অহহ হুম,, আমি আপনার গত ৬ মাসের এক্টিভিটি চেক করছিলাম,, মোটামুটি এক্টিভিটি ভালো,, কিন্তু আপনি কাজের প্রতি এতটা সিরিয়াস না,, কাজের প্রতি অনেক সিরিয়াস হতে হবে আপনাকে,,
।
সায়রাঃ স্যার আই হ্যাভ আ প্রশ্ন,,
।
আরুশ ভ্রু কুচকিয়ে ওর দিকে তাকায়,, তারপর বলে,,
।
আরুশঃ বলুন,,
।
সায়রাঃ সিরিয়াস মানে কোন দেশের চকলেট,, খেতে তিতা নাকি ইয়াম্মি,, ভাবশীল হয়ে,,
।
আরুশঃ মিস. সায়রা,, আর ইউ আউট অফ ইউর মাইন্ড,,,
।
সায়রাঃ 🙊🙊
আরুশঃ চেঞ্জ ইউর বিহেভিয়ার,, বি সিরিয়াস,, আমার অফিসে এমন বিহেভিয়ার চলবে না,, কাজের প্রতি একটিভ হতে হবে,, কোন ধরনের অবহেলা আমি সহ্য করবো না,, মাইন্ড ইট,,
।
সায়রাঃ সরি স্যার বাট আমি আপনার একটা কথা বাদে সব কথা শুনতে পারবো,, আমি আমার নেচার চেঞ্জ করতে পারবো না,, আমি এমন এই থাকবো,, আর হ্যাঁ আমার নেচার এর জন্য আপনার কাজে কোন বেঘাত হবে না,, চিন্তা করবেন না,,
।
আরুশঃ হোয়াট এভার,, যা ইচ্ছা তা করেন,, কিন্তু কাজের প্রতি আমি যেন কোন ধরনের অবহেলা না দেখি,,
।
সায়রাঃ ওকে স্যার,,
।
আরুশ তারপর নিচ থেকে ৪ টা ইয়া বড় বড় ফাইল বের করে টেবিলের উপর রাখে,,, তা দেখে সায়রা ভ্রু কুচকিয়ে বলে,,
।
আরুশঃ এইগুলা যান,, আর আজকের মধ্যে কমপ্লিট করে নিয়া আসেন,,
।
সায়রাঃ কিইইইইইইইইইই,,,
।
আরুশ নিজের কানে হাত দিয়ে,,
আরুশঃ হোয়াট,,
।
সায়রাঃ স্যার এইটি ফাইল নাকি হাতির নাতির ঘরের পুতি,, এইগুলো আমি কেমনে নিয়ে যাবো,,
।
আরুশঃ 😒😒😒,,, যেমনে হেটে যান তেমনেই নিয়ে যাবেন,, আর হ্যাঁ আজকের মধ্যেই আমি ফাইলটি কমপ্লিট চাই,,
।
সায়রা কিছু বলতে যাবে তার আগেই আরুশ বলে উঠে,,
।
আরুশঃ নো মোর ওয়ার্ডস মিস সায়রা,, গো ব্যাক টু ইউর ওয়ার্ক,,
।
সায়রা এইবার কাদো কাদো হয়ে ফাইলটি নিয়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়,, নিজের কেবিনে এসে ধাম করে চেয়ারে বসে পড়ে,, আর বিরবির করতে থাকে,,
সায়রাঃ আমার মত নিরিহ অসহায় বাচ্চার সাথে এত অত্যাচার কেমনে সহ্য করলা তুমি আল্লাহ,, আমার প্রতি কি একটুও মায়া দয়া হইলো না,, এই মি. উগান্ডা যে তোর থেকে প্রতিশোধ নিতেছে তার মধ্যে আমার কোন সন্দেহ নাই,, এই জবটা আমার ড্রিম জব বলে আমি এখনো কিছু বলি নি,, তা না হইলে এই মি. উগান্ডার মাথাটা যদি না ফাটাইতাম আমার নামও সায়রা রাখতাম না,,
।
এইদিকে,,
আরুশ নিজের সিটে বসে মুচকি হাসি হাসছে,,
।
আরুশঃ আমার সাথে লাগার ফল তুমি এখন হারে হারে বুঝবে,, তোমাকে তহ আমি এমন মজা বুঝাবো যে তুমি না পারবে সইতে আর না পারবে কিছু বলতে,, চিন্তা করো না জব থেকে বের করবো না,, কিন্তু তুমি ঠিকই জব ছাড়ার জন্য উঠে পড়বে,, তখন হবে আসল মজা,,
গেট বি রেডি মিস সায়রা,, অনেক কাঠ খড় পুড়াতে হবে তোমাকে,,
।
।
।
#চলবে