ঘৃণার মেরিন !! Part- 05
মেরিনের phuket যাবার কোনো ইচ্ছাই ছিলোনা। কারন মেরিনের একমাত্র দুর্বলতা হলো পানি। যা দেখলে মেরিন ভয় পায়। কারন মামাকে এই পানিরে মধ্যে তলিয়ে যেতে দেখেছিলো। মেরিন phuket এর কথা না করেছে বলে নীড় ইচ্ছা করেই আরো phuket গেলো।
.
.
২জন phuket পৌছালো। rest নিলো।
.
.
পরদিন…..
মেরিন: একি আপনি এতো সেজেগুজে কোথায় যাচ্ছেন?
নীড়: তো কি করবো?? ব্যাংককে এসে কি ঘরে বসে থাকবো?? ঘুরবো… বেরাবো।
মেরিন: তো কোয়ার্টার পরে যাচ্ছেন কেন??
নীড়: ওয়….. ব্যাংকক মানেই sea beach … jeep নিয়ে সাগরের কিনার দিয়ে ঘোরা। এগুলো কি আর formal dressএ হয়??
মেরিন: sssea beach….. sea beach কেন?? sea beach এ যাবোনা।
নীড়: oh hello…. তোমাকে যেতে বলিনি। আর তোমাকে নিবোও না। আমি একাই যাবো।
মেরিন: নননা না। আমিও যাবোনা। আর আপনিও যযযাবেন না। পপানি, সসাগর ভভভালোনা। যযযাবেন না ওখানে। অন্য কোথাও যাবো।
নীড়: listen …. সব কিছুই কি তোমার মতো চলবে? আমি কি আমার মতো কিছুই করতে পারবো না? আমি কি তোমার হাতের পুতুল? যে আমাকে যেভাবে নাচাবে সেভাবেই নাচবো??? life টা hell করে দিয়েছো।
মেরিন: আচ্ছা ঠিকাছে চচলুন।
নীড়: যাবোনা কোথাও। সরো চোখের সামনে থেকে।
মেরিন: না না চলুন।
নীড়: গিয়ে বা কি হবে? কোন মেয়ে আমার দিকে তাকালে তার জানের পিছে পরবে। তোমার জন্য কি কোথাও আমার শান্তি আছে??😠😠😠।
মেরিন: না না আমি এমন কিছু করবোনা।
নীড়:যাবো না আমি। such a selfish girl……
মেরিন:চলুন না চলুন। আপনার এমন মুখ দেখতে পারবোনা। আমি কথা দিচ্ছি আমি উল্টা পাল্টা কিছু করবোনা ।
নীড়: মনে থাকবে??
মেরিন: হামম। আপনি বসুন আমি ready হয়ে আসছি।
নীড়: নাও ৮০ঘন্টা wait করো।
মেরিন: মোটেও না। আমি ready হতে অতো সময় নেইনা…. ৫মিনিটে ready হবো।
নীড় জানে ওর বউ ready হতে বেশি সময় নেয়না।
৫মিনিটপর….
মেরিন জিন্স আর লং টপস পরে এলো। টপসের সামনে নীড়ের ছবি আকা। কালো পোশাক আর ঠোটে লাল লিপস্টিকে মেরিনকে দারুন মানিয়েছে। মেরিনকে সুন্দর লাগছে।
নীড়: ওরনা কোথায়??
মেরিন: কিসের ওরনা?
নীড়: ওরনা চেনোনা ওরনা? ওরনা গায়ে দাও।
মেরিন: সে কি কেন?? টপসের সাথে আমি ওরনা পরিনা।
নীড়: ১টা থাপ্পর মারবো। যাও ওরনা পরো।
মেরিন নীড়ের ঝাড়িতে খুশি হলো।
নীড়: হাসো কেন?? কি হয়েছে?
মেরিন: কিছুনা।☺️☺️।
নীড়: তো দাত দেখাও কেন??
মেরিন: i love u….
বলেই মেরিন নীড়ের ঠোটে চুমু দিয়ে বসলো। এরপর ১টা ওরনা পরে নিলো।
২জন jeep নিয়ে বের হলো।
২জনকে এক্কেবারে FAV জুটি লাগছে। নীড়ের phuket জায়গাটা ভীষন ভালো লাগে। আর jeep চালাতে ওর ভীষন ভালো লাগে। এভাবে drive করে ওর মনটা ভীষন ভালো হয়ে গেলো । অনেক enjoy করছে নীড়। মেরিন নীড়কে এতোখুশি কখনো দেখেনি…. মেরিন মুগ্ধ হয়ে নীড়কে দেখছে।
নীড়: ice cream খাবে??
মেরিন:…..
নীড়: ice cream খাবে??
মেরিন:……
নীড় মেরিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো যে মেরিন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। নীড় তখন জোরে জোরে horn বাজাতে লাগলো। মেরিনের ধ্যান ভেঙে গেলো।
মেরিন:কিছু বললেন???
নীড়: বলছিলাম কি ice cream খাবে?
মেরিন: হামম।
নীড় ২টা ice cream নিয়ে এলো। chocolate flavor ……
.
নীড়: বলোতো আমরা এখন কোথাও যাচ্ছি?
মেরিন: জানিনা।
নীড়: beach এ…..
মেরিন চমকে উঠলো।
মেরিন: bbbeach….. চচচলুন না অন্য কোথাও যাই। বা এমন করে গাড়ি নিয়ে রাস্তায়ই ঘুরি।
নীড়: not at all…..
ওরা সাগর তীরে পৌছালো। দুরে সাগর দেখতে পেয়ে মেরিন আগেই ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল। নীড় সাগরের ঠিক পার ঘেসে jeep চালাতে লাগলো। খুব জোরে। নীড় তাকিয়ে দেখলো মেরিন চোখ বন্ধ করে আছে। ও ভাবলো গাড়ির speed এর জন্য ভয়ে মেরিন চোখ বন্ধ করে আছে। তাই নীড় আরো speed এ চালাতে লাগলো। তখন চাকায় লেগে পানি ওপরে আসতে লাগলো। মেরিনের মুখের ওপর পানি ছিটে এলো। সাথেসাথে মেরিন চমকে গিয়ে চোখ খুলল। যা দেখে নীড় হেসে কুটিকুটি। নীড়ের হাসি দেখে মেরিন নিজের সকল ভয় ভুলে গেলো। মেরিন মুগ্ধ চোখে নীড়ের হাসি দেখতে ব্যাস্ত। ওর কাছে সবথেকে সুন্দর নীড়ের এই হাসি। মেরিনের তাকানো দেখে নীড় হাসি বন্ধ করে দিলো।
নীড়: সামনে তাকাও… মেরিন: উহু…….
বলেই মেরিন নীড়ের কাধে মাথা রাখলো।
নীড়: কিছু খাবে?
মেরিন: উহু।
নীড়: কিন্তু আমি খাবো। ক্ষুধা লেগেছে। চলো তোমাকে আমার প্রিয় best thai restaurant এ নিয়ে যাই……
২জন গেলো খাওয়া দাওয়া করে হোটেল পৌছালো।
.
রাতে……
মেরিন নীড়ের বুকে শুয়ে আছে। নীড়ের বুকে আঙ্গুল দিয়ে আকিবুকি করছে। আর নীড় mobile দেখছে। আসলে mobile এ নিরা আর ওর ছবি দেখছে। আজকে কেন যেন নিরার কথা পরছে ভীষন।
মেরিন:নীড়….
নীড় চমকে উঠলো। মোবাইলটা রেখে দিলো।
মেরিন: নিরার ছবি দেখছিলেন বুঝি…….
নীড়: কোই নননাতো……..
মেরিন: আমি আপনাকে শিরায় শিরায় চিনি নীড়…….
নীড়: তো? দেখেছি তো দেখেছি…… এখন কি নিরাকে মেরে ফেলবে???
মেরিন:🤣🤣🤣। নিরার মৃত্যু হয়তো আমার হাতে নেই। এখন আপনার জন্য মারতে পারবো আর এর আগে…..
আচ্ছা নীড়….. ১টা কথা বলুন তো….
নীড়:কি….
মেরিন: আপনি তো সেদিন বলেছিলেন মেরিনের মৃত্যু আপনার সকল দোআয়……
নীড়:……
মেরিন: আমি মরে গেলে আপনি খুব খুশি হবেন। তাইনা??🥺🥺🥺।
নীড়:হ…..
নীড় কেন যেন হ্যা বলতে গিয়ে বলতে পারলোনা।
নীড়: কখন থেকে আমার বুকের মধ্যে কি সব আকিবুকি করছো…. ঘুমাবো আমি। এমনিতেই তোমার জন্য আমার ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বুকের ওপর উঠে শুয়ে থাকো।
মেরিন: sorry…..
বলেই মেরিন নীড়ের বুক থেকে নেমে বারান্দায় চলে গেলো। নীড় এতে বেশ অবাক হলো। তবুও ঘুমানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কেন যেন ঘুম আসছে না। অথচ একটু আগেও ভীষন ঘুম পাচ্ছিলো। ১ঘন্টা নীড় এপাশ ওপাশ করলো। তবুও ঘুম এলোনা। ভাবলো মেয়েটা কি করছে দেখা দরকার। যেই উঠতে নেবে।
.
তখনই ঝরের বেগে মেরিন দৌড়ে এসে নীড়কে জরিয়ে ধরে শুয়ে পরলো।
নীড়: oh my goodness…… কি তুমি??
মেরিন: আপনার বউ। শুনুন…..
নীড়: আবার কি???
মেরিন: আমি মরে গেলেও আপনি নিরাকে বিয়ে করতে পারবেন না। অন্য যাকে মন চায় করবেন। বুঝেছেন??? না হলে কিন্তু ভূত হয়ে ঘাড় মটকাবো….. আর তাছারাও….. আমি তো আর আপনাকে বিয়ে না করতে বলিনি। তাইনা??? কারন আপনি তো আর আমাকে ভালোটালো বাসেন না যে আমার শোকে ২য় বিবাহ করবেননা।😎😎😎। তাই বলছি বিয়ে করবেন কিন্তু নিরাকে না…..
নীড় জানেনা এর জবাবে কি বলবে!!
নীড়: good night …. 😒😒😒
২জন ঘুমিয়ে গেলো। পরদিন ২জন ঘুরতে বের হলো কিন্তু beach আর সেদিন গেলোনা।
সারাদিন ঘুরে টুরে মেরিন গাড়িতেই ঘুমিয়ে গেলো। কেন যেন আজকে মেরিনকে জাগাতে ইচ্ছা হলোনা নীড়ের। মেরিনকে কোলে করে রুমে নিয়ে গেলো। যা অনেকে টুকুর টুকুর দেখলো।
.
পরদিন সকালে মেরিনের ঘুম ভাঙলো। দেখলো নীড় আশেপাশে কোথাও নেই।
মেরিন:নীড়….. নীড়…. নীড়…..
তখন washroom থেকে নীড়
বলল: কি হইসে চেচাচ্ছো কেনো??? shower ও কি নিতে দেবেনা…..
মেরিন: sorry…….
২জন fresh হয়ে breakfast করে ঘুরতে বের হলো। তবে আজকে নীড় গাড়ি নিলোনা। পায়ে হেটে বের হলো। হাটতে হাটতে আর কথা বলতে বলতে মেরিন খেয়াল করেনি যে ওরা beach এ চলে এসেছে।
মেরিন: নননীড় আআমরা এএখানে কেন?
নীড়: মানে কি??? এখানেই তো আমার আসার ছিলো। আচ্ছা তুমি কি সাগর দেখলে ভয় পাও???😏😏। মেরিন বন্যা খানও ভয় পায়। ভাবা যায়!!!😱😱😱।
মেরিন: মোটেও না। মেরিন কিছুতেই ভয় পায়না। আর আমি মেরিন বন্যা খান না। আমি এখন ইহকাল পরকাবের জন্য মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী।
নীড়:😒😒😒। সে যাই হোক। ভয় তো তুমি পাও।
মেরিন: জী না।
মেরিন নীড়ের হাত খুব জোরে ধরে রেখেছে। আর হাটছে।
নীড় মনে মনে: ভয় তো তোমার আছেই। পানির না অন্যকিছুর তা জানিনা।
নীড় মেরিনকে নিয়ে হাটতে হাটতে beach ছেরে অনেকদুরে অনেকটা উচুর দিকে চলে গেলো। সেখানে মানুষ নেই বললেই চলে।
মেরিন:আমরা কোথায় যাচ্ছি???
নীড়: তোমাকে মেরে গুম করতে……
মেরিন:🙄🙄🙄।
নীড়: সামনে তাকাও ।
মেরিন তাকিয়ে দেখলো যে সামনে সমুদ্র। আর এক কদম আগে বারলেই ও সোজা সমুদ্রে পরবে। ভয়ে নীড়কে খিচে ধরলো। পিছে চলে এলো।
নীড়: কি হলো সুন্দর না??
মেরিন: হামম। খুব সুন্দর। এখন চলুন আমরা যাই এখান থেকে।
নীড়: ইশ এতো সুন্দর জায়গা থেকে এতো তারাতারিই চলে যাবো?? দেখো কি সুন্দর চারদিকটা…….
বলেই নীড় সামনে বারলো।
মেরিন: নীড় আপনি পরে যাবেন। পেছনে আসুন।
নীড়: shut up……
বলেই নীড় নিজের ২বাহু প্রসারিত করে
বলল: just feel this moment …..
বলতে বলতে নীড় পা ফসকে নিচে পরে গেলো।
মেরিন: নীড়…….
নীড়: বা….হ….চা…ও । মেরিন…… বাচাও।
মেরিনের চোখে ছোটবেলার সেই সময় মনে পরে গেলো। যখন মামা পানিতে পরে গিয়েছিলো। তলিয়ে গিয়েছিলো অতল সমুদ্রে।
মেরিন: নীড়… কককে আআছো….. আমার নীড়…. পপপপানিতে…..
নীড়: বা…..চা….ও।
মেরিন: আহমি তো সসসাতার জজজানিনা…..
নীড়: বা…..চা……ও……।
মেরিন আর কিছু না ভেবে পানিতে ঝাপ মারলো। আর হাবুডুবু খেতে লাগলো। যা দেখে নীড় হেসে কুটিকুটি। কারন নীড় নাটক করছিলো। ইচ্ছা করেই পানিতে পরেছে। সাতার জেনেও ডুবে যাওয়ার অভিনয় করছিলো।
নীড়: মেরিন আমি এখানে???🤣🤣🤣।
নীড় তো আর জানেনা যে মেরিন সাতার কাটতে পারেনা। যখন বুঝতে পারলো তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেলো।
মেরিন অনেকটা পানি খেয়ে নিয়েছে। নীড় মেরিনকে পানি থেকে তুলে তীরে আনলো।
নীড়: মেরিন…. মেরিন…
নীড় মেরিনের পেট থেকে পানি বের করলো। হাত পায়ে massage করতে লাগলো। নীড় মেরিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো। doctor check up করে বলল যে মেরিনের পানিতে phobia আছে। সেই সাথে ভীষন depression এ আছে। মানসিকভাবে বেশ দুর্বল। মানসিক রোগও আছে। আর তাছারাও ডুবে গিয়ে ফুসফুসের মধ্যেও অনেকটা পানি ঢুকে গেছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান না ফিরলে মেরিন কোমায় চলে যেতে পারে।
নীড় চিন্তায় পরে গেলে। অনুশোচনায় পুরতে লাগলো।
নীড়: যদি ওর কিছু হয়ে যায় তবে ওর দাদুভাইকে কি জবাব দিবো…… আল্লাহ ওকে সুস্থ করে দাও।
নীড় প্রহর গুনতে লাগলো। পরশু রাতের মেরিনের বলা সেই কথা ভাবতে লাগলো।
“আমি মরে গেলে আপনি খুব খুশি হবেন। তাইনা?”
নীড়ের কানে বারবার একই কথা বাজতে লাগলো।
যে নীড়ের দোআয় মেরিনের মৃত্যু ছিলো আজকে সে নীড়ের দোআয় মেরিনের সুস্থতা।
১৩ঘন্টাপর মেরিনের জ্ঞান ফিরলো।
নার্স বেরিয়ে এলো।
বলল: আপনিই কি নীড়??
নীড়: হামম।
নার্স: patient আপনাকে ডাকছেন…..
নীড়:মেরিনের জ্ঞান ফিরেছে???
নার্স:হামম।
নীড় দৌড়ে ভেতরে ঢুকলো। নীড়ের আভাস পেয়ে মেরিন চোখ মেলল।
মেরিন: নীড়……
নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে বসলো।
মেরিন: আহপনি ঠঠঠিক আছেন তো??? আপনার কককিছু হহয়নি তোহ…….
নীড় অবাক চোখে মেরিনকে দেখছে। নিজের এই অবস্থাতেও ও নীড়ের কথা ভাবছে । এতোটা ভালোবাসে মেয়েটা ওকে?? এও সম্ভব?
মেরিন: কি হলো?? বববলুন….. কককষ্ট হচ্ছে কককথা ববলতেহ…
নীড়: চুপ একদম চুপ….. ১টা থাপ্পর দিবো। যখন সাতার জানোনা তখন কে বলেছিলো পানিতে ঝাপ দিতে???
মেরিন:তো কককি করতাম….. চচচচোখের সামনে আপনাকেহ ডুবে যেতে দেখতাম???
নীড়:এতো কিছু জানো আমার ব্যাপারে আর এটা জানোনা যে আমি সাতার জানি……
মেরিন: জানতাহম। কককিন্তু আমি মনে ককরেছিলাম যেহ অতো উউচু থেকে পরার জন্য পপপানির pressure সসসামলাতেহ পপপারেননি।
নীড় মনে মনে: এতো কেন ভালোবাসো আমায়…….
মেরিন: আপনাকে ছারা নিজেকে ভাবতেও পারেনা মেরিন…….
পরদিন মেরিনকে release দেয়া হলো।
৩দিনপর……
নীড় ঘুম ভেঙে গেলো। কারো কোরআন শরীফ পড়ার সুরে। খুব মিষ্টি কন্ঠে কেউ কোরআন শরীফ পরছে। নীড় ঘার ঘুরিয়ে কারো পেছনটা দেখতে পেলো। কেউ সাদা কাপড় পরে জায়নামাজে বসে কোরআন পাঠ করছে। নীড় খাট থেকে নিচে নেমে বসলো। চোখ বন্ধ করে কোরআন পাঠ শুনতে লাগলো।
মেরিন পড়া শেষ করে পেছনে ঘুরতেই দেখে নীড় বসে আছে।
মেরিন: একি আপনি???
নীড়:হামম।
নীড় চোখ খুলল। মেরিনকে দেখে নীড় মুগ্ধ হয়ে গেলো। মুখে যেন অন্যকম ১টা নূর চলে এসেছে। পর্দাশীল ধার্মিক নারী মনে হচ্ছে।
মেরিন: sorry…. আপনার ঘুম ভাঙার জন্য। ভালোই হয়েছে। নীড় আজকে আমাকে একটু একা ছারতে হবে।
.
একটুপর মেরিন বের হয়ে গেলো। আসলে আজকে মামার মৃত্যু বার্ষিকি। এই দিনে মেরিন রোজা রাখে। নামায পরে। কোরআন শরীফ পড়ে। আর গরীবদেরকে ২হাত ভরে দান করে। কিন্তু সেটা কেই জানেনা। কিন্তু মেরিন জানেনা যে আজকে সারাদিন নীড় ওকে follow করেছে। আজকের মেরিনকে দেখে নীড় অনেক অবাক। রাতে মেরিন হোটেলে যাবার আগেই নীড় চলে গেলো। নীড় কোনো প্রশ্ন করলোনা। নীড়ের মনে মেরিনকে জানার আগ্রহ সৃষ্টি হলো। নীড় মনের বরফ ধীরে ধীরে গলতে লাগলো। ওরা আরো ৯দিন phuket ছিলো। এই ৯টা দিন সব মিলিয়ে ভালোই কেটেছে ২জনের। মেরিনের মনে হলো এটাই ওর জন্য অনেক। নীড় ওর সাথে কথা বলে তাই বেশি।
৯দিনপর ওরা দেশে ফিরলো।