গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি

গিরগিটি বর তাও আবার চুক্তি —পর্ব-০৮

আমার স্বামির একটা ৫–৬ বছরের মেয়ে আছে,
অথচ আজ বিয়ের এত দিন পর এসে জানতে পারলাম।
সৌরভ মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে অনেক আদর
করতেছে। মেয়েটাকে ত দেখলাম, কিন্তু
মেয়ের মা কোথায়? এক বার তাহমি আপুকে জিগ্যাসা
করব? না থাক যদি কিছু মনে করে। তার চাইতে ভাল
আমি দ্বারিয়ে ওদের কাহিনি গুলো দেখি। আমি
দ্বারিয়ে ওদের সবার কথা শোনছি তখনি,,
মেয়ে:- আব্বু এই আন্টিটা কে? ওনাকে ত আমি
এর আগে এই বাড়ীতে দেখিনি?
সৌরভ:- ওর নামম ঐশি, আর ওনি তোমার নতুন আম্মু।
চল এখন আমরা রুমে যায়?
তাহমি:- তন্নি তুমি আমার কোলে আসবেনা?
তার মানে ওর কথা সৌরভ ঐদিন ফোনে বলছিল?
তন্নি:- হ্যা আন্টি আসব ত। তারপর তাহমি আপু গিয়ে
তন্নিকে কোলে নিল। আমি কাছে গেলাম তন্নির,
এর পর
আমি:- বাহা অনেক মিষ্টি মেয়েত। আস আমার
কোলে আসো। তখনি,,
সৌরভ:- খবর দার ঐশি তুমি তন্নির কাছে যাবেনা। আর
তন্নিকে কোন দিন কোলে নিবেনা। তোমার
মতলব আমি ভাল করে বুঝতে পারছি, তবে তোমার
এই আশাটা সহজে পূরন হবেনা। তুমি সব কিছু এত তারা
তারি ভূলে যাও কি করে? আমারত মনে হয় তোমার
লজ্জা ঘৃনা বলতে কিছু নেই।
আমি:- আপনি কি বলতে চাইছেন? আমিত কিছুই
বুঝতে পারতেছিনা। যা বলবেন সোজা সুজি বলেন?
সৌরভ:- যা বলতে চাইছি তুমি ভাল করে বুঝতে পারছ।
এখন আর না বুঝার বান করনা। এই বাড়ীতে
তোমাকে যেইটা করতে বলি তুমি সেইটা করবে।
শ্বশুড়:- সৌরভ তুই ঐশির সাথে এমন ভাবে কথা বলছিস
কেন? কি করেছে ঐশি?
সৌরভ:- কিছুনা, তবে ঐশি জেন তন্নির কাছে না যায়।
তাহমি:- ভাই তুই এমন কেন? ঐশি কত ভাল মেয়ে।
আমাদের সবাইকে কত আপন করে নিয়েছে। আর
তুই কিনা ঐশিকে এত কথা শুনাছিস।
সৌরভ:- আপু তোরা যেইটা জানিসনা সেইটা নিয়ে
কেন কথা বলিস? এখন আমি তোদের সাথে এই
বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইনা। আমি এখন অফিসে
যেতেছি, তবে আজ তারা তারি অফিস থেকে চলে
আসব। এসে তন্নিকে নিয়ে আমি গুড়তে যাব।
বলে সৌরভ অফিসের জন্য বেড়িয়ে গেল।
তাহমি:- ঐশি তুমি ভাইয়ের কথা কিছু মনে করনা?
আসলে ভাই এমনি।
আমি:- না আপু আমি কিছু মনে করিনি। বলে রুমে
চলে এলাম, এসে খাঠের উপড় শুয়ে কান্না করতে
লাগলাম। রাজু যে সৌরভের বুন্ধ এই কথাটা আমি
জানলে কোন দিন এই বিয়েটা করতামনা। তবে রাজুর
এই অবস্তার জন্য আমাকে কেন দুসারুপ করছে
সৌরভ। তার জন্য আমার কি দুস? ঐদিন যেইটা হইছিল
ঐদিনত আমি বাসায় ছিলাম। এই কথা গুলো ভাবছি খাঠের
উপড় শুয়ে শুয়ে তখনি বারিশের নিছে আমার একটা
হাত গেল, তখনি মনে হল। একটা ডাইড়ির মত কিছু
হবে, আমি বেড় করে দেখি একটা ডাইড়ি। ডাইড়ির
উপড়ে লিখা আছে এক বুন্ধত্তের কথা। আমি ডাইড়িটা
খোলব নাকি খোলবনা ভাবছি, তখনি কে জেন
দরজায় নক করতে আছে। আমি তারা তারি করে গিয়ে
দরজটা খোলে দিলাম, আমি এদিক ঐদিকে তাকাচ্ছি
কাওকে দেখছিনা। হঠাত কেও আমার কাপড় ধরে
টানছে,,
এই নতুন আম্মু তুমি আমাকে দেখছনা?
আমি:- আরে তন্নি তুমি এখানে এসেছ কেন?
তোমার আব্বু জানতে পারলে তোমাকে অনেক
বকা দিবে?
তন্নি:- আমার সৌরভ আব্বু আমাকে কোন দিন বকা
দেইনা। বরং সৌরভ আব্বু আমাকে অনেক আদর
করে।
আমি:- তাও যদি জানতে পারে আমার কাছে তুমি
এসেছ, তাহলে আমাকে অনেক বকা দিবে।
তন্নি:- আমার আম্মুর কথা খোব মনে পড়ছে, আর
সৌরভ আব্বু ত বলছে তুমি আমার নতুন আম্মু তাই
তোমার কাছে এসেছি একটু আদর পেতে। আর
তুমি আমাকে তারিয়ে দিতেছ? যানো নতুন আম্মু
আমাকে না আম্মু একটুও আদর করেনা। শুধু বকা
দেই আর মারে।
আমি:- তখনি আমি সব ঘৃনা লাজ লজ্জা ভূলে তন্নিকে
বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলাম। তখন তন্নি আমাকে
গালে একটু আদর করে দিয়ে বলে।
তন্নি:- সৌরভ আব্বুকে বলব, আমি আর
হোস্টেলে যাবনা। আমি নতুন আম্মুর কাছে থাকব।
এই নতুন আম্মু তুমি আমাকে তোমার কাছে রাখবে?
আমি:- হ্যা তোমাকে আমার কাছে রাখব। তবে এখন
থেকে নতুন আম্মু বলে ডাকবেনা শুধু আম্মু বলে
ডাকবে।
তন্নি:- তাহলে ঐ আম্মুকে আমি কি বলে ডাকব।
আমি:- আম্মু বলে ডাকবে। তবে তোমার ঐ আম্মু
থাকে কোথায়?
তন্নি:- হাত দিয়ে ঐ,,,,, দিকে।
আমি:- ঠিক আছে, চল তোমার সাথে গল্প করি।
বলে রুমে নিয়ে গেলাম তন্নিকে, তারপর তন্নির
সাথে দুষ্টিমিতে মেথে ওঠলাম। আমার আবার দুষ্টমি
করতে অনেক ভাল লাগে। হঠাত করে বুঝতে
পারলাম কেও রুমে এসেছে। তাকিয়ে দেখি
গিরগিটি, আর ভয়ে আমার কলিজা শুকিয়ে গেছে।
সৌরভ:- তন্নি তুমি এখানে কেন? আর তোমাকে কি
নতুন আম্মু নিয়ে এসেছে?
তন্নি:- সৌরভ আব্বু আমিত নিজে এসেছি। আর নতুন
আম্মু বলবানা বলবে শুধু আম্মু। এই আম্মুটা অনেক
ভাল আমার সাথে অনেক দুষ্টমি করছে।
সৌরভ:- বলতে হবে তোমার অবিনয়ের জুরি নেই।
তোমাকে সিনামায় অবিনয়ের সুজুগ দেওয়ার ধরকার।
এইটুকু মেয়েকে বস করে নিয়েছ। বলে
তন্নিকে কোলে নিয়ে সৌরভ রুম থেকে চলে
যেতে ছিল। তখনি,,
তন্নি:- সৌরভ আব্বু তুমি আম্মুকে বকা দাও কেন?
আজ আমাদের সাথে আম্মুকে নিয়ে চল। আমরা
আজ তিনজন অনেক গুড়া গুড়ি করব।
আমি:- না মামুনি তুমি আব্বুর সাথে গুড়ে এসো? আমি
বরং বাসায় তোমার জন্য সুন্দর করে রান্না করি।
সৌরভ:- তন্নি যেহেতু চাইছে তুমি সাথে যেতে,
সেহেতু চল।
আমি:- আপনিও বলছেন? তাহলে চলেন। তারপর আমি
তন্নি আর সৌরভ গুড়তে গেলাম। আজ বিয়ের এত দিন
পড়ে মনে হচ্ছে আমার একটু ভাল লাগছে,
আমাদের বিয়ে হইছে আজ প্রায় (৭) সাত মাস শেষ
হইছে প্রাই, এই কইদিনের ভীতরে একটা দিন
আমার সূখের দিন হইনি। যাক অনেক গুড়া গুড়ি করে
রাত ১০ টার দিকে আমরা বাসায় এলাম। সৌরভ আর তন্নি
নিছে বসে সবার সাথে গল্প করছে, আমি একটু
বলে রুমে চলে এলাম। রুমে এসে আগে ডাইড়িটা
লুকিয়ে রাখলাম। আমার এই ডাইড়িটা পড়তে হবে।
একটু পর সৌরভ একা রুমে এসে,,
সৌরভ:- তোমাকে নিছে ডাকছে আম্মু খেতে
যেতে।
আমি:- আচ্ছা যাচ্ছি। তখন আমি নিছে গিয়ে খাবার
খেয়ে নিলাম। তন্নি তুমি আমার সাথে থাকবে চল?
তন্নি:- হ্যা আম্মু আমি তোমার সাথে থাকব।
তাহমি:- তন্নি তুমি তোমার নতুন আম্মুর সাথে থাকবে?
তন্নি:- হ্যা আন্টি আমি আম্মুর সাথে থাকব।
আমি:- চল তন্নি, তারপর তন্নিকে রুমে নিয়ে এলাম।
দেখি সৌরভ খাঠের উপড় শুয়ে আছে। তন্নিকে
দেখে শুয়া থেকে ওঠে বসেছে।
সৌরভ:- মামুনি তুমি আমার সাথে ঘুমাবে?
তন্নি:- হ্যা আজ আমি তোমাদের মাঝ খানে ঘুমাব।
বলে গিয়ে তন্নি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে
খাঠের উপড় শুয়ে দিল। তারপর তন্নি মাঝ খানে
শুয়ে আমার আর সৌরভের হাতটা এক করে
দিয়েছে। আমার তখন বুকে শিহরন ভইতে আরম্ব
করল।
সৌরভ:- তুমি আমার হাত ধরলে কেন?
আমি:- আমি আপনার হাত ধরলাম কখন? আপনি নিজেত
আমার হাত ধরে আছেন।
তন্নি:- তোমরা ঝগরা করছো কেন?
সৌরভ:- আর ঝগরা করবনা। বলে তন্নিকে একটু আদর
করে দিল।
আমি:- আমার এখন ঘুম পাচ্ছে মামুনি আমি এখন ঘুমায়।
বলে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে যখন ঘুম ভাঙলো
তখন দেখি আমাকে সৌরভ জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে
আছে আর তন্নি আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে
ধরে আছে। এই প্রথম সৌরভ আমাকে এমন ভাবে
জড়িয়ে ধরে আছে। আমার খোব ভাল লাগছে,
ওর নিশ্বাষের সাথে আমার নিশ্বাষ মিশে যাচ্ছে।
কিন্তু আমি মাঝে এলাম কি করে? তার মানে কি সৌরভ
আমাকে মাঝে নিয়ে এসেছে? কিন্তু ওত ওর
যায়গায় আছে। তাহলে আমি মাঝে এলাম কি করে?
চলবে,,,