এই সাঁঝবেলাতে তুমি আমি !! Part- 09
ফোনে কথা বলতে বলতে আকাশ খেয়াল করলো তার সামনে একজন মধ্যবয়সী মহিলা দাঁড়ীয়ে আছে।মুখে হাসি নিয়ে তিনি দাঁড়ীয়ে আছেন।দেখে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে তিনি কিছু বলতে চাচ্ছেন।
আকাশ ফোনটা রেখে বললো,
“আন্টী কিছু বলবেন??”
মহিলাটা একটু অবাক হয়ে যায় আকাশের কথায়।তিনি হেসে বললেন,
“তুমি কিভাবে বুঝলে যে আমি কিছু বলতে চাইছি??”
আকাশ মুচকি হেসে ফোনটা পকেটে রেখে বললো,
“ঐ একভাবে বুঝেছি।তো বলুন কি বলবেন।”
মহিলাটা এবার মুখে একটা কষ্টের ছাপ এনে বললো,
“জানো বাবা,আমি কয়েকটা মাস ধরে আমার মেয়ের জন্য ছেলে খুঁজছি, কিন্তু আফসোস পাচ্ছি না মনমতো কাউকে।আমার মেয়ে কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দরী। বিয়েতে এসেছে।দাঁড়াও ওকে ডাকছি।”বলেই মহিলাটা নীলা নামের একটা মেয়েকে ডাক দেয়।
আকাশ মহিলার কথাবার্তা শুনে বুঝে গিয়েছে যে তার সাথে এখন কি হতে চলছে।
এ বিষয় নিয়ে আকাশ সবসময় ভয়ে থাকে। সাথে বিরক্ত তো আছেই।তার এ বিষয়টা খুব বিরক্তি লাগে যে একজনের বিয়েতে এসে অন্যজনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।
আকাশের চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট।এ ব্যাপারটা যেনো মহিলাটা খেয়াল করেও করছেন না।ভদ্রতার খাতিরে আকাশ সামনাসামনি কিছু বলতেও পারছে না। সে এখন উপায় খুঁজছে মনে মনে যে কিভাবে এসব থেকে বাঁচবে।
আকাশের ভাবনার মাঝে ছেদ ঘটলো সেই মহিলার কথায়।
উনি নীলাকে আকাশের সামনে দাঁড় করিয়ে বললেন,
“এটা হচ্ছে আমার মেয়ে নীলা।দেখতে অনেক সুন্দর না??”
আকাশ মুখে জোরপূর্বক একটা হাসি ফুটিয়ে বললো,
“জ্বি সুন্দর।”
আকাশের কথায় নীলা তো লজ্জায় লাল হয়ে গেলো।
মহিলাটা আবার বললো,
“নীলার জন্য না মনমতো কোনো ছেলে পাচ্ছি না। ”
আকাশ ব্যাপারটা ঠিকই বুঝেছে।সে বললো,
“ওহ তাই নাকি আন্টী!!তো আমি একটা ছেলে খুঁজে দিবো??”
এ কথা শুনে নীলার মুখ গোমড়া হয়ে গেলো।মহিলাটা সাথে সাথে বললো,
“আরে না না।সেটা না। আমি তো ভাবছি আমার মেয়ের জন্য তুমি অনেক ভালো হবে। একদম সোনায় সোহাগা।তোমার ব্যবহার আমি প্রথম থেকেই লক্ষ করছি। একদম মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।
তো আমার মেয়েকে বিয়ে করবে তুমি??তোমার মা বাবার সাথে কথা বলি এ বিষয়ে।”
এসব শুনে আকাশের গলা শুকিয়ে আসছে। সে আশেপাশে কাউকে খুঁজছে যে তাকে এ মূহুর্তে সাহায্য করবে। চারদিকে চোখ বুলাতে বুলাতে আকাশের চোখ পরলো সুমনার দিকে। সুমনাকে দেখে যেনো জান ফিরে পেলো আকাশ।
সে মহিলাটাকে বললো,
“আন্টী,এএক্সকিউজ মি,আপনাকে একজনের সাথে দেখা করাতে চাচ্ছি।”
মহিলাটা তো ভাবলো যে হয়তো আকাশের মা বাবাকে আনতে যাচ্ছে সে। তাই তিনি বললেন,
“ঠিক আছে ঠিক আছে যাও।”
আকাশ সুমনার কাছে গিয়ে সুমনার হাত ধরে একটা টান দিলো।
এদিকে সুমনা ফোনে কি একটা যেনো দেখছিলো। হঠাৎ এভাবে হাতে টান পরায় ফোনটা পরতে পরতে বেঁচে গেলো। শখের ফোনটা এভাবে ফেলে দিচ্ছিলো কে সেটা দেখার জন্য সুমনা চোখ তুলে তাকিয়ে আকাশকে দেখতে পেলো। আকাশ এভাবে হাত কেনো ধরলো আর কোথায়ই বা তাকে নিয়ে যাচ্ছে তাই ভাবছে সে।
সামনের দিকে তাকিয়ে আকাশ হাঁটতে হাঁটতে বললো,”সুমনা,তুমি ঐখানে গিয়ে আমার সব কথায় সাথে হ্যাঁ এ হ্যাঁ মিলাবে ওকে??”
সুমনা অবুঝ বালিকার মতো বললো,
“ওকে”
আকাশ সেই মহিলাটার সামনে গিয়ে সুমনাকে নিয়ে দাঁড় করালো।আর বললো,
“আন্টী,এই সেইজন যাকে আমি আপনার সাথে দেখা করাতে চাচ্ছি। আমার লাইফের একজন স্পেশাল পার্সন। যাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব।”
সুমনাকে দেখে সেই মহিলা আর উনার মেয়ে যেনো বড় রকমের শক পেয়েছে।
নীলা করুন সুরে বললো,
“এই মেয়েটা কে??”
আকাশ মুখ প্রসারিত করে হেসে বললো,
“মাই জিএফ।মাই লাইফলাইন।এন্ড মাই উড বি ওয়াইফ।”
আকাশের মুখে এসব কথা শুনে সুমনার কাশি উঠে গেলো।সে আস্তে আস্তে কাশি দিয়ে যাচ্ছে।
আর নীলা এবং তার মায়ের অবস্থাও করুন। মনে হচ্ছে আরেকটু হলেই হয়তো নীলা কেঁদে দিবে।
সুমনার কাশি শুনে আকাশ চিন্তিত হওয়ার নাটক করে বললো,
“আরে জানু,কি হলো তোমার!!!পানি আনবো??”
“জানু”শব্দটা শুনে সুমনা এবার রীতিমতো অবাক।একটু হালকা কাশি দিয়ে বললো,
“আরে না না থাক, তেমন কিছু না।”
আকাশ সুমনার হাত হাত বুলাতে বুলাতে বললো,
“ওও,আমি ভেবেছিলাম কি না কি হয়ে গিয়েছে তোমার।
তোমার কিছু হলে আমি কি করতাম সেটা ভেবেই গা শিউরে উঠছে আমার।”
নীলা ধীর গলায় বললো,
“আপনার পরিবার এসব বিষয়ে জানে??”
আকাশ বললো,
“জানে না মানে!!আরে আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তো।বললাম না আমার উড বি ওয়াইফ ও।তাইনা সুমনা??”
সুমনা মুখে একটু হাসি এনে বললো,
“হুম হুম।সবাই জানে।”
আকাশ সুমনার কোমড় ধরে নিজের একটু কাছে এনে বললো,
“আর কয়েক সপ্তাহের মাঝেই আমাদের বিয়ে। কয়েক সপ্তাহ পরই আমাদের জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হবে।
আপনারা আসবেন আমাদের বিয়েতে।নাম্বারটা দিন,আপনাদের ইনভাইট করবো পরে।”
আকাশের এসব কথা শুনে নীলার মা নীলাকে ধরে নিয়ে যেতে যেতে বললো,
“না বাবা।থাক।তোমরা সুখি হও।এটাই চাওয়া। আমাদের বিয়েতে আসতে হবে না।”
আকাশ দাঁত কেলিয়ে জোরে বললো,
“আরে আন্টী,নীলার জন্য কোনো ছেলে ঠিক করবে নাকি বলবেন।”
নীলার মা হাঁটতে হাঁটতে সামনে এগুতে বললো,
“থাক বাবা লাগবে না। বিয়ে ভাগ্যে থাকলে এমনিই হয়ে যাবে।”
নীলা আর তার মা যাওয়ার পর আকাশ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো।
সুমনা তে আকাশের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এ মূহুর্তে কি কি হলো সবই তার মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে।আকাশ তাকে নিয়ে যা বললো তা কি ছিলো!!
সুমনার এভাবে তাকানো দেখে আকাশ সুমনার কোমড় ছেড়ে দিয়ে বলে,
“সরি সরি,তোমাকে এভাবে টাচ করার জন্য।”
সুমনা মাথা নিচু করে বললো,
“ইটস ওকে।”সুমনা তে প্রচুর লজ্জা পেয়েছে আকাশের এভাবে টাচ করার জন্য।
কিছুক্ষন পর সুমনা জিজ্ঞাসা করলো,
“এরা কারা ছিলো??আর আপনি আমাকে এদের সামনে এসব কেনো বললেন??”
আকাশ পাশে থাকা চেয়ারে বসতে বসতে বললো,
“আমি সবকিছুর জন্য সরি বলছি। এমন বিপদ থেকে বাঁচার জন্য এছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না আমার কাছে।”
সুমনা আকাশের সামনে থাকা চেয়ারে বসলো।
‘বিপদ’শব্দটা শুনে সে অবাক হয়ে বললো,
“মানে!!”
“আর বলোনা,ঐ আন্টীটা আমার কাছে এসেছিলো উনার মেয়ের বিয়ে নিয়ে।মানে উনার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিবেন।উনি।আমার আবার এসব বিষয় চরম বিরক্ত লাগে।এভাবে বিয়েতে এসে নিজের বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়া বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।তো আমি এর থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছিলাম।আর সৌভাগ্যবশত তোমাকে পেয়ে গেলায় তখন।তাই তোমাকো উনার সামনে নিজের উড বি ওয়াইফ বানিয়ে নিলাম।”
সব শুনে সুমনা শুধু একটা হাসি দিয়ে বললো,
“ওহ”
এসব কিছুতে আকাশের মনে কিছু না চললেও সুমনার মনের সুপ্ত ইচ্ছাটা প্রকাশ পেয়েছে।
সে মনে মনে ভাবলো,আকাশের বলা প্রতিটা কথা যদি সত্য হতো।তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতো। সুমনা তো দোয়া করছে যে আকাশের বলা প্রতিটা কথা যেনো সত্যিতে পরিনত হয়।
মাগরিবের নামায পরে ছাদে এসে নিরবে কান্না করেই যাচ্ছে মুসকান। সুমনা হাজার বলেও তার কান্না থামাতে পারেনি। মাহিরা চলে যাওয়ার সময়ও দুবোন একসাথে সেই কান্না করেছে।সবাই বললো যে কালকেই তো আবার দেখা হবে।তারপরও কে শুনে কার কথা।মাহিরা আর মুসকান কান্না করেই যাচ্ছিলো।
পরে কান্না থামলেও সন্ধ্যা থেকে আবারো কান্না করছে সে।
ছাদে এসে আকাশ আর আফনান দেখলো মুসকান কান্না করছে।তাদের বুঝতে বাকি নেই যে এ কান্না কিসের কান্না।
আকাশ আফনানকে মুসকানের কাছে যেতে বললো।
আফনান গিয়ে মুসকানের সামনে দাঁড়ালো। মুসকান মাথা নিচু করে কান্না করছিলো।সে চোখ তুলে সামনে তাকিয়ে দেখলো আফনান দাঁড়িয়ে আছে।আফনানকে দেখে যেনো তার কান্নার বেগ আরো বেড়ে গেলো।
আফনান মুসকানের গাল এক হাত দিয়ে ধরে আরেক হাত দিয়ে চোখের পানি মুছে দিলো।মেয়েটার চোখ দুটো একদম রক্তলাল হয়ে গিয়েছে,যা দেখে আফনানের খুব মায়া হলো।
সে মুসকানকে বললো,
“আরে মাহিরা তো কালকেই চলে আসবে আবার। তো এতো কান্নার কি আছে??”
মুসকান কান্না করতে করতে বললো,
“কালকে আসবে শুধু একদিনের জন্য।বৌভাত বলে।পরেরদিন তো ঠিক ই চলে যাবে আবার শ্বশুরবাড়ী।”
“বোনের বিয়েতেই যদি এতো কান্না করো।তাহলে নিজের বিয়েতে তো সমুদ্র বানিয়ে ফেলবে কান্না করে। তখন আবার আমাকে নৌকা নিয়ে চলতে হবে।”
এ কথা শুনে আকাশ আর সুমনা হেসে দেয়।কিন্তু মুসকানের কানে হয়তো কথাটা যায়নি।সে আগের মতোই নিশ্চুপে কান্না করে যাচ্ছে।আফনান মুসকানের কোনো রিয়েকশন না দেখে মুসকানকে টেনে নিয়ে ছাদের মাঝ বরাবর বসালো।আকাশ আর সুমনাও পাশাপাশি বসলো।
চাঁদটা বেশ আলো দিচ্ছে আজকে। পুরো ছাদ চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে।আর চাঁদের এ হালকা আলোয় মুসকানকে দেখতে অপরুপ সুন্দর লাগছে।আফনানের চোখ বারবার মুসকানের দিকে চলে যাচ্ছে।
আফনান মুসকানকে বললো,
“কান্নাটা একটু কি থামানো যাবে??এতো কান্না করো লাভটা কি হচ্ছে??শুধু শুধু মাথা ব্যাথা বাড়ানোর কি দরকার??প্রতিটা মেয়েকে তো একসময় না একসময় নিকের বাড়ী ছেড়ে পরের বাড়ীতে যেতেই হবে। তাই এটাকে যতো তাড়াতাড়ি মেনে নেওয়া যায় ততোটাই বেটার।”
আফনানের কথা শুনে মুসকান একটু একটু করে কান্না থামানোর চেষ্টা করছে।
আফনান বললো,
“মুসকান,চাঁদটার দিকে একবার তাকাও।”
আফনানের কথা শুনে মুসকান চোখ মুছে চাঁদের দিকে তাকালো।
“চাঁদের সৌন্দর্যটা দেখো।কতো সুন্দর লাগছে!!আর পাশের সন্ধ্যাতারাটা দেখো।কিভাবে আলোকিত হয়ে আছে।যদিও ওর আলোটা পৃথিবীতে এসে পৌছাচ্ছে না।
একটা বিষয় লক্ষ করেছো?চাঁদটা কিন্তু বেশিরভাগ সময় একা একাই থাকে।শুধু সন্ধ্যার সময় আর ভোরের সময় এ তারাটা চাঁদের পাশে থাকে।
মানুষও কিন্তু চাঁদের মতো। একা একাই থাকে বেশিরভাগ সময়। কখনো সন্ধ্যাতারা রুপে কিছু মানুষ আসে তার জীবনে আবার কখনো ভোরের সেই শুকতারা রুপে।তোমার আপুও তোমার জীবনে সেই সন্ধ্যাতারা অথবা শুকতারা রুপে এসেছিলো। এখন সে চলে গিয়েছে নিজের জীবনযাপন করতে। ”
এসব কথা বলতে বলতে আফনান খেয়াল করলো মুসকান তার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরেছে।
মুসকানের এ কাজ দেখে আফনানের ঠোটে একটা মিষ্টি হাসি উদয় হলো।
আকাশ আর সুমনা পাশেই বসা।তারা নিজেদের মতো গল্পে ব্যস্ত।আর আফনান একবার নিজের পাশে বসা চাঁদটাকে দেখছে তে একবার আকাশে থাকা সন্ধ্যাতারার সাথে সেই চাঁদটাকে দেখছে।
প্রায় ১৫/২০মিনিট পর মুসকান চোখ খুললো।চোখ খুলে সে দেখলো আফনানের কাঁধে মাথা রেখে সে ঘুমিয়ে ছিলো এতোক্ষন। প্রচুর লজ্জাজনক একটা কাজ সে করে ফেলেছে।তড়িঘড়ি করে আফনানের কাঁধের থেকে নিজের মাথা সরিয়ে নেয় মুসকান।আর বলে,
“সরি আমি বুঝতে পারেনি কখন ঘুমে চোখ বুজে গিয়েছে আমার। সরি।আপনার কাঁধটা হয়তো ব্যাথা হয়ে গিয়েছে।”
আফনান মুচকি হেসে বললো,
“আরে সমস্যা নেই। অভ্যাস করতে হবে তো।বিয়ের পর তো তুমি কতোই এভাবে মাথা রেখে ঘুমাবে।”
প্রথমে আফনানের এ কথা বুঝতে পারেনি মুসকান। কিন্তু পরে ঠিকই বুঝলো যে কালকের ডেয়ারের জন্য আফনান এমন বললো।
মুসকান চিন্তা করলো এভাবে একটা মানুষকে অন্ধকারে রাখা ঠিক হবে না। আফনানের সত্যিটা জানা উচিত।নাহলে যতোই দিন যাবে পরিস্থিতি ততোই খারাপ হবে।আর পরে সত্যিটা বলতেও কষ্ট হবে। ভুল বুঝাবুঝি ও হতে পারে। তাই সে সিদ্ধান্ত নিলো এখনই আফনানকে সব সত্যি বলবে।
মুসকান আফনানকে বললো,
“আপনার সাথে কালকের বিষয়ে কিছু কথা আছে।”
“হুম বলো।”
“আসলে কালকে……”
আর বলতে পারলো না মুসকান।নিচ থেকে সুমনার মা সুমনা আর মুসকানকে ডাকতে লাগলো।
সুমনা তার মায়ের গলা শুনে তাড়াতাড়ি উঠে গিয়ে মুসকানে হাত ধরে বললো,
“তাড়াতাড়ি চল।আম্মু যদি জানে আমরা ছাদে আমাদের আর আস্ত রাখবে না।”
“আমি আসছি তুই যা।উনার সাথে আমার কিছু কথা আছে।”
সুমনা ভয়ার্ত গলায় বললো,
“দেখ,পরেও কথা হবে। এখন চল তাড়াতাড়ি।”
আকাশ বললো,
“হুম তোমাদের এখন যাওয়া উচিত।”
সুমনা আর একটুও দেরী না করে মুসকানকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো।
#চলবে