অবশেষে তুমি আমার !! Part- 17
আমি আসি আর প্লিজ আমাকে বিরক্ত করবেন না। আর হ্যাঁ আমার ফোন নাম্বার কোথায় পেলেন? আপনার সাথে তো কোনদিন ফোনে কথা হয়নি।
– ভালোবাসলে সবি সম্ভব!
– প্লিজ এসব বলবেন না। আমি আসি তাহলে। ” এই বলে অধরা যখন রেস্টুরেন্ট থেকে বের হতে যাবে তখনি তিয়াস অধরার হাতটা ধরে ফেলে।
– অধরা তিয়াসকে হাত ছাড়ার কথা বলার আগেই ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় অধরার গালে রাজ!
রাজকে দেখে অধরার অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে!
-চড় খেয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো চড় মারে। রাজের হাতের পাঁচ আঙুলের ছাপ অধরার গালে বসে যায়।
– এই তুর আমাকে দিয়ে হয় না? কাল রাতে খুব তো বলছিলি আমাকে নাকি ভালোবাসিস। আরে তোদের মতো মেয়েদের চেনা আছে। রেস্টুরেন্টে কেন আবাসিক হোটেলে যেতেই তো পারিস। সবি হবে।
– রাজ তুমি ভুল ভাবছো। তিয়াসের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই!
– বাহ! বাহ ফোনে
রোমান্টিক রোমান্টিক কথা বলে এখন বলছো,’ আমার সাথে তিয়াসের কোন সম্পর্ক নেই।’ আরে এতো সুন্দর নাটক কেমনে করতে পারিস? অভিনয়ে ভুল হয় না।
– রাজ প্লিজ এখানে অনেক মানুষ আছে। তোমার যা বলার বাসায় গিয়ে বলো।
– আরে তুই রেস্টুরেন্টে দেখা করতে পারিস। আর আমি বললেই দোষ। আচ্ছাছা আমি কি তৃপ্তি দিতে পারি না?
সত্যি বলতে তোর মতো মেয়েদের থাকার কথা নিষিদ্ধ পল্লীতে। ওখানের যোগ্যই তোরা।
– রাজ প্লিজ তোমার কাছে কড়জুরে মিনতী করে বলছি তোমার যা ইচ্ছা বলো তবে এখানে নয়।
– আপনি অধরাকে চড় দিলেন কেন? আপনি আর একবার অধরার গায়ে হাত তুলে দেখেন তো।
– কি করবি? ১০০ বার মারবো? তুই বলার কে?
– আমি বলার কে মানে?অধরার বয়ফেন্ড। আমি অধরাকে ভালোবাসি। এবং বিয়ে করবো। তাই অধরার গায়ে একটা ফুলের টোকাও দিতে পারবেন। আর আপনারা দাঁড়িয়ে কি তামাশা দেখছেন?
– দেখতে পারছেন না একটা সহজ-সরল মেয়েরে কিভাবে মারছে। একে তো পুলিশে দেওয়া দরকার।
– এই তিয়াস তুই চুপ করবি? তোর সামনে অধরাকে মারবো দেখি কি করতে পারিস?”
এই বলে রাজ অধরার গালে চড় বসিয়ে দিতে যায়। ঠিক তখনি তিয়াস রাজের হাতটা ধরে ফেলে।
– রেস্টুরেন্টের লোক রাজকে মারতে আসে। এমন সময় অধরা ঠাস করে তিয়াসের গালে চড় বসিয়ে দেয়। আর সবাইকে বলে,’ আমার স্বামী আমাকে মারবে আবার কাছে টেনে নিবে। এখানে তামাশা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন।
– তিয়াস অধরার দিকে পলকহীনভাবে তাকিয়ে আছে। রাজ অধরাকে নিয়ে টানতে টানতে গাড়িতে তুলে বাসায় নিয়ে এসে পড়লো।
বাসায় এনেই বললো,’ তুই মনে করিস তোর নাগর তিয়াসকে চড় দিলেই আমি তোকে ক্ষমা করে দিবো? আমি কি জানি না তুই তিয়াসের সাথে নষ্টি-ফুষ্টি করার জন্য ওখানে গিয়েছিলি।
– রাজ প্লিজ তুমি বিলিভ করো আমি ইচ্ছা করে যায়নি। আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
– বাহ! যখন যাকে সামনে পাস তাকেই ভালোবাসস। তোর নষ্ট মুখে আমাকে ভালোবাসার কথা বলবি না।”কথাটা বলেই রাজ চলে গেল। ”
– এদিকে এশার আযান হয়ে যায়। অধরা অযু করে ত্রিযামিনীর রুমের পাশ দিয়ে আসার সময় শুনতে পায়। ত্রিযামিনীরর মা বলছে যে করেই হোক অধরার গর্ভের বাচ্চাটা নষ্ট করতেই হবে। তারপর অধরাকে। মেয়েটাকে সুবিধার মনে হয় না। রাজের সব সম্পত্তি গ্রাস করার জন্যই মনে হয় এ বাড়িতে আসছে।
– আচ্ছা মা কাল তো দুধের সাথে মেডিসিন মিশিয়ে খাওয়াতে পারলাম না। এখন কি করা যায়?
– আরে চিন্তা করিস না। যেভাবেই হোক মেডিসিন খাওয়াতেই হবে।
– অধরা এসব শুনে ভয়ে আৎকে ওঠে! তাড়াতাড়ি সেখান থেকে এসে নামাযে দাঁড়িয়ে যায়। নামায শেষ করে দু’হাত আকাশের দিকে উত্তোলন করে বলতে লাগে, ‘ হে রহমানুর রাহিম। বিশ্বজাহানের অধিপতি তুমি ছাড়া আমার কেউ নেই। ও আল্লাহ তোমার তো এ পৃথিবীতে আমি ছাড়াও অনেক বান্দা-বান্দী আছে। কিন্তু তুমি ছাড়া যে আমার কেউ নেই। ও আমার আল্লাহ তুমি আমার সন্তানটাকে হেফাযত করো। আল্লাহ তুমি তো জানো রাজকে আমি কতটা ভালোবাসি? সে ছোটবেলা থেকে। তুমি তো অন্তযার্মী। তুমি আমার স্বামীর মনটা নরম করে দাও। সে যেন আমার সাথে এমন না করে। আমি এসব সহ্য করতে পারি না। ও আমার আল্লাহ তুমি তো জানো আমার স্বামী ছাড়া আমাকে আর কোন পুরুষে স্পর্শ করেনি। তুমি আমার সতিত্বের হেফাযতের দায়িত্ব নিয়ে নাও। আমার কলিজার টুকরা রাজকে আমার করে দাও। আমি যে ওকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না। সে পুতুল খেলা থেকে যে ছোট্ট মনে যত্ন করে রেখেছি তুমি তো সব জানো।
– অধরার চোখ থেকে গাল বেয়ে টপটপ করে পানি জায়নামাযে পড়ছে। অধরা মোনাজাতে কেঁদেই যাচ্ছে।
– এদিকে ত্রিযামিনী এসে পিছন থেকে অধরার চুলের মুঠি ধরে বলে, ‘ এই চুর, আমার সোনার নেকলেস চুরি করে নামায পড়া হচ্ছে তাই না? বল আমার নেকলেস কোথায় রেখেছিস। ”এ কথা বলে অধরার চুলের মুঠি টেনে ধরে জায়নামায থেকে তুলে ফেলে।
– ম্যাডাম ব্যাথা লাগছে। প্লিজ আমার চুল ছেড়ে দেন।
– আগে বল আমার নেকলেস কোথায়? তুই ছাড়া আর কেউ নেয়নি! তুই সকালে আমার রুম গুছিয়েছিস। আর বিকেলে বাহিরে গিয়ে রেখে এসেছিস। বল ভালোই ভালোই!
– ম্যাডাম বিশ্বাস করেন আমি আপনাদের নেকলেস নেয়নি। আমার মরা মায়ের কসম। আমি আপনাদের নেকলেস নেয়নি।
– বাহ! তোর কি মা আছে? হয়তো পতিতালয়ে জন্মায়ছিস! এজন্য চুরি করার পর মিথ্যা বলছিস।
– অধরা চুলের মুঠি ছাড়িয়ে ত্রিযামিনীর গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দিয়ে বললো,’ আমার মা তোদের মতো না।”
– তুই আমাকে মারলি? এই বলে অধরা ধাক্কা মারে। অধরার মাথা দেয়ালে লাগায় কপাল ফেটে ফিঁড়কি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়।
– এমন সময় রাজ বাহির থেকে এসে চিল্লাচিল্লির শব্দ পেয়ে রুমে এসে দেখে অধরা কপাল ধরে আছে। হাত রক্তে মাখা-মাখা হয়ে আছে।
– এই ত্রিযামিনী কি হয়েছে এখানে?
– দেখ রাজ এই চুরটা আমার সোনার নেকলেসটা চুরি করেছে!
– সত্যি বলছিস কি?
– আমি মিথ্যা কেন বলবো? তোর রুমে খুঁজে দেখেছিস?
– হ্যাঁ তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি।
– তাহলে চল অধরার রুমে গিয়ে খুঁজে দেখি।
– ত্রিযামিনী সহ সবার অধরার রুম খুঁজল কোথাও নেককলেস পেলো না। ত্রিযামিনী ভাবছে বিছানার নিচে নেকলেস রাখলো এখান থেকে কোথায় গেল!
-আচ্ছা ত্রিযামিনী তোর রুমে খুঁজে দেখি। যদি মনের ভুলে কোথাও রাখিস।
– রাজ ত্রিযামিনীরর রুম খুঁজতেই বালিশের নিচে নেকলেস পেয়ে যায়। সাথে সাথে ত্রিযামিনী ঠাস করে চড় লাগিয়ে দেয়। আর বলে, ‘ নেক্সট টাইম কাউকে চুর ধরার আগে নিজের রুম খুঁজে নিবি।
– ত্রিযামিনীর মাথায় কিছু ঢুকছে না। নিজের হাতে অধরার রুমে রেখে আসলো। তাহলে নেকলেস তার বালিশের নিচে কিভাবে আসলো?
– অধরার কপাল থেকে রক্ত আসলেও রাজের ব্যবহারে খুব শান্তি লাগছে। আর কিছু না করুক চুরের অপমান থেকে তো বাঁচিয়েছে। রাত্রে রাজ অধরার কপালের ক্ষত নিজ হাতে ড্রেসিং করে দেয়।
– নিজ হাতে খাবার তুলে খাওয়াতে খাওয়াতে বলে কাল আমরা কক্সবাজার যাবো। ভাবলাম তোমাকে নিয়ে হানিমুনটাও সেরে ফেলবো।
– অধরা কিছু না বলে মুচকি হাসলো।
-পরের দিন সকালে অধরা দেখে রাজের বুকে শুয়ে আছে! ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে আটটা বাজে। অধরা রাজের কপালে একটা চুমু দিয়ে শাওয়ার নিতে চলে যায়।
– এদিকে রাজ ঘুম থেকে উঠে শাওয়ার নিতে যাওয়ার জন্য যখনি দরজা ধাক্কা দেয় বার্থরুমের। তখনি অধরা দু’হাতে চোখ ধরে চিৎকার দিয়ে ওঠে! রাজ অধরার দিকে চেয়ে দেখে কাপড় প্রায় সব খুলে ফেলছে অধরা। রাজ অধরাকে টান দিয়ে একবারে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়! অধরা চিৎকার দেওয়ার আগেই মুখটা রাজ তার ঠোঁট দিয়ে বন্ধ করে দেয়। নিজের হাতে অধরার গায়ে টাওয়ালটা জড়িয়ে দিতে লাগে। অধরা চোখ বন্ধ করে থাকে। রাজ অধরার গায়ে টাওয়াল জড়িয়ে দিয়ে বের হয়ে আসে।
– অধরা কিছুক্ষণ পর শাওয়ার নিয়ে রুমে আসলে রাজ ওয়ারড্রপ থেকে একটা কালো পাড়ের নীল রঙা তাতের শাড়ি বের করে অধরার হাতে ধরিয়ে দেয়!
– রাজ বসে বসে গেম খেলছে। খেয়াল করলো, ‘ অধরার শাড়ি পরতে পারছে না। রাজ অধরাকে টান দিয়ে কাছে টেনে নিল। সুন্দর করে শাড়ির কুঁচি দিয়ে যখনি অধরার —–
চলবে””””””