অবশেষে তুমি আমার !! Part- 03
– অধরার বুকের ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছে। রাজ কেন এমন করে তার সাথে। নিজের বন্ধুদের সাথে আমাকে বেডে পাঠাতে তার বিবেকে একটুও বাধে না?এতটা হীনমনষ্ক মানুষ হয় কিভাবে?
-রিফাত রাজের কথা শুনে মুচকি হাসি দিয়ে বলে,’ দোস্ত কেরে মেয়েটা?’ একদম ফুলকলি!
– আরে কে আর আমাদের বাসার কাজের মেয়ে। ‘
”কি বলিস তুই, এত সুন্দর কাজের মেয়ে তোর বাসায় আগে বলবি না বেড়াতে আসতাম। সাথে একটু মজা মাস্তিও করে আসতাম! আচ্ছা বাদ দে। এই বেবি দেখছো একেই বলে বন্ধুত্ব! আসো বেবি আমরা আলাদা ভাবে সময়টাকে ইনজয় করি।
-“দোস্ত তাহলে তোর পাখিরে বুলি শেখা” কথাটা বলে দু’জনের সামনে থেকে চলে গেল। ত্রিযামিনী অধরার দিকে তাকিয়ে ইশারা করে বললো,’ বাড়ির বউ নাকি? ‘ এটাই কি বউ? এবার যাও তুমি। তোমার বরের সাথে ”
– অধরা মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। ছোট বেলা থেকেই অনেকটা জেদি। কিন্তু এখানে তার রাগ-অভিমান- জেদ সবকিছুকে মাটি চাঁপা দিতে হচ্ছে। নিজের প্রিয় মানুষটাকে বাঁচাতে এ ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
– কি হলো বেবী আসো তো। ”
– রিফাতের কথা শুনে, অধরার মন চাচ্ছে তাকে খুন করতে।, মানুষ এতো খারাপ হয় কিভাবে। অধরা দাঁতে কামড় দিয়ে রাগটাকে সংবরণ করলো। রিফাতকে চোখ মেরে বললো,’ বেবী ইউ আর সো সুইর্ট! তুমি একটু ওয়েট করো আমি আসছি। অধরা একটু পরে , রিফাতকে নিয়ে রুমে নিয়ে অধরাই দরজা লাগিয়ে দিল।
– রিফাত ভাবতেই পারছে না পাখি তার নাগালের ভেতরে। সেই ইনজয় হবে। অধরার দিকে তাকিয়ে সে চোখ ফেরাতে পারছে না।
-কি হলো দেরী সহ্য হচ্ছে না বাবু? এই নাও দুধটুকু খেয়ে নাও শক্তি আসবে শরীরে । এই বলে রিফাতের মুখের সামনে দুধের গ্লাসটা ধরল!
-রিফাতের কাছে মনে হচ্ছে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পেয়ে গেছে সে। রিফাত অধরার চোখের দিকে তাকিয়ে, এক শ্বাসে দুধটুকু খেয়ে নিল।
– অধরা রিফাতের সামনে দাঁড়িয়ে তার ঠোঁট কামড়াচ্ছে। রিফাত অধরাকে এভাবে দেখে নিজেকে কন্টোল করতে পারছে না। রিফাতের মনে হচ্ছে সে পাগল হয়ে যাবে।
“বেবী দূরে থেকো না কাছে আসো।”
” আসছি তো বাবু । ” তোমার একটু তর সয় না? আসছি তো। এই বলে, ঠোঁটে আবারো কামড় দিয়ে। আস্তে আস্তে রিফাতের দিকে আসতে লাগলো। রিফাতের কাছে সবকিছু যেন ঝাঁপসা লাগছে। চোখ দু’টি বন্ধ হয়ে আসছে। তাই অধরাকে বললো,’
‘সুইর্ট হার্ট আমার মাথাটা কেমন যেন ঘুরছে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। ”
– তাই নাকি সুইর্ট হার্ট? তোমার মাথায় হাত বুলায় দেয়। ”অধরা তার কথা শেষ করাই আগেই রিফাত বিছানায় শুয়ে পড়ল!
– অধরা মনে মনে বললো,’ যাক বাবা বাঁচা গেল আল্লাহর রহমতে পিল গুলো দ্রুত কাজ করেছে।” ভাগ্যিস মাথায় বুদ্ধিটা এসেছিল। যাই হোক আগে আমাকে ট্রিজ করার শাস্তিটা দিয়ে নেই। ” এই বলে অধরা তার পায়ের জুতো খুলে রিফাতের দু’গালে বারি দিতে দিতে বললো,’ শয়তানের ছানা তুই আমারে বেবী ডাকস। কত্তো সাহস তোর। আমার সাথে ইনজয় করতে চাস। তোর মতো ছেলে আমার সাথে কি না ড্রান্স করবে। ” এখন কেমন লাগে? ” ওহ্! তুই তো এখন কিছু বুঝবি না বুঝলি ঘুম থেকে উঠার পর। অধরার এখন খুব হাসি পাচ্ছে! কত সুন্দর করে রিফাতকে দুধের সাথে ঘুমের মেডিসিন খাইয়ে প্রতিশোধ নিল এই ভেবে তার নিজেরি হাসি পাচ্ছে।
– অধরা রিফাতকে ঘরে রেখে এসে দেখে রাজ তার বন্ধুদের সাথে কথা বলছে। ত্রিযামিনী ডাইনিটা রাজের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। অধরা কেন জানি রাজের পাশে কাউকে সহ্য করতে পারে না। ‘
– এই অধরা আমাদের জন্য দু’প্যাক ড্রিংকস এনো তো।”
– জি ম্যাডাম আনছি। অধরা মনে মনে বললো,’ এবার তোকেও বুঝাবো আমি কে। অধরা লুকিয়ে ত্রিযামিনীর গ্লাসে ঘুমের পিল মিশিয়ে দেয়। ত্রিযামিনী গ্লাসটা দিতেই ত্রিযামিনী মুখ ভেঁচকি দিয়ে গ্লাসটা নিয়ে নেয়। অধরা যখন রাজকে ড্রিংকস দিতে যাবে এমন সময় ত্রিযামিনী অধরাকে ধাক্কা দেয়। ফলে গ্লাস ভর্তি ড্রিংকস রাজের গায়ে গিয়ে পড়ে।
– এই ছোটলোক ঠিকমতো গ্লাসটাও দিতে শিখিসনি? এই বলে অধরার গালে ঠাস করে চড় বসিয়ে দেয় রাজ।
– সরি আমি দেখতে পারিনি। ”
– এখন ন্যাকামি হচ্ছে তাই না? রাজ এই মেয়েটা ইচ্ছে করে তোমার গায়ে ড্রিংকস ফেলে দিছে। ”
– আপনি দেখছেন আমি ফেলেছি ইচ্ছা করে?
” রাজ দেখছো মুখে মুখে কিভাবে তর্ক করে?” এই বলে ত্রিযামিনী অধরার গালে চড় বসিয়ে দেয়। আর চোখ ইশারা দিয়ে বলে কেমন দিলাম? ”
– অধরা অসহায় দৃষ্টিতে রাজের দিকে তাকিয়ে আছে। সে ভাবছে রাজ ত্রিযামনীকে কিছু বলবে কিন্তু না। তার ভাবনা সব ভুল। ‘”
-এদিকে সবাই ড্রান্স করছে,’এমন সময় ত্রিযামিনী রাজকে বললো,’ আমার ঘুম পাচ্ছে। আমি আসি।”
” ত্রিযামিনী চলে গেলে, রাজ অধরার দিকে তাকালো। অধরাকে আজ কেন জানি অদ্ভূত রকমের সুন্দর লাগছে। চোখের নিচের কাজলগুলো যেন তাকে অপরূপ করে তুলেছে। অধরা মাথা নিচু করে দরজায় এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে। রাজ অধরাকে টান দিয়ে একদম নিজের কাছে নিয়ে আসলো।
” কু করছেন এসব স্যার?”
” কথা বলবে খুন করে দিবো।”
” অধরা রাজের কথাতে চুপ হয়ে গেল! রাজ অধরার এক হাত কাঁধে আরেকহাত কোমড়ে রাখতেই অধরা কেমন যেন শিউরে উঠল! মনে হচ্ছে সারা শরীরে বিদ্যুৎ বয়ে যাচ্ছে। ঠোঁট জোড়া কাঁপছে।
” আর ইউ ওকে?”
– অধরা মাথা নাঁড়িয়ে হ্যা সূচক জবাব দিল!
” রাজ অধরার কোমড় ধরে একটানে নিজের একদম কাছে নিয়ে এসে পড়লো। রাজের আর অধরার মাঝে বিন্দুমাত্র জায়গা নেই! রাজ অধরার কাজল কালো অাঁখি দু’টির দিকে তাকিয়ে আছে। রাজের মনে হচ্ছে এ চোখে নেশা লেগে আছে। রাজ অধরাকে নিয়ে কাপল ড্রান্স করছে!
রাজ কাপল ড্রান্স করতে করতে অনেক ড্রিংকস নেয় । এদিকে পার্টি শেষ হলে অধরাকে নিয়ে রাজ তার রুমে চলে আসে।
– অধরাকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। দু’হাতে অধরাকে চেপে ধরে ওষ্ঠজোড়া মিলিয়ে দেয়। অধরা গলাকাটা মুরগির মতো হাত পা ছোটার চেষ্ঠা করছে কিন্তু রাজের শক্তির সাথে পেয়ে উঠতে পারছে না। অধরা রাজের চোখে-মুখে অজানা নেশা দেখতে পাচ্ছে। যে নেশায় অধরার মতো মেয়ে মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
রাজ অধরাকে অর্ধনগ্ন করে ফেলছে। অধরা এখন আর বাঁধা দিচ্ছে না। শরীরটা তার নিস্তেজ হয়ে আসছে। এদিকে রাজের নেশা বেশি হওয়ায় রাজের বুকেই ঘুমিয়ে যায়। অধরা মনে মনে বলে এ যাত্রাতেও আল্লাহ আমার সতিত্ব রক্ষা করলো। আর একটু হলেই নিজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটা হারাতো! হঠাৎ খেয়াল করলো চাঁদের আলো জানালার কাঁচ ভেদ করে রাজের মুখের উপর পড়ছে। ঘুমন্ত রাজকে ছোট্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এ নিষ্পাপ চেহারার দিকে তাকিয়ে হাজার বছর কাটিয়ে দেওয়া যাবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেন জানি রাজকে বুকের উপর থেকে সরাতে পারছে না। মনে হচ্ছে থাকুক না এভাবে। অধরা আর রাজকে বুকের উপর থেকে সরালো না। বরং তার হাতটা রাজের মাথায় রেখে ছোট্ট বাচ্চাকে যেমন ঘুম পাড়িয়ে দেয় সেরকম করে হাত বুলাতে বুলাতে সেও ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গেল!
– সকাল বেলা ত্রিযামিনী রাজের রুমের দরজা খুলা দেখেই রাজের রুমে ঢুকল। রাজের রুমে গিয়ে দেখে,’ অধরা রাজকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। অধরাকে এভাবে দেখে ত্রিযামিনীর মাথায় রক্ত উঠে যায়। সাথে সাথেই অধরার চুলের মুঠি ধরে বলে,’ তোর কত্তোবড় সাহস ছোটলোকের বাচ্চা, আমার রাজকে বুকে নিয়ে ঘুমাস।”
চলবে”””””’
–