অন্তরালে তুমি আমি !! Part- 02
আবির মাতাল অবস্থায় দুলতে দুলতে বাড়িতে আসে। রুমে এসে দেখে অহনা এখনো সেই একই অবস্থায় বসে আছে।আর মেঝেতে বসে কাঁদছে।অহনার পড়নের সেই শাড়িটা এখনো চেঞ্জ করে নি।যা দেখে আবির আরও রেগে যায়।এসে অহনার চুলের মুষ্টি ধরে টেনে অহনাকে উঠিয়ে দাড় করায়। আর অহনার গালে ঠাসসসস! ঠাসসসস! করে অনেকগুলো চর বসিয়ে দেয়।তারপর অহনার গালটা শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
—তোকে আমি বলে গিয়েছিলাম এই শাড়িটা চেঞ্জ করে নিতে কিন্তু তুই করিস নি…কেন??…
আবিরের মুখ থেকে মদের গন্ধ আসতে থাকে।অহনার মদের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসছে।যেন নিঃশ্বাসটাই নিতে কস্ট হচ্ছে।তবুও অহনা চেস্টা করে কোনো মতে আবিরের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে।তারপর আবিরকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে আবার আবিরের শার্টের কলারটা খামচে ধরে বলে,
—কেন করছো এমনটা তুমি? আচ্ছা, তোমার জীবনে কি অন্য কোনো মেয়ে এসে গেছে? তাই আমাকে আর ভালো লাগছে না তোমার? ঠিক আছে! তাহলে মেরে ফেলো আমাকে।আর আমাকে মেরে তোমার মনের সব আশা পূর্ণ করো।
অহনার মুখ থেকে এমন কথা শুনে আবির যেন আরও বেশি রেগে যায়। আর অহনাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। তারপর প্যান্টের পকেট থেকে একটা কাঠি বের করে আগুন জ্বালিয়ে অহনার শাড়ির আঁচলটিতে ধরিয়ে দেয়।আর বলে,
—খুব মরবার শক না তোর? এইবার মর!
অহনা মুহূর্তের মধ্যে শাড়িতে আগুন লাগতে দেখে দিশেহারা হয়ে যায়।একদিকে আবিরের মার খেয়ে অহনা ভীষণ ক্লান্ত তার উপর শাড়িতে আগুন।অহনা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেয়।অহনার চিৎকারে আবিরের ধ্যান ফেরে।আবির চেয়ে দেখে বলে,
—রাগের বসে এটা আমি কি করলাম?
আবির হাত দিয়ে অহনার শাড়ির আঁচল থেকে থাবড়িয়ে আগুন লেভানোর চেস্টা করে।মাতাল অবস্থায় আগুনের সামনে আবির তেমন ভাবে তাকিয়েও কিছু দেখতে পারছে না।ঝাপসা চোখে আবির অহনার শাড়িটা একটানে খুলে ফেলে অহনার গায়ে বিছানার চাদরটা জড়িয়ে দেয়। আর অহনাকে ধরে বলে,
—তোমার কিছু হয়নি তো অহনা?
অহনা ধাক্কা দিয়ে আবিরকে সরিয়ে দেয়। আর আবির মাতাল অবস্থায় বিছানাতে পরে গিয়ে আর ওঠে না।অহনা বলে,
—আজ তোমাকে দেখলে আমার ঘৃণা হচ্ছে আবির! এতোটা বদলে গেছো তুমি? জলি ঠিকই বলে তুমি আর আগের আবির নেই।
।
ওদিকে পার্টিতে ড্রিক করতে করতে ড্রান্স করছে জলি।আজ জলির খুশির দিন।শেষ কবে জলি এতোটা খুশি হয়েছিলো তা মনে করতে পারছে না।আবির আর অহনার সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পেরেছে জলি।মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় জলি চিৎকার করে বলছে,
—আজ আমি সফল! আমার আবিরকে আমি আবার ফিরে পাবো।
পাশ থেকে ফ্রেন্ডরা জলিকে শান্ত হতে বলে,
—কি সব করছিস জলি শান্ত হহহ
জলি বলে,
—তোরা জানিস আমি কি করেছি?
সবাই জলির দিকে হা হয়ে তাকিয়ে থাকে। আর জলি বলতে থাকে,
—আজকের যা কিছু ঘটেছে সব আমি করেছি।বলেই একটা অট্ট হাসি দিয়ে জলি আবার বলে, আবির অফিসে থাকতে আমিই আবিরের নাম করে অহনাকে শাড়ি পাঠিয়েছিলাম।আর আমিই অহনাকে জোড় করেছিলাম শাড়িটা পরতে।তারপর পার্টিতে আসলে আদির রুমে পাঠিয়েছিলাম আবির আছে বলে।বলেছিলাম আবির তোমাকে একটা সারপ্রাইজ দেবে।যতোক্ষণ না আবির বলবে তুমি চোখ খুলবে না।
সবাই বলে,
—তারপর??
—তারপর আর কি! এদিক থেকে আবিরকেও বুঝিয়েছি অহনার চরিত্র ভালো না।আবির তো প্রথমে বিশ্বাস করতেই চাই নি।তারপর আবিরকে নিয়ে গেলাম আদির রুমে। সেখানে গিয়ে আবির দেখলো তার অহনার শরীরে বাজে ভাবে আদি স্পর্শ করছে।কিন্তু অবাক করার বিষয় কি জানিস? অহনা তখনও চোখ বন্ধ করেই ছিলো।বেচারি অহনা ফেঁসে গেল হাহাহা..
,
,
,
চলবে,,,,,,