অনাকাঙ্ক্ষিত সে

অনাকাঙ্ক্ষিত সে !! Part- 03

রেহেনুমা বেগমকে কি উত্তর দিবে এটাই ভেবে পাচ্ছেনা মিশ্মি। আমতা আমতা করে বলে,
“কলেজের এক বন্ধু সাহায্য করেছে মা।”
“কলেজের বন্ধু? এমনি এমনি তোকে এতগুলো টাকা দিলো?”
“তুমি কি বলতে চাচ্ছো বলো তো? টাকা যেভাবে খুশি সেভাবে পাই সেটা কি বড় কথা? আব্বুর জীবন বাঁচাতে পেরেছি এটা কি কম? তুমি আব্বুকে নিয়ে ভাবো। টাকা পয়সা নিয়ে তোমাকে এত ভাবতে হবেনা।”
“যখন তোর আব্বু জানতে চাইবে টাকার কথা। তখন কি বলবি?”
এবার যেন মিশ্মি একটু থমকে গেল। সত্যিই তো! বাবার কাছে কি বলবে? আর যাই হোক বাবার চোখে চোখ রেখে মিথ্যা বলাটা অসম্ভব প্রায়!
“সেটা আমি দেখে নিবো।”
বলে ক্যান্টিনের বিল মিটিয়ে বাসায় চলে আসে মিশ্মি।
ফ্যান ছেড়ে দিয়ে গা এলিয়ে দেয় বিছানায়। শীতের মধ্যেও গরম লাগছে মিশ্মির। জীবনটা কত কঠিন। মিশ্মি ভাবতে থাকে,
“আব্বু যদি কোনোদিন এই নিষ্ঠুর সত্যিটা জানতে পারে তখন? তখন কি করবে আব্বু? মানতে পারবে এটা? আমিই বা কিভাবে দাঁড়াবো এই মুখ নিয়ে আব্বুর সামনে।”
ভাবতে পারছেনা কিছু। মাথাটা ধরে এসেছে। গোসল করলে ভালো লাগবে।
মিশ্মি ওয়াশরুমে গিয়ে অনেকখানি সময় নিয়ে গোসল করে। ইচ্ছেমত সাবান দিচ্ছে গায়ে যাতে রাতের সব ময়লা ধুয়ে মুছে যায়। কিন্তু চাইলেই কি আর যায়? এটা কখনো সম্ভব? গোসল সেরে জামা-কাপড়গুলো রোদে শুকাতে দেয়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখছিল। গলার কাছটায় লাল দাগ হয়ে আছে। ফোনের রিংটোনে ধ্যান ভাঙ্গে মিশ্মির। মোহনা ফোন করেছে।
“হ্যালো আপু।”
“বল।”
“তুই কোথায়?”
“বাসায়। কি হয়েছে?”
“হাসপাতালে আয় তাড়াতাড়ি। কি ওষুধ যেন লাগবে। কিন্তু হাসপাতালে নেই। বাহির থেকে আনতে হবে। আমার কাছে তো টাকা নেই।”
“আচ্ছা তুই থাক। আমি আসছি।”
“আচ্ছা।”
ফোন রেখে মিশ্মি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ডাক্তারের দোকানে যায়। ওষুধ নিয়ে যখন হাসপাতালে ফিরছিল তখন নুয়াজ ফোন করে। মিশ্মি রিক্সায় ওঠে ফোন রিসিভড করে বলে,
“বলুন।”
“কোথায় তুমি জান?”
“রিক্সায়।”
“রিক্সায় কেন? কোথায় যাচ্ছো?”
“আব্বুর ওষুধ কিনতে গিয়েছিলাম। এখন হাসপাতালে যাচ্ছি।”
“ওষুধ নেই আমায় বলতে পারলে না? তুমি কেন বের হলে?”
“সবসময় আপনাকে বিরক্ত করাটা ভালো দেখায় না।”
“আমায় নিয়ে তোমার ভাবতে হবেনা। তোমাকে নিয়ে আমায় ভাবতে দাও। তাছাড়া সত্যিই যদি তুমি আমায় ডিস্টার্ব করতে না তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি আমিই হতাম।”
মিশ্মি চুপ করে থাকে। এই মানুষটাকে বুঝতে পারেনা মিশ্মি। আর বুঝবেই বা কিভাবে? কখনো তো সেই চেষ্টা করেনি। সবসময় রিলেশন থেকে দূরে থেকেছে। আর চাইছেও না কাউকে বুঝতে। কি হবে বুঝে? এই জীবনটাই তো এখন বিসর্জনের খাতায়।
“এই মিশ্মি।”
“শুনছি।”
“চুপ করে আছো কেন?”
“আপনার কথা শুনি।”
“হা হা। আচ্ছা শুনো,এভাবে হুটহাট বের হওয়া বাদ দাও। কখনো কোনো কিছু দরকার হলে আমায় বলবে। মনে রেখো, এখন থেকে তুমি কিন্তু আমার!”
“হু।”
“বিকালের দিকে আমার সাথে দেখা করতে হবে।”
“আচ্ছা।”
“এখন রাখছি। সাবধানে যেয়ো জান”
“আচ্ছা।”
“শোনো।”
“বলেন।”
“লাভ ইউ।”
মিশ্মি বিদ্রুপ করে বলে,
“হাহ্! রাখছি।”

হাসপাতালে গিয়ে দেখে রেহেনুমা বেগমের কাঁধে মাথা রেখে মোহনা ঘুমাচ্ছে। মিশ্মি মোহনাকে ডেকে বলে,
“তোর ঘুম পেয়েছে খুব তাই না?”
মোহনা চোখ মেলে বলে,
“রাত জেগেছি তো! তাই আরকি।”
“মাকে নিয়ে বাসায় যা। আমি আছি হাসপাতালে।”
“না। সমস্যা নেই।
“চুপ। যা বাসায় যা। আমি ডক্টরের সাথে কথা বলে আসি।”
“আচ্ছা।”
মোহনা রেহেনুমা বেগমকে নিয়ে বাড়িতে যায়। মিশ্মি হাঁটতে হাঁটতে করিডোরের শেষ মাথায় যেতেই বিশালদেহী এক লোকের সাথে ধাক্কা খায়। মিশ্মির মাথা লোকটার বুকের সাথে বাড়ি খায়। মিশ্মি মাথায় হাত দিয়ে বিড়বিড় করে বলে,
“বুক নাকি পাথর আল্লাহ্!”
লোকটা বিনয়ী সুরে বলে,
“স্যরি স্যরি। আমি দেখিনি।”
মিশ্মি মাথা তুলে বলে,
“ইট’স ওকে।”
“মিশ্মি!!”
এমন অবাককরা কণ্ঠে নিজের নাম শুনে মিশ্মি তার দিকে তাকায়। ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। লোকটা ব্যস্ত ভঙ্গিতে বলে,
“তুমি আমায় চিনতে পেরেছো?”
মিশ্মির চেহারার হাবভাব বলে দিচ্ছে সে চিনেনি। তাই লোকটা হেসে বলে,
“না চেনারই তো কথা। সেই কত্ত বছর আগে দেখেছিলে! যাই হোক, আমি আলভী। তোমার খালার বাড়ির পাশেই থাকতাম। মনে পড়েছে?”
“ওহ হ্যাঁ! আলভী ভাই। কেমন আছেন আপনি?”
“আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?”
“বেঁচে আছি!”
“স্যরি?”
“মানে বেঁচে থাকাটাই তো অনেক কিছু। ভালো আছি।”
“তুমি অনেক চেঞ্জ কিসমিস!”
মিশ্মি হেসে দিলো।
“এখনো এই নামটা মনে আছে?”
“আমি মনভোলা নই। পিচ্চিটাকে একটা নাম দিয়েছি সেটা ভুলে গেলে চলবে?”
“আমি মোটেও পিচ্চি নই। আমি এখন বড় হয়েছি।”
“তাই? কতটা বড় হয়েছো?”
“অনেকটা বড় আলভী ভাই! অনেক বড়। যতটা বড় হলে পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষগুলোকে খুব কাছ থেকে দেখা যায়।”
“এসব কি বলছো মিশ্মি?”
“কিছুনা। আপনার কি এখন কোনো তাড়া আছে?”
“না। কেন?”
“তাহলে আপনি একটু ওয়েট করুন। আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসি।”
“আচ্ছা।”
মিশ্মি ভেতরে যায়। আর আলভী বাহির থেকে দাঁড়িয়ে থাই গ্লাস ভেদ করে মিশ্মিকে দেখছে।

মিশ্মির সাথে আলভীর যখন পরিচয় হয় তখন মিশ্মি সিক্সে পড়তো। মিশ্মির মা মারা যাওয়ার এক বছরের মাথায়ই ওর বাবা আরেকটা বিয়ে করেন। বিয়ে করার উদ্দেশ্য ছিল মিশ্মি। যাতে মায়ের আদর-যত্ন, ভালোবাসা পায়। নতুন মা অর্থাৎ রেহেনুমা বেগম বিয়ের পর খুব ভালোবাসতো মিশ্মিকে। মিশ্মির যখন চার বছর বয়স তখন ওর বাবা বিদেশে চলে যান কাজের জন্য। সবকিছু তখনও খুব ভালোই চলছিল। মিশ্মির বাবা ছুটি পেলেই চলে আসতেন। এরমধ্যে রেহেনুমা বেগম সন্তানসম্ভবা হয়। চারদিকে হাসি-খুশির ঝলক। রেহেনুমা বেগমের ছোট বোন আসে তখন রেহেনুমাকে দেখাশোনা করার জন্য। ঐ অবস্থায় একজন মানুষের খুব প্রয়োজন হয়। সে ঐ ছোট্ট অবস্থায় মিশ্মিকে দিয়ে টুকিটাকি ঘরের কাজ করাতো। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় পাড় হয়ে যায়। ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় মোহনা। তার এক মাসের মাথায় বাবা চলে আসে। আর বিদেশে যায়নি। এখানেই ছোটখাট কাজ করে সংসার চালায়। সারাদিন মিশ্মির বাবা কাজের জন্য বাহিরে থাকতো। তখন রেহেনুমা বেগম ওকে দিয়ে কাজ করাতেন। বিষয়টা একদিন ওর বাবা খেয়াল করলেন। তখন মিশ্মিকে ওর আপন খালার কাছে রেখে আসলেন টঙ্গীতে। তখন থেকে মিশ্মি ওর খালার কাছেই থাকতো। সময়ের সাথে পালাক্রমে মিশ্মি বড় হতে থাকে।
একদিন ভোরে ফজরের আজানের সময় মিশ্মি চুপিচুপি মসজিদ থেকে কিছুটা দূরে আড়ালে দাঁড়ায়। আলভী নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়। ঐদিনই প্রথম দেখা হয় ওদের দুজনের। আলভী কিছুটা এগিয়ে আসতেই মিশ্মি দৌঁড়ে গিয়ে আলভীর হাত ধরে। হুট করে এমন হওয়ায় ভয় পেয়ে যায় আলভী। আলভী তাকিয়ে দেখে ছোট একটা মেয়ে। চুলগুলো দুই বেনী করা কিন্তু এলোমেলো। চোখের ঘন পাঁপড়ির আড়ালে এক সাগর ঘুম। কিন্তু চোখগুলো চকচক করছে। আলভী বলে,
“কে তুমি? এত সকালে এখানে কেন?”
আলভীর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মিশ্মি বলে,
“আমি আপনাকে বিয়ে করবো।”
আলভী বড়সড় একটা ধাক্কা খায়।
“এই মেয়ে বলে কি! বিয়ে করবে মানে?”
“হ্যাঁ আমি আপনাকে বিয়ে করবো। কারণ আপনি অনেক ভালো।”
“কি করে বুঝলে আমি ভালো?”
“আমি জানি তো।”
“কিভাবে জানো?”
“পরীক্ষার হলে আমার সীট সামনের বেঞ্চে পড়েছিল। তখন দুই ম্যামের কথা শুনে জেনেছি।”
“তারা আমায় নিয়ে কথা বলছিল?”
“না তো! ম্যামরা বলছিল যে, তারা নাকি ফেসবুকে দেখেছে ভালো ছেলে খুঁজতে হলে সকালে মসজিদের সামনে যাও। প্রকৃতি ভালো ছেলে তারাই। তারাই বিয়ের জন্য ভালো। তাই তো আমি সকালেই লুকিয়ে চলে এলাম।”
মিশ্মির এলোমেলো সব কথা শুনে আলভী হাসতে হাসতে শেষ। মিশ্মি গম্ভীর হয়ে বলে,
“আপনি হাসছেন কেন?”
“পাকা বুড়ি তুমি!”
“আমার তো চুল পাকেনি। বুড়ি হলাম কিভাবে?”
“তাইতো! আচ্ছা তুমি তাহলে কিসমিস।”
“আমার নাম তো মিশ্মি।”
“আমি কিসমিস বলে ডাকবো।”
“ঠিক আছে। কিন্তু এক শর্তে।”
“কি শর্ত?”
“আমায় বিয়ে করতে হবে।”
“কিন্তু আমার তো বউ আছে।”
“ওহহো! তাহলে হবে না। বউওয়ালা ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না। চলে যাচ্ছি।”
মিশ্মি চলে যাওয়ার পর আলভীও বাসায় চলে যায়। বাসায় গিয়ে মিশ্মির কথা শেয়ার করতেই সকলে হেসে কুটিকুটি হয়ে যায় শুধু একজন বাদে। সেই একজনটা নিপা। ভালোবাসার মানুষকে অন্য কারো সাথে কেউই শেয়ার করতে পারেনা।
.
.
মিশ্মি বের হয়ে দেখে আলভী নেই। একটু এগোতেই দেখতে পায় ফোনে কথা বলছে। তাই আর ডিস্টার্ব না করে বাবার কেবিনের দিকে পা বাড়ায়। সেখানে গিয়ে দেখে সৎ মায়ের বড় বোন, ছোট বোন আর ভাই এসেছে দেখতে। তাদের দেখে মিশ্মি হেসে বলে,
“ভালো আছো খালা?”
তিনি নাক কুঁচকে বলে,
“হু।”
“ছোট খালা, মামা তোমরা ভালো আছো?”
“হুম।”
বড় খালা প্রায় টেনেই বের করে মিশ্মিকে। পিছন পিছন ছোট খালা আর মামাও আসে। হাত ধরে টেনে একটা শূন্য জায়গায় নিয়ে আসে। সামনে দাঁড় করিয়ে বলে,
“তোর কাহিনী কি বলতো?”
“কিসের কাহিনীর কথা বলছো?”
“কিসের কাহিনী সেটা তো তুই বলবি। এত টাকা কোথায় পেলি? কোথায় লটরপটর করেছিস?”
বড় খালার কথা শুনে মিশ্মির গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। সাথে একরাশ ভয়। হোক সে সৎ মায়ের বোন! সৎ শব্দটাই কি খারাপ! সৎ কি কখনো আপন হয়না। বিপদের সময় এই মানুষগুলোকে একদম পাশে পাওয়া যায়নি। টাকার বেলায় বলেছে, দেখি কোথাও থেকে জোগার করতে পারি নাকি। আর যখন বাবাকে সুস্থ করে তুললো তারা তখন সেটা না দেখে, জানতে চাচ্ছে টাকার খবর। মানুষ সত্যিই খুব অদ্ভুত। মনে মনে এটাও ভয় পাচ্ছে, নুয়াজ আবার কোনো ভিডিও করেনি তো? ঐ ভিডিও দেখেই কি খালা এসব বলছে। শিওর হওয়ার জন্য একটু জোর নিয়েই মিশ্মি বলে,
“এসব কি বলছো খালা? লটরপটর করেছি মানে?”
“না হলে এতগুলো টাকা কোথায় পেলি? কে দিলো তোকে এত টাকা?”
“আমার এক বন্ধু ধার দিয়েছে।”
“তোর বড়লোক বন্ধুও আছে? তোর হাতে তো দেখছি আমাবস্যার চাঁদ। তা কে সে শুনি? ছেলে বন্ধু নাকি মেয়ে বন্ধু? আর শুধুই কি বন্ধু?”
বড়খালার সাথে ছোট খালা আর মামাও যোগ দিয়েছে। তিনজনে সমানে জেরা করে যাচ্ছে মিশ্মিকে। ওদের প্রশ্নের কি উত্তর দিবে মিশ্মি। মাথা নিচু করে শুনছে সব কথা। কিছু কিছু কথা একদম তীরের মত বুকে গিয়ে বিঁধছে।

ঐদিকে নুয়াজ বারবার ফোন দিচ্ছে মিশ্মিকে। বিকেলে দেখা করার কথা ছিল। দেখা তো করেইনি। এখন ফোন পর্যন্ত তু্লছেনা। রাগে মাথা গরম হয়ে গিয়েছে নুয়াজের। কাকে যেন ফোন দিয়ে বলে মিশ্মির নাম্বারটা ট্র্যাক করে জানাতে যে, মিশ্মি এখন কোথায় আছে। সাথে নুয়াজ তো বারবার ফোন দিচ্ছেই। বারবার ভাইব্রেট হওয়ায় মিশ্মি বুঝতে পারছে এতগুলো কল নুয়াজ ছাড়া কেউ দিবেনা। কিন্তু ওদের সামনে কিছুতেই ফোন ধরা যাবেনা। এতসব কঠিন কঠিন কথায় মিশ্মির চোখ ঝাপসা হয়ে আসে।
নুয়াজকে ঐ নাম্বার থেকে ফোন করে জানানো হয় মিশ্মি “আয়েশা হসপিটালে” আছে। সাথে সাথে নুয়াজ গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যায়। ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে। ১০ মিনিটের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে যায়।

আলভীর ফোনে কথা শেষ হতেই মিশ্মিকে খোঁজে। করিডোরের শেষ প্রান্ত থেকে মিশ্মিকে দেখা যাচ্ছে নিশ্চুপ অবস্থায়। পাশের লোকগুলোকে দেখে মনে হচ্ছে তারা মিশ্মিকে শাসাচ্ছে। আলভী দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায় সেদিকে।
নুয়াজ অলরেডি সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় এসে পড়েছে। তিনতলায় পৌঁছাতেই মিশ্মিকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পায়। কাউকে কিছু বলছেনা। নিরবে চোখের পানি ফেলছে মিশ্মি। নুয়াজ সামনে আগায় মিশ্মির দিকে।

চলবে….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *