অদ্ভুত তিনি

অদ্ভুত তিনি !! Part- 10

স্যার এটা কি?, 😧 এতো অন্ধকার!
-আমি তো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না৷ ফোন কই?
-স্যার আসলে আমি তো ওটা রেখে আসছি।
-ও ডেম এখন আমরা কি করবো।
-দাঁড়াও কারোর পায়ের শব্দ শুনছো।
-হ্যা। স্যার আমান না তো।
-হতে পারে লুকাও৷
-স্যার এই অন্ধকার কই যাবো।
-চলে বাইরে,
আকাশ রনিকে নিয়ে বাইরে চলে আসে।
-ওই দিকে চলো।
ওরা একটা কোনায় লুকায়৷
তখনি আমান আসে ওই রুমের কাছে।
আাকশ রনি লুকিয়ে আড় পাতে ওর কথা শুনবে বলে।
– আদ আদ। (চিল্লিয়ে)
-জী হুজুর।
-এই রুমে কে এসেছিলো।
-হুজুর জানি না তো।
-দরজা খোলা কেন(দাতে দাঁত চেপে)
-হুজুর আসলে দেখছি আমি।
-তুমি কি দেখবা ভেতরে গিয়ে দেখ সে আছে কিনা।
-জী হুজুর৷
আদ ভেতরে গিয়ে বাইরে আসে,
-হুজুর সব ঠিক আছে৷
-দরজা লাগাও৷
-হুজুর দরজার লক নষ্ট হইছে মনে হয়৷
-কি করে 😡 তাহলে কেউ এখানে এসেছিলে বলছো তুমি কি করছিলে 🤬
-হুজুর আসলে মনে হয় আমি করে ফেলছি আপনি ক্ষমা করবেন আমাকে। (এটা মিথ্যা বললো কারন এখন আমান বেশি খেপলে তার খবর আছে)
-এখন ছেড়ে দিলাম তোমার মালকিন একা রইছে তাই সকাল পর্যন্ত সব ঠিক চাই। 😡

-দেখেছো রনি ঘাবলা এখানেই আছে৷ এখানে আমরা পরে দখবো তার আগে মেঘের মা বাার সাথে দেখা করতে হবে। প্লান আমি চেঞ্জ করলাম।
-তাহলে কি আমরা জাবো।
-হ্যা চলো।
আকাশ চলে আসে তার বাসস্থান এ৷
..
.
আমার ঘুম ভেঙে গেছে৷ ধুর এতো রাতে ঘুমটা আর ভালো লাগে না৷ । বাথরুম যেতে হবে।
আমি বাথরুম থেকে বার হয়ে দেখি আমান এসেছে। কেমন অদ্ভুত ঘোর কাজ করছে,
সাদা সার্ট পরেছে। সাথে কালো পেন্ট, হাতে একটা ঘরি আছে যেটা তিনি খুলছে৷
চুল গুলো এলোমেলো৷ কি সুন্দর আমার বরটা৷ কিন্তু একটা খুনি৷ 🥺
-এতো ভেবে নিজের ছোট মাথাকে কেন কষ্ট দেও।
আজ বুঝতে পারছি সব আমার সব প্রশ্নের উত্তর ও পেয়ে গেলাম আজ।
কেন তার স্পর্শ কষ্ট দেয়, কেন সে আমার মনের কথা শুনতে পায়। সবই নিয়তি৷ ১৬ আনা কিছু হয় না।
আমি তার কথায় প্রতিউত্তর না দিয়ে তার পাশ কাটিয়ে বিছনায় এক কোনে শুয়ে পরলাম।
তিনি তার কাজ শেষ করে চমার পাশে এসে শুয়ে ওরলেন৷
বেশ কিছু সময় আমরা নিরব আছি৷
হটাৎ তিনি আমার দিকে ফিরে আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমার উপর শুয়ে পরলেন,
-কি হচ্ছে কি নামুন বলছি।
-না আদর লাগবে আমার।
-নামুন আপনি আমার খারাপ লাগছে আমি ঘুমবো। ,😡
-না ঘুমবা না আজকে না সারা রাত না 😉
-আপনার কি মনে হয় আমি ইয়ারকি,
আর বলতে পারি নি তার আগে সে আমার ঠোঁট দুটো দখলে নিয়ে নিলেন। আমি ছুটতে চাইলে তিনি হাত দুটো শক্ত করে বিছনায় চেপে ধরলেন।
কেন ভাবেই ছাড়া পাচ্ছি না।।
বেশ কিছু সময় পর তিনি আমার গলায় এসে ব্লাউজের হাটাতা সরিয়ে ডান কাধ এর বাহু বরাবর একটা তিল আছে সেখানে কামড় দিলেন।
-আহহ কি করছেন মেরে ফেলবেন নাকি৷
সে আমাকে আর কিছুই বলতে দেয় নি। তার স্পর্শ কেমন অচেনা মনে হচ্ছে কিন্তু তাও তার কাছে নিজেকে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নাই হাজর হোক মেয়ে মানুষ আমি তার সাথে পেরে উঠার শক্তি নাই।
.
.
সকালে,
আমি ঘুম থেকে উঠে আমাকে তার বাহুডোর আবদ্ধ দেখতে পায়৷
ঘুমিয়ে আমার #অদ্ভুত-তিনি। কি মায়াবি মুখটা দেখলে দুনিয়া ভুলে জেতে হয়। আমি উঠে আসতে গেলে বাধা পায়।
টিপ টিপ করে আমাকে দেখছে জীবনে মায়ের মুখে জ্বিনেট গল্প শুনেছি, এখন চোখের সামনে দেখছি কিন্তু মা বলতেন এক, এই লোক আরেক। ফাজিলের বাসা।
আমি তার চওয়া দেখে উঠতে আসতে গেলে আরো চেপে ধরে।
-আজান কি কানে যায় নি।
-মুহুম।
-😡😡ছাড়ুন।
-না৷ সারা দিন এভাবে ঘুমিয়ে থাকবো।
-মার খাবার আগে ছাড়েন আরে সূর্য উঠে যাবে মহা বিপদ।
ওহ ভুলেই গেছিলাম এখনে তো সূর্যও দেখা যায় না।
-এতো কথা কেন বলো বলতে পারো৷
-আর বলছি না ছাড়েন উঠেন নামাজ এ জাবো।
-নেউ দিলাম ছেড়ে আর কি করার৷
-😏

আমি চলে এলাম গোসল করে নামাজ আদায় করে বসলাম মোনাজাতে,
-হে আল্লাহ আমাকে জখন তার সাথে বিয়ে দিয়েছো মানিয়ে নিতে সাহায্য করো৷ ভালোবেসে ফেলছি তাকে ওকে আর আমার সামনে খারাপ প্রমান করো না৷ আমি বাঁচবো না ওকে ছাড়া এটা বুঝতে পারছি আমি। তুমি আমাকে এখানে দাড় করাইছো তুমি ভালো বুঝতে পারবে বাকি টুকু শুধু আমাকে আমার স্বামী ফেরত দিন আমি জেমন চেয়েছি।
আমিন৷
আমি মোনাজাত শেষ করে উঠে নিচে এলাম,
আমান রান্না ঘরে। ওখানে কি করে লোকটা৷
আমি এগিয়ে যেতে দেখি সে মাংস রান্না করছে।
বাবা আবার রান্নাও পারে নাকি।
-আমি সব পারি।
-😏
তিনি রান্না শেষ করে আমাকে নিজের হাতে আমাকে খাইয়ে দিলেন৷
মনে মনে খুশি হলেও মুখে প্রকাশ করিনি৷

-আচ্ছা রনি এটাই মেঘ দের বাসা তো।
-জী স্যার।
-ওকে চলো।
আকাশ আর রনি দরজাশ এসে কলিং বেল চপতে মেঘের মা দরজা খুলে দেয়।।
-তুমি কে বাবা?
-আন্টি একটু কথা ছিলো ভেতরে আসতে পারি।
-হ্যা।
ওদেরকে ভেতরে বসতে দিলো মেঘের আম্মু।
-বলো কি বলবে।
-আসলে আন্টি কি ভাবে বলবো বুঝতে পারছি না কিন্তু এটা বলতে হবে,
চলবে,