অদ্ভুত তিনি

অদ্ভুত তিনি !! Part- 05

#অদ্ভুত-তিনি
পর্টঃ05
Megh La
আমি নিচে নামতে চোখে পানি চলে এলো,
আম্মু, আব্বু, ফুপি,ফুপা এসেছেন। আমি দৌড়ে গিয়ে সবাইকে জরিয়ে ধরি৷ আমি কেঁদেই দিলাম।
-কিরে মা কাঁদছিস কেন। (ফুপি)।
-তোমাদের এতো মিস করছি এভাবে কখনো থাকি নি তোমাদের ছাড়া। (হেচকি টেনে)
-পাগলি মেয়ে আমার কি বলে এক দিন না এক দিন তো শশুর বাসায় জেতে হয় না।(আম্মু)
-তোমার আর ফুপির সাথে আমার অনেক অনেক কথা আছে।
-সব হবে এখন ওনাদের ভেতরে বসতে দেও মেঘ ওনারা দাড়িয়ে আছে । (আমান)
আমি চোখ মুছে।

-ওহ তোমারা বসো না। এসো।
সবাইকে নিয়ে সোফায় বসালাম। আমি আম্মুর পাশে বসলাম।
-মামোনি তোনার জন্য কিছু এনেছি নিবা না (বাবা)
আমি হসে দিসি কারন আমি জানি আব্বু কি এনেছেন।
-নিবো তো অবশ্যই।
আব্বু আমাকে এক বক্স চকলেট দিলেন।
-ধন্যবাদ আব্বু।
-এগুলো তোমার ফুপা এনেছে তোমার পছন্দের এই চকলেটটা আমরা কোথাও পাচ্ছিলাম না।
-😊😊
তার পর ওখানে সবার সাথে কথা বললাম সবাই মিলে বেশ সময় ধরে আড্ডা দিলাম।
আমার যেন হইছে কি কথায় কথায় আমি বন্যা আপুকে ভুলেই যাচ্ছি৷ আমার ফুপি, আম্মু, ফুপা, আব্বু যতই খুশি থাকতে চাক না কেন ওদের মুখে বন্যা আপুর হারানো বেদনা স্পষ্ট।
আমি আম্মু আর ফুপিকে নিয়ে রুমে এলাম।
আমান ফুপা, আব্বু নিচে বসে কথা বলতে লাগলেন।
রুমে এসে,
-আম্মু আমার অনেক কথা বলার আছে তোমাকে।
-সান্ত হ মা। আস্তে আস্তে বল। (ফুপি)
-আগে বলো বন্যা আপুকে(মুখের কথা মুখেই থেকে গেল ফুপি বললেন)
-আম্মু তুমি ওকে নিয়ে কিছু বলো না। প্লিজ।
ফুপির কথা শুনে আমি কি বলবো। আপুকে নিয়ে আর কোন প্রশ্ন করি নি।
আমি তাদের গত ৩ দিনের ঘটনা বলি।
-আম্মু এমন অদ্ভুত কেন সব বলেন না।
আম্মু আমাকে জরিয়ে ধরে বললেন,
-এসব নিয়ে বেশি ভাবিস না সোনা। আমান যা বলে তাই কর। আমার সোনা বাচ্চা না তুই আব্বুর সব কথা শুনতি তেমনি করে আমানেরও সব কথা শুনবি। কথা দে আমাকে।
-কিন্তু
-কোন কিন্তু না তুই কথা দে কোন প্রশ্ন বাদেই তুই আমানের সব কথা শুনবি।
-ঠিক আছে আম্মু।
(সোনা মা জেনে শুনে তোকে সারা জীবনের মতো হারাতে পারি না তুই সত্যি জানলে কখনো আমানকে মেনে নিবি না তাই সব গোপন করে তুই ওকে মেনে নিয়ে সংসার কর ভালো থাক)

মনে মনে কথা গুলো বললেন মেঘের আম্মু।
আজ সারাটা দিন সবার সাথে অনেক ভালো কাটলো। সব কিছুর মাঝে আমি আপুকে মিস করেছি কিন্তু কাওকে দেখায় নি। ঈসার আজানের আগে সবাই চলে যায়। আমি যেতে দিতে চায় নি কিন্তু ওরা চলে গেলেন। আমান আমাকে নিয়ে রুমে এলেন।
আমার দুজনে নামাজ আদায় করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পরি।
আমি আম্মুর কথা মতো আমানের প্রতিটা কথা শুনে চলছি। আমার প্রশ্ন গুলোকে আর জায়গা দেই নি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমান নেই রোজ তো থাকেন। ভবলাম নিচে। আমি নামাজ পরে নিচে নেমে দেখি একটা বাচ্চা মেয়ে।
-এই বাচ্চাটা কার।
-ম্যাম আমার মেয়ে। ও আসলে একা ছিলো তাই নিয়ে এসেছি। (বাসায় রান্না করে মিনা)
-ভালো করেছো আমার বাচ্চা খুবই পছন্দ। আমি ওর সাথে আজ দিন কাটাবো। 😊
-ম্যাম আপনি অনেক ভালো।
-আচ্ছা মিনা ওর নাম কি।
-আনিকা ম্যাম।
-ওহ আনিকা খেলবা আমার সাথে।
-হুম খেলবো আপু।
-তোমার স্যার কই? সকাল থেকে দেখছি না।
-স্যার একটু বাইরে গেছেন কোন কাজে। আপনি ঘুম ছিলেন তাই বলেন নি।
-ওহ আচ্ছা।
-আমার রন্না আছে আমি যায়। (মিনা)
-আচ্ছা যাও তুমি ও আমার সাথে থাকুক।
মিনা চলে যায়।
-আচ্ছা আনিকা তোমার কি করতে ভালো লাগে সব থেকে বেশি।
-ধরা ধরি খেলতে আপু।
-বাহ খেলবে আমার সাথে।
-হ্যা আপু।
-চলো আনিকা আমাকে ধরবে।
আমি দৌড়াতে লাগলাম আনিকা আমার পিছে। আমি উপরে চলে গেলাম। খেলার ছলে ভুলেই গেছি সমনে সিড়ি। আমি হটাৎ সারিতে বেধে সিরির সামনে পরে যায়।
-আহহহ।(চিৎকার দিয়ে)
-আপুু………
আমান মাত্র বাসায় এসেছে ওর একটা বন্ধুকে নিয়ে। মেঘকে পাড়ে জেতে দেখে দৌরে আসতে আসতে মেঘ এক দম নিচে পড়ে গেছে। মেঘের মাথা ফেটে গেছে সাথে পাও৷

-মেঘ কি হলো তোমার চোখ খলো মেঘ।
আমানের অবস্থা খুব খারাপ কি করবে বুঝতে পারছে না৷।
-আমান মেঘ কে রুমে নিয়ে চল৷ ওখানে কিছু করা জাবে। (সাব্বির)
আমান মেঘকে পাজকোলে করে রুমে এনে সুইয়ে দিলো
আমান অনাবরত কিছু পরে মেঘেকে ফু দিচ্ছে কিন্তু মেঘের কিছুতে কিছু হচ্ছে না।
-সাব্বির কিছু হচ্ছে না তো কি করি আমি আমার শক্তি কেন কাজ করছে না (সাব্বির আমানের বন্ধু আমানের সাথেই এসেছিলো একটা কাজে)।
-আমান কিছু হবেও না মেঘকে আধুনিক কোন ডক্টর দেখাতে হবে।
-কি বলছিস তুই আমি এখন এখনে ডক্টর কই পাবো।
-আমান ওকে বাঁচানো যাবে না। তোর শক্তি কাজ করছে না। তুই বুঝতে পারছিস না। আর আমার চাইলে সব করতে পারি কাউকে ধরে নিয়ে আসলে তো হয়।
-কিন্তু।
-আর কিন্তু করিস না তুই এখানে থাক আমি দেখি কাউকে পায় নাকি। ৫ মিনিটে ফেরত আসছি।
সব্বির চলে যায়৷,
এদিকে মেঘের অবস্থা ভালে নয়। এতে সময় এভাবে রক্ত পরতে আছে।
আমারন মেঘের পাশে বসে কাঁদতে আছে,
চলবে,
🌼
(এত এত ভালোবাসার জন্য অনেক ধন্যবাদ)