হিংস্র ভালোবাসা !! Part- 11
আগুন বাবা আমাকে ক্ষমা করা যায় না (হাত জোড় করে বললো মিস্টার আশিক )
মিস্টার আশিকের কথা শুনে আগুন হাসতে হাসতে বললো,,,তো মিস্টার আশিক আপনি আমার কাছে এসেছেন ক্ষমা চাইতে তাই তো..??(আগুন)
হা হা বাবা আমি যা অপরাধ করেছি তার কোন ক্ষমা হয় না কিন্তু আমি তারপর ও তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি আর আমি আমার নাহ ভুল বললাম তোমার সম্পত্তি তোমাকে ফিরিয়ে দিতে এসেছি…..
আগুন কিছুক্ষণ আশিকের দিকে তাকিয়ে থেকে আশিকের হাত থেকে প্রপার্টির পেপারস গুলো নিয়ে নেয় সব পেপারস গুলো ভালো করে দেখে নিয়ে সেগুলো আবার আশিকের হাতে তুলে দিয়ে বলে…
মিস্টার আশিক আপনি যা আমার ক্ষতি করেছেন তার কাছে এই প্রপার্টি কিছুই না আমার ড্যাড আপনার জন্য কষ্ট পেয়ে তিলে তিলে মারা গেছে আর মম বাবার চলে যাওয়াটা মেনে নিতে না পেরে মম ও আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন কথা গুলো বলতে বলতে আগুনের চোখ বেয়ে পানি পরতে লাগলো আশিক আগুনের চোখে পানি দেখে আগুন কে জরিয়ে ধরে বলতে থাকে ,,বাবা আগুন আমি তোমার হাতে আমার বড় মেয়ে ফারহা কে তুলে দিতে চাই …(মিস্টার আশিক)
মিস্টার আশিকের কথা শুনে আগুন মিস্টার আশিকের কাছ থেকে দুরে সরে দারিয়ে বলে ,,,মানে আপনি কি বলছেন..??
হ্যা আমি ঠিক বলছি আগুন আমি চাই তুমি ফারহা কে বিয়ে করো আমি জানি তুমি ফারহা কে কতো টা ভালোবাসো তুমি ওকে ভালো রাখবে এটা আমি খুব ভালো করেই জানি আগুনের দুহাত ধরে বললো আশিক…
আগুন সন্ধেহের দৃষ্টিতে মিস্টার আশিকের দিকে তাকিয়ে থাকলো আশিক বেপারটা বুজতে পেরে বলে…আমি জানি আগুন আমাকে বিশ্বাস করতে তোমার কষ্ট হচ্ছে আমি যা করেছি তারপর ও আমি বলবো আর একটি বার আমাকে বিশ্বাস করে দেখো ঠকবে না আমার মেয়েদের কসম ….
ঠিক আছে আঙ্কেল আমি ভেবে দেখবো আপনি এখন আসুন আমার মিটিংয়ের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে ….
সরি বাবা তোমার সময় নষ্ট করার জন্য কিন্ত আমাকে নিরাস করো না বাবা তুমি সব সম্পত্তি নিয়ে নেও তারপর ও আমার মেয়েটাকে আপন করে নেও বাবা….
আঙ্কেল বললাম তো ভেবে দেখবো ……(আগুন)
আশিক কথা না বাড়িয়ে হোটেল রুম থেকে হাসতে হাসতে বেড়িয়ে গেলো এদিকে আগুন মিস্টার আশিকের যাওয়ার পথে তাকিয়ে থেকে বাকা হেসে বললো,, মিস্টার আশিক আমি এতোটাও কাচা খেলোয়াড় না যে আপনার চোখের এই নকল পানি দেখে গলে যাবো ……
আগুন আশিকের দেওয়া প্রপার্টির পেপারস গুলো ভালো করে তাকিয়ে দেখে সব পেপারস গুলো আসল আগুন পেপারস গুলো ড্রয়ারে রেখে দিয়ে হোটেল রুম থেকে বেরিয়ে গেলো …..
!
!
!
!
!
— হ্যালো স্যার কাজ হয়ে গেছে আপনি এসে মেয়েটিকে দেখে যেতে পারেন..
— গুড জব আমি আসছি তবে সব দিকে নজর দিস যেনো মেঘ কিছু জানতে না পারে ….(আরহান চৌধুরি )
— জ্বি স্যার ….
কল ডিসকানেক্ট করে আরহান চৌধুরী গাড়ির চাবি নিয়ে একাই বেরিয়ে পরে পুরনো কারখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্য …….
!
!
!
মা ফারিহা কোথায় ..?? এতো রাত হয়ে গেলো ও এখনো ফিরলো না কেনো ..??(ফারহা)
ফারিহা তো বলে গেছে ওর কোন বন্ধুর জন্মদিন সেখানে যেতে হবে তাই তো তোর কালো শাড়িটা পড়ে গেলো কিন্তু ওর এতো দেরি হবে বুজতে পারছি না …(মিসেস মোহনা)
মা আমি সামনে কিছু টা এগিয়ে দেখছি তুমি প্লিজ ওকে ফোন করতে থাকো ….
ফারহা ফারিহার সব বন্ধুদের কল করে জানতে পারে ফারিহা সন্ধে ৭ টায় বের হয়ে যায় তখন থেকে পাগলের মতো ফারিহা কে রাস্তায় খুজতে থাকে কিন্তু মাঝ পথে ফারহা কে অজ্ঞান করে গাড়িতে তুলে নেয় …….
ফারহার বাবা ফারিহা সেই বিকেলে বেরিয়ে ছিলো এখনো ফিরলো না ফারহা ও ফিরছে না…
মানেটা কি ফারহা কোথায় গেলো..?আশিক
ফারিহা কে খুজতে ফারহা বের হয়েছিলো দু ঘন্টা আগে আর এখন রাত ১২ টা বাজে কিন্তু কোন মেয়ের খবর নেই ,,টেনশনে মিসেস মোহনা কেদে কেটে একাকার আর আশিক মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে ,,,,
সব টা আমার পাপের জন্য ফারহার মা সব টা আমার জন্য হয়েছে ,,মিস্টার আশিক কেদে দিয়ে বলে ,,,
শক্ত হও ফারহার বাবা আমাদের এখুনি থানায় যেতে হবে নয়তো অনেক দেরিয়ে হয়ে যাবে …
হ্যা ঠিক বলেছো আমাদের এখুনি যেতে হবে চলো ,,,,
মিস্টার আর মিসেস রহমান থানায় চলে যায় কিন্তু থানায় গিয়ে ও কোন লাভ হয় না কারন ২৪ ঘন্টার আগে পুলিশ কিছুই করতে পারবে না মিস্টার আর মিসেস রহমান নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে মিস্টার আশিকের হঠাৎ করেই আগুনের কথা মাথায় আসে তিনি দেরি না করে আগুন কে কল করে সব টা জানায় আগুনের ক্ষমতার জোড়ে পুলিশ ফারহা ফারিহা কে খুজতে থাকে …….
!
!
!
স্যার মেয়ে টা কে তো আমাদের ছেলে গুলো ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছে মেয়েটা বোধয় আর বেচে নেই….
স্যাটআপ বোধয় বেচে নেই মানে কি শিওর হয়ে আয় বেচে আছে কিনা.? আর বেচে থাকলে এমন ব্যাবস্তা কর যাতে বেচে না থাকে …(আরহান চৌধুরী )
— ওকে স্যার,,,,,,
মেঘ এবার দেখবো তুমি আমার সন্মান কি করে নষ্ট করো এই রাস্তার মেয়েটার জন্য তোমার ভালোবাসা কে আমি শেষ করে দিয়েছি এবার আমি যা বলবো তোমাকে তাই করতে হবে কথাটা বলে আরহান চৌধুরী হাসতে হাসতে লাগলো এদিকে লোক টা ভালো করে চেক করে দেখে মেয়েটা বেচে নেই খবর টা আরহান কে দিতেই আরহান খুশিতে গদোগদো হয়ে লোকটিকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে লাশ টা পুতে ফেলতে বলে লোক টা আরহান চৌধুরীর কথা মতো লোকটা মেয়েটার মৃত্যু দেহ টা গাড়ির ডিকিতে রাখতে যাবে ঠিক সেই সময় পুলিশের গাড়ি এসে পরায় লোকটা লাশ টাকে ফেলে পালিয়ে যায়……….
!
!
!
!
কে আপনি কেন আমাকে কিডন্যাপ করেছেন …??? (ফারহা)
আমি কে সেটা এখুনি জানতে পারবে জানপাখি ,,সাথে সাথে রুমের সব লাইট জ্বলে উঠলো ফারহার চোখে হঠাৎ এতো আলো এসে পরায় চোখ বন্ধ করে ফেলে আসতে আসতে চোখ মেলে তাকাতে ফারহা রিতিমতো শক্ট হয়ে যায় কারন ফারহা এই মূহর্তে এটা মটে ও আশা করেনি ফারহা ভেবেছিলো হয়তো ওর বাবার কোন শত্রু ক্ষতি করার জন্য ওকে কিডন্যাপ করেছে কিন্তু ফারহা ভাবতে পারেনি ওর ভাবনা এভাবে ভুল হবে…………..
*
”
*
”
*
#চলবে……………….. 🍁 . 🍁 .🍁