রাগী বস

রাগী বস – পর্ব- ০৪

সিফাত:কিভাবে?
.
সিনহা:ওয়েট বলে ফোন টা রেকর্ড অন করে দিলাম।স্যার কি কি বলেছে সব রেকর্ড করা আছে ফোনে।রেকর্ড শুনে শুনে লিখলাম।
.
সিফাত:আমার কথাগুলো ও ফোনে রেকর্ড করে রাখছে যাতে আমি আর না বললেও ও রেকর্ড শুনে কাজ করতে পারে।আমি রাগবো নাকি হাসবো বুঝতে পারছি না।বুদ্ধি আছে বলতে হবে।কিন্তু ওকে সাহস দেওয়া যাবে না।আমিতো ওকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য জব টা দিয়েছি।ওকে শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো।আমার মুখের ওপর কথা বলেছিলে না। এর মাসুল তোমায় দিতে হবে।
.
সিনহা:স্যার হয়ে গেছে এই নিন। 😊
.
সিফাত:আহা কি খুশি, খুশিতে একেবারে গদ গদ। আজ কে না হয় বেঁচে গেলে নেক্সট দিন কি ভাবে বাঁচো আমিও দেখবো মনে মনে বলে ওকে বললাম হুম রেখে যাও নিজের কাজ করো এখন।
.
সিনহা:ওকে স্যার বলে নিজের ডেস্কে চলে আসলাম।সারাদিন অফিস শেষে বাড়ি ফিরলাম মায়ের একটু শরীরের খোজ নিয়ে খাইয়ে দিলাম।রাতে রান্না শেষে প্রয়োজনীয় ফাইল গুলোতে কাজ করতে লাগলাম।আমার জিবনটা পুরাই তেজপাতা হয়ে গেলো।ঐ খাটাশটার জন্য।কেনো যে আমি ওনার আন্ডারে জব নিতে গেলাম।এখন একবছর না হলে আমি ওনার কাছে থেকে আসতে পারবো না।ধ্যাত ভালোই লাগে না।ফাইল গুলো দেখতে দেখতে কখন যে ওভাবেই ঘুমিয়েছি জানি না।সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বিছানায় সব ফাইল এলোমেলো আমি তার মধ্যে ঘুমিয়ে।সময় ও অনেক চলে গেছে তাড়াতাড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে সব গুছিয়ে নিয়ে চললাম অফিসের উদ্দেশ্যে।
.
সিফাত:অফিসে চলে আসলাম।সিনহা এখনো আসেনি মনে হয়।আবিদ,,,?
.
আবিদ:হ্যা,,স্যার বলুন?
.
সিফাত:সিনহা আসেনি এখনো?
.
আবিদ:না স্যার সিনহা ম্যাম এখনো আসেনি?
.
সিফাত:সে আসলে আমার কেবিনে পাঠিয়ে দিবে আরেকটা কথা…!
.
আবিদ:জ্বী বলুন স্যার?
.
সিফাত:সিনহার ডেস্ক আমার কেবিনে ট্রান্সফার করো।
.
আবিদ:ওকে স্যার।
.
সিফাত:কেবিনে এসে বসলাম।কিছু ইম্পরটেন্ট ফাইল চেক করছি।
.
সিনহা:১০ মিনিট দেরী হয়েছে মনে হয় খাটাশ টা এসে গেছে আল্লাহ জানে আজ কি করে আমাকে।
.
আবিদ:গুড মর্নিং, সিনহা স্যার আপনাকে ডেকেছে?
.
সিনহা:মর্নিং হুম যাচ্ছি,আল্লাহ আমায় বাঁচায় দেও,আসতে না আসতে তলব পড়েছে,,মনে মনে বলছি আর যাচ্ছি।
.
সিফাত:ঘড়ি দেখছি আর রাগ লাগছে এই মেয়ে এতোটা কেয়ারলেস কেন,দায়িত্ব জ্ঞান হীন।এইসব ভাবতেই নক করলো।
.
সিনহা:আসবো স্যার?
.
সিফাত:কয় টা বাজে?এতোক্ষনে তোমার আসার সময় হলো,এটা কি তোমার কাজের জায়গা মনে হয় না।এখানকার রুলসগুলো তোমার মানতে হবে এটা জানো না?
.
সিনহা:সরি স্যার,,,! মাথা নিচু করে আছি।স্যার প্রচন্ড রেগে আছে জানি না কি করে।
.
সিফাত:what the sorry,sorry my foot. এতো দেরী হলো কেন ans me?
.
সিনহা:আসলে স্যার স্কুটি টা এখনো ঠিক হয়নি আর বাসে আসতে দেরী হয়। 🙁
.
সিফাত:কোনো বাহানা চলবে না কাল থেকে ঠিক সময়ে আসবে,ঠিক সময় না আসলে তোমার কপালে দুঃখ আছে।
.
সিনহা:সরি স্যার আমি পারবো না,এখানে কাজ করতে প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন। 🙁
.
সিফাত:shut up,,একটা ধমক দিলাম।
.
সিনহা:স্যার প্রচন্ড জোরে একটা ধমক দিলো আমার কলিজা পর্যন্ত কেপে উঠলো ভয়ে আমি মুখ বাকা করে চোখ দুটো বন্ধ করলাম।
.
সিফাত:সিনহা মুখ বাকা করে চোখ দুটো বন্ধ করে আছে, বোঝায় যাচ্ছে খুব ভয় পেয়েছে।ওর চুলগুলো সামনে এসে আছে।আমি ওর কাছে গেলাম।ফু দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে দিলাম।
.
সিনহা:মুখে নিঃশ্বাস অনুভব করলাম,আমার চুল গুলো ফু দিয়ে সরিয়ে দিলো।আমি এজ চোখ টিপে আরেক চোখ একটু খুলে দেখলাম, সামনে তো খাটাশ টা নেই,এইবার দু চোখ খুললাম।ভালো করে তাকালাম দেখি খাটাশ টা নিজ চেয়ারে বসে ফাইল দেখছে।এই সুযোগ আমি পালায়,কেবলি দরজার কাছে গেছি অমনি ডাক।
.
সিফাত:কোথায় যাচ্ছো?
.
সিনহা:আমার ডেস্কে।
.
সিফাত:তোমার ডেস্ক ওখানে বলে কর্নারে আঙুল দিয়ে নির্দেশ করলো।
.
সিনহা:মানে এখানে কেন?
.
সিফাত:তোমার ডেস্ক এখানে কেন সেই কৈফিয়ত আমি তোমাকে দিবো এখন?
.
সিনহা:না মানে সেটা না,আগের জায়গা ভালো ছিলো,আমি এখানে থাকবো না,আপনি এখানে কেন দিলেন?
.
সিফাত:বস কে তুমি নাকি আমি?
.
সিনহা:আপনি।
.
সিফাত:তোমার কথা আমি শুনবো নাকি আমার কথা তুমি শুনবা?
.
সিনহা:আপনার কথা আমি শুনবো 🙁
.
সিফাত:তাহলে আর কোন কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ গিয়ে কাজে মন দাও।এমনিতে তুমি অনেক কেয়ালেস।
.
সিনহা:হুহ যাচ্ছি বলে ডেস্কে গিয়ে বসলাম আর মনে মনে একশো একটা বকা দিলাম খাটাশ টাকে, আমি কেয়ারলেস নিজে মনে হয় খুব ভালো খাটাশ একটা।এতোই যখন আমাকে নিয়ে প্রবলেম তাহলে আমায় রাখছে কেন কাজে,ছেড়ে দিলেইতো পারে আমি বেঁচে যাই এই খাটাশটার কাছে থেকে।
.
সিফাত:বসে বসে মুখ অমন আকা বাকা আমায় না বকে কাজে মন দাও।
.
সিনহা:আমি যে উনাকে বকছি উনি বুঝলো কেমনে, তারমানে উনি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো,এনার জ্বালায় তো আর থাকা যাবে না।ধুর ভালোই লাগে না।
.
To be continue….
বিঃ দ্রঃ নিচে Next >> ক্লিক করলে পরবর্তী পর্ব পাবেন..!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *