বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -4 !! Part- 46
আবির তিথি একে অপরের দিকে তাকিয়ে আজ মুগ্ধ,,,নীল ড্রেসে আজ দুইজনকে অসাধারণ লাগছে,,,,আর তিথিকে তো নীল পরী আর আবিরকে কি বলবো ভাবছি🤔,,,,,,
অইদিকে
মায়রা একটা কালো ড্রেস পড়ে যা অনেক টা শর্ট,,,চুল গুলো কাল করা,,হাই হিল পড়া,দেখতে অনেক টা কিউট লাগছে,,,নেহাল আজ মায়রার সাথে মিলিয়ে কালো পাঞ্জাবি পড়ে নেহালকে খুব সুন্দর এই লাগছে দেখতে,,,,অনেক গুলা ছেলে তো মায়রার দিকে ড্যাবড্যাবিয়ে তাকিয়ে আছে,,,,
এইদিকে,,
স্টেজে দুই কাফেল বসে আছে তাদের কাফেল পিক তুলা হচ্ছে,,,,অনেক গুলো পিক তুলছেই ক্যামেরা ম্যান,,,
মায়রার নজর শুধু আবিরকে খুজছে,,,হুট করে আবিরকে দেখে,,,দেখেই সে থ হয়ে যায়,,,,,আবিরকে এতো হ্যান্ডসাম লাগছে নীল পাঞ্জাবিতে যে মায়রা নজরই ফিরাতে পারছে না,,,,,মায়রা আবিরের কাছে যাবে খেয়াল করে পাশে নীল শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে তিথি আর আবির তিথির হাত ধরা এই দেখেই মায়রার রাগ উঠে অনেক,,,
নেহাল শুধু মায়রার চারপাশে ঘুরছে,,,কিছু ক্ষন ঘুরেই মায়রার পাশে এসে দাঁড়ায় আর বলে
নেহালঃ ওয়াও তোমাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে,,,
মায়রা তেমন পাত্তা দেয় না,,নেহাল আবার বলে উঠে
নেহালঃ ছেলেদের চোখ আজ সরাতে পারবে না তোমার উপর থেকে এতো কিউট লাগছে যে বলার বাহিরে,,,,,
মায়রাঃ থ্যাংকস(আবিরের দিকে তাকিয়ে)
নেহালঃ শুধু থ্যাংকস আর কিছু না বুজি?
মায়রাঃ কি করতাম তাহলে
নেহালঃ এক সাথে কয়েকটা পিক হয়ে যাক,,,না মানে তুমি এতো সুন্দর লাগছো যে আমার বেচারা মন তোমার সাথে পিক তুলতে অস্তির,,,,
মায়রা নেহালের কথায় প্রচুর বিরক্তি হয় কিন্তু পরে ভাবে নেহালকে দিয়েই সে অই কাজ করাবে যা করতে চায়,,,,মুচকি হেসে নেহালের সাথে পিকচার তুলতে থাকে,,,,,
স্টেজে,,,,
আমান তিশার রুপে আজ মুগ্ধ,,,,হাতটি ধরে বলে
আমানঃ মারার প্লেন করছো নাকি আমাকে?
তিশাঃ মানে?
আমানঃ তোমার এমন রুপে তো আমি মরেই যাই বারবার,,,
তিশাঃ চুপ থাকো তো
আমান তিশার সাথে ফাজলামি করে কথা বলছে,,,
আর আহান যত গুলো পিকচার তুলেছে তাদের সব গুলো তে আহাদ আরিশার দিকে তাকিয়ে আছে,,,
আরিশাঃ আমার দিকে না তাকিয়ে থেকে অইদিকে তাকাও ছবি ভালো হচ্ছে না
আহাদঃ আমি যে আজ চোখ সরাতেই পারছি না প্রিয়তমা
আরিশাঃ কেন বেশি খারাপ লাগছি?
আহাদঃ জ্বি না আজ আমার বউকে এতো এতো কিউট লাগছে যে চোখ সরাতেই পারছি না,,,
আরিশাঃ চুপ থাকো তো এখন ফাজিল একটা,,
আহাদঃ তোমাকে দেখলে চুপ থাকে না আমার মন,,,মনটা যে উড়াধুড়া নাচতে চায় এতো সুন্দরী বউ পাশে আর যদি একটু রোমান্টিক ভাবে কথা না বলি তাহলে কি হয় বলো,,,,
পাশ থেকে আমান হেসে উঠে আমানের হাসি দেখে তিশা আসতে একটা চড় দিয়ে বলে
তিশাঃ চুপ,,,
আহাদঃ কি হলো জিজু হাসো যে?
আমানঃ আসলে আমার শালাবাবুর কথা শুনে হেসে দিলাম,,,দিনের পর দিন দেখি অনেক রোমান্টিক কথা বলছে,,,
আহাদঃ জিজু থেকে শিখলাম সব,,,
তিশা আর আরিশা হেসে দেয়,,চারজনের হাসি মাখা মুখ যে একটা ফ্রেমে বাঁধা হয়,,তারা নিজেও জানে না যে তাদের এমন হাসি মাখা ছবি হুট করে তুলা হয়,,,,
এই দিকে,,,
আবিরের মা এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে মেয়ের হাসি মাখা মুখ খানি দেখে চোখ টা ভিজে উঠে,,,আবিরের বাবা এসে পাশে দাঁড়ায়,
আবিরের বাবাঃ কি ব্যাপার তোমার চোখে পানি?
আবিরের মাঃ আমাদের ছোট পরীটা আজ কত বড় হয়ে গেছে দেখো,,,
আবিরের বাবাঃ হ্যাঁ মনে হচ্ছে সে তো আমার হাত ধরে হেঁটেছে,,,আজ আমার পরীটা কত বড় হয়ে গেছে যে কাল তার বিয়ে,,,
আবিরের মাঃ হুম দেখতে দেখতে কখন যে বড় হয়ে গেলো আমাদের সে ছোট পরীটা,,,
আবিরের বাবাঃ হুম,,,
আবিরের মাঃ ওর হাসি মাখা মুখের দিকে তাও কত খুশি আমার মেয়েটা,,আমার আবির আরিশা কখন যে এতো বড় হয়ে গেলো টের পাই নাই,,,,জানো আমার যেমন টা চেয়েছি ছেলের জন্য একটা রাজকন্যা মনের মত তেমন পেয়েছি,,,আর আমার আরিশার জন্য ও অনেক ভালো ছেলে পেয়েছি,,,
আবিরের বাবাঃ হুম আমার ছেলে মেয়ে আজীবন এইভাবে হাসলে হলো,,,,
আবিরের বাবা আবিরের মায়ের কাছে গিয়ে চোখের জল মুছে দিয়ে বলে
আবিরের বাবাঃ বাহা আজ দেখি আমার বউকে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে,,,মনেই হচ্ছে না যে আজ তার মেয়ের হলুদ অনুষ্ঠান,,,
আবিরের মাঃ বুড়ো বয়সে পাগল হইছো হুম,,,
আবিরের বাবাঃ যত বার দেখি তোনার রূপসী আমি যে হুঁশ হারাই আমার,,,কি মায়ার বাঁধনে বাঁধিয়াছো আমাকে যে আমি যে চোখ সরাইতে পারছি না,,,,
আবিরের মাঃ উফফফ কিছু তো লজ্জা করো,,,ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়েছো আর এখন কিনা বুড়া বয়সে রোমাঞ্চ এর ভুঁত,,,
আবিরের বাবাঃ রোমাঞ্চ করতে বয়স লাগে না রে পাগলি,,,,আর এখন তো আমরা ফ্রি জমিয়ে রোমাঞ্চ করতে পারবো,,,,
আবিরের মাঃ বুড়ো বয়সে গেছে মাথা সর,,,
আবিরের মা অইখান থেকে চলে যায়,,আবিরের বাবা দাঁড়িয়ে আছে মুখটা বানিয়ে,,,,পিছন থেকে আমানের বাবা এসে আবিরের বাবার ঘাড়ে হাত রেখে বলে
আমানের বাবাঃ কিরে মুখ টা পেঁচার মত করে আছিস কেন?
আবিরের বাবাঃ আর বলিস না ভাবছি যে বউয়ের তারিফ করবো তো বউটা একটু খুশি হবে তা না উল্টো আমাকে বকা দিয়ে চলে গেছে,,,
আহাদের আর তিথির বাবা ও এসে যোগ দেয়,,,
তিথির বাবাঃ ভাই আপনি তো বউকে তারিফ করতে গিয়ে বকা খাইছেন আর আমি উঠতে বসতে তারিফ না করলে উল্টো ঝাড়ি খাই আমার বউয়ের,,,
আহাদের বাবাঃ সেম অবস্থা,,,এতো বছর বিয়ের বয়স হইছে মনে হচ্ছে জেল খানাতে আছি,,,
আমানের বাবাঃ আরে বিয়ে তো করি নাই উল্টো আসামি হইছি,,,,
চার জন এক সাথে মজা করতে থাকে,,,ওয়েটার জুস আর কিছু খাবার এনে দেয় তাদের তারা তা খাচ্ছে আর মজা করছে,,,
এইদিকে
আবির তিথির হাত ধরে এক পাশে নিয়ে যায়,,,
তিথিঃ কি হলো এখানে কেন আনলেন??
আবিরঃ আমার বউকে দেখবো তাই,,,
তিথিঃ মানে?
আবিরঃ ওয়েট,,
আবির তার ফোন টা বের করে তিথির একা কিছু ছবি তুলে নেয়,,,
তিথিঃ অইইই কি করছেন হ্যাঁ আমি ঠিক করে পোজ দেই নাই আর আপনি কি না হু,,,উল্টো পালটা পিক তুলে পরে আমাকে ক্ষেপানোর জন্য,,,
আবিরঃ আমার বউয়ের পিক অসাধারণ আসছে বুজলা,,,আর হ্যাঁ পোজ দাও এইদিকে এসে
আবির তিথিকে টেনে নেয় তারপর কিছু কাফেল পিক তুলতে থাকে,,,দুইজন এক সাথে সেল্ফি তুলছে দেখতে অসাধারণ লাগছে তাদের,,,,
মায়রার নজর শুধু আজ আবিরের দিকে,,কিন্তু আবির তিথিকে এইভাবে জড়িয়ে ধরে এক পাশে সেল্ফি তুলছে দেখে রাগে মায়রার মাথা ফেটে যাচ্ছে,,,প্রচুর পরিমাণ রাগ লাগছে তার এই ভেবে যে আজ আবির তার দিকে একটু ও তাকায় নাই আর না বলেছে কেমন লাগছে,,,,
আকাশ আবিরকে দূর থেকে ডাক দেয় তাই তারা এসে যায় স্টেজে,,,স্টেজে আবির আর তার সব বন্ধুরা এক সাথে উঠে পুরো স্টেজ যেন ভরে যায় তাদের গ্রুপের জন্য সবাই এক সাথে অনেক ছবি তুলে,,,
তিথি মায়রার কাছেই গিয়ে দাঁড়ায় আর মায়রাকে দেখে বলে
তিথিঃ এইটা কি পড়লে হ্যাঁ?? সবাই কত সুন্দর ড্রেস পড়ছে আর তুমি কিনা অর্ধেক জামা পড়লা?কাপড় কিনার টাকা না থাকলে আমাকে বলতা এমন হাফ জামা পড়ে আসার কি দরকার??
মায়রাঃ গাইয়ারা বুজবে না স্টাইল কি ওকে,,,সো চুপ
তিথিঃ ছি এইটা যদি স্টাইল হয় তাহলে এমন স্টাইল এর মুখে জুতা মারা উচিত ছি ছি,,,
মায়রাঃ মানে কি তোমার হ্যাঁ? গায়ে পড়ে কথা কেন বলতে আসো এতো?
তিথিঃ ওহ হ্যালো মিস কায়রা টায়রা পায়রা,,,এই তিথি কারো গায়ে পড়ে কথা বলে না ওকে,,যা আমার কাছে উচিত লাগে না ব্যস বলে দেই,,আর সব চেয়ে বড় কথা হলো আমার হাজবেন্ড মানে আমার প্রাণের স্বামী তোমাকে দেখে বলে ছি এই মায়রার রুচি কত খারাপ যে এমন ড্রেস পড়ে এসেছে হু,,,
মায়রাঃ হোয়াট???আবির এমন বলেছে?
তিথিঃ তো নয়তো কি,,,,আমাকে অই যে এক পাশে নিয়ে গিয়ে এইটা বলেছে,,,
মায়রা রাগে হনহনিয়ে অইখান থেকে চলে যায়,,, আর তিথি মুখ হাত দিয়ে হাসছে,,,
বন্ধুরা এক সাথে ছবি তুলে আত্মীয় স্বজন সবাই,,,শেষে আবির আর পুরো ফ্যামিলি আসে ছবি তুলতে,,,,মায়রা স্টেজে উঠতে লাগে পুরো ফ্যামিলি এর সাথে আবিরের মা বলে উঠে
আবিরের মাঃ মায়রা তুমি পরে উঠিও এখন পুরো ফ্যামিলি উঠছে আর তুমি তো আবিরের বন্ধু তো ফ্যামেলি এর সাথে পিক তুলে কি হবে তাই না??তুমি বরং পরে তুলিও,,
কথাটা শুনেই মায়রার রাগ উঠে আর তিথির খুব হাসি পায়,,তিথির হাসি মায়রার চোখ আড়াল করতে পারে নাই,,,
আবির আর তিথি এক পাশে দাঁড়ায় আর তার বাবা-মা এক পাশে,,এক সাথে পুরো ফ্যামিলি এর পিক তুলা হয়,,তারপর তিথির ফ্যামিলি আমানের আহাদের সবার ফ্যামিলি এক সাথে স্টেজে উঠে পুরো স্টেজ যেন ভরে যায় তাদের জন্য,,,অসাধারণ লাগছে সবাইকে এক সাথে,,,,ফোটোফ্রেম আজ সবাই অসাধারণ লাগছে,,,
খাওয়া দাওয়া শুরু হয় সবাই আনন্দ করছে আজকের অনুষ্ঠান,,,,
পুরো অনুষ্ঠানে আজ আবির তিথির পাশেই ছিলো যেন তিথির দিক থেকে সরছেই না মনে হচ্ছে সে সরলে তার বউকে কেউ নিয়ে যাবে,,,,
এইভাবে আনন্দ মজা এর সাথে পুরো অনুষ্ঠানটা শেষ হয়,,,,
পরের দিন,,,,
বিকাল টাইম সবাই বসে আছে এক সাথে বড়রা কথা বলছে যেহেতু কাল বিয়ে আয়োজন অনেক কে কি করবে তা নিয়ে ব্যস্ত,,,
এইদিকে
আবির আমান আহাদ মেঘ আকাশ নেহাল আরো অনেক বন্ধুরা মিলে প্লেন করছে আজ বেচালার পার্টি করবে,,,
আমানঃ ভাই কেমনে করবো বল,,,
আবিরঃ আরে সব কিছু রেডি,,,সাগর পাড়ের অইখানে একটা ফার্ম হাউস আছে তেমন কেউ যায় না বুজলি,,,দাদা দাদির বেস্ট একটা জায়গা যা অসাধারণ বলার মত না,,,
আহাদঃ কিন্তু এই অল্প সময়ে আয়োজন আবির ভাই??
আবিরঃ আরে সব কিছু রেডি,,,আমি অনেক আগে বলে দিচ্ছি সব আয়োজন করতে,,,
আকাশঃ যেখানে আবির আছে সেখানে কি আর কারো চিন্তার আছে,,,
নেহালঃ হ্যাঁ ভাই সেটাই,,,তো মেয়েরা?
আবিরঃ মেয়েরা কি আবার? অই পার্টিতে যাবো মেয়েদের বলার দরকার নাই,,
আমানঃ হ্যাঁ সেটায় বলিস না ভাই তোর বউ যা ধামাকা করেছে না মেহেদী অনুষ্ঠানে দেখা যাবে অইখানে গিয়ে কয়েক গ্লাস না না এক বোতল খেয়ে শুরু করবে
সবাই এক সাথে হেসে উঠে,,,,
আবিরঃ হারামি চুপ থাক,,,
আহাদঃ আচ্ছা বের কি ভাবে হবো??
আকাশঃ এখন পাঁচ টা বাজে
আবিরঃ মাকে বলবো কারণ মা যেতে দিবে আর মেনেজ ও সে করবে,,বাট প্লিজ কেউ আমার বউকে বলিস না ভুলেও যে কই যাচ্ছি না হলে মিসেস এলিয়েন গিয়ে ধামাকা করবে,,,
সবাই হেসে দেয় আবিরের কথায়,,,পিছন থেকে এইসব কিছু শুনে যায় খাদিজা,,,খাদিজা গিয়ে তিথির রুমে যায় অইখানে তিশা আরিশা তিথি বসে আছে,,,
খাদিজাঃ ভাবিমনি তাজা খবর এনেছি,,,
তিথিঃ কি?
খাদিজাঃ আবির ভাইজান আর বাকিরা মিলে পোলাদের পার্টি করবে,,,
আরিশাঃ বেচালার পার্টি???
খাদিজাঃ হয় অইটা,,, কইছে আপনারা যেন না জানেন এইভাবে তারা যাইবো,,,
তিথিঃ বাহা চান্দু আমাদের না বলে পার্টি করবা আর তা আমি দেখবো কখনো না,,
তিশাঃ থাক না তিথি তারা যাক,,কাল এমনিতেই বিয়ে আমাদের আর এইসব পার্টতে না যাওয়া ভালো,,,
আরিশাঃ হ্যাঁ তারা গান বাজনা ড্রিঙ্ক আরো কত কি করবে,৷
তিথিঃ তোমরা না গেলে নাই আমি তো যাবো কারণ আমার এক মাত্র জামাই হু,,,আর জানো কি অইখানে মেয়েরা ও থাকবে হুম,,,
আরিশাঃ কিইই?
তিথিঃ হ্যাঁ আমি শুনেছি এমন পার্টিতে মেয়ে নিয়ে আসে নাচার জন্য
তিশাঃ আরে ওরা এমন না,,,
তিথিঃ উফফফ চুপ থাকো তো তুমি,,,ওরা কেমন আমার জানা আছে হু,,,যাবা কিনা বলো
আরিশাঃ আমি যাবো ভাবি,,অই আহাদের বাচ্চা কে আমি খুন করবো উল্টো পালটা দেখলে,,,
তিথিঃ আমি তো কাঁচা মরিচ দিয়ে গিলে খাবো যদি দেখি উল্টো কিছু হু,,,
তিশাঃ আল্লাহ কই যাবো ওদের নিয়ে আমি,,,
তিথিঃ তুমি কি যাবা তিশা??
তিশাঃ আর কি যাবো,,,
তিথিঃ খাদিজা নজর রাখো ওদের উপর আর ডিটেইলস দাও আমাদের হুম,,,
খাদিজা চলে যায়,,,
কিছু সময় এর মধ্যে আবির রুমে আসে,,আবিরকে দেখে আরিশা আর তিশা রুম থেকে চলে যায়,,,
তিথি আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে,,,আবির ফ্রেশ হয়ে এসে একটা সাদা শার্ট বের করে পড়ে পারফিউম দিতে লাগে তিথি গিয়ে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ায়,,,
আবিরঃ কিছু বলবা?
তিথিঃ এতো সেজে গুজে কই যাচ্ছেন কই?
আবিরঃ না মানে একটা কাজ আছে
তিথিঃ কাজে যেতে এতো সেজে গুজে?
আবিরঃ কোথায় সাজলাম আজিব,,ফ্রেশ হলাম পারফিউম দিলাম ব্যস তোমাদের মেয়েদের মত তো আর মুখে আটা ময়দা দেই নাই যে বললা সাজলাম,
তিথিঃ(আমি তো জানি জানেমান আপনি কই যাচ্ছেন,,যান যান কিছু ক্ষন পর টের পাবেন)হু আচ্ছা
আবির তিথির দিকে ফিরে তিথির কপালে চুমু দিয়ে বলে
আবিরঃ আচ্ছা আসি কেমন,,,,
তিথিঃ হু,,,,
আবির বের হয়ে যায়,,,
অইদিকে আমান আহাদ বাকি সবাই নিচে দাঁড়িয়ে আছে,,,আবির যেতে লাগে আবিরের মা এসে বলে
আবিরের মাঃ তাড়াতাড়ি এসে যাবি,,বেশি রাত একদম করবি না কাল কিন্তু তোর বোনের বিয়ে,,,দুইটা বিয়ের চাপ অনেক তো তাড়াতাড়ি এসে যাইয়েন,,,
আবিরঃ ওকে আমার আম্মাজান,,,চিন্তা করিও না এসে যাবো
আবির তার মাকে জড়িয়ে ধরে চলে যায়,,,
গাড়ির সামনে গিয়ে আবির থ হয়ে যায় আবিরের বাবা,আমানের বাবা,আহাদের ও তিথির বাবাকে দেখে,,,
আবিরঃ আপনারা চারজন কোথাও কি যাচ্ছেন?
আবিরের বাবাঃ হ্যাঁ বেচালার পার্টিতে,,,
আবিরঃ মানে?
আমানের বাবাঃ দেখ তোর আন্টি মা ওদের কারনে আমরা একটু ও তেমন শান্তি পাই না আজ একটু পার্টি করবো একটু খাবো আর কি,,,,
আবিরঃ আপনাদের যে বলেছে যে আমরা কই যাচ্ছি হুম?
আবির রাগী লুক নিয়ে আমানের দিকে তাকায়,,
আমানঃ না মানে আসলে আবির আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম ওরা আসছে কই যাচ্ছি জিজ্ঞেস করছি আর
আবিরঃ আর তুই বলে দিচ্ছিস?
আবিরের বাবাঃ আমরা যদি যেতে না পারি তোরা ও যেতে পারবি না হুম,,,ব্যস পার্টি যখন বেচালার তাহলে আমরা ও যাবো হুম,,,
আবির আর কি করবে মুখ টা বানিয়ে রাজি হয়ে যায়,,,,সবাই চলে যায় পার্টিতে,,,
বড়রা ও যাচ্ছে এই খবর চলে যায় তিথির কাছে খাদিজার মাধ্যমে,,,,আর কি তিথি হাজির আবিরের মায়ের কাছে
তিথিঃ জানো মা আজ ওরা পার্টি করবে এই সেই,,,আর বাবা ও আছে,,,,
আমানের মাঃ ছি ছি ভাই সাহেব এই বুড়া বয়সে বাচ্চা ছেলেদের সাথে পার্টিতে গেছে,,,
আরিশাঃ আন্টি মা শুধু পাপ্পা না আংকেল ও আছে,,,
আমানের মা এই শুনে শকড,,,আরিশা তিথি তিশা মিলে যা যা প্যাচ লাগায় তাদের মায়ের কাছে ব্যস আর কি তারা ঈ যাবে এখন পার্টিতে,,,
তিথিঃ(বাচ্চু আমাদের না নিয়ে পার্টি তা না এখন তো গন্ডগোল করেই ছাড়বো হুহু,,,)
সবাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে যায়,,,,পার্টিতে যাওয়ার জন্য,,,,
এইদিকে,,,
পার্টি শুরু হয়ে যায়,,ড্রিঙ্ক লাইটিং সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগছে পার্টিটা,,গান বাজে সবাই নাচতে থাকে আবিরের বাবা আর আমানের বাবা তো ড্রিঙ্ক কয়েক গ্লাস করেই নাচ,,,তিথির বাবা এমনি জুস খাচ্ছে আর মজা করছে,,,আহাদের বাবা তো নেহালের সাথে নাচতে থাকে হাত নাড়িয়ে,,,,,
আজ তু হে পানি পানি গান বাজছে আর গানের সুরে সবাই নাচ,,,,
অইদিকে,,
মেয়ের দল গুলো আসছে তেড়ে এট্যাক করতে🤣
চলবে,,,,,