বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড

বজ্জাত বস রোমান্টিক হাজবেন্ড !! Season -3 !! Part- 49

এইদিকে আমান আবির বেচারা দুইটা তাদের দুঃখের কথা বাবাকে বলছে কিছু ক্ষন পর বড় বাবা ও আদে চার জন ছেলে মিলে তাদের দুঃখ শেয়ার করছে আর এই দিকে তিথি মাকে জড়িয়ে ধরে একটা একটা বলছে মামানি তো রেগে আগুন,মা ও বড় মা রিতু হাসছে,,
কিছু দিন কেটে যায় এই ভাবে আরো,,আমান আর আবির সুস্থ হয়ে যায় একদিনে,,,আর তিথি রিতু সুস্থ হতে বেশ কিছু দিন লাগে,,
মা আর বাকি সব অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ে আজ,,কারণ আজ রিতু আর তিথি ঘরে আসবে,,তাদের পছন্দের খাবার,,,ঘর সাজানো সব হচ্ছে,,,সবাই আজ অনেক খুশি কারণ আজ তাদের পরিবারের খুশি ফিরছে,,,
আবির আর আমান বড় বাবা আর আবিরের বাবা যায় রিতু আর তিথিকে আনতে,,,,খুশিতে যেন আজ তিথি আত্নহারা,,,বেচারি এখানে যে কি ভাবে ছিলো তা সে জানে,,,কাপড় চেঞ্চ করে পা ডুলাছে,,গাল ফুলিয়ে বসে আছে
রিতুঃ কি রে আজ বাসায় যাচ্ছিস তবুও গাল ফুলা
তিথিঃ আমি একটা জিনিস ভাবছি
রিতুঃ কি?
তিথিঃ দেখ রিতু আমরা অনেক দিন এখানে আমাদের রুমের কি অবস্থা আর আমার তোতাপাখি টার কি অবস্থা আমি সিউর ওই বজ্জাত এনাকন্ডা আমার তোতাপাখিকে একদম যত্ন নেয় নাই,,আর আমার গোলাপ গাছ কে জানে পানির কারণে মরে গেছে কি না,,কত শখ করে বারান্দায় লাগিয়েছিলাম কে জানে কি অবস্থা
রিতুঃ সারাজীবন কি এমন থাকবি তুই পাগল একটা
তিথিঃ আমি কি করলাম আবার
রিতুঃ সব সময় আবিরকে বকিস আবার বেচারা আসলে দুই মিনিটে তাড়িয়ে দিস আর তো তোর অই আজগুবি কথা বার্তা যার জন্য আমান ও ভাগে
তিথিঃ ওহ আচ্ছা এই বল (মুখে একটু হেসে রেখে)
রিতুঃ কি বললাম?আর পাগল এর মত হাসিস কেন?
তিথিঃ তুই আমার জন্য ভালো ভাবে প্রেম করতে পারছিস না তা বল,,,এই জন্য আমাকে খালি বকিস
রিতুঃ কানের নিচে কষে চড় লাগাবো এখন,,,চুপ কর
তিথিঃ আরে আমার কাছে লজ্জার কিসের হ্যাঁ আচ্ছা বল বল প্রেম করিস যখন তখন আমান ভাইয়া তোকে কি কি বলে হ্যাঁ
আমান আর আবির দরজা খুলে তিথির কথা শুনে শকড,,আমান তো লজ্জা পায় আর আবির ভ্রু নাচাতে থাকে আমানের দিকে,,,
রিতুঃ আরে তোমরা
তিথি তাকিয়ে দেখে আমান আর আবির,,আবির তিথির কাছে গিয়ে বলে
তিথিঃ কেন তুমি জানো না হাজবেন্ড ওয়াইফ যখন একা থাকে তখন কি কি কথা বলে,,আচ্ছা আমি বলছি
তিথি আবিরের কথায় লজ্জা পায়,,রিতু মুখ চেপে হাসছে,,
আমানঃ ভাই এইটারে কেমনে সামলাস তুই
আবিরঃ কি আর করার এই এলিয়েন রে মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে,,,
তিথি রাগী লুক দিয়ে বলে
তিথিঃ কি ইচ্ছে করে?
আবির হুট করে কিস করে দেয় তিথি চোখ বড় করে ফেলে রিতু আর আমান হাসতে থাকে তিথির ফেস দেখে,,
আবিরঃ কিস করতে
সবাই হেসে দেয় শুধু তিথি ছাড়া তিথি মুখ বানিয়ে বসে আছে,,,রিতু হাঁটতে থাকে আমান রিতুর হাত ধরে আস্তে আস্তে হাঁটে তিথি বসে আছে আবির তিথির কাছে গিয়ে কোলে তুলে নেয়
তিথিঃ কি করছেন?

আবিরঃ চুপচাপ থাকবে আমি আমার বউকে কোলে নিচ্ছি সো একদম চুপ বেশি কথা বললে এখন কিস করে দিবো
তিথি এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে আর এক হাত দিয়ে আবিরের ঘাড়ে পিছনে রাখে,,,সবাই মিটমিট করে হাসছে আবির তিথিকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছে তাই,,আমান রিতু গাড়ির কাছে যায় আবির আমানকে ইশারা করে গাড়ির দরজা খুলে আমান দরজা খুলে রিতু বসে তারপর আবির তিথিকে গাড়িতে বসিয়ে দেয়,,,আমান আর আবির গাড়ির প্রথম সিটে বসে আবির ড্রাইভ করতে থাকে,,বড় বাবা আর বাবা অন্য গাড়িতে আসে মেডিকেলের আভ কিছু সামলে,,
এই দিকে সবাই অপেক্ষা করছে,,গাড়ির হর্ণের আওয়াজ পেয়ে সবাই তো খুশি,,আজ রিতুর পরিবার ও আসে,,আমান নেমে রিতুকে নামায় আবির নেমে দেখে তিথি নামছে,,
আবিরঃ ওয়েট
তিথিঃ কি?
আবির তিথির সামনে গিয়ে তিথিকে আবার কোলে তুলে নেয়,,,কোলে করে ভিতরে নিয়ে যায়,,
বড় মাঃ আবির তোর বউকে কেউ নিয়ে যাবে না তো যে ভাবে কোলে নিয়ে রেখেছিস
সবাই হেসে দেয়,,তিথি লজ্জা পায় আবির মুখের উপর বলে
আবিরঃ কেউ নেওয়ার কথা ভাববে ও মা যে এলিয়েন উফস সরি ঝগড়াটি এলিয়েন
মাঃ কানের নিচে চড় লাগাবো আমার মেয়েটা বাসায় না আসতে শুরু
তিথি চোখ ছোট করে আবিরকে বলে
তিথিঃ কপালে যে কত দুঃখ আছে চান্দু তা পরে টের পাবে
আবিরঃ কিছু কি বললে
তিথিঃ হু জ্বি না
আবির তিথিকে সোফায় বসিয়ে দেয়,,,সবাই বসে রিমানকে কোলে নিয়ে রিতু আদর করতে থাকে,,,মা আর মামানি সবার জন্য নাস্তা আনে,,সবাই খাচ্ছে আর অই সময় রিতুর বাবা বলে
রিতুর বাবাঃ রিতু কিছু দিন আমাদের কাছে থাকবি,,জানি এই অধিকার টুকু হারিয়েছি তবুও
রিতু রিমানকে আমানের কোলে দিয়ে বাবার কাছে যায়,,বাবার ঘাড়ে মাথা রেখে বলে
রিতুঃ অনেক মিস করেছি বাবা অনেক,,,আমি যাবো তোমার কাছে কিন্তু ছোট বেলায় যেমন মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতে এখন ও দিবে যদি দাও তাহলে আমি যাবো হু
রিতুর বাবা রিতুকে জড়িয়ে ধরে,বাবা মেয়ের কান্ড দেখে সবাই হাসে,,তিথির মনটা ছোট হয়ে যায়,,,খুব কষ্ট হচ্ছে বুকের মধ্যে কেমন জানি ব্যাথা করছে,,বাবা এই শব্দটা বলতে খুব ইচ্ছে করে,,আজ বাবা থেকে ও তার কাছে নাই,,সে ছোট বেলায় তাকে ছেড়ে গেছে সে কেমন আছে কি করছে কিছু জানতে চায় নাই,,,তিথির মুখটা মলিন করে রাখে কেউ লক্ষ না করলে ও আবির ঠিক খেয়াল করে,,,,
আবির তিথির কাছে উঠে যেতে লাগে অই সময় তিথি উঠে চলে যায়,,সবাই কিছুটা অবাক হয়
মামানিঃ ছোট বেলা থেকে মেয়েটা বাবার আদর পায় নাই আর না তার বাবাকে দেখছে,,,হয়তো ওর মামা ওর বাবার সব কিছু পূরন করছে কিন্তু বাবার জায়গা টা তো আর নিতে পারে নাই,,,
মাঃ হুম এইটা সত্যি যে বাবা মায়ের জায়গা কেউ নিতে পারে না,,,
আবির যেতে লাগে রুমে তখন বাবা আবিরকে বলে
বাবাঃ আমি দেখছি
বাবা উপরে যায় আবিরের রুমে,,গিয়ে দেখে তিথি রুমে নাই বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে,,,চোখ এক রাশ পানি নিয়ে,,,বাবা তিথির কাছে গিয়ে বলে
বাবাঃ আমার খুব ইচ্ছে ছিলো একটা মেয়ের,,সব সময় চাইতাম আমার একটা যেন মেয়ে হয় কিন্তু আমার এক ছেলে মেয়ে ছিলো না,,,প্রতি রাতে আবিরের মাকে বলতাম ইসস যদি আমার মেয়ে থাকতো তাহলে আমি কত কিছু করতাম,,কিন্তু ভাগ্যে ছিলো না
তিথি চুপ করে বাবার কথা শুনে,,বাবার চোখে পানি জলজল করছে,,
বাবাঃ কিন্তু একটা আশা ছিলো যে আবিরের বউ যেই হবে তাকে নিজের মেয়ের মত ভালোবাসবো,,জানো আবির যখন তোমার ছবি দেখায় জানি না অই দিন কেন এক আলাদা ভালো লাগা কাজ করে,,,জানি না তখন থেকে মন হয়ছে যে আমার মেয়েও আছে,,তোমায় যতদিন আবির খুজেছে ততটা দিন আমি তোমার আম্মু শুধু প্রার্থনা করছি যাতে আমরা তোমাকে খুজে পাই আমাদের মেয়েটা যেন আমাদের কাছে ফিরে আসে
তিথি শুধু বাবার দিকে তাকিয়ে আছে বাবার চোখে পানি,,,
বাবাঃ আমাকে কি আমার মেয়েটা ফিরিয়ে দিবে?
তিথিকে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয় বাবা ও তিথিকে জড়িয়ে ধরে চোখের পানি ফেলে,,দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা মা ও আবির একে অপরকে জড়িয়ে ধরে,,,এই দিকে রিতু আর মহা খুশি ফাইনালি সে তার পরিবার পেয়েছে কিন্তু তিথির জন্য আবার মন ও খারাপ মেয়েটা ও তো তার পরিবার হারিয়েছে কিন্তু পায় নাই,,
বাবা তিথিকে নিয়ে আসে নিচে সবার মাঝে,,সবাই তিথির মুখের হাসি দেখে খুশি হয়,,,এই দিকে আবির গাল ফুলিয়ে বসে আছে কেউ দেখছে না আবার চিৎকার দিয়ে বলে
আবিরঃ আমি যে রেগে আছি তা কি কারো খবর আছে
বাবাঃ তুই রাগল্র কি আর না রাগলে কি সব সময় তো মুখটা এমন বানিয়ে রাখিস
সবাই হেসে দেয় তিথিও আবিরের মা বলে উঠে
মাঃ তোমার সমস্যা কি হ্যাঁ সব সময় আমার ছেলেটার পিছনে পড়ে থাকো আমার মাসুম বাচ্চাটা এক তো রাগ করে আছে আবার সে আসছে ওকে বকতে হু
আবির গালে হাত দিয়ে বলে

আবিরঃ আমি কি স্বপ্ন দেখছি?আমায় চিমটি দাও তো কেউ
পাশে তিথি এতো জোরে চিমটি দেয় যে আবির লাফিয়ে উঠে
আবিরঃ উফ এতো জোরে চিমটি কেন দিলে এলিয়েন
তিথিঃ হু নিজে বলেছে চিমটি দিতে এখন ন্যাকামি করছে
আবিরঃ দিতে বলেছি তাই বলে এতো জোরে
তিথিঃ আস্তে ও তো বলেন নাই
মাঃ উফফ তোরা দুইজন সব সময় লড়াই করিস একটু সুযোগ পেলে হয়ছে,,,
বাবাঃ তোমার জন্য এমন আমার মেয়ের পিছনে সব সময় তোমার ছেলে পড়ে
মাঃ ওহ এখন আমার ছেলে তোমার বুজি ছেলে না,,ভালো কাজে নিজের ছেলে আর কিছু করলে আমার
রিতু গালে দিয়ে ঝগড়া দেখছে আমান হাসছে,,বড় বাবা ধমক দেয়
বড় বাবাঃ বাচ্চাদের মত তোরা ও ঝগড়া করছিস কেন?একদম চুপ সবাই
সবাই চুপ হয়ে যায়,,কেউ কথায় বলছে না,,,রিমান খেলনা দিয়ে খেলছে তিথি আপেল একটা নিয়ে খেতে থাকে,,আবির রাগী লুক দেয় তিথির দিকে তিথিফ ভেংচি কেটে অন্য দিকে তাকিয়ে খেতে লাগে,,,তখন বড় বাবা বলে উঠে
বড় বাবাঃ তিথি আর রিতু তো এখন সুস্থ,,,আর ওদের বিয়েতে আমরা কেউ ছিলাম না,,আমান নিজে নিজে বিয়ে করে আমেরিকাতে চলে যায়,,আবির ও নিজে নিজে বিয়ে করে বউ নিয়ে আসে বলা পর্যন্ত প্রয়োজন মনে করে নাই একটা ছেলে ও
আমান রিতু ওরা মাথা নিচু করে রাখে,,,আবির বলে উঠে
আবিরঃ তোমাদের বলা হয়েছে বড় বাবা কিন্তু তোমাদের ইগো এতো যে আসার প্রয়োজন মনে করো নাই
বাবাঃ আবির চুপ
বড় বাবাঃ বলতে দে ওকে,,ঠিক বলেছে ইগোর কাছে সন্তানদের খুশি টুকু আমরা দেখি নাই,,ওদের খুশিতে অংশ গ্রহণ পর্যন্ত নেই নাই,,
মাঃ ভাইয়া এখন এই সব বলে লাভ কি,,যা হয়েছে বাদ দেন৷ আগের কথা বলে তো আর লাভ নাই
বড় মাঃ হ্যাঁ কেন আগের কথা তুলছো বাদ দাও
বড় বাবাঃ আমি আগের কথা এমনি এমনি তুলছি না,,যাই হোক ওরা যা করেছে এতে তো আর কিছু করার নাই কিন্তু
আবির ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে
আবিরঃ কিন্তু কি বড় বাবা
মাঃ আবির তোর বাবাব বলেছে না চুপ থাকতে তাহলে কথা কেন বলছিস
বড় বাবাঃ ইটস ওকে,,,এখন আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি
সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে,,তিথি আপেল মুখে দিয়ে তাকিয়ে আছে কি বলবে তাই
বড় বাবাঃ আমি চাই আবির আর আমানের বিয়ে আবার দিবো
তিথি কাশতে থাকে,,,রিতু আমানের দিকে তালায়,,,সবাই একে অপরের দিকে তাকাতে থাকে,,আবির উঠে দাঁড়ায় রাগী কন্ঠে বলে
আবিরঃ মানে কি বড় বাবা?
বড় বাবাঃ কথা না বুজে কথা বলার অভাশ তোর আজীবন কি থেকে যাবে
বাবাঃ ভাই কি বলছো ওদের আবার বিয়ে মানে?
বড় বাবাঃ এক মিনিট সবাই এমন ভাবে আমার দিকে তাকাচ্ছে মনে হচ্ছে আমি আমান আর আবিরের বিয়ে অন্য জায়গায় দিচ্ছি৷ আবিরের বিয়ে তিথির সাথে আর আমানের বিয়ে রিতুর সাথে হবে আবার
সবাই হাফ ছেড়ে বাঁচলো,,,
রিতুর বাবাঃ ঠিক বলেছেন ভাই সাহেব,,,আমরা ও তো অনেক ভুল করেছি মেয়েটার প্রতি এখন তা শুধরাবার পালা,,
বাবাঃ হুম আবার ধুমধাম করে ওদের চারজনের বিয়ে হবে,,,,প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান হবে ওদের
সবাই খুশি কিন্তু তিথি মুখটা বানিয়ে রেখেছে,,
মাঃ কিরে তিথি তুই হেপ্পি না?

তিথিঃ আম্মু আমাদের আবার বিয়ে তাই না?
মাঃ হুম তো
তুথিঃ রিমান রিতুর বিয়ে খাবে,,,মানে রিমান তার বাবা-মায়ের বিয়ে খাবে,,রিতুর ছেলে তার বিয়েতে থাকবে,, নাচবে মজা করবে
নখ কাপড় দিতে দিতে,, সবাই তিথির দিকে তাকিয়ে আছে এই মেয়ে কি বলতে চাইছে বুজার জন্য
আবিরঃ তো কি হয়ছে তিথি,,
তিথিঃ তাহলে আমি কি দোষ কতছি?আমার ছেলে কেন নাই আমার ছেলে ও আমার বিয়েতে নাচতে পারতো অংশ গ্রহণ নিতে পারতো,,,,আমার ছেল্র ও থাকতো তাহলে কত না মজা হতো (অনেক চিন্তিত ভাব নিয়ে)
সবাই হেসে দেয় তিথির পাগলামি কান্ড দেখে,,,আবির তার কপালে হাত রেখে ভাবছে এই কোন মেয়ে তার কপালে জুটছে,,,রিতুর ছেলে রিতুর বিয়েতে থাকবে তাই তারও ছেলে লাগবে এই ভেবে তো সবাই হাসি আটকে রাখতে পারছে না,,
চলবে,,,,,,,,